নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরির গল্প

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৮


অদ্ভুত কাণ্ডটা ঘটল যখন আমরা কাশফুল তুলছিলাম, তখন। কাশবনের গভীর থেকে কে যেন বলছে, “শোনো শোনো, কাশফুল তোলার আগে আমার একটি কথা শোনো, একটু থামো বন্ধুরা।”
আমরা থমকে দাঁড়ালাম। আমাদের ভয় ভয় লাগছিল। কারণ শহর থেকে একটু দূরে নদীর পাড়ে এই কাশবন। বিশাল কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। কাশের বনে উড়ে বেড়াচ্ছে চড়–ই ফিঙ্গে আর মুনিয়া পাখি। আমি রবিন আর টুনি কাশবনের ঢেউয়ের মাঝে ’থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
রবিন আমার দিকে তাকিয়ে শুকনো মুখে বলল, “আয় চলে যাই। কেমন জানি ভয় করছে আমার!”
“আমারও ভয় করছে। চল, তাড়াতাড়ি কতগুলো ফুল নিয়ে আমরা দৌড়ে বাসায় চলে যাই।” টুনি বলল।
আমি বললাম,“ভয়ের কী আছে? মনে হয় একটি মেয়ে মানুষে কথা বলেছে। তাকে ভয় পাব কেন?”
এক বিস্ময়কর ব্যাপার! কেউ চোখ ফেরাতে পারছি না। আমরা কাশবনে আছি না স্বপ্নের জগতে আছি, বুঝতে পারছি না।
ফুটফুটে একটি মেয়ে। কাশফুলের উপর দিয়ে উড়ে উড়ে আসছে। তার কাশফুলের দুটি ডানা। পোশাকও কাশফুলের। মাথায় কাশফুলের মুকুট। আমরা তাকে দেখে ভয় পাওয়ার কথা একেবারে ভুলে গিয়েছি।
মেয়েটি আমাদের সামনে এসে দপ্ করে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, “আমি কাশপরি, চিনেছ আমাকে?”
“তুমি কাশপরি?! আমরা জীবনেও কাশপরি দেখিনি।” বলল টুনি।
পরিটি এতই সুন্দরী আর হাসিখুশি যে, আমরা ফুল তোলার কথা ভুলে গিয়ে পরির দিকে তাকিয়ে আছি।
“আচ্ছা, কাশপরি, তুমি এখানে কী কর?” জানতে চাইল রবিন।
“বারে, আমি তো কাশপরি। কাশবনে থাকি। শরৎকাল এলেই আমরা চলে আসি কাশবনে। আর কাশবনই আমাদের ঘরবাড়ি।” “বাংলাদেশের শরৎকাল ফুরিয়ে গেলে অন্য কোন দেশে শরৎকাল শুরু হয়। আমরা তখন সেই দেশে চলে যাই।”
এ কথা শুনে টুনি পরির হাত শক্ত করে ধরে বলল, তুমি থেকে যাও আমাদের সাথে। আমরা তোমার গল্প শুনব। যাব। অনেক মজা হবে।”
“সত্যিই তোমরা আমার ভাল বন্ধু। কিন্তু আমরা কাশবন ছাড়া থাকতে পারি না। তোমাদের কথা আমার মনে থাকবে। শরৎকাল এলেই তোমরা চলে আসবে এই বনে। এসেই ‘ছিছিলা’ বলে ডাক দিবে। আমি যেখানেই থাকি উড়ে চলে আসব তোমাদের কাছে।”
আমরা পরের বছর সেই কাশবন দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে আর কাশবন নেই। গড়ে উঠেছে নতুন শহর। পরিটা বলেছিল, “আমরা কাশবন ছাড়া বাঁচতে পারি না।” তবুও আমরা কয়েক বার “ছিছিলা” বলে ডাক দিলাম। কোনো সাড়া পেলাম না।
সেই পরিটা এখন কোথায় কেমন আছে আমার জানতে ইচ্ছে করে খুব।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

শায়মা বলেছেন: মনে হয় অন্য কোনো কাঁশবনে গেছে। যেমন করে মানুষ শহর থেকে গ্রামে যায় বা গ্রাম থেকে শহরে আসে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: মনে হয় আপনার কথাটিই ঠিক!
শুভ কামনা।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আগামী মাসেই কাশ ফুলের সময়।

আসলেই তো সেই পরীটা কই? কোথায়? সেই পরীটা আমার কাছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আপনার কাছে!
কাশবনের পরিটা কাশফুলের কাছে সমর্পণ করুন।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: পরির বিয়ে হয়ে গেল নাকি?
হয়ত বাঁশ বনে শ্বশুড় বাড়ী বানালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.