![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
দৈনন্দিন জীবনের অমূল্য ৪০ দোয়া এআই ব্যবহার করে তৈরিকৃত।
নিচে একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য ৪০টি দোয়া তুলে ধরা হলো, যা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর পবিত্র শিক্ষার আলোকে বিভিন্ন কাজ ও পরিস্থিতিতে পাঠের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রতিটি দোয়া উচ্চারণ, অর্থ এবং নির্ভরযোগ্য হাদিসের রেফারেন্সসহ সুসজ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে মুমিন জীবনের প্রতি পদে আল্লাহর নৈকট্য ও কল্যাণ লাভ করতে পারেন।
১. ঘুমানোর দোয়া
اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনার নামে আমি শয়ন করছি এবং আপনারই অনুগ্রহে পুনরায় জাগ্রত হবো। (বুখারি: ৬৩২৪)
২. ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দোয়া
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজী আহয়া-না বা’দা মা আমা-তানা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’ (বুখারি: ৬৩২৪)
৩. টয়লেটে প্রবেশের দোয়া
اللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবায়িছ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি: ৬৩২২)
৪. টয়লেট থেকে বের হওয়ার দোয়া
الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি।’ অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কাছ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু বের করে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপদ করেছেন। (ইবনে মাজাহ: ২৯৭)
৫. খাবার গ্রহণের আগে দোয়া
اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَ اَطْعِمْنَا خَيْراً مِّنْهُ ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা- ফী-হি ওয়া আত্বইমনা খাইরাম্ মিনহু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মেশকাত: ৪২৮৩)
৬. খাবার শেষে দোয়া
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়া সাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন।’ (আবু দাউদ: ৩৮৫০)
৭. জামা পরার দোয়া / পোশাক পরিধানের দোয়া
أُلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي، وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা উয়ারি বিহি আওরাতি ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতি।’ অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে কাপড় পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি লজ্জাস্থান ঢেকে রাখি এবং জীবনে সৌন্দর্য লাভ করি।’ (তিরমিজি: ৩৫৬০)
৮. আয়না দেখে দোয়া
اللهم أنت حسّنت خلقي فحسن خُلقي ‘আল্লাহুম্মা আনতা হাস্সানতা খালক্বি, ফাহাসসিন খুলুক্বি।’ অর্থ:‘ হে আল্লাহ, আপনি আমার চেহারায় সৌন্দর্য দিয়েছেন। অতএব আমার চরিত্রও সুন্দর করে দিন।’ (আহমদ: ২৪৩৯২; আবু ইয়ালা: ৫০৭৫)
৯. ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ তাআলার ওপরই নির্ভর করলাম, আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই। (তিরমিজি: ৩৪২৬)
১০. ঘরে প্রবেশ করার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাউলিজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি; বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা; ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা। অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি। (আবু দাউদ: ৫০৯৬)
১১. মসজিদে প্রবেশ করার দোয়া
اللَّهمَّ افتَحْ لِيْ أبوابَ رَحْمَتِك ‘আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিক।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো খুলে দিন।’ (আবু দাউদ: ৪৬৬)
১২. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া
بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ‘বিসমিল্লা-হি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শায়ত্বানির রাজিম। অর্থ: ‘আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর রাসুলের উপর দরুদ ও শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্ষা করুন। (আবু দাউদ: ০১/১২৬; ইবনে মাজাহ: ০১/১২৯)
১৩. অজুর দোয়া
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ‘বিসমিল্লাহ’ অর্থ: ‘আল্লাহর নামে শুরু করলাম।’ (মুসতাদরাক হাকেম: ৫৩৪; তিরমিজি: ২৫)
১৪. অজু শেষে দোয়া
