![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)
ধর্মান্ধতা একটি বাঙ্গালীর
একটি জাতীয় সমস্যা বটে ।
ধর্মান্ধতার দুটি খারাপ দিক
আছে-
১। দেশ পিছিয়ে যায়
২। ধর্ম পিছিয়ে যায় ।
একটি ধর্মান্ধ জাতি কখনো
উন্নতির দেখা পায়না আবার
ধর্মান্ধতা ধর্মকে কলুষিত
করে ।
কারন ধর্মান্ধতা মানে হচ্ছে
মূর্খতা,অজ্ঞতা ।
অজ্ঞতা কখনো মুক্তি দিতে
পারেনা,
শুধু ডোবাতে পারে ।
ধর্মান্ধতার ফলে দেশ
কিভাবে ডুবছে সেটা
এই সিরিজের আলোচ্য
বিষয় না ।
আমি এখানে তুলে ধরবো
ধর্মান্ধতা কিভাবে ইসলামকে
ডোবাচ্ছে ।
এই কথা তুলে ধরতে গিয়ে
আপনাতেই দেশের কথা
চলে আসবে কারন এদেশের
৯০% মানুষ মুসলমান ।
ধর্ম ও রাষ্ট্র তাই পরস্পর
সম্পর্কযুক্ত ।।
আমার আব্বা কোনো
মাওলানা বা মুফতি না,
উনি একজন স্কুল শিক্ষক,
এখন অবসরপ্রাপ্ত ।
ছোটবেলায় আব্বা আমাকে
নিয়ে নামাযে দাঁড়াতো,
ইকামাত,আযান,সূরা
সবকিছুই আব্বার কাছ
থেকে শিখেছি কিন্তু আব্বা
কখনো ধর্মান্ধতার শিক্ষা
দেয়নি ।
আমার ঘুম ভাঙতো
আব্বার কোরআন শরীফ
পড়ার শব্দে,উনি ফজরের
নামায শেষ করে প্রতিদিন
কোরআনের কিছু আয়াত
পাঠ করতেন ।
আমার আব্বা,
একজন মুসলমান কিন্তু
ধর্মান্ধ নয় ।।
আব্বা কোনদিন আমাদের
ধর্মান্ধতার শিক্ষা দেয়নি ।
তিনি বলেন-
৫ ওয়াক্ত নামায পড়বা
আর সত্ থাকবা তাহলে
আল্লাহ খুশি হবেন ।
মনে রাখবে,
বিদ্ধান লোকের ঘুম আর
বলদের রাতভর ইবাদাত
থেকে উত্তম ।
আব্বার এই ধরনের বাণী
ছোটবেলা থেকেই শুনে
আসছি কিন্তু ধর্মান্ধতার
গন্ধ পাইনি ।
ধর্মান্ধতা আসলে কী ?
