![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চ্যালেঞ্জ...........
আর কেউ গুম হবে না।
একটিও লাশ পড়বে না।
একটি কাহিনী বলে নিই।
♦♦♦♦♦♦
মহানবী (সাঃ) একদিন
মসজিদে বসে আছেন।
সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন।
এমন সময় মহানবী (সাঃ) বললেন,
“এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,
তিনি বেহেশতের অধিবাসী”।
একথা শুনে উপস্থিত সব
সাহাবী অধীর
অগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের
প্রবেশ মুখে। সবার
মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে,
হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত
উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন
যাদের বেহেশতের সুসংবাদ
আল্লাহ
তায়ালা ঘোষণা করেছেন।
সবাইকে অবাক
করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন
একজন সাধারণ আনসার সাহাবী।
এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত
জানা ছিল না অধিকাংশের।
এরপর দিনেও
সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন
নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে।
নবীজি (সাঃ) আবার বললেন
“এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,
তিনি বেহেশতের অধিবাসী”।
সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন
সেই সাহাবী। তৃতীয় দিন
নবীজি (সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য
করে আবার ঘোষণা দিলেন
“এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,
তিনি বেহেশতের অধিবাসী”
এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই
অতি সাধারণ
সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন।
পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর,
সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হোল
সেই সাধারণ
সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য।
তিনি কেন অন্যদের
চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে।
বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ
ইবনে আমর আল আ’ স (রাঃ) ভাবলেন
এই সাহাবীর বিশেষত্ব
কি তা জানতে হোলে তাকে নিবিড়
ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
তিনি সেই সাহাবীর
কাছে গিয়ে বললেন,
“ আমার বাবার সাথে আমার মন
মালিন্য
হয়েছে, তোমার
বাড়িতে কি আমাকে তিন দিনের
জন্য থাকতে দেবে” ।
সেই সাহাবী খুশী মনে রাজী হলেন।
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে গভীর
ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন ,
খুঁজতে থাকলেন কি এমন আমল
তিনি করেন ...।
সারা দিন তেমন
কোন কিছু চোখে পড়ল না।
তিনি ভাবলেন হয়ত তিনি রাত
জেগে ইবাদত করেন। না ... রাতের
নামায
পরে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন।
উঠলেন সেই ফজর পড়তে।
পরের দুটি দিনও
এভাবে কেটে গেল...
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ
আমল
বা আচরণ আবিষ্কার
করতে পারলেননা যা অন্যদের
চেয়ে আলাদা।
তাই তিনি সরাসরি সেই
সাহাবী কে বললেন,
“ দেখ আমার
বাবার সাথে আমার কোন মন
মালিন্য হয় নি,
আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার
জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম
কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন
যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল
তুমি আলাদা কি এমন আমল করো।"
সেই সাহাবী বললেন
“তুমি আমাকে যেমন দেখেছ
আমি তেমনই,
আলাদা কিছুতো আমার
মনে পড়ছে না”।
এ কথা শুনে হজরত
আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বিদায়
জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন।
এমন সময় সেই সাহাবী হজরত
আবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন,
"আমার একটা অভ্যাসের
কথা তোমায় বলা হয়নি – রোজ
রাতে ঘুমাতে যাবার
আগে আমি তাদের
কে ক্ষমা করে দেই,
যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে,
বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে।
তাদের প্রতি কোন ক্ষোভ আমার
অন্তরে আমি পুষে রাখিনা”।
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)
একথা শুনে বললেন
“এ জন্যই
তুমি আলাদা, এ জন্যই
তুমি জান্নাতি।" (সংগ্রহীত)
♦♦♦♦♦♦
কাহিনীটি শেষ।
মুল কথায় আসি।
আল্লাহ্ তায়ালার উপরে কেউ
আছেন?
তাঁকে কি কারো কাছে তাঁর
কোনো কাজের জন্য
জবাবদিহিতা করতে হবে?
না, উনার উপরে কেউ নেই।
উনার কোনো জবাবদিহিতাও নেই।
তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বশক্তিমান।
তারপরেও তার বান্দারা যখন ভুল করে,
তওবা করে, তখন তিঁনি তাদের মাপ
করে দেন।
তিঁনি পরম ক্ষমাশীল।
আর আমরা সামান্য ব্যাপার নিয়ে
প্রতিশোধ নিতে হায়েনা হয়ে যাই।
গুম করি, খুন করি, মৃত লাশ নিয়ে বীভৎস
রাজনীতি করি!
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি,
সকল মানুষকে যদি স্ব স্ব
ধর্মে অনুরাগী করানো যায়,
ক্ষমা যে মহৎগুন
সেই শিক্ষা দেয়া যায়,
সবার অন্তরে যদি ধর্মীয় অনুশাসন
প্রতিষ্ঠা করা যায়,
ইনশাআল্লাহ, আর একটি লাশও
পড়বে না।
কারণ হত্যা, খুন, প্রতিশোধ, আর
হিংসা-বিদ্বেষ কোনো ধর্ম-ই সমর্থন
করে না।
কাজেই সময়ের প্রয়োজনে
সকল মানুষকে তার ধর্ম-
কর্মে মনোযোগী করার প্রয়াশে
ধর্মীয় অনুশাসনের যথাযথ প্রচার
করা অত্যন্ত জরুরী।
২| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০০
ঢাকাবাসী বলেছেন: খামোখা বেকার পোষ্ট। ক্ষমা করতে করতে সব শেষ হয়ে যাবে তখন আপনে ভেরেন্ডা ভাইজেন। এই ডিজিটাল একবিংশ শতক! বাকোয়াস কথাবার্তা!
৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: আজকাল ফিডার খাওয়া পিচ্চিরা ও ব্লগিং করে, জানতাম না।
যাই হোক আমি আপনাকে একটা গল্প বলি , মনযোগ দিয়ে শুনুন,
এক খামারি প্রতিদিন মাথায় তার খামারের ডিম দুধ তরিতরকারি নিজে হাটে বেচতে যায়। কিন্তু সেই খামারির বাড়ির সামনে আবার এক পাজি লোক বাস করতো। আর প্রতিদিন সেই খামারি হাটে যাওয়ার সময় তাকে বিরক্ত করতো। কেমন বিরক্ত? যেমন ধরেন, সেই দুষ্ট লোক খামারিকে জিজ্ঞেস করতো, কিরে তোর মাথায় কি, খামারি বলতো তরকারি, দুষ্ট লোক ছন্দ মিলিয়ে বলতো , তোর পাছায় লাত্থি মারি। পরের দিন আবার হাটে যাওয়ার সময় সেই লোক খামারিকে জিজ্ঞেস করে, ঐ তোর মাথায় কি? খামারি জবাব দেয় ডিম, দুষ্ট লোকটি বলে মাইরা তোর মাথায় ধরামু ঝিম।
ইত্যাদি ইত্যাদি
তো খামারির মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে ভাবলো আজকে সেও ঐ শয়তানটাকে ছন্দ মিলিয়ে পচাবে। যেভাবেই হোক।
সেদিন সে বাইরে যেয়েই ঐ লোকের হাতে ব্যাগ দেখে খামারি বলে বসলো , ঐ তোর ব্যাগের মধ্যে কি? শয়তান লোকটি উত্তর দিল, কাচের গ্লাস। খামারি গ্লাসের সাথে মিলিয়ে কিছুতেই ছন্দ বানাতে পারলো না। না পেরে বললো, তোর মুখে দিমু থাপ্পড়। শয়তান লোকটি হাহা করে হেসে বললো, এটা কি মিললো? তখন খামারি বললো, "মিললো না মিললো, তোর গুয়া তো ছিড়লো"
আপনার পোষ্ট টিও সেইরকম হয়ে গেছে। গুম খুনের সাথে মাফ করে দেওয়ার হাদিস। মিললো না মিললো পোষ্ট তো ছিড়লো।
৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫১
নেবুলাস বলেছেন: হুমম... ভাই আপনি ক্ষমা মহৎ গুনের কথাই বলেছেন। পড়ে ভালো লাগলো। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা বিজয়ের সময় বলেছিলে যে, “হামলা না চালানো হলে কারো সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ো না।” এবং আরো বলেছিলেন, “বেশ, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের বাড়ীতে প্রবেশ করবে সে নিরাপত্তা লাভ করবে(তার কিছু আগে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহন করেছিল), যে ব্যক্তি নিজের বাড়ীর দরজা বন্ধ করে রাখবে সেও নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে তাকেও কিছু বলা হবে না। (ভাবুন একবার কোন সেনাপতি বা জেনারেল এখনকার যুদ্ধগুলোতে এই ধরনের আদেশ দেয়?) কেবল কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বললেন, “এরা কা’বার গিলাফের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেও তাদেরকে হত্যা করবে।” সুতরাং আমরা দেখতে পাই যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি ঢালাও ভাবে সিদ্ধান্ত নেননি।
৫| ২৬ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০২
বিবর্ণ হৃদয় বলেছেন: ডিজিটাল আর টালমাতাল যাই বলুন যেকোনো সমস্যার সমাধান ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসরণে করা সম্ভব।
যে জাতি যত বেশি ধর্ম-কর্ম থেকে পিছিয়ে পড়বে, সেইখানে নতুন নতুন অপরাধের সৃষ্টি হবে,
অরাজকতা বেড়ে যাবে।
আর সবার দৃষ্টিভঙ্গি একরকম হবে,
এমনটি মনে না করায় ভালো নয় কি? #ঢাকাবাসী
৬| ২৬ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১২
বিবর্ণ হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো লাগলো আপনার গল্পটি।
যদিও আগে-পরে কিছুই বুঝতে পারি নি।
তবে নিজেকে যে অনেক বয়স্ক দাবি করছেন,
সেটা স্পষ্ট।
এটা খারাপ নয়।
তবে যাই হোক,
আপনার শুরুটাও কিন্তু পিডার খেয়েই হয়েছিলো।
ব্যাপার না!
মাঝেমধ্যে এইরকম সমালোচনামুলক কমেন্টস করলে ভালো হয়।
আমরা পিডার খাওয়া মানুষগুলো বুড়াদের কাছ থেকে কিছু জানতে ও শিখতে চাই।
আবারো থ্যাংকস #ভুয়া
৭| ২৬ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
বিবর্ণ হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি প্রাণে বিশ্বাস করি ক্ষমার উপরে বা বিকল্প কিছু নেই।
একজন যদি আমাকে গালি দেয়,
আর আমি যদি তাকে মাপ করে দেই
তাহলে সে আমাকে দ্বিতীয়বার গালি দিবে না।
যদি তার উল্টো করতাম,
আমিও তাকে গালি দিতাম,
তাহলে তার গালির মাত্রা বাড়তো,
সমস্যাটা আরো গভীর হতো,
পরের ব্যাপারটি সবার কাছে স্পষ্ট।
পুনঃ ধন্যবাদ #নেবুলাস
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
পংবাড়ী বলেছেন: " “ দেখ আমার
বাবার সাথে আমার কোন মন
মালিন্য হয় নি,
আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার
জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম
কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন
যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল
তুমি আলাদা কি এমন আমল করো।" "
-মিথ্যা দিয়েই সবকিছুর শুরু?
-হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) মিথ্যুক ছিলেন ( আপনার গল্পানুসারে); এসব গল্পের সমস্টিই ধর্ম।