নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সঠিক সিদ্ধান্তের পূর্বশর্ত হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০২



আচ্ছা বলেন দেখি, গাধা দিয়ে কি হালচাষ হয়? কেউ বলবেন হয়, কেউ বলবেন হয় না। আমি বলি হয়, তবে বলদের পারফরমেন্স পাওয়া যায় না।

গাধা দিয়ে হালচাষ করলে ফসল ভালো পাওয়া যায় না, মুফতে জমি নষ্ট করা হয়। কথাগুলো কেন বললাম? বললাম, চরম বিরক্তি থেকে। ইরান-ইজরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ অন্য অনেকের মতো শুরু থেকেই ফলো করেছি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব পর্যবেক্ষণ করা আমার বহুদিনের অভ্যাস। এই দ্বন্দ্ব নিয়ে আগেও পোষ্ট দিয়েছিলাম। ইরানের বোকামীর কারনে এর আগেও ইজরায়েল একবার পার পেয়ে গিয়েছিল। সে যাই হোক, ইরানের শাসক গোষ্ঠী একটা বিষয় বারে বারে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে; সেটা হলো, শুধুমাত্র জেহাদী জোশ দিয়ে আজকাল আর যাই হোক, যুদ্ধ করা যায় না। সেইজন্য ঘিলুও লাগে। ইরান যা করে তা হলো অনেকটা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মতো। এরা বাস্তবতার কাছাকাছি অবস্থান করার চেষ্টা করে না।

ইরানকে বুঝতে হবে যে, এইসব যুদ্ধ করে তাদের আদপে কোন লাভ হবে না। অনেকেই এই ১২ দিনের যুদ্ধে ইজরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উল্লসিত। কিন্তু বাস্তবতা কি? ইজরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মূলতঃ অবকাঠামোগত। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমেরিকা তাদের বাপ ইজরায়েলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিবে। ইউরোপও দিবে। অপরদিকে, ইরানের ক্ষতি হয়েছে অপূরনীয়। বিল্ডিংকে বিল্ডিং দিয়ে রিপ্লেস করা যায়, কিন্তু ইরান যেসকল দক্ষ এবং অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী আর জেনারেলদের হারালো, তার কোন রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব না। ইরানের যেসকল পরমাণু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হলো, তাতে করে তারা কমপক্ষে এক দশক পিছিয়ে গিয়েছে। তার চাইতে বড় কথা, এইসব অবকাঠামোসহ অন্যান্য যেসকল অবকাঠামো ধ্বংস হলো, তা পূনঃস্থাপনের জন্য কেউ ইরানকে বিনাশর্তে এক টাকা দিয়েও সাহায্য করবে না। সবই ইরানকে করতে হবে নিজেদের তেল বেচা টাকায়। কাজেই যারা ইরানের সাময়িক সাফল্যে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন, তাদের জন্য সমবেদনা। এসব করে সত্যিকারের বন্ধুহীন ইরান ইজরায়েলের তেমন কিছুই করতে পারবে না। এটাই আফসোসের বিষয়!!!

আচ্ছা, এইসব বাদ দেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা বিশাল ব্যাপার। ব্লগে একটা পোষ্ট দিয়ে সেটা সম্ভব না একেবারেই। তাই আমি এই পোস্টে ফোকাসড আলোচনার চেষ্টা চালাবো। আজ ইরানের দুইটা বেকুবী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করাই আমার মূল উদ্দেশ্য, যা ইরানের জন্য সূদূঢ়প্রসারী প্রভাব বয়ে নিয়ে এসেছে, আর সঠিক পদক্ষেপ না নিলে তাদেরকে ভবিষ্যতে আরো ভোগাবে।

প্রথমতঃ চাবাহার বন্দর প্রসঙ্গ।

ভারত ও ইরানের মধ্যে চাবাহার বন্দরের শহীদ বেহেস্তি টার্মিনাল পরিচালনার জন্য ১০ বছরের একটা চুক্তি ২০২৩ সালের মে মাসে স্বাক্ষরিত হয়। এর আগেও ২০১৬ সালে এই বন্দর পরিচালনার জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। তবে প্রতি বছর সেই চুক্তি রিনিউ করতে হতো। ২০২৩ সালের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিকে ২০১৬ সালের চুক্তিরই একটা নতুন রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তাজ্জবের ব্যাপার হলো, সারা দুনিয়ায় ইরান এই কামের জন্য একমাত্র ভারতকেই পেল। গবেট ইরানী কর্তৃপক্ষের মাথায়ই ছিল না যে, ভারতের ''র'' আর ইজরায়েলের ''মোসাদ'' ওয়ার্কিং পার্টনার। মোসাদ যে এই সুযোগে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী আর টপ মোস্ট জেনারেলদেরকে শহীদ করার মাধ্যমে বেহেস্তে পাঠানোর সুবন্দোবস্ত করবে, সেটা তাদের মস্তিষ্কেই খেলে নাই। এই কারনেই ''শহীদ বেহেস্তি টার্মিনাল'' নামকরনটার মধ্যে বেশ একটা ডার্ক হিউমার আছে!!! নামটা কি ভারত-ইজরায়েলের যৌথ উদ্যোগে দেয়া?

নেতানিয়াহু সেই ১৯৯৫ সাল থেকে বলে আসছে, ইরান যে কোনও সময়ে পরমাণু বোমা বানিয়ে ফেলবে। তার এই ধোয়া তোলার দুইটা উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমটা, যদি কখনও তার ইরানে আক্রমণ করতে হয়, সেটাকে জাস্টিফাই করার গ্রাউন্ড তৈরী করা। আর দ্বিতীয়টা হলো, আমেরিকা আর ইওরোপকে ইরানের বিরুদ্ধে তাতিয়ে তোলা। একথা অনস্বীকার্য যে, এই কাজে তার সাফল্য অভূতপূর্ব। এর আগেও সে সাদ্দামের কাছে গণ-বিদ্ধংসী অস্ত্র আছে, এই কথা বলে বুশ-ব্লেয়ারকে ইরাক আক্রমণে প্ররোচিত করেছিল।

মোদি-নেতানিয়াহুর টাই এর কথা সারা বিশ্বই জানে, সম্ভবতঃ ইরান জানে না। দুইটাই চরম ইসলাম বিদ্বেষী। ইজরায়েল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। তাছাড়া, আল জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে, গাজা যুদ্ধের সময় ভারতীয় