![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)
সিরাজ সিকদার ।
জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৪ ।
সিরাজ সিকদারের জন্ম
বরিশালে ।
সিরাজ সিকদারের
খোঁজ পেয়েছি ২০১৪ সালে
কলেজে ভর্তি হওয়ার
কিছুদিন আগে ।
বিপ্লবীরা কে কোন
সাবজেক্ট নিয়ে পড়েছে
সেই বিষয়গুলি খুঁজতেছিলাম ।
তখন আমি খোঁজ পাই
সিরাজ সিকদারের ।
সিরাজ সিকদার বাংলাদেশের
প্রথম বিপ্লবী কমিউনিস্ট ।
তিনি রাশিয়ার লেনিন,
চীনের মাও সে তুং মতবাদে
বিশ্বাসী ছিল ।
ছাত্র থাকাকালীন থেকেই
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ তাকে
আকৃষ্ট করেছিলো ।
তিনি স্বপ্ন দেখতেন বাংলার
চে গুয়েভারা হওয়ার ।
তিনি উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ
হলেও চে'র মতোই তাকেও
নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় ।।
সিরাজ সিকদার বাংলাদেশের
ক্রসফায়ারে মারা যাওয়া
প্রথম ব্যক্তি ।
বিচারবর্হিভূত হত্যা তাকে
দিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীন
দেশে ।।
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৮
জানুয়ারি তিনি সমমনা
কয়েক জনকে নিয়ে
পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন যার লক্ষ্য
ছিল পাকিস্তানের
উপনিবেশিক শাসন থেকে পূর্ববাংলা'কে মুক্ত করে
জাতীয় গণতান্ত্রিক
বিপ্লব সম্পন্ন করা,
সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ
অভিমূখে যাত্রা করবার
লক্ষ্যে বিপ্লবী কমিউনিস্ট
পার্টির প্রতিষ্ঠা করা ।
তিনি এ ব্যাপারে সফল
হয়েছিলে কিন্তু যে বিপ্লব
শুরু করেছিলেন তা শেষ
করে যেতে পারেননি ।।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার
পর সিরাজ সিকদার
৩০ এপ্রিল তারিখে গড়ে
তোলেন জাতীয় মুক্তিবাহিনী ।
৩ জুন পার্টির নতুন নাম
দেয়া হয় পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি ।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের
অক্টোবরে সর্বহারা পার্টি
দলের গেরিলাদের নির্দেশ
দেয় পাকস্তানী বাহিনী,
ভারতীয় বাহিনী ও
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ পরিচালনা করতে ।
কারণ সিরাজ সিকদার পাকিস্তানকে উপনিবেশবাদী, ভারতকে আধিপত্যবাদী
এবং আওয়ামী লীগকে
ভারতপন্থী আধিপত্যবাদী
শক্তি হিসেবে চিহ্নিত
করেছিলেন ।।
১৯৭১-এ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সরাসরি
হস্তক্ষেপে দ্রুত বাংলাদেশ
স্বাধীন হয় ।
ভারতীয় বাহিনীর এই তৎপরতাকে সাদা চোখে
দেখেনি সর্বহারা পার্টি ।
পার্টি মনে করে,
পাকিস্তানের উপনিবেশ
থেকে দেশ এবার
ভারতীয় উপনিবেশের
মধ্যে গিয়ে পড়েছে ।
এ সময় নতুন বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে
তোলার প্রশ্নে সর্বহারা
পার্টি বাংলাদেশের সরকারের
প্রতি একটি খোলা চিঠি
লেখে ।
ওই চিঠিতে বলা হয়,
ভারতীয় সৈন্যদের
অনতিবিলম্বে সরিয়ে
নেওয়া,
যুদ্ধের সৈনিকদের
দিয়ে নৌ,
আকাশ ও স্থলবাহিনী
তৈরি করা,
স্বাধীনতাবিরোধী
অপশক্তিদের সম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত করা এবং
তাদের বিচার নিশ্চিত
করা,
সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বে জাতীয়
বিপ্লবী সরকার গঠন
সহ ২৭টি দাবি পেশ
করা হয় ।
তবে মুজিব সরকার
সর্বহারা পার্টির সেসব
দাবির একটিতে ও
কর্ণপাত করেনি ।
যদি করতেন তাহলে
আজ যুদ্ধাপরাধীদের
ফাঁসি ঝুলে থাকতো না
আর তাকেও নির্মমভাবে
খুন হতে হতোনা ।।
১৯৭১ এর পর সিরাজ
সিকদার পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশকে ভারতের
উপনিবেশ হিসেবে উল্লেখ
করে
"পূর্ব বাংলার বীর জনগণ, আমাদের সংগ্রাম এখনও
শেষ হয় নি,
পূর্ব বাংলার অসমাপ্ত
জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব
সম্পন্ন করার মহান
সংগ্রাম চালিয়ে যান"
নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজণৈতিক দলিল
হাজির করেন ।
যেখানে আওয়ামী লীগকে
জাতীয় বিশ্বাস ঘাতক
