![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুই কুঁড়ে ঘরের মাঝখানে একটি ডেমরা গাছ। সেই গাছে বাসা তৈরি করছে টোনা আর টুনি। সেখানে একটা বিড়ালছানা এলো। টোনাটুনি ফুুড়ুত করে উপরের ডালে গিয়ে বসল।
বিড়ালছানা হেসে বলে, আরে, আমাকে দেখে ভয় পাও নাকি? আমি এই বাড়িতেই থাকি। আমি এ বাড়ির শিশুদের সাথে খাই, ঘুমাই, খেলা করি আর তাদের অনেক উপকার করি।
টুনি বলে, তুমি আবার উপকার করতে পার নাকি!
বিড়ালছানা বলল, উপকার না করলে কি আর বাড়ির সবাই আমাকে এত আদর করে। তোমরা আমাকে বন্ধু ভাবতে পার। আমি থাকতে তোমাদের কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আমি তোমাদের উপকার করতে চাই। এ কথা বলে বিড়ালছানা চলে গেল।
টোনা আর টুনি বাসা তৈরি করল।
টোনা বলে, ভালই হলো। আমরা ভাল বন্ধু পেয়ে গেলাম। টুনি বলল, বিড়াল বড় বজ্জাত প্রাণি। তাকে বিশ্বাস করা মোটেও ঠিক হবে না।
এত খারাপ হলে কি আর তাকে বাড়ির লোকেরা আদর করে? বলল টোনা।
কদিন পরে বিড়ালছানাটি এলো। টোনা বলল, আমাদের দুটি ফুটফুটে ছানা হয়েছে। আমরা অনেক খুশি।
বিড়ালছানা বলে, তাই নাকি! আমিও খুশি। আমি ছানা দুটির জন্মদিনের অনুষ্ঠান করব। সবাইকে দাওয়াত করব।
টুনি বলে, না, না, তুমি কাউকে বলো না। বললে খুব বিপদ হবে আমাদের।
বিড়ালছানা বলল, আমি থাকতে তোমাদের কোন বিপদ হবে না। আমি ওদের দেখেশুনে রাখব। দাও দেখি ছানা দুটি আমার হাতে, ওরা কেমন চটপটে হলো, একটু দেখি।
টুনি বলল, না না, ছানারা এখনও খুব ছোট। আরো বড় হলে দেব, এখন না।
টোনা বলল, আহা দাও না। হাতে নিয়ে দেখুক আমাদের ছানারা কত সুন্দর হয়েছে।
টোনা জোর করে ছানা দুটি নিয়ে বিড়ালছানার হাতে দিল।
বিড়ালছানার হাতে হঠাৎ চিঁ চিঁ কান্না শুরু করে দিল ছানা দুটি ।
আরে! একি, ছানারা কাঁদছে কেন? দেখে, বেড়ালছানা ছানাগুলো নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
টোনাটুনি পাগলের মতো উড়ে এসে ধরল বিড়ালছানাকে। বলল ভালয় ভালয় ছানা দুটি আমাদের হাতে দিয়ে দাও।
বিড়ালছানা টোনা আর টুনির ভাব দেখে ভয় পেয়ে গেল। সে ছানা দুটো রেখে ভেংচি মেরে চলে গেল।
টুনি বলল, বেড়ালছানাকে বিশ্বাস করা আমাদের ঠিক হয়নি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আমার শুভেচ্ছা নিন।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: গল্প দারুণ হয়েছে
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভয়ে ভয়ে ছিলাম!!
আমার জানা গল্পটা
অন্যরকম ছিলো!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: হাঃ হাঃ পড়ার পর ভয় কেটে গেল!
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩
প্রেক্ষা বলেছেন: আমিতো ভেবেছিলাম ছানা নিয়ে পালিয়ে যাবে।
বিড়াল আসলেই বড় বজ্জাত,আমার একটা আছে। সারাদিন এত আদর করি।সকালে মাছ দেই,দুপুরে ক্যাটফুড কিন্তু বজ্জাতটা সবসময় বারান্দায় গিয়ে চড়ুই পাখি ধরার জন্য ওৎ পেতে থাকে।তাই তার বারান্দায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বিড়ালের ছানা তো দুষ্টুমি করেই আদর নেয় বেশি।
আমার প্রীতি রইল।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিড়াল ছানা তো ছানা, উহাকে অপরাধী হিসেবে দেখালে কেমনে হবে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বিড়ালছানা যা করেছে এটা ওর স্বাভাবিক কর্ম। তাই গল্পে ছানাকে সরাসরি অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়নি। শুধু ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে টোনাটুনির বোকামোকেই দায়ী করা হয়েছে। এবং এটা তারা বুঝতেও পেরেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ডেমরা গাছ কি রকম?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সুযোগ পেলে গাছের ছবি তুলে আপনাকে দেখাব।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
যাক শেষ পর্যন্ত ছানা পোনা দুটোকে নিয়ে যেতে পারেনি
দুষ্টু বিড়াল । শিশুতোষ গল্প চমৎকার হয়েছে।