নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজপুত্রের বিবাহ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

রাজপুত্র বিবাহ করিবেন।

পাত্রী মিলিতেছে না। চারিদিকে লোক চলিয়া গেল। হন্তদন্ত করিয়া পাত্রীর সন্ধান চলিতেছে।

এইবার একটা বিহিত না হইয়া পারে না। রাজা নিশ্চিন্ত মনে বসিয়া আছেন।

পাত্রীর সন্ধানকারীরা এক এক করিয়া ফিরিয়া আসিল।

কাহারও মতি গতি ভাল ঠেকিতেছে না।

রাজা বলিলেন, পাত্রীর কোন সন্ধান পাইয়াছ?

একজন ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, হুজুর, পাত্রীর সন্ধান পাইয়াছি সত্য কিন্তু মনের সন্ধান পাই নাই।

রাজা হুংকার করিয়া উঠিলেন, রাজপুত্রের জন্য পাত্রী চাহিয়াছি, মনের সংবাদ লইবার দরকা কী?

সবাই মাথা ঝাকাইয়া বলিল, জ্বী হুজুর, জ্বী হুজুর। পাত্রী মিলিয়াছে।

বিবাহের আয়োজন চলিতেছে। আনন্দ উতরাইয়া উঠিল। আনন্দে লাল হইয়া উঠিয়াছে রাজ্য। রাজপুত্রের বিবাহ।

পাত্রীর নাম মঞ্জিলা। গরীব ঘরের মেয়ে। পাহাড়বেষ্টিত একটা গ্রামে অনেক কষ্ট করিয়া সে বড় হইতেছিল। সে ওই পাহাড়ের একটা গরিব ঘরের ছেলেকে ভালবাসে। এবং অনেক যত্ন করিয়া সে উহাকে মনে মনে লালন করিয়া আসিতেছে। তাহার সকল কথা, সকল কষ্ট, সকল আনন্দ, সকল
স্বপ্ন নিত্য তাহার সাথে ভাগাভাগি করিয়া লয়। তারা ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে আনন্দে ছুটাছুটি করিয়া হাসি-তামাশায় মাতিয়া ওঠে। ভালবাসার মানুষটিকে সে নানাভাবে মনের ভিতরে রোপন করিয়া লইয়াছে। নির্জন পাহাড়ের বুকে তাহাদের অবগুণ্ঠিত ভালবাসা প্রতিটি মুহূর্তে একটু একটু করিয়া অংকুরিত হইয়া শাখা-প্রশাখা মেলিতেছে।

কিন্তু রাজপুত্রের পাত্রী হিসেবে তাহার ওপর নজর পড়িয়াছে। আজই তাহার বিবাহ সম্পন্ন হইবে।

পাহাড়কোলের গরিব ঘরের মঞ্জিলার নরম বুকখানি হুহু করিয়া উঠিল। সে হা-পিত্তেস করিয়া, হাত-পা ছুড়িয়া, চোখের জল ফেলিয়া, চিৎকার-চেঁচামেচি করিয়া অনিচ্ছা প্রকাশ করিল।

তথাপি বিবাহের বাদ্য বাজিয়া উঠিল। তাহার চিৎকার কাহারো কানে উঠিবার ফুরসত পাইল না; কান্নার সুর বাদকের বাঁশি, ভেঁপু আর ঢোল-কাঁড়া আর সানাইয়ের উচ্চশব্দের উন্মাদনার নির্মম শিকার হইয়া আনন্দযজ্ঞে নতুন সুরের মাত্রা যোগ করিল।

মহানন্দে এবং মহাসমারোহে বিবাহ সম্পন্ন হইয়া গেল। রাজপুত্র খুশিতে টগবগ করিতে লাগিল। রাজপরিবারে আনন্দ আয়োজন সার্থক হইয়া উঠিল।

ভোরের নব আলোতে নতুন করিয়া আরেকটি নতুন দিনের সূচনা হইয়াছে। সকালে সকলের ঘুম ভাঙ্গিল।

নববধূর ঘুম ভাঙ্গিল না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

আহলান বলেছেন: রাজপুত্র তাহাকে মারিয়া ফেলিল .... আর কত কাল এভাবে মজিলারা প্রাণ দিবে ...? B-) :D

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

আবদুল্লাহ আল কাফী বলেছেন: বিরহ জ্বালা সহ্য করতে না পেরে পাত্রী আত্মহত্যা করিল।

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদাসিধা মানুষ বলেছেন: রাজপুত্র তাহাকে মারিয়া ফেলিল .... আর কত কাল এভাবে মজিলারা প্রাণ দিবে ...? B-) :D

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০১

খেলাঘর বলেছেন:


আপনি কি সব হাউকাউ গল্প লেখেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.