নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূত ফিকশন-এক

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪


হাঁড়কিপটে নিঃসন্তান সেরালি অতঃপর এমন এক ফকিরবাবার সন্ধান পেল, যিনি মানুষের মনের ব্যর্থ আশা পূরণ করে দিতে পারেন। সেরালির খুব বিশ্বাস হলো। সে মনে বড় আশা নিয়ে ফকিরবাবার দরবারে গিয়ে হাজির হলো। সেখানে গিয়ে সেরালি অনেক নারী-পুরুষের সাক্ষাৎ পেল-যারা ফকিরবাবার জন্য নানান মূল্যবান উপঢৌকন হাতে নিয়ে বসে আছে। তারা শত চেষ্টা করেও স্রষ্টার কাছ থেকে যা আদায় করতে পারেনি, তারা তা শ্রদ্ধা-ভক্তি ও উপঢৌকনের বিনিময়ে ফকিরবাবার কাছ থেকে পাওয়ার আশায় দরবারে এসেছে। এসব দেখে সেরালির মনের জোর আরো বেড়ে গেল এবং এক ফাঁকে সে ছুটে গিয়ে ফকিরবাবার পায়ে উপুড় হয়ে পড়ল।
সেরালি চোখের জলে ফকিরবাবার কাছে তার কষ্টের কথা খুলে বলল। ফকিরবাবা চোখ বন্ধ করে তার সব কথা শুনলেন। সেরালি কান্নাভরা মুখে ফকির বাবার কাছে একটি সন্তান কামনা করল।
ফকিরবাবা সেরালির মাথায় হাত রেখে বললেন, এ বয়সে সন্তান দিলে তুই লালন-পালন করবি কেমনে, সেরালি? সন্তান দিলেই কি হবে, মানুষ করতে হবে না?
সেরালি শক্ত ভাবে বলল, এ চিন্তা আপনার করতে হবে না বাবা। মুরব্বিদের দোয়ায় ও আপনার আদর-আশীর্বাদে আমার কোনো কিছুরই অভাব নেই। দশ পোলা দশজীবন শুয়ে-বসে খেলেও আমার স¤পদ ফুরাবে না। আর আমি সন্তানের মঙ্গলের জন্য যেখানে যা লাগবে চোখ বুঝে তা-ই করতে পারব। সন্তান আবার মানুষ হয় না কেমনে!
যাহ্, তোর জন্য ব্যবস্থা একটা হবে। তুই নিশ্চিন্ত থাক। তো আমার জন্যে কী এনেছিস তুই, দে। হাত বাড়িয়ে বললেন ফকিরবাবা।
আমি কি এতই নাদান যে খালি হাতে আপনার দরবারে কদম ফেলব? এই বলে সেরালি তার ডান হাত কোঁচড়ে ঢুকিয়ে হাতিয়ে-মাতিয়ে একটা পুরোনো কাপড়ের পুঁটলি বের করে আনল। পুঁটলির কয়েকটা পোরৎ ভেদ করে দলানো মোচড়ানো মলিন একটা দুই টাকার নোট বের করে সযতেœ বাড়িয়ে দিয়ে বলল, এই, এই নেন বাবা, আপনার উপঢৌকন।
ফকিরবাবা সেরালির হাতে দুই টাকার মলিন নোটটা এক নজর দেখে রাগে কাঁপতে লাগলেন এবং হাত গুটিয়ে নিলেন। তিনি এই নাদান বক্ষিলের পিঠে এখন লাঠি ভাঙবেন, না তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। ফকিরবাবা দ্রুত চোখ বন্ধ করে উর্দ্ধমুখী হয়ে ’দয়াল বাবা দয়া করো’ বলে চুপ হয়ে গেলেন।

সেরালি ফকিরবাবার সামনে দুই টাকার নোটটা ধরে হাত বাড়িয়ে বসে রইল।
হঠাৎ নীরবতা ভেঙ্গে ফকিরবাবা চোখ বোঝা অবস্থায়ই সেরালির হাতটা সরিয়ে দিয়ে বললেন, তোর উপঢৌকন দেওয়ার দরকার নেই। এই মহামূল্যবান উপঢৌকন তোর ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য রেখে দেÑকাজে লাগবে। তবে বাপধন, সন্তান পেতে হলে তোকে আরও কিছু কষ্ট করতে হবে যে, পারবি নি তুই?
পারব না মানে! এক শ বার পারব। আমার শূণ্য গোয়ালের চেয়ে দুষ্ট গরু ভালো। আমাকে পারতেই হবে, বাবা।
যা ব্যাটা, তুই পরীক্ষায় পাশ।

সেরালি আনন্দে হাতের টাকাটা কোঁচর ভেদ করে গোপন পকেটে রেখে দিতে দিতে বলল, সন্তানের জন্য বেশুমার টাকা-পয়সা খরচ করা তো কোনো ব্যাপারই না আর কষ্ট করা তো অতি তুচ্ছ বিষয়। আমি সন্তানলাভের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি বাবা। আমাকে এখন কী করতে হবে, তাই আগে বলুন। সন্তান আমার চাই-ই চাই।
ফকিরবাবা চোখ বন্ধ করে একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বললেন, পাকপরোয়ারদেগার তোর মতো দিলদরিয়া মানুষকে কেন যে সন্তান না দিয়ে এত বড়ো কষ্ট আর বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে দিলেন তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। তাঁর রহস্য বোঝা ভার! তবে তোর মত বান্দাকে ঠকিয়ে তিনি স্থির থাকতে পারেন না। এর মধ্যে জগত-সংসারের মালিক তোর জন্য কোনো উত্তম পুরস্কার নিয়ে বসে আছেন কি না কে জানে! কার মাধ্যমে যে তোর হাতে এই মহামূল্যবান পুরস্কার পৌঁছে দিবেন সেইটাই হলো কথা!
সেরালি আবেগে অভিমানে মুখ বাড়িয়ে কি যেন বলতে চাইল কিন্তু ফকিরবাবা হাত ইশারায় তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, তোকে কিছু বলতে হবে নাÑভাবতেও হবে না। আর কেউ না বুঝুক, উপরওয়ালা কিন্তু ঠিকই তোর কষ্ট বুঝতে পারছেন। তুই কোনো চিন্তা করিস না। তোর ভাগ্যে সন্তান যে আছে আমি তা পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। এখন সন্তানটাকে ছহিসালামতে দুনিয়ার বুকে নিয়ে আসার সুবন্দোবস্ত করাটাই হলো আসল কাজ।
সেরালি ফকিরবাবার কথা শুনে মনে মনে খুব খুশি হলো। সে সন্তানের মুখে বাবা ডাকা, পিতার কাছে সন্তানের মান-অভিমান, খুনসুটি, দুষ্টুমি ছুটোছুটি এসব কল্পনা করে আনন্দে নেচে উঠল।