أَشْهَدُ أَنْ لا إِلهَ إِلاّ اللهُ وَحْدَه لاَ شَرِيْكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنّ مُحَمّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، اللّهُمّ اجْعَلْنِي مِنَ التّوّابِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ ‘আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু, আল্লাহুম্মাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।’ অর্থ: ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক সত্তা, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।’ (তিরমিজি: ৫৫; মুসলিম: ৩৪৫)
১৫. আজান শুনে দোয়া
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ، ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ، ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤﻤُﻮﺩﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-জিহিদ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-য়িমাতি, আ-তি মুহাম্মাদান আল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা, ওয়াব‘আসহু মাকা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়াআদতাহ’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই প্রভু! মুহাম্মদ (স.)-কে অসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন।’ (বুখারি: ১/২৫২,নং ৬১৪; বুখারি:১/২২২, নং: ৫৮৯)
১৬. বাজারে প্রবেশের দোয়া
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু, ওয়া হুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামুতু, বিইয়াদিহিল খায়রু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব ও প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন। তিনি চিরঞ্জীব, তিনি মরেন না। তার হাতে সকল কল্যাণ এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
(তিরমিজি: ৩৪২৮)
১৭. বাজার থেকে বের হওয়ার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ السُّوقِ وَخَيْرِ مَا فِيهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খায়রি হাযিহিস সুকি ওয়া খায়রি মা ফিহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই বাজারের কল্যাণ এবং এতে যা আছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি আপনার কাছে এর অকল্যাণ ও এতে যা আছে তার অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চাই।
(ইবনে মাজাহ: ২২৩৫)
১৮. সফরে বের হওয়ার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِي سَفَرِي هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ফি সাফারি হাযা আল-বিররা ওয়াত তাকওয়া, ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আমার এই সফরে আপনার কাছে কল্যাণ ও তাকওয়া প্রার্থনা করি এবং এমন কাজের তাওফিক চাই যা আপনার সন্তুষ্টি অর্জন করে।
(মুসলিম: ২৩৪০)
১৯. যানবাহনে আরোহণের দোয়া
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাযি সাখখারা লানা হাযা ওয়া মা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন।
অর্থ: পবিত্র ও মহান তিনি যিনি আমাদের জন্য এটিকে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, আমরা নিজেরা এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম ছিলাম না। আর নিশ্চয়ই আমরা আমাদের রবের দিকে ফিরে যাব।
(কুরআন, সূরা আয-যুখরুফ: ১৩-১৪; আবু দাউদ: ২৬০২)
২০. সফর থেকে ফিরে আসার দোয়া
آيِبُونَ تَائِبُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ
উচ্চারণ: আয়িবুনা তায়িবুনা লিরাব্বিনা হামিদুন।
অর্থ: আমরা ফিরে আসছি, তাওবাকারী হয়ে আমাদের রবের প্রশংসা করছি।
(বুখারি: ৩০৮৪)
২১. মেহমানের জন্য দোয়া
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُمْ، وَاغْفِرْ لَهُمْ، وَارْحَمْهُمْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফিমা রাযাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম, ওয়ারহামহুম।
অর্থ: হে আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি যে রিযিক দিয়েছ তাতে বরকত দাও, তাদের ক্ষমা কর এবং তাদের প্রতি রহম কর।
(মুসলিম: ২০৪২)
২২. রোগীর জন্য দোয়া
أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ
উচ্চারণ: আসআলুল্লাহাল আযিম, রাব্বাল আরশিল আযিম, আঁই ইয়াশফিয়াক।
অর্থ: আমি মহান আল্লাহর কাছে, যিনি মহান আরশের রব, প্রার্থনা করি তিনি যেন তোমাকে আরোগ্য দান করেন।
