নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদম্য মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব নেবে কে?

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫


গরিবের ঘরে সুন্দরী কন্যা আর মেধাবী সন্তানের অন্তহীন যন্ত্রণা। কন্যা যতটা রূপ পায় ততটা মর্যাদা পায় না আর মেধাবীর যতটা মেধা ততটার বিকাশ ঘটে না। সমাজে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা-মাতার মত মেধাদায়গ্রস্থ পিতা-মাতার সংখ্যাও কম নয়। দারিদ্র্যদেবীর রুদ্ররূপের সামনে এদের স্বপ্ন, রূপ-রস আর মেধা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বালিতে মিশে যায়। পরিণত হওয়ার আগেই এদের করুন পরিণতি ঘটে। এ সমাজ সংসারে আমাদের চোখের সামনে এরকম বহু করুন পরিনতির মর্মান্তিক দৃশ্য আমরা প্রতিনিয়ত উপভোগ করি। এতে আমাদের যতটা করুনা হয় ততটা কর্তব্যবোধ জাগে না।
দরিদ্র পিতা-মাতারা এ রূপের ও মেধার মূল্য-মর্যাদা না দিতে পেরে এদেরকে বড় ধরনের আপদ মনে করেন। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, এসব একান্তই বড় ঘরের সম্পদ। স্রষ্টা তাঁর খেয়ালের বশে এদের গরিবের ঘরে পাঠিয়ে সৃষ্টিরহস্য জাহির করেন আর গরিবেরা এই দুর্ভেদ্য রহস্যের বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পেরে বেঘোরে প্রায়শ্চিত্ত করেন।
বরাবরের মতো এবারও কৃতিত্বপূর্ণ ফললাভ করে আনন্দ করছে সবাই। সরকারও এটাকে অনেক বড় সাফল্য মনে করছে। বহু মেধাবী গরিব ছেলেমেয়ে না খেয়ে না পরে, কামলা খেটে মানবেতর জীবনযাপন করে পরীক্ষায় ভাল ফল অর্জন করেছে। পত্রিকার পাতা ভরে যাবে এসব অদম্য ছাত্রদের দুখের কাহিনিতে। তারপর সব থিতিয়ে যাবে।
কেউ কি ভেবেছে কত মেধাবী ছেলেমেয়ে সরকার তথা সবার সামনে মেধার বলিদান করবে নির্মম ভাবে! টাকার অভাবে তারা উচ্চশিক্ষার ধারেকাছেও যেতে পারবে না। অকালে ঝরে যাবে তাদের সোনালী ভবিষ্যৎ।
সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এ সব প্রকৃত মেধাবীদের মেধার লালন তথা তাদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। । ভাল ফল করার আনন্দজোয়ারের তলে পড়ে যেন তারা অতলে হারিয়ে না যায় তা দেখার দায়িত্ব সরকারের।
এ কাজে অর্থের চেয়ে উদ্যোগ আর আয়োজনের দরকার বেশি।
আশা করি এ বিষয়ে সরকার অগ্রাধীকার ভিত্তিতে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে গরিব মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার দুয়ার খুলে দিবে। তাদের এ নিশ্চয়তাটুকু দিন, `টাকার জন্য তোমাদের ভাবতে হবে না; এ ভাবনা আমাদের।'
আর এ কাজে শরীক হবে দেশের অগুনতি মানুষ।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গরীবের দরিদ্র মেয়ে জমিদারের চাকরাণী হতো, সেটা থেকে বের হতে মানুষ রিপাবলিকের সৃষ্টি করে, কলোনীর অবসান ঘটায়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ,পাকিস্তান, ভারত, নেপাল ও আফ্রিকায় এই সমস্যা রয়ে গেছে

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব মেট্রোরেল, মেল বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের দরকার ছিলো প্রতিটি বাচ্চাকে পড়ানো; পিগমীরা বেঠিক কাজ করছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: দুর্নীতি সন্ত্রাসের চেয়ে মেধা লালন বেশি জরুরী। এটা যদি বোঝাতে পারতাম!

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: রূপের সঙ্গে হিসেব করে মর্যাদা পেতে হবে, এটি মারাত্মক ভুল চিন্তা। একজন লেখককে এরকম চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বিষয়টার সামগ্রিক চিন্তা করলে বিভ্রান্তি হতো না। গরিবের ঘরে রূপসী মেয়ের দুর্দশার কথা এখানে বলা হয়েছে।
আমরা চাই রূপ তার সঠিক মর্যাদা পাক। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মেধার মূল্যায়ন আমাদের দেশে শেষ হয়ে গেছে। হাতে গোনা দুই একজন সেই সুযোগ পায় কিনা সন্দহ। বর্তমাণে কিছু পেতে হলে মেধার জোড় লাগে না, লাগে মামুর জোড়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ থাকা খুবই জরুরী।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক কথা। শুভেচ্ছা নিন।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমেরিকার মত স্টুডেন্ট লোণ সুবিধা দেয়া উচিত।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শিক্ষাঋণ দেওয়া খুব জরুরি।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন । মেধাবী হয়ে পড়া শেষে সৎ ভাবে চাকরী করাও কঠিন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০

ঘরহীন বলেছেন: দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা বিনামূল্যে করাটা খুবই প্রয়োজন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: দায়িত্ব নেবে সরকার। দায়িত্ব নেওয়া উচিত সরকারের। কিন্তু সবার আগে দায়িত্ব নিতে হবে বাবা মায়ের। কারন তারা জন্ম দিয়েছেন। যেহেতু জন্ম দিয়েছেন সেহেতু সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে হবেই।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মা বাবারা পারে না বলেই ত এত কথা!!

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:১৫

জাওয়াত আররাজ বলেছেন: ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, প্রায়ই ভাবি এদের দায়িত্ব কে নিবে? কে এদের মুক্তি দিবে দারিদ্রের হাত থেকে। এদের বেশিরভাগই ঝড়ে যায় ভার্সিটি এডমিশন এর সময়ই। কেউ কেউ তো ঝরে যায় কলেজেই। কিন্তু এ ভাবনার কোন কূল কিনারা নাই।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: একদিন এর কিনারা হবেই হবে।
ভাল থাকবেন।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সরকার ও ব্যক্তি উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এদের কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন: ধূর..... মেধাবী বা দেশ নিয়ে ভাবার জন্য ই কি আমারা টোকাই দিয়ে সংসদ চালাই ? শোনেন মিঞা... ভীন দেশী পরিকল্পিত বাজারে স্থানীয় রা দারোয়ানের চাকুরীতেই অভ্যস্ত।
আর "মেধা" যাকে বলছেন ? তাকে কখনোই দমিয়ে রাখা যায় না যাবে না.. "মেধার" স্থান সবসময় ই উপরে। মেধা নিজের বাজারে যায়গা না পেলে ও, ঠিক ই অন্য যায়গায় নিজের স্থান পাকাপুক্ত করে নিবে। কারণ মেধার স্থান সর্ব উচ্চে- সর্ব ঊর্ধ্বে

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মেধা যদি নিজেকে নিজের উপযুক্ত জায়গা করে না দিতে পারে তবে এটি হয় গলার কাটার মতো।
ধন্যবাদ নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.