![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণিত স্যারের মার খেয়েছে যারা
মানুষ হয়ে দেশ সেবিছে তারা
এ বিশ্বাসে চলছে মারের ধারা
চলছে সাথে মানুষ হবার তাড়া।
একটি ছেলে পড়া লেখায় কাঁচা
বলছে মাকে আমায় তোরা বাঁচা
চোখ কান রাখছি বইয়ের পাতায়
কোন কিছু ঢুকছে না যে মাথায়।
বাবা-মায়ের চিন্তা হল শুরু
পাবে কোথায় এমন কোন গুরু;
অঘুম চোখে ভাবছে সারা রাত
দুঃখে-শোকে করছে বারিপাত।
হঠাৎ তারা পেল গুরুর খবর
ছেলে এবার মানুষ হবে জবর
যেতে হবে গণিত স্যারের বাড়ি
মানুষ হবে খেলে বেদম বাড়ি।
ছেলে নিয়ে যাত্রা হলো শুরু
ভয়ে ছেলের বুকটা দুরু দুরু
টেনে হ্যাঁচড়ে নিতেই স্যারের ধার
শুরু হলো গণিত স্যারের মার।
মারের ঠ্যালায় দিশেহারা ছেলে
লাফিয়ে উঠে গায়ের কাপড় ফেলে
নড়িসনা বাপ, চুপটি করে থাক
সারের মারে দেখছিনা তো ফাঁক।
হঠাৎ ছেলে উঠলো ভীষণ ক্ষেপে
বেহুঁশ হয়ে স্যারকে ধরে চেপে
লাঠি হাতে উচিয়ে ছেলে কয়
দেখবি এখন মানুষ কারে কয়!
ওল্টে পুল্টে লম্ফ মেরে পালায়
বলছে একি! পড়ছি ভীষণ জ্বালায়
গায়ের যত শক্তি ঢেলে পায়ে
ছুটলো স্যার জীবন বাঁচার দায়ে।
জুতো জামা ছিল যা তার গায়
শরীর থেকে খসে পড়ে যায় !
স্যারের পেছন বিদ্রোহী সে ছেলে
উর্দ্ধশ্বাসে ছুটছে লাঠি মেলে।
বাড়ি নিয়ে যেই দিয়েছে ছেড়ে
মুগুড় হাতে এলো ভীষণ তেড়ে
ছোরা নিয়ে করতে আসে জবাই
পায়ের জোরে পালিয়ে বাঁচে সবাই।
কিন্তু যাদের পা ছিল না মোটে
ঘরের জিনিষ কেমন করে ছোটে,
মুগুড় হাতে ভাংলো হাঁড়ি পাতিল
এই ছেলেটার জীবনটাই বাতিল!!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শিক্ষকের প্রতি আপনার অসীম শ্রদ্ধাবোধকে সম্মান জানাই।
ভাল থাকবেন।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বিশাল বড় ছড়া কবি দা
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: জি মশাই।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যাদের পা ছিলোনা তারাই মারা পড়লো, ছন্দে জব্বর ভাবে চমৎকৃত আমি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
আমার প্রীতি নিন।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
রিমন রনবীর বলেছেন: আমাদের কালচারটা সেই শুরু থেকেই ভায়োলেন্ট। পিটিয়ে মানুষ করার যে মেন্টালিটি এটা থেকে বের হতে না পারলে জাতি অসভ্যই থেকে যাবে।
যত ভালো ইন্টেনশনই থাকুক না কেন, বাচ্চাদের উপর এই ভায়োলেন্স অবচেতন মনে যে খারাপ প্রভাব ফেলে সেটাকে ছোট করে দেখার কারন নেই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
এই কালচারেই বড় হয়েছি। যিনি যত পেটাতে পারেন তিনি ততই...।
এখন তা পাল্টেছে। তবুও কোনো কোনো শিক্ষালয়ে পিটুনির দুর্দান্ত খবর পাওয়া যায়।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আমি কিন্তু এই মারকে সমর্থন করছি না। অন্যভাবে বুঝবেন না প্লিজ। কবিতায় গণিত স্যারের মার পড়েই চট করে কমেন্ট করে ফেলেছি, পড়ে পুরোটা পড়ে দেখলাম। প
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: না, এটা অন্যভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। আমি এই ছড়ায় আমাদের সময়ের কথাই বলেছি। আমাদের সময়ে পিটুনিটা ছিল অতি স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বেত কখনোই শিক্ষার উপকরণ হতে পারে না । ইহা একটি অতীত কালের ধারণা। এই যুগে অচল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
আপনি ঠিক বলেছেন। এটা অনেক অনেক দিন আগের কথা!
ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের খোল নলচে সব পাল্টাতে হবে।সব কিছুই আধুনিক করতে হবে।শিক্ষাদানের পদ্ধতির সাথে সাথে বইও আধুনিক করতে হবে।
গণিতের শিক্ষকরা সাধারণত ডাস্টার দিয়েই মারতো।তাদের এক হাতে থাকে ডাস্টার আর অন্য হাতে থাকে চক।বেত যদিও টেবিলে থাকতো কিন্তু বেত আনার সময় কোথায়।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত। ঠিকই বলেছেন। গণিত স্যারেরাই মারতেন বেশি করে কারণ তাঁদের রসকস ছিল কম আর রাগ ছিল বেশি।
ধন্যবাদ।
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: গণিত স্যার এর মারের কথা সত্যি ভুলা যায় না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: স্বাগত।
আসলে আমাদের সময়ের এই অভিজ্ঞতা আছে অনেকেরই।
ভাল থাকবেন।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: মজা মজা।
১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছবিটা দেখেও ভয় লাগলো
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
হ্যাঁ, আগে এমনটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এখন মার নয়, আদর দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করে তুলতে হবে শিশুদের, সন্তানদের।
ছড়া উপভোগ্য হয়েছে।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০
তারেক ফাহিম বলেছেন: আজকের ছড়াটি বড় হয়েছে অন্যদিনের তুলনায়।
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের যুগের জন্য, আজ থেকে ৪০/৪৫ বছর আগেকার (আপনিও বোধহয় সেই যুগের, বা আরো আগের) জন্য এটা একটা আদর্শ ছড়া। স্যারের হাতে ছাত্রকে তুলে দিয়ে অভিভাবক বলতেন, 'হাড় আমার, মাংস আপনার'। অর্থাৎ, পিটিয়ে মাংস বের করে দেবেন, আমার কাছে হাড় থাকলেই হলো, কিন্তু সেই হাড়ই যেন সোনা হয়। শিক্ষক যেখানে মারবেন, সে জায়গাটা 'সার' হয়ে যাবে।
উপরের কমেন্ট থেকেই বুঝছেন, দিন পালটে গেছে। ক্লাসে ছাত্র পেটানো এখন অবৈধ। কোনো শিক্ষক এ কাজটি করে ফেললে বেশি ভয়ে থাকেন প্রিন্সিপাল/হেডমাস্টার, কারণ, এরজন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তাকেই জবাবদিহি করতে হবে।
পিটুনির কালচার বোধহয় আমাদের এই সাব কন্টিনেন্টেই আছে। অন্যান্য দেশের কথা আমার জানা নেই। কিন্তু, অফ লেট, এ অঞ্চল বুঝতে সমর্থ হয়েছে, মানুষ করার জন্য পিটুনি কোনো কার্যকর পন্থা না। ছাত্রদের মনে বিরাট এক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, যা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেন না। স্কুল ও শিক্ষক উভয়ের প্রতিই ভয় ও ঘৃণা জন্মায় এবং তার শিক্ষাটা ভালোভাবে লাভ করা হয় না।
আজকের শিশুদের জন্য আপনার এ ছড়াটি কোনো বইতে স্থান দিলে সেটা কতখানি উপযুক্ত হবে, তা ভেবে দেখার বিষয়।
চোখ কান রাখছি বইয়ের পাতায় - মাঝখানে একটা মাত্রা কম পড়ে গেছে। হতে পারে - চোখ কান তো রাখছি বইয়ের পাতায়
শুভেচ্ছা রইল বিএম বরকতউল্লাহ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: আমার প্রাইমারি স্কুলের গনিত স্যার ডাস্টার দিয়ে যেভাবে মারতেন, সে মার খেয়ে সব্বাই সোজা হয়েছে। স্যারের কথা মনে পড়লো। সব গনিত স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।