নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃত্ত

বিবর্ণ হৃদয়

আবেগের কাছে বিবেক পরাজিত হলেই সভ্য পৃথিবীতে অসভ্য মানুষের যাত্রা শুরু হয়।

বিবর্ণ হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখি পাকা পেঁপে খায়........!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

মনে করুন-

আপনি আপনার বন্ধুর প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন।

আপনি একজন প্রবাসী।

আপনি তাদের সম্পর্কের কথা জানতেন না,

অথবা পরে জানলেও বন্ধুত্বের খাতিরে তা নিয়ে আর মাথা ঘামাননি।

কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর বিদেশ যাওয়ার আগে

আপনার স্ত্রীকে দেখাশুনা করার দায়িত্ব আপনার সেই বন্ধুকেই দিয়ে গেছেন।

সাবেক প্রেমিকাকে দেখাশুনা করতে গিয়ে আপনার বন্ধু অনেক রকমের দায়িত্ব পালন করতেই পারে।

এটাই স্বাভাবিক।

পরবর্তী সময়ে যদি তাদের দহরম-মহরম সম্পর্ক চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়,

তার জন্য দায়ী কে?



আবার ভাবুন-

আপনি কাউকে ভালোবাসেন।

ভালোবাসার খাতিরে আপনি আপনার প্রেমিকার সাথে প্রায় সময়ই দৈহিক মিলনে লিপ্ত হোন।

তা আবার খায়েশ করে এক কাছের বন্ধুর মাধ্যমে আড়াল থেকে ভিডিও করে থাকেন।

একসময় যদি সেই বন্ধুটি আপনাকে বা আপনার প্রেমিকাকে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে অথবা অন্যকিছু বলে ব্ল্যাকমেইল করে তাহলে এর জন্য কে দায়ী?



আর একটি কথা-

আপনি একটি পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন।

গাছটি বড় হয়েছে।

গাছে অনেক পেঁপে ধরেছে।

পেঁপে পাকার পর সেই পেঁপে পাখি খাচ্ছে।

কারণ আপনি গাছ লাগিয়েছেন ঠিকই,

কিন্তু গাছের প্রতি কোনো খেয়াল নেই।

পাখি পাকা পেঁপে খায়,

তার জন্য পাখি দায়ী?

নাকি আপনি নিজে দায়ী?



শেষ কিছু কথা-

আজ পাখি ড্রেসের জন্য কেউ জামাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

কেউ আবার আত্নহত্যা করছে।

কিন্তু এসবের জন্য কে দায়ী?

হিন্দি সিরিয়ালের অভিনেতা/অভিনেত্রীদের ড্রেস আজ তাদের অভিনীত নামে বাংলাদেশের মার্কেটে বিচরণ করছে পুরোদমে।

তাদের অভিনয়ের কপি-পেষ্ট চলছে আজ এই দেশের অধিকাংশ সংসারে।

হিন্দি গানে নাচানাচি হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ অন্যতম সংস্কৃতি।

সংসারে কুটিলতা জটিলতা তৈরি করা,

ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়া,

বিয়ের আগে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হওয়া,

পরকীয়া প্রেমের দ্রুত উত্তোরণের পিছনে

হিন্দি সিরিয়ালের ভূমিকায় মুখ্য।



আজ কে দায়ী সেটা দেখে লাভ নেই।

সেটা দেখতে গেলে রক্ষককে দাঁড়াতে হবে ভক্ষকের কাটগড়ায়।

সরকার বিশেষ করে তথ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ,

একাত্তরে আপনারা রক্ত ঝরিয়েছেন দেশকে ও দেশের জাতীয়তাবাদ সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য।

নিজের পরিচয়ে বাঁচার জন্য।

কিন্তু আজ আমাদের সংস্কৃতি ইন্ডিয়ান সংস্কৃতি আগ্রাসনে।

তাকে রক্ষা করা অনেক জরুরী।

এই দায়িত্ব আজ আপনাদেরকেই পালন করতে হবে।



এই আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে ইন্ডিয়ান চ্যানেল স্টার প্লাস, স্টার জলসা, জি বাংলা এসব চ্যানেলের রাক্ষসী আগ্রাসন থেকে উদ্ধার করা এখন অত্যন্ত জরুরী।

যত দ্রুত সম্ভব এই চ্যানেলগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হোক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আপনার প্রথম দুটো কাহিনীর প্রেক্ষিতে বলা যায়, দুই ক্ষেত্রেই দোষ যে করেছে তার। একই ভাবে সিরিয়াল দেখার কারণে যা যা ঘটেছে তার দোষ আমাদের দেশের লোকেদের। এখানে ভারতীয়দের কোন দোষ নাই

বাজারে অনেক ধরনের কিনতে পাওয়া যায়। কি কিনবেন, তা আপনার বিবেচনার বিষয়। আপনি যা কিনবেন খাদ্য হিসাবে, তাই আপনার পেটে যাবে।

হয়তো আপনার অনুরোধ মেনে তথ্য মন্ত্রী কিছু কিছু চ্যালেনকে হয়ত নিষিদ্ধ করবেন, কিন্তু বিকল্প উপায়ে আমরা আবার ভারতীয় চ্যানেলগুলো দেখবো।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

বিবর্ণ হৃদয় বলেছেন: কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে এই চ্যানেলগুলো প্রভাব রাখছে।
মানুষ অনুকরণ প্রিয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ নেগেটিভ দিকটি গ্রহণ করে থাকে।
এই চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হলে কিছুটা হলেও জাতি উপকৃত হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.