ও বেঈমান হিসেবে
উল্লেখ করে করা হয় ।
১৬ ডিসেম্বরকে কালো
দিবস হিসেবে ঘোষনা
করা হয় ।
১৯৭৩ ও ১৯৭৪
এই দিনে দেশব্যাপী
হরতাল পালন করা হলে
মাওলানা ভাসানী বিবৃতি
দিয়ে তা সমর্থন করেন । দেশব্যাপী গণভিত্তি
সম্পন্ন পার্টি গড়ে
তোলায় মনোনিবেশ করেন ।
শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে
দেশব্যাপী গণজোয়ার
তৈরীতে সক্ষম হলে,
পার্টি বিকাশ লাভ করলে
সিরাজ সিকদার শেখ
মুজিবের ঘুম হারামের
কারণ হয়ে দাঁড়ান ।
দিনে দিনে সিরাজ সিকদার
এক জনপ্রিয় নেতা হয়ে
উঠতে থাকেন ।
ছাত্র-তরুন'রা দলে দলে
তাঁর সংগঠনে যোগ দিয়ে
লড়াই জারি রাখেন ।।
১৯৭৪ সালের শেষ দিকে
সিরাজ সিকদার গ্রেফতার
হন ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের
২ জানুয়ারি গভীর রাতে
তাঁকে হত্যা করা হয় ।
তাঁর হত্যাকান্ডের মামলা
এখনো বিচারাধীন এবং
আজীবন বিচারাধীনই থেকে
যাবে ।।
তাকে গ্রেফতার পর
পুলিশ প্রাথমিকভাবে তাকে
প্রচুর মারধর করে ।
কিন্তু কোনো কথা বের
করতে না পেরে তাকে
জিজ্ঞেস করা হয়ঃ-
পুলিশঃ
আপনি জানেন,
আপনার পরিণতি কী ?
সিরাজ সিকদারঃ
আমি জানি,
একজন দেশপ্রেমিকের
পরিণতি কী হতে পারে
তা ভালোভাবেই আমার
জানা আছে ।।
পুলিশঃ
আমরা আপনাকে শেখ
সাহেবের কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করতে বলব ।
সিরাজ সিকদারঃ
জাতীয় বিশ্বাসঘাতকের
কাছে একজন দেশপ্রেমিক
ক্ষমা চাইতে পারে না ।।
পুলিশঃ
তাহলে আপনাকে মৃত্যুকেই
বরণ করতে হবে ।
সিরাজ সিকদারঃ
সে মৃত্যুকেই আমি
গ্রহণ করব,
সে মৃত্যু দেশের জন্য
মৃত্যু,গৌরবের মৃত্যু ।।
এরপর তাকে নিয়ে
যাওয়া হয় গণভবনে
প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর
রহমানের সামনে ।
রাত তখন সাড়ে দশটা ।
হাত-পা বাঁধা অবস্থায়
সিরাজ সিকদারকে দাঁড়
করানো হয় দেশের
প্রধানমন্ত্রীর সামনে ।
শেখ মুজিবের সঙ্গে সে
সময় সেখানে উপস্থিত
ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন
মনসুর আলী,
শেখ মুজিবের বড় ছেলে
শেখ কামাল,
ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক
মনির মতো প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনরা ।
প্রধানমন্ত্রী তাকে দাঁড়
করিয়ে রেখেই প্রাইভেট সেক্রেটারির সঙ্গে আলাপে
ব্যস্ত হয়ে পড়েন ।
এ সময় সিরাজ সিকদার
প্রশ্ন করেন-
"রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাউকে বসতে বলার
সৌজন্যবোধ কি আপনার
নেই ??
(OMG,এটাই কি বিপ্লবীর
বৈশিষ্ট্য,আমি অবাক !!! )
সে সময় এসপি মাহবুব
ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন ।
তিনি এগিয়ে এসে
রিভলবারের বাঁট দিয়ে
পেছন থেকে সিরাজ
সিকদারের মাথায়
আঘাত করেন ।
সিরাজ সিকদার মেঝেতে
লুটিয়ে পড়েন ।
এ সময় শেখ কামাল
রাগের মাথায় গুলি
করলে সিরাজ সিকদারের
হাতে লাগে ।
অন্যরা তার ওপর
কিল, চড়, ঘুষি ও
লাথি মারতে থাকে ।।
সিরাজ সিকদারকে
১৯৭৫ সালের
আজকের এই দিনে গুলি
করে হত্যা করা হয় ।।
আমি গভীর শ্রদ্ধায় এই
বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিককে
স্মরণ করছি ।।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮
নতুন বলেছেন: গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সামনে ।
রাত তখন সাড়ে দশটা ।হাত-পা বাঁধা অবস্থায়
তাকে গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়ছিলো?
এটা বিশ্বাস যোগ্য না..
অবশ্য আমি এই বিষয়ে বেশি জানিনা...তবে এটা জানি যে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো..
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ধরো আমি এখন একটা গল্প বললাম ,
Aabid এর মায়ের সাথে একটি নেড়ি চতুষ্পদ জন্তুর সহবাসের ফলে আবিদের জন্ম হয়েছে ।
এখন কথা হোল , এটা সত্য নাকি মিথ্যা ????????????????
কিন্তু আমি কথাটা বলেছি , এবং আবিদের বিরোধীরা এতে খুশি হয়ে হাততালি ও দিচ্ছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: রেড স্যালুট।