![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পারমাণবিক বোমা চিনেন?
নাম শুনেছেন, হয়তো তার ভয়াবহতা সম্পর্কেও জানেন!
কিন্তু কখনো দেখেননি।
ওপেনহেইমার এর নাম শুনেছেন?
জানার কথা,
কারণ তিনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী।
ডিনামাইট কি জানেন তো?
হয়তো জানেন!
বিভিন্ন বোমা তৈরিতে এই ডিনামাইট ব্যবহৃত হয়।
ডিনামাইট আবিষ্কারক রসায়নবিদ
আলফ্রেড বার্নাড নোবেল।
যার দানকৃত অর্থ থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানিত ও বিগ প্রাইজমানি নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আসল প্রসঙ্গে আসি।
ডিনামাইট বা পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করা হয়েছিলো কি জনপদ ধ্বংস করার জন্য?
নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করার জন্য?
তা-ই যদি হয়, তাহলে আমরা এসবের আবিষ্কারকদের এতো সম্মান দিচ্ছি কেনো?
তারা তো হত্যাকারী!
আমরা তাদেরকে ঘৃণা না করে তাদের কর্মের এতো প্রশংসা করছি কেনো?
আলফ্রেড বার্নাড নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য নয়।
পাহাড় বা উঁচু ভূমি ধ্বংস করে মানুষ বসবাসের উপযোগী জনপদ গড়ে তোলার জন্য।
কিন্তু মানুষ তার ইতিবাচক ব্যবহার না করে জনপদ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করছে অহরহ।
যা দেখে নোবেল অনেক বেশি অনুতপ্ত হয়েছিলেন।
যার ফলে তার অর্জিত অর্থের ৯৪ শতাংশ অর্থাৎ ৯০ লক্ষ ডলার দানপত্র রেখে যান।
যা পরবর্তী সময়ে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল প্রাইজ নামে পাঁচটি বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রত্যেককে ১০ মিলিয়ন সুইডিস ক্রোনার প্রদান করা হয়।
১৯৬৯ সাল থেকে এই প্রাইজ ছয়টি বিষয়ে প্রদান করা হচ্ছে।
যে কারণে এসব বলা-
পৃথিবীর প্রত্যেকটি আবিষ্কার সাধিত হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।
মানুষ তার পজিটিভ ইউজ না করে তার অপব্যবহার করছে।
এই যেমন ধরুন ফেসবুক।
জোকারবার্গ এটা আবিষ্কার করেছেন মানুষ মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন শেয়ারসহ নানা পজিটিভ উদ্দেশ্যে।
আর আমরা তা ব্যবহার করছি অসৎ উদ্দেশ্যে।
ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি বানাচ্ছি, বাজে লিখা/ অশ্লীল ছবি পোষ্ট করছি।
আমাদের অপব্যবহারে কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
এটার জন্য কে দায়ী?
জোকারবার্গ নাকি আমরা?
শেষকথা-
এই জীবনের পরেও একটি জীবন আছে,
এটা কি বিশ্বাস করেন?
ওই জীবনে সবকিছুর হিসেব নিকাশ হবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে,
এটা জানেন তো?
আপনার কৃতকর্মের জন্য আপনাকেই জবাবদিহিতা করতে হবে।
কাজেই কে কেমন বা কে কি করছে সেটা না দেখে আপনি নিজে কেমন বা নিজে কি করছেন,
সেটা ভাবুন সবার আগে।
প্রতি রাতে নিজের বিবেকের কাটগড়ায় নিজেকে একবার দাঁড় করান।
জবাবদিহিতা করুন বিবেকের কাছে।
দেখবেন, আপনি যেমন প্রশান্তি পাচ্ছেন,
তেমন পৃথিবীও উপকৃত হচ্ছে আপনার দ্বারা।
কত মানুষই তো বেঁচে আছে,
নির্দিষ্ট একটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আবার মারা যাচ্ছে।
তাদেরকে কেউ মনে রাখে না।
তাদের মরা-বাঁচাতে কারো কিছু যা-ই আসে না।
আপনি এমন কিছু করুন যেনো আপনার বিদায়ে পৃথিবী কাঁদে।
মহাকাল যেনো আপনার কর্মের স্বাক্ষী হয়ে থাকে।
আসুন আমরা সকল আবিষ্কারের পজিটিভ ব্যবহার নিশ্চিত করি ।
নিজে ইতিবাচক চিন্তা করি এবং অপরকে করতে সহযোগিতা করি।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
বলেছেন:
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৩
বিবর্ণ হৃদয় বলেছেন: #খেলাঘর
খারাপ বলেন নি
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০
খেলাঘর বলেছেন:
অর্থহীন কথাবার্তা