(তিরমিজি: ৩৫৮৪)
২৩. বিপদ থেকে রক্ষার দোয়া
اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي، وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইহফাযনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া, ওয়া মিন খালফি, ওয়া আন ইয়ামিনি, ওয়া আন শিমালি, ওয়া মিন ফাওকি, ওয়া আউযু বিআযামাতিকা আন উগতালা মিন তাহতি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে আমার সামনে, পিছনে, ডানে, বামে এবং উপর থেকে হেফাজত করুন। আর আমি আপনার মহত্ত্বের আশ্রয় চাই যেন আমি নিচ থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত না হই।
(আবু দাউদ: ৫০৭৪)
২৪. দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে মুক্তির দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালাআদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজালি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা, দুঃখ, অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, ভীরুতা, ঋণের ভার এবং মানুষের দমন-পীড়ন থেকে আশ্রয় চাই।
(বুখারি: ৬৩৬৯)
২৫. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ، دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলি যামবি কুল্লাহু, দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু, ওয়া আলানিয়াতাহু ওয়া সিররাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করুন, তার ক্ষুদ্র ও বৃহৎ, প্রথম ও শেষ, প্রকাশ্য ও গোপনীয়।
(মুসলিম: ৪৮৩)
২৬. জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দোয়া
اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي، وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي، وَزِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইনফাআনি বিমা আল্লামতানি, ওয়া আল্লিমনি মা ইয়ানফাউনি, ওয়া যিদনি ইলমা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে যা শিখিয়েছ তা দিয়ে আমাকে উপকৃত কর, আমাকে তা শেখাও যা আমার জন্য উপকারী এবং আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর।
(তিরমিজি: ৩৫৯৯)
২৭. আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি।
(ইবনে মাজাহ: ৩৮৭১)
২৮. শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনার দোয়া
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম।
অর্থ: আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
(বুখারি: ৬০২১)
২৯. ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে দোয়া
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
উচ্চারণ: আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ইকাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি ওয়া আঁই ইয়াহদুরুন।
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার মাধ্যমে তার ক্রোধ, শাস্তি, তার বান্দাদের অকল্যাণ এবং শয়তানদের কুমন্ত্রণা ও তাদের উপস্থিতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
(আবু দাউদ: ৩৮৯৩)
৩০. কঠিন পরিস্থিতিতে দোয়া
اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إِلَّا مَا جَعَلْتَهُ سَهْلًا، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا شِئْتَ سَهْلًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জাআলতাহু সাহলান, ওয়া আনতা তাজআলুল হাযনা ইযা শিতা সাহলান।
অর্থ: হে আল্লাহ! যা তুমি সহজ করেছ তা ছাড়া কিছুই সহজ নয়, আর তুমি যখন চাও তখন দুঃখকেও সহজ করে দাও।
(ইবনে হিব্বান: ৯৭০)
৩১. ঋণ পরিশোধের দোয়া
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার হালাল দিয়ে আমাকে তোমার হারাম থেকে রক্ষা কর এবং তোমার ব্যতীত অন্য কারো মুখাপেক্ষী না করে তোমার অনুগ্রহে আমাকে সমৃদ্ধ কর।
(তিরমিজি: ৩৫৬৩)
৩২. জানাযার নামাযের পর দোয়া
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مَدْخَلَهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়াফু আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা কর, তার প্রতি দয়া কর, তাকে নিরাপদ কর, তার ত্রুটি মার্জনা কর, তার আতিথেয়তাকে সম্মানিত কর এবং তার প্রবেশপথকে প্রশস্ত কর।
(মুসলিম: ৯৬৩)
৩৩. কবর জিয়ারতের দোয়া
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ
উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম আহলাদ দিয়ারি মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমিন, ওয়া ইন্না ইন শাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন।
অর্থ: তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আর আমরা, ইনশাআল্লাহ, তোমাদের সাথে মিলিত হব।
(মুসলিম: ৯৭৫)
৩৪. বিপদে ধৈর্য ধরার দোয়া
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَاخْلُفْنِي خَيْرًا مِنْهَا
উচ্চারণ: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজুরনি ফি মুসিবাতি ওয়াখলুফনি খায়রাম মিনহা।
অর্থ: নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার দিকেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমার এই বিপদে আমাকে সওয়াব দাও এবং এর চেয়ে উত্তম কিছু আমাকে দান কর।
(মুসলিম: ৯১৮)
৩৫. নতুন কাপড় পরার দোয়া
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا كَسَوْتَنِيهِ، أَسْأَلُكَ خَيْرَهُ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু কামা কাসাওতানিহি, আসআলুকা খায়রাহু ওয়া খায়রা মা সুনিআ লাহু, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনিআ লাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমারই জন্য সকল প্রশংসা, যেমন তুমি আমাকে এটি পরিয়েছ। আমি এর কল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি এর অকল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার অকল্যাণ থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
(তিরমিজি: ১৭৬৭)
৩৬. বিবাহের দোয়া
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ، وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
উচ্চারণ: বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকা আলাইকা, ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফি খায়রিন।
অর্থ: আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দান করুন, তোমার উপর বরকত দান করুন এবং তোমাদের দুজনকে কল্যাণে একত্রিত করুন।
(আবু দাউদ: ২১৩০)
৩৭. ঝড়-বৃষ্টির সময় দোয়া
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিআন।
অর্থ: হে আল্লাহ! উপকারী বৃষ্টি দাও।
(বুখারি: ১০৩২)
৩৮. বজ্রপাতের সময় দোয়া
سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাযি ইউসাব্বিহুর রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি।
অর্থ: পবিত্র ও মহান তিনি, যার প্রশংসায় বজ্র ধ্বনি করে এবং ফেরেশতারা তার ভয়ে তাসবিহ পড়ে।
(মুয়াত্তা মালিক: ১৮৫৩)
৩৯. নতুন চাঁদ দেখার দোয়া
اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলইউমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের উপর এই চাঁদকে কল্যাণ, ঈমান, নিরাপত্তা ও ইসলামের সাথে উদিত কর। আমার রব ও তোমার রব আল্লাহ।
(তিরমিজি: ৩৪৫১)
৪০. সকাল-সন্ধ্যার দোয়া
اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ النُّشُورُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা, ওয়া বিকা আমসাইনা, ওয়া বিকা নাহইয়া, ওয়া বিকা নামুতু, ওয়া ইলাইকান নুশুর।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমারই মাধ্যমে আমরা সকালে উঠি, তোমারই মাধ্যমে সন্ধ্যায় প্রবেশ করি, তোমারই মাধ্যমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই মাধ্যমে আমরা মৃত্যুবরণ করি এবং তোমারই দিকে আমাদের পুনরুত্থান।
(তিরমিজি: ৩৩৯১)
এই দোয়াগুলো প্রতিদিনের জীবনে পড়া একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা, হেফাজত ও নৈকট্য লাভের মাধ্যম।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
শুকরান। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
২| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮
অগ্নিবাবা বলেছেন: তিনি কি আমাদের কাছ থেকে তোশামোদ পেতে চান,
নাকি আমরা নিজেরাই তাকে তোশামোদ করতে চাই?
আমরা কি লোভে পড়ে তাকে তোশামোদ করি,
না কি ভয় পেয়ে করি?
না সত্যিই ভালোবেসে তাকে স্মরণ করি?
আমাদের এই তোশামোদে তার আদৌ কিছু আসে-যায়?
যদি না-ই আসে-যায়, তবে তিনি কেন তোশামোদ প্রত্যাশা করেন?
তোশামোদ না পেলে তিনি কেন রেগে যান?
কেন ভয় দেখান?
তোশামোদ পেলে যদি আনন্দ পান আর না পেলে ক্রুদ্ধ হন—
তবে কি এটা মানবিক কোনো গুণ?
পৃথিবীতে মাত্র ২৪% মানুষ তাকে তোশামোদ করে,
বাকি ৭৬% তো করে না।
তাহলে এই তোশামোদ চাওয়াটা কি এক শক্তিমান সত্তার দুর্বলতা নয়?
