![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজকন্যা যেমন সুন্দরী তেমনই তাঁর অহংকার।
রাজকন্যা তার বাগানের ফুলকে বলে, আমার রূপের সাথে তোমাদের রূপের কি কোনো তুলনা হয়? আমি হলাম সেৌন্দর্যদেবী। আমি বাগানে এলে তোমাদের দিকে আর কেউ ফিরেও তাকাবে না। সে এমনই অহংকার করে বেড়ায় বাগানের পাখি ও পুকুরের মাছেদের সাথে। সবার মনে বেজায় কষ্ট।
আশপাশের রাজ্য থেকে রাজকন্যার বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু তাঁর অহংকারের কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় সবাই।
কিছুদিন পর। দূরের এক রাজ্যের রাজপুত্র রাজকন্যার অহংকারের কথা জেনেও বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো। রাজকন্যা এই আনন্দে লাফিয়ে লাফিয়ে মনের কথা বলার জন্য ছুটে গেল বাগানে। একি! বাগানের ফুল কই? ফল কই? পাখি কই? রাজকন্যা ছুটে গেল পুকুরে। না, একফোঁটা পানি নেই সেখানে। পুকুরের তলা ফেটে চেৌচির হয়ে আছে। প্রাণহীন রংহীন বিরান ভূমি! রাজকন্যা প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে ফিরে এল প্রাসাদে।
রাজপুত্র এসে গেছে। রাজপুত্র শুধু দেখতেই সুন্দর নয়-সে অনেক বুদ্ধিমান। বিয়ের তারিখ নিয়ে কথা উঠতেই রাজপুত্র বললেন, রাজকন্যার বাগানে যেদিন ফুল ফুটবে, ফল ধরবে, পাখিরা মনের সুখে গান ধরবে আর পুকুরে হাঁস ও মাছেরা খেলা করবে ঠিক সেদিনই হবে আমাদের বিয়ে।
রাজকন্যা এখন কী করবে? সে এক দেৌড়ে চলে গেল বাগানে। তার ভেতরে সত্য আর সুন্দরের সুর বেজে উ?ল। সে বাগানে গিয়ে বলল, হে বাগানের ফুল-ফল, পাখি; হে পুকুরের পানি, হাঁস ও মাছেরা শোনো, তোমাদের ছাড়া এই পৃথিবীটা সুন্দর হতে পারে না। আর আমার অহংকার এই পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর জিনিস। আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমি অনুতপ্ত। তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সে কাঁদতে কাঁদতে মাথা তুলে দেখে ফুলে-ফলে ভরে গেছে গাছ। পুকুর ভরা পানি। মাছ ও হাঁসেরা খেলা করছে। আনন্দে তার মুখ চিকচিক করে উঠল।
মহাসমারোহে বিয়ে হয়ে গেল রাজকন্যার। বেজায় আনন্দে আছে তারা।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষামুলক পোস্ট[/sb
ভাল লাগল
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শুভেচ্ছা নিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর হইছে
অহংকার পতনের মুল
অহংকার মানুষকে ডুবিয়ে দেয় শেষ তক নিরাশার জলে