ভূতপাহাড়ের ভূত-দেবতা

ফকিরবাবা ঝোলা থেকে কি একটা বের করে সেরালির হাতে দিলেন এবং তার মাথায় হাত রেখে বললেন, বেটা, মনোযোগ দিয়ে শোন- ‘ভুষাং নদীর ওপাড়ে ভূতপাহাড়ের চূড়ায় একটা বিরাট বটগাছ আছে। সেখানে থাকেন এক মহান-দেবতা। তুই সেই পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে উঠবি। যাওয়ার সময় কারও সাথে কোনো কথা বলতে পারবি না, এমনকি পেছনে ফিরে তাকাতে পারবি না। আমি যা দিলাম পাহাড়ে উঠে গিয়ে তাতে তিনটা চুমা দিয়ে দুই চোখ ও কপাল ছোঁয়াবি। তারপর আদব-লেহাজের সাথে সেই মহান দেবতার কাছে সন্তান কামনা করবি। ভাগ্য ভালো হলে দেবতা সাড়া দিবেন নইলে ফেরৎ আসতে হবে তোকে।’
না, না, না। সেরালি হঠাৎ ফকিরবাবার পা ঝাপটে ধরে আবদার করে বলল, আমি সন্তান ছাড়া সেখান থেকে আর ফেরত আসব না বাবা, হয় আমাকে সন্তান দিবে নয়তো আমি পাহাড় থেকে ব্যঙের মত লাফিয়ে পড়ে জীবন শেষ করে দেব। কেউ আমার লাশ খুঁজে পাবে না। আপনি দয়া করে ওই দেবতাকে একটু বলে দিন বাবা। সন্তান আমাকে দিতেই হবে।
ঠিক আছে। তুই এখন আমার সামনে থেকে দূর হ।
সেরালি বিনয়, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা মিশ্রিত হাসি ফুটিয়ে ফকিরবাবাকে সেলাম-তোয়াজ করতে করতে বেরিয়ে গেল।
সেরালি উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলেছে। সে যাওয়ার পথে কারও কোনো কথার জবাব দেয়নি এবং পেছনেও ফিরে তাকায়নি। সে মাঠ, নদী, বন ও ভুষাং নদী পাড়ি দিয়ে বহু কষ্টে ভূতপাহাড়ে গিয়ে উঠল। সন্ধ্যা পেরিয়ে তখন মলিন জোছনা রাত। সেরালি ক্লান্ত শরীরে একটু জিরিয়ে নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে চারপাশটা এক নজর দেখে নিল। তার ভয় ভয় করছে। পাহাড়চূড়ায় ছোট-বড় গাছ ও লতাপাতার কুন্ডলী। সে দেখল পাহাড়ের ঠিক মাঝখানের সেই বটগাছটি; যার কথা তাকে ফকিরবাবা বলেছিলেন। পেয়েছি! পেয়েছি! বলে সে আনন্দে লাফিয়ে উঠল।
সেরালি খুশি মনে গিয়ে বসে পড়ল বিশাল বটগাছটার নিচে। সে সন্তান প্রার্থনার আগে মেলা প্রস্তুতি নিয়ে নিল। নড়ে চড়ে ভালো করে বসল, যাতে তার কন্ঠটা বিট্র্যা না করে সেজন্য সে গলা খাকরিয়ে পরিষ্কার করে নিল, চোখের জল আর মুখের মায়া এক হয়ে যাতে মায়ালাগা ভাবের সৃষ্টি হয় সে জন্য সে কান্নার আগেই মুখটা কান্নার মত করে নিল। তারপর দু‘হাত উপরে তুলে মুখের কান্না, চোখের জল আর মনের আকুতি ঢেলে সে দেবতার কাছে সন্তান প্রার্থনা করতে লাগল। নীরব নিস্তব্দ পরিবেশে সেরালির করুণ প্রার্থনা শুনে পাহাড়চূড়ার গাছপালারাও যেন চোখের জল আটকে রাখতে পারছে না।
ওগো দেবতা, মহান দেবতা! প্রভু আমাকে অনেক ধন-স¤পদ দিয়েছেন কিন্তু সন্তান দেন নি। তিনি যার সম্পদ নেই তাকে ঘরভর্তি সন্তান দিয়ে রেখেছেন। আর যার ঘরে-বাইরে অজস্র স¤পদ তাকে কোনো সন্তানই দিলেন না। এ কেমন আচরণ, বলুন! সন্তান ছাড়া আমরা কার মাঝে কীভাবে কতদিন বেঁচে থাকতে পারি! যার সন্তান নেই, এ সমাজ-সংসারে তার না আছে মূল্য, না আছে মর্যাদা! আমার স¤পদ রক্ষা করার জন্য আমাদের ঘরে কি একটি সন্তানেরও প্রয়োজন নেই? খোদার ঘরে কি এতই অভাব পড়েছে সন্তানের? তিনি একটা সন্তান দিলেন না আমাকে? আর এ জন্য আমার ও আমার বউয়ের দুঃখের সীমা নেই। আমরা বৃদ্ধ হয়ে গেলে কে আমাদের দেখাশোনা করবে, কে রক্ষা করবে আমার এত কষ্টে অর্জন করা ধন-স¤পদ? দুষ্টলোকেরা আমার স¤পদগুলো চেটেচুটে খেয়ে শেষ করে ফেলবে। তুমি আমাদের ঘরে অন্তত একটা সন্তান দাও, সেটা ছেলে হোক, মেয়ে হোক, বোবা-কালা, লুলা-লেংড়া, ভালো-মন্দ, আগল-পাগল, ভূত-পেতনি যা-ই হোক, একটা দাও। আমরা সন্তানের মুখে বাবা-মা ডাক শুনে ধন্য হই!