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আল্লাহ তাআ'লা তোশামোদ চান না—তিনি চান ইবাদত, যা কৃতজ্ঞতা ও সত্য উপলব্ধি থেকে আসে। লোভ বা ভয় নয়, ভালোবাসা ও চেতনা থেকেই প্রকৃত ইবাদত গড়ে ওঠে। তিনি রেগে যান না মানুষের মতো, বরং তাঁর "রাগ" বলতে বোঝানো হয় ন্যায়বিচার প্রয়োগ।
আর ২৪% বা ৭৬% নয়—তিনি কারও প্রয়োজনমুক্ত; ইবাদত আমাদেরই কল্যাণে। এজন্য কুরআনে বলা হয়, “যে কৃতজ্ঞ হয়, সে নিজের উপকারেই কৃতজ্ঞ হয়।” (সূরা লুকমান ১২) — তাই ইবাদত কোনো দুর্বলতা নয়, বরং আমাদের প্রয়োজন।
ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০১
Sulaiman hossain বলেছেন: আমি সবগুলো দোয়া পারিনা,কিন্তু কয়েকটা পারি।শয়তানকে বিতারনের জন্য দোয়া ছাড়া অন্যকিছু খুব বেশি কার্যকর বলে আমার মনে হয়না।শয়তান নিজের সার্থে দোয়াগুলো অনেকসময় ভুলিয়ে দেয়,যেমন খাওয়া দাাওয়া করার সময় ভুলিয়ে দেয়,যাতে সে খাওয়া দাওয়ায় শরিক হতে পারে।অনেক কষ্ট করে লিখেছেন।জাযাকুমুল্লাহ খইরান কাসিরা
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন। শয়তান সত্যিই আমাদের দোয়া ভুলিয়ে দিতে চেষ্টা করে, বিশেষ করে খাওয়ার সময়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। তাই যতটুকু পারা যায়, তা নিয়মিত পড়া ও চর্চা করা দরকার।
হাদিসে বর্ণিত প্রতিটি দোয়াই উপযুক্ত ক্ষেত্রে যথাযথভাবে কার্যকর। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শয়তানের ধোঁকা থেকে হেফাজত করুন।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
৪| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৬
অগ্নিবাবা বলেছেন: @Sulaiman hossain, দারুন বলেছেন, অন্যায় করবেন নিজে আর দোষারোপ করবেন শয়তানকে। হা হা হা।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি ইসলামী আকিদা বিশ্বাস বিরোধী মানসিকতা নিয়ে ব্লগার Sulaiman hossain কে ব্যঙ্গ করলেও, প্রকৃত মুমিন নিজের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় এবং শয়তানের ধোঁকাও চেনার চেষ্টা করে। ব্যঙ্গ নয়, বোঝার মানসিকতা দরকার।
ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২০
অপলক বলেছেন: @অগ্নিবাবা: তোশামোদ আর ইবাদত এক কথা নয়। ধরুন আপনি একজন সফটওয়ার ডেভলপার। একটা সফটওয়্যার ডেভলপ করলেন, আপিনি তো চাইবেন, সেটা আপনার সৃষ্টির উদ্দ্যেশ্য অনুযায়ী কাজ করুক? নাকি চাইবেন না?
এখন সেই সফটওয়ার আপনার ডেভলপিং স্টেজে ঠিকঠাক কাজ করল কিন্তু ইউজার স্টেজে কিছু বাগ পাওয়া গেল। সেক্ষেত্রে কিছু কোড আপডেট করলেন বা নিউ ডিরেকশান দিলেন। হয়ত কিছু চিটকোড বানালেন। সেগুলো দেখা গেল ৩২ বিটের ওএস এ ঝামেলা করে কিন্তু ৬৪বিটে ঠিকঠাক। আবার উইনডোজে কাজ করলেও লিনাক্সে কিছু মডিফিকেশন লাগে।
এখন একজন ডেভলপার হিসেবে যদি আপনি কিছু সলুউশন বের করেন বা গাইডলাইন দেন, তবে আমাদের সবার সৃষ্টি কর্তা হিসেবে তিনি কেন হাদিস-কোরান দিয়ে সঠিক পথ পর্দশন করবেন না বা তিনি কেন বলবেন না, আমি মানুষ ও জ্বীনকে শুধু আমার ইবাদতের জন্যে সৃস্টি করেছি। আর অন্যান্য সৃষ্টিকে তাদের উপকারের জন্যে।
আপনার গেমিং সফটওয়ার নিশ্চয় আবহাওয়ার খবর প্রদর্শন করবে না। আপনি সব সময় চাইবেন ঠিক ঠাক চলুক, শান্তি মত চলুক, আর ব্যবহারকারীরা পজেটিভ ফিডব্যাক দিক।