সহজ কথায় ধর্মান্ধতা
হচ্ছে অজ্ঞানতা,অসত্,
মূর্খতা,ভয় ইত্যাদির
সম্মিলিত রূপ ।
বাংলাদেশে যে ৯০%
মুসলমান আছে তার ৮০%
ভাগই ধর্মান্ধতা ।
এদের যেমন ধর্ম সম্পর্কে
স্পষ্ট ধারণা নেই তেমনি
জ্ঞানের অভাব আছে ।
জ্ঞানের অভাবের কারনেই
ধর্মান্ধতার সৃষ্টি ।
আমরা মনে করি,
কোরআন,হাদীস বলে কিছু
নেই ।
পাড়ার মসজিদ,মাদ্রাসার
যে প্রধান উনিই কোরআন,
উনিই হাদীস ।
উনি যা বলবেন সেটাই ।
অথচ হাদীসে আছে-
জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর
চীন দেশে যাও ।
চীন দেশে যাওয়া লাগেনা
যদি আমরা ঘরে থাকা
কোরআন ও হাদীসের
পাতাগুলি ভালো করে পড়ি ।
সত্যি কথা বলতে কি,
আমরা সেদিকে ফিরেও
তাকাইনা ।
আমার সামনে ধর্মান্ধতা
দেখলে আমি তার প্রতিবাদ
করি ।
আমি একজন মুসলিম ।
ধর্মান্ধতা দিয়ে ইসলামকে
কলুষিত করে আখের
গোছাবেন,এটা অন্যরা
মানলেও আমি পারিনা ।
ঘটনাটা খুলেই বলি-
কোনো এক জুম্মার দিন
একজন আল্লাহওয়ালা ও
বেহেশতী পাছার অধিকারী
হুযুর মসজিদে হারাম-হালাল
নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ বক্তব্য
রাখলেন ।
তিনি যা বলেছিলেন এক
কথায় তা হচ্ছে-
"হারাম খেয়ে যতোই ইবাদাত
করেন আল্লাহ কবুল করবেনা,
হারাম টাকা দিয়ে হজ্জও হবেনা,
যতোদিন আপনার শরীরে
হারাম খাবার থাকবে আল্লাহ
আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট
থাকবেন ।"
অতি সুন্দর কথা বলেছেন
হুযুর ।
আমি আবার এইসব ব্যাপারে
মাথা উঁচু করে থাকি কারন
আমার আব্বা কোনদিন
হারাম কিছু করে আমাদের
খাওয়াননি ।
আমার কয়েকজন আপার
চাকরী হয় নাই শুধু
আব্বার কারনে,আব্বা
ঘুষ দিয়ে চাকরী নিবেন না ।
এইরকম একটা মানুষের ছেলে
আমি ভাবতেই ভালো লাগে ।
যা হোক,
ঐদিন নামাযের শেষে
আমি হুযুরের কাছে প্রশ্ন
করলাম ।
ভরা মজলিসেও করতে
পারতাম তবে তাতে আমার
প্রতি একধরনের আক্রমণ
হতে পারে বিধায় করিনি ।
হুযুরকে একা পেয়ে
বললাম-
হুযুর,
আমার একটা প্রশ্ন ছিল ।
হুযুরঃ
কি বলো ।
আমিঃ
হুযুর আপনি বললেন যে
হারাম খাবার শরীরে থাকলে
আল্লাহ অসন্তষ্ট হন এবং
যতোই ডাকাডাকি করুক
ইবাদাত কবুল হয় না ।
হুযুরঃ
হ্যা,সেটাই ।
আমিঃ
তাহলে হুযুর যারা হারাম
পথে আয় করে অঢেল
টাকার মালিক হয়েছে ।
তারা যে আপনার প্রতিষ্ঠানে
দান করতেছে,আপনি তা
মাদ্রাসার কাজে ব্যবহার
করছেন,খাচ্ছেন,খাওয়াচ্ছেন-
এগুলো কি হালাল ?
আমার কথা শুনে হুযুর
প্লাস্টিক হয়ে গেলেন ।।
এখানে ধর্মান্ধতা কোনটা ?
হুযুর ধর্মান্ধ নয় ।
হুযুর সত্যটা জানেন কিন্তু
ইনিয়ে বিনিয়ে মিথ্যাটা
বলেন ।
ধর্মান্ধ হচ্ছে মসজিদ ভরা
মানুষগুলি যারা হা করে
এইসব মিথ্যা গিলতে থাকে ।
আফসোস এদের দেখে,
একটা শ্রেষ্ঠ ধর্মকে উলট
পালট করে খাচ্ছে অথচ
কারো টুঁ শব্দ নেই ।
যারাই পাপী,যারাই অসত্,
যারাই হারামখোর,যারাই
সুদখোর,যারাই ঘুষখোর-
আমি তাদেরকেই দেখি
মাওলানাদের লুঙ্গি উঁচু
করে পাঁছা চুমাচুমি করতে ।
কোনো ভাল মানুষ কখনো
পাছা চুমাচুমি করেনা ।
ভাল মানুষ কোরআন,
হাদীস চুমাচুমি করে,
পাছা না ।।
©somewhere in net ltd.