নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকি ভাবনা

বাদশা মিন্টু

সাধারণকে দেখি অসাধারণ হিসেবেসাধারণ সবাই আমার আপনআমি সাধারণের ভিড়ে খুঁজি সেই অসাধারণকেযাকে নিয়েই জীবন যাপন।

বাদশা মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার স্বাদ মিষ্টি কেন?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মিষ্টি মিষ্টি ভালোবাসা, আর নীল নীল কষ্ট! টক-ঝাল অভিমান আর তেতো তোতো হিংসা। এভাবেই তো সাহিত্যকরা মানুষের স্বাদের সঙ্গে আবেগের মিল খুঁজেছেন। কিন্তু ভালোবাসার কী সত্যিই কোনো স্বাদ আছে? অনেককেই দেখা যায়, প্রেমে পড়লে হুঁশ-জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আচরণ করে পাগলের মতো। প্রেমিকার বাড়ির রাস্তা, প্রেমিকার ছোঁয়া লাগা কোনো জিনিসও তাঁর কাছে প্রিয় মনে হয়। প্রেমিকার তো মন আরেকটু উড়ু উড়ু বেশিই করে।

প্রেম নাকি সুইট! ভালোবাসা মিষ্টি। আর যে প্রেমে পড়ে যায় সে যেন রসগোল্লার হাঁড়ির মধ্যে হাবডুবু খায়। চোখের সামনে সবকিছুই তার মিষ্টি মিষ্টি লাগে.. তার কাচে কাঁচা মরিচ, করলা..নিম সবই মিষ্টি মধুর মতো....একেই নাকি বলে প্রেম।

আরে একথা আমি বলছি না। বলছেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা। কথায় বলে ভালোবাসা হলে মনের মানুষ যেমন মিষ্টি লাগে তেমনি মিষ্টি লাগে আশপাশের সবকিছুই। গবেষকেরা বলছেন, প্রেমে পড়লে পানি তো মিষ্টি লাগেই; এমনকি চকলেটও অতিরিক্ত মিষ্টি লাগতে শুরু করে। সত্যিকারের ভালোবাসা হলে আরও কত কিছু যে হতে পারে তা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা সম্প্রতি এই গবেষণা করেছেন।

ভালোবাসা যদি মিষ্টি হয় তবে হিংসা কী টক, কিংবা ঝাল স্বাদের হবে?

গবেষকেরা বলছেন, ভালোবাসার ক্ষেত্রে মিষ্টি স্বাদের অনুভূতির প্রমাণ পেলেও হিংসার ক্ষেত্রে টক-ঝাল কোনো স্বাদের বিষয়টির কোনো প্রভাব পড়ে না।

নেদারল্যান্ডসের রেডবড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করেছেন, মানুষ যখন তাঁর ভালোবাসার কথা মনে করে তখন তাঁর কাছে পানি ও চকলেট স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মিষ্টি মনে হয়।

তাঁদের মতে, অনেক সময় সাহিত্যে রূপক হিসেবে ভালোবাসাকে মিষ্টি আর হিংসাকে টক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ভালোবাসা যতখানি মানুষের স্নায়ুর ওপর প্রভাব বিস্তার করে হিংসা ততখানি করে না।

গবেষকেরা সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭ জন শিক্ষার্থীর ওপর ভালোবাসার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের হিংসা বা ভালোবাসার প্রভাবে চকলেটের স্বাদ জানাতে বলা হয়। এ ছাড়া গবেষকেরা ৯৩ জনকে সাধারণ পানি পান করিয়ে তার স্বাদ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। গবেষকেরা দেখেন, ভালোবাসায় স্বাদ পরিবর্তন হলেও হিংসার ক্ষেত্রে স্বাদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না।



ভালোবাসার স্বাদ বুঝতে একটু প্রেমে পড়ে দেখতে হবে দেখছি!!



এবার একটু দেখে আসি ভালোবাসা আসলে কী?

প্রশ্ন জাগে ভালোবাসা দরকারি নাকি ভাল বাসা দরকারি? অর্থাৎ এক ভোগ-বিলাসের যুগে প্লেটোনিক লাভ বা মনের সঙ্গে মনের প্রেম হয়না বললেই চলে। এখন ভাল বাসা বা অর্থ কড়ি...শরীর ভালোবাসা সবকিছু।

টিএস এলিয়ট থেকে দেখে আসি-

APRIL is the cruellest month, breeding

Lilacs out of the dead land, mixing

Memory and desire, stirring

Dull roots with spring rain.

Winter kept us warm, covering

Earth in forgetful snow, feeding

A little life with dried tubers.



ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে...এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।



ভালেবাসার সংজ্ঞায় বলা চলে, ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।



ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়।

ভালোবাসার সঙ্গে শরীরেরও একটা যোগ আছে। শরীর আর মন ছাড়া ভালোবাসা হয় না। তবে ভালো্বাসা হয়ে গলে বা সত্যিকারের প্রেমে পড়ে গেলে শুধু হয় মধুর কল্পনা...



সবার জন্য চাই



ভালোবাসা তোমার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক।

ইচ্ছেগুলো তোমার ইচ্ছেগুলো জ্যান্ত হয়ে বুকের ভেতর তুমুল নাচুক

ভালোবাসা তোমার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক

চোখের কোণে যত্ন করে জমিয়ে রাখা স্বপ্নগুলো নতুন করে বেঁচে উঠুক

দু’চোখ ভরে দেখবে তখন আকাশ তোমার বাড়ছে কেমন

সেই আকাশেই জন্ম নেয়ার, সূর্যটার আলো দেয়ার

ইচ্ছে তোমার বুকের জমিন তীব্রভাবে স্পর্শ করুক…

ভালোবাসা তোমার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.