![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা বেশি আবেগপ্রবণ,
অথবা লাশের বদলে লাশ
বা আগুন
নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন,
যারা দেশপ্রেমের অজুহাতে
সকল অপরাধকে বৈধতা দেন,
সবকিছুতে যারা যুদ্ধ
অপরাধী বা প্রতিবেশি দেশের
দালালের গন্ধ খুঁজে পান।
তারা দয়া করে আমার এই
লিখা পড়বেন
ন।
আমি কে?
তুমি কে?
আমরা কে?
এই তিনটি প্রশ্নের এক কথায় উত্তর
দিলে
প্রথম উত্তর হবে মানুষ।
দ্বিতীয় উত্তর বাংলাদেশী।
তৃতীয় উত্তর বাঙালি কিন্তু
সবাই
না,
তবে অধিকাংশ।
চতুর্থ উত্তর মুসলমান
কিন্তু সবাই নয়,
প্রায় ৯০%।
তাহলে কি করলে ভালো হয়?
যারা বাঙালি নয়,
যারা মুসলমান নয়,
তাদের সবার
বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দিলেই হয়!
সব পুঁড়ে ছাঁই হয়ে যাক।
তাতে এক ঢিলে দুই
পাখি মারা হবে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও গত
বিয়াল্লিশ বছরের সীমান্ত
হত্যার
প্রতিশোধ যেমন নেয়া হবে,
তেমনি আমরা ১০০%
বাঙালি মুসলমানের দেশ হবে এই
বাংলাদেশ।
আর একটি কাজ করা যায়,
হিন্দুদের পিটিয়ে ইন্ডিয়া আর
বিহারীদের পিটিয়ে পাকিস্তান
পাঠিয়ে দিলেও খারাপ হয় না!
সেই সাথে সকল
আধিবাসীকে পিটিয়ে বাঙালি বানিয়ে ফেললেই
হবে।
এইভাবে মারার কোনো মানে হয়?
কারণে-অকারণে হিন্দুদের ঘর-
বাড়ি কত শত বার
আগুনে পুঁড়ানো হয়েছে তার
সঠিক
হিসেব পাওয়া না গেলেও
আংশিক হিসেব
পত্রিকা অফিসগুলিতে পাওয়া যাবে।
এখন মারা হচ্ছে বিহারীদের।
ঘুমের ভেতর তাদের
পুঁড়িয়ে মারা হচ্ছে।
এইভাবে মারার প্রয়োজন কি?
তাদের সবাইকে একসাথে দাঁড়
করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করলেই হয়।
তারা জগণ্য অপরাধী।
এই দেশের মায়ায়,
মাঠির টানে,
অজানা ভালোবাসায়
তারা নানা প্রতিকূলতার মাঝেও
এই
দেশ ছেড়ে কোথাও যায় নি।
আর এটায় তাদের এক নম্বর অপরাধ।
এই দেশে হিন্দু-মুসলিম, ধর্ম-বর্ণ,
জাত-বেজাত, বাঙালি-আধিবাসী,
সকল ধর্মের সকল গোত্রের লোকের
বসবাস করার অধিকার রয়েছে।
যাদেরকে আজ সংখ্যালঘু বলা হয়,
তারাও মোটেও সংখ্যালঘু নয়।
সংখ্যালঘু তারা,
যারা নিজের পরিচয় গোপন করার
জন্য
অন্যদেরকে সংখ্যালঘু বলে।
যারা হায়েনার মত
ঝাপিয়ে পড়ে নিরহ-অসহায়
মানুষগুলির উপর।
যারা ঘুমন্ত
মানুষকে আগুনে পুঁড়িয়ে মারে,
তারা হায়েনার,
জানোয়ার তারা,
আর তারাই সংখ্যালঘু।
তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাস।
সন্ত্রাসের কোনো দেশ নেই, ধর্ম
নেই, জাত নেই।
মানবতা যদি শূণ্যে নেমে আসে,
মরণখেলায়
যদি মেতে উঠে হায়েনার
দল।
মানুষের
মাঝে বিভক্তি টেনে যদি কোনো গোষ্ঠীকে নির্মল
করার ষড়যন্ত্র করা হয়,
তাহলে তার ফলাফল
কখনো ভালো আশা করা যায় না।
আজ বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে,
আমরা পিছনে পড়ে থাকবো কেনো?
এই সংখ্যালঘু সন্ত্রাসীদের
চিরতরে নির্মল
করে এগিয়ে যেতে হবে সময়ের
সাথে তাল মিলিয়ে।
আর একটি মানুষও
যেনো আগুনে না পুঁড়ে মরে।
সন্ত্রাসীদের যাত্রা বিলীন
হোক
সুশাসনের শক্তিতে।
জয় হোক মানবতার।
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.