![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ব্লগ আপনার কতটা ভাল লাগবে জানি না, ভাল না লাগলে কিছু যায় আসে না। (2012-2014) ©Benzir Ahammed Shawon http://www.facebook.com/BDBSX
পরীক্ষার সময় হয়নি, তাই ইডেন কলেজের
বিপরীত দিকের ফুটপাতে বসে পড়লাম। বড়
ভাইয়ার বন্ধু পরীক্ষা দেবেন।
তাঁকে নিয়ে এসেছি।
ভাইয়া ফোনে বলে দিয়েছে,
‘ওকে পরীক্ষা হলে নিয়ে যাবি।
ঢাকা তো ওর অচেনা জায়গা...।’
বসে বসে যানবাহন দেখছি আর
নিজেকে পরীক্ষার্থী ভাবছি। রাস্তার
ওপারে বসে থাকা একটা মেয়ের দিকে চোখ
পড়তেই মেয়েটা হাতে থাকা বইয়ের
দিকে মনোযোগ দিল। ব্যাপারটা মজার
মনে হলো। তাকালাম তার দিকে, চোখ
সরিয়ে নিল অন্যদিকে; অথচ তাকিয়ে ছিল
আমাদের দিকে।
আবার তাকালাম। বইয়ের
দিকে দৃষ্টি সরিয়ে এক পলক আমার
দিকে তাকিয়ে মেয়েটা আবার দৃষ্টি ফেরালেন
অন্যদিকে। আমি গভীরভাবে মনোযোগের
সঙ্গে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সে আবার
তাকাল। এবার অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইল
আমার দিকে। মেয়েটার দেখি সাহস
বেড়ে গেছে! আমিও তাকিয়ে রইলাম,
দৃষ্টি সরালাম না। এভাবে অনেকক্ষণ
তাকিয়ে ছিলাম। আমি মিটিমিটি হাসি,
মেয়েটাও হাসে। এবার দেখি মেয়েটা আমার
দিকে উঠে আসছে। ঘড়ির দিকে তাকালাম।
পরীক্ষার সময় হয়েছে। ওরা তাই
উঠে আসছে পরীক্ষার হলে ঢোকার জন্য।
ভাবছিলাম কথা বলব কি না। মেয়েটা পাশ
দিয়ে যাওয়ার সময় সাহস করে, নাকি মনের
অজান্তেই বলে ফেললাম, ‘পরীক্ষা দেবেন?’
আমার দিকে একটু
ট্যারা চোখে তাকিয়ে ‘সরি’ বলতেই আবার
প্রশ্নটা করলাম। ‘দেখতেই তো পাচ্ছেন!’
উত্তর এল। উত্তর শুনে হতাশ হলাম।
বললাম, ‘হোম টাউন কোথায়?’
: নেত্রকোনা।
: আমিও তো!
হঠাৎ চমকে দিয়ে মেয়েটা আমার মুঠোফোন
নম্বর চাইল। আমি কিছুটা অপ্রস্তুত
হলেও নম্বরটা দিলাম। ‘থ্যাংকস’
বলে সে ঢুকে পড়ল গেটের ভেতরে। তার
নম্বরটা তো নেওয়া হলো না!
পরিশিষ্ট: দেড় কি দুই মাস পর অপরিচিত
নম্বর থেকে কল এসেছিল আমার
মুঠোফোনে। রিসিভ করে কিছু বুঝে ওঠার
আগেই ওপাশ থেকে ননস্টপ
কথাবার্তা হজম করতে হয়েছিল।
কথাগুলো ছিল এরকম: মেয়ে দেখলেই শুধু
তাকিয়ে থাকা হয়, না? চিনতে পেরেছেন? ওই
যে পরীক্ষার দিন দেখা হলো...
এরপর লাইন কেটে গেল। আর
কোনো দিনও ওই নম্বরে ফোন
করে তাকে পেলাম না!
©somewhere in net ltd.