নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্টির ভূত দেখা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫


এক দফা এক দাবি-ভূত দেখাতে কবে যাবি। এমনই একটি ভয়ংকর শ্লোগান নিয়ে ঘুরছে মন্টি।
ওকে ভয় দেখিয়ে কোনো কাজ হলো না। বরং তার ভূত দেখার আগ্রহটা আরো বেড়ে গেল। মন্টির সাহস দেখে সবাই অবাক! সাত বছরের ছেলে!
অন্ধকার রাত। মন্টির বাবা মন্টিকে বলল, রেডি হও, এক্ষুনি ভূত দেখতে যাব। মন্টি আনন্দে লাফিয়ে উঠল।
বাবার হাত ধরে চলেছে মন্টি।
চিনাদী বিলের পাড়ে শ্মশানঘাট। এ ঘাটের পোড় খাওয়া দেবদারু গাছটা মন্টির কাছে বিশাল দৈত্যের মত মনে হলো। অন্ধকারে দুটি প্রাণী শ্মশানঘাটের পাশে একটা উঁচু ডিবিতে চুপ করে বসে আছে।
মন্টি হঠাৎ ফিসফিস করে বলল, বাবা দেখ, দেখ, ঐ যে একটা ভূত, কেমন দৌড়াদৌড়ি করছে। আমাকে দেখে ফেলল না তো আবার! তার বাবা তাকিয়ে দেখলেন, সামনে একটা ক্ষুধার্ত শিয়াল খাবারের সন্ধানে ছোটাছুটি করছে।
বাবা বলল, কই, আমি তো কোনো ভূত দেখছি না! মন্টি বলল, আরে তুমি ভাল করে দেখ তো। ওই যে দেখ কেমন কুচকুচে কালো ভূত। ইয়া বড় দাঁত, তিনটা চোখ, একটা চোখ ট্যারা। ঐ দেখো মাথাটা কত বড় আর মাথার তিন পাশে তিনটা শিং, বিশাল একটা পেট! তার বাবা ছেলের কথায় প্রথমে অবাক হলো। পরে মুচকি হেসে বলল, অ, তাই তো! এখন কি তাহলে ভূতের সাথে কথা-টথা বলবে তুমি? মন্টি ফিসফিস করে বলল, ”না বাবা, অন্যদিন এসে কথা বলব। এখন চলো সোজা বাড়ি চলে যাই। ভূত আমি দেখে ফেলেছি।
দুজন দর্শক। একজন দেখল শিয়াল আরেকজন দেখল তূত!
মন্টির ভূত দেখার ঘটনাটি পাড়াময় জানাজানি হয়ে গেল। ভূত দেখার কাহিনি শোনার জন্য উপুড় হয়ে পড়ল পাড়ার শিশুরা। মন্টি একনাগাড়ে ভূতের চেহারা চরিত্রের ভয়ংকর সব বর্ণনা দিয়ে যেতে লাগল। সবাই অবাক হয়ে শুনছে আর শুকনো মুখে ঢোক গিলছে। নিজ চোখে ভূত দেখার বর্ণনা! মন্টির ভূতের বর্ণনা-বিত্তান্ত এমন করে বলল যে সবাই বিশ্বাস করল তার কথা। ওর ভূত দেখার কাহিনিটা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে ।
একটা বিশাল ভক্ত-শ্রোতা টিম গড়ে উঠেছে তার।
মন্টির মুখে এসব বর্ণনা শুনে মন্টির বাবা মনে মনে বলছে, এভাবেই বুঝি যুগে যুগে মানব মনের কল্পনার রাজ্যে দাপটে বসবাস করে ভূতেরা!

ছেলের মুখে স্বচক্ষে দেখা ভূতের আজগুবি কাহিনি শুনে তার বাবা মন্টির মাকে বলল, তোমার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোন চিন্তা করি না আমি। এ গপ্পবাজ ছেলে ঠেকবে না কোথাও।
মন্টির মা গাল ফুলিয়ে বলল, ‘গপ্পবাজ হতে যাবে কোন দুঃখে, ছেলে আমার বড় লেখক হবে।
মায়ের মুখে ছেলের এমন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা শুনে মন্টির বাবার মুখটা আনন্দে চিকচিক করে উঠল।

ছবি নেট থেকে সংগৃহীত

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: মন্টি রায় নামক এক শাড়িওয়ালী সুন্দরী ছেলেকে আমি চিনি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত। ওকে চিনেছেন তো ভাল কাজ করেছেন। এখন দেখবেন তার খেল!!

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

তার সত্য দেখাটাকেও গপ্প বানিয়ে দিলেন ;)
একই সাথে থাকলেও যে সবাই সব দেখবে তাতো নয় :P

ভূতের গল্পে ভাল লাগা।
ইশরে লেখকদেরতো এক্কবারে জাত মেরে দিলেন ;) হা হা হা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখকের আবার জাত!!

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২

যায়েদ আল হাসান বলেছেন: গপ্পোবাজ= লেখক
অবাস্তব কাহিনী বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরাটাও সহজ কম্ম নয়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
ঠিক বলেছেন আপনি। ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়ে আনন্দ পেলাম

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আহ আমি যদি এরকম বানিয়ে বানিয়ে লিখতে পাড়তাম!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.