এই উদাহরন টা আল্লাহ এবং আসমানী গ্রন্থের সাথে ভাবুন। এখন মানা না মানা, আপনার ব্যাপার। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে চেষ্টা করলাম বোঝানোর। ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উদাহরণটি চমৎকারভাবে বিষয়টি বোঝাতে সহায়তা করেছে। হ্যাঁ, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে—যেটি হলো তাঁর ইবাদত (সুরা আয-যারিয়াত ৫৬)। ঠিক যেমন একজন ডেভেলপার চান তার সফটওয়্যার যেন নির্ধারিত নিয়মে চলে, তেমনি আল্লাহও মানবজাতিকে পথনির্দেশ দিয়েছেন কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করা মানে মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতি। আল্লাহ চাইলেই সব ঠিক করে দিতে পারেন, কিন্তু তিনি আমাদের পরীক্ষা নিতে চান—কে মানে আর কে অমান্য করে (সুরা আল-মুলক ২)।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর ব্যাখ্যার জন্য।
৬| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩২
অপলক বলেছেন: @অগ্নিবাবা: আমরা আল্লার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি, ইবাদতের মাধ্যমে। দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী। এটা কখনই তোশামদ নয়।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন, ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায়, যা তোশামদ নয় বরং নিখাদ আনুগত্য ও প্রেমের প্রকাশ।
৭| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭
অগ্নিবাবা বলেছেন: @অপলক ভাই, আপনি হয়ত আল্লাহর প্রমান পাইছেন তাই আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা বলে মেনে নিয়েছেন। আমি এরকম গায়েবী প্রমান পাই নাই তাই আল্লা কাল্লা বুঙ্গা বুঙ্গা যে আমারে বানাইছে তাহা মানতে পারি না, ৭৬% মানুষ আল্লাহর প্রমান পায় নাই, তারাও কেউ আল্লাহকে মানে না। এজন্য আপনার দেওয়া উদাহরন আমার হজম হলো না।
তারপরেও ধরে নিলাম আল্লাহ আছে, সে তো সবার মনের ক্থা জানে, তাহলে সুর করে তাকে দিনে পঞ্চাশবার সুক্রিয়া জানানো কি ফাজলামি না? আমারে এক কাজের জন্য দশবার সুক্রিয়া জানালে তো রাইগ্যা যামু।
২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ভাবনাটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যৌক্তিক মনে হতে পারে, কিন্তু আল্লাহ মানুষ নন—তিনি সৃষ্টিকর্তা, অদ্বিতীয়, মহান। তিনি শুকরিয়া চান আমাদের উপকারের জন্যই, তাঁর অভাব পূরণের জন্য নয়। সুর করে ইবাদত বা শুকরিয়া জানানো কোনো ফাজলামি নয়, বরং তা হৃদয়ের নম্রতা ও কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ, যেমন একজন প্রেমিক প্রিয়জনকে বারবার ভালোবাসা প্রকাশ করে—তাতে সে বিরক্ত হয় না, বরং তৃপ্ত হয়। আল্লাহর জ্ঞান ও দয়া সীমাহীন, তাই তিনিই জানেন কে বিশ্বাসের যোগ্য।
৮| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫
Sulaiman hossain বলেছেন: @অগ্নিকাবা সত্য বলেছেন যে অধিকাংশ মানুষই আল্লাহর প্রমান পায়নি।কুরআনের বানি দ্বারা প্রমানিত ১০০%সত্য প্রমানিত।
অধিকাংশ মানুষই আল্লাহকে না পাওয়ার কারন হল,অধিকাংশ মানুষই তাকে খুজে নাই।এবং তাকে পাওয়ার কোনো ইচ্ছাও তাদের নাই।@অগ্নিকাবা!! আপনি হয়ত লক্ষ করবেন,অধিকাংশ মানুষই দুনিয়া এবং প্রবৃত্তির ভোগ বিলাশে মগ্ন রয়েছে।
আর আপনি কি আল্লাহকে নিজের মত ভেবে বসে আছেন।
আপনি কি জানেন?তিনি তেমন নন,যেমন আপনি তাকে মনে করেন।
তিনি পৃথিবীতে শরিয়তের হুকুম আহকাম কেন পাঠিয়েছেন,তা কি আপনি কিছু জানেন।
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু জানি তা হল-
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাহ্ অমূল্য রত্ন তুলে ধরেছেন।