নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবনীলয়

অবনিলয়

বাহালুল

অবনীলয়

বাহালুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“স্মৃতি রোমন্থন”_অনলাইন ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৯

লোকাল বাসে চড়ে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম! একটু যাওয়ার পর চোখ থমকে গেলো

কুড়িল এর ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম বুথ এর দিকে! ৩ হতে ৪ মিনিট বাসটি সেখানে দাঁড়ানো ছিল, যাত্রী উঠা-নামায়। ঠিক সেই ৩-৪মিনিট সময় আমি এই বুথ’টার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। তাকিয়ে থাকার কারণও ছিল। এই সেই বুথ, যে বুথ দিয়ে শুরু হয়েছিল আমার অনলাইন ব্যাংকিং এর যাত্রা। ঢাকায় আসার সে প্রথম সময়কার কথা_ ২০০৬ সালের জুন’এ আমি ঢাকায় এসেছিলাম, জিবিকার দায়ে, বাবা-মা সবাইকে ছেড়ে, চাকরি করার জন্য। যে চাকরিটা আমার আমি বাড়িতে থাকতেই ঠিক হয়েছিলো আমার জীবনে মানুষরূপী এক সাক্ষাৎ ফেরেশতার আন্তরিকতা, মায়া ও ভালবাসায়।



“আজিজুল হক বরকত”_ আমার জীবনে সাক্ষাৎ সে ফেরেশতার নাম।



যার দেয়া কথায় ও ভরসায় আমি পাড়ি জমিয়েছিলাম এ ঢাকায়, যেখানে জীবনে কোনদিন আসতে হবে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি, কিন্তু তাকদির খেলারামের চরকার জোর আমায় নিয়েই আসলো গোলাকার পৃথিবীর এই চাকচিক্য রাজধানির বুকে। শুরু করলাম আমার চাকরি জীবন, সোনালি আলোর দিন। প্রতিটা ক্ষণ, মুহূর্ত ছিল শুভক্ষণ, শুভতিথির মতো। শিক্ষানবিস হিসেবে শুরুর সেই সময়টায় বস (আজিজুল হক বরকত) এর একান্ত আন্তরিক সহযোগিতায় প্রতিটা দিনকে আমি অর্জন করতে থাকলাম, একেকটি দিন, আমার কাছে দিনশেষে পাহাড় জমা সম্পদের মতো জমা হতে থাকলো। উত্তরোত্তর আমার উন্নতিতে বস দারুন বিমোহিত ছিলেন। আমার প্রতিটা মুহূর্ত, সেকেন্ড তিনি নিজের মতো করে পরখ ও নজর দিতেন। দূরে থাকলেও সুতীক্ষ্ণ নজর আমাকে দূরে যেতে দিতো না। আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতেন সে দূরে বসে, ফিডব্যাক দিতেন ওভারকাম কিভাবে করা যায়, ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় বস একদিন বললেন শুধু ঢাকায় থাকবেন, চাকরি করবেন, বেতন নিবেন, এই চক্রে থাকলে কি হবে? বললাম কি করা উচিৎ বস?



একটা অ্যাকাউন্ট করেন ব্র্যাক ব্যাংকে। অনলাইন ডেভিড অ্যাকাউন্ট। বস এর কথামতো আমি তাই করলাম, গুলশান-০১ থেকে, আমি রওনা করলাম আমার বাসা(মেস) থেকে, বস রওনা করলেন তার বাসা থেকে। বস তখন থাকতেন বাড্ডার মেরুলে। বস সামনে থেকে আমাকে আমার অ্যাকাউন্ট রেডি করে দিলেন ও ডেভিড কার্ডটি অ্যাক্টিভ হবার পর বস আমাকে সাথে নিয়ে এই সেই কুড়িল এর বুথে এসে আমাকে শিখিয়ে দিলেন কিভাবে অনলাইন ডেভিড অ্যাকাউন্ট এক্সেস করতে হয়...



বুথটার দিকে তাকিয়ে বার বার মনে পড়ছিল সেইদিন, বস গায়ে সাদা রঙের টিশার্ট, জিন্স, মাথার চূলগুলো ছিল বস এর অনেকটা লম্বা, বড়চুল রাখা উনার অন্যরকম একটা শখ। অ্যাকাউন্টটি করার সময় বস নিজের পকেট থেকে ১০০০০ টাকা দিয়ে করিয়ে দিয়েছিলেন। পরে এই অনলাইন অ্যাকাউন্ট এক্সেস পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়ার সময় বস ৫০০০ টাকা তুলে ফেরত নিয়ে গিয়েছিলেন, বাকি ৫০০০ টাকা এই অ্যাকাউন্ট কে উপহার দিয়েছিলেন।



বস আপনার প্রতি সারা জীবনের শ্রদ্ধা থাকবে, উপরওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া আমি ভুলে গেছি কিন্তু আপনার ভাল থাকা, আপনার সুখে থাকা, আপনার নিশ্চিত সুখ চাইতে ভুলে যাইনি। আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুখে থাকুন আমৃত্যু।



বাহালুল

রাত ১.৩০ মিঃ,

০১ এপ্রিল, ২০১৩।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.