‘কীশের জন্য তোর এতো আহাজারি আর এতো কান্না? তুই কী চাস? আমাকে প্রাণ খুলে বল তো সেরালি।’ গম্ভীর স্বরে ভেসে এল কথাগুলি!
সেরালি লাফিয়ে উঠল! সে কতক্ষণ অবুঝের মতো উপরের দিকে তাকিয়ে রইল। সেরালি হাপুস-হুপুস ঢোক গিলে, চোখ মুছে, মুখটা বাড়িয়ে কাঁপা স্বরে বলল, কে! কে আপনি! আপনি কি দেবতা? আমার প্রার্থনা শুনছেন? বলুন, আপনি কি সেই ভূতদেবতা? বলুন, বলুন।
দেবতা ছাড়া পাহাড়চূড়ায় এত রাতে তোর প্রার্থনা শোনার মত আর কেউ আছে রে সেরালি?
সেরালি খুশিতে মনে মনে বলে, এ যদি দেবতাই না হবে তবে আমার নাম যে সেরালি তা জানল কী করে? যাক, পেয়ে গেছি আমার দয়ালু দেবতাকে। দেবতা আমার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। ফকিরবাবাকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে সঠিক জায়গায় দয়ালু দেবতার কাছে পাঠানোর জন্যে।

গাছে বসে আছে এক দুষ্টভূত। সে সেরালির মুখে তার বিপুল অর্থ-স¤পদের কথা শুনে আর সন্তান লাভের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারের কথা জেনে চট করে একটা দুষ্টবুদ্ধি এঁটে ফেলল। দুষ্টভূত বুঝতে পেরেছে, লাভ দেখলে কৃপণের আঙ্গুলও ফাঁক হয়। সে দেবতারূপে নিজেকে প্রকাশ করল।
ভূত-দেবতা সেরালিকে আস্বস্ত করে বলল- সেরালি, তোর প্রার্থনা এতই করুন, এতই কষ্টের আর এতই হৃদয়বিদারক যে তা শুনে কারোর স্থির থাকার হিম্মত নেই। আমিও পারলাম না তোর ডাকে সাড়া না দিয়ে চুপ করে বসে থাকতে। তুই যখন আমার কাছে এসেই পড়েছিস তো আর কোনো চিন্তা করিসনে। দেখি, তোর জন্য কী করা যায়।
সেরালি আনন্দে গদগদ হয়ে বলে, দেবতা, আপনার অসাধ্য কিছুই নেই। আপনি যখন আমার প্রতি সহায় হয়েছেন, তখন আমি আপনার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। আমি আপনার সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। সেরালি আনন্দে কাঁপতে কাঁপতে আরও বলল, আপনি আরেকটু সহায় হয়ে যদি আমাকে একটু দেখা দিতেন, চোখ-মন দুইই সার্থক হতো!
বিশ্বাসের জোর কম বলেই তুই দেবতাকে দেখতে চাস। কোনো খাঁটি বান্দা-বান্দি দেবতাকে সরাসরি দেখার আগ্রহ করে না; সবাই আরাধনা করে তাঁর করুনা পেতে চায়। ভারী গলায় বললেন দেবতা।
সেরালি লজ্জায় পড়ে গেল। সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলল, না, না, না অবিশ্বাসের কারণে নয় বাবা, আপনার ওপর আমার ষোলোআনার ওপর আঠারো আনা বিশ্বাস আছে। আসলে আমি ভুলেই গেছি যে, দেবতাকে দেখা যায় না। দেবতা তো দেখার জিনিস না- উপাসনা করে সন্তুষ্ট করার জিনিস। আমি খুবই দুঃখিত ও লজ্জিত। হে মহান দেবতা! দয়া করে আমার এ অনিচ্ছাকৃত ভুল আর বেয়াদবি মার্জনা করে দিবেন। চলবে...

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোনটা দেবতা, কোনটা ভুত?

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: প্রথম পর্বে এর জবাব না পেলেও পরেরগুলোতে পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সেরালি হতে মন চায়।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: কেন যে হতে চান বললে ভাল হতো।
ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেখি দেবতা ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে কিনা । চলুক

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: চলছে তো চলবে।
শুভেচ্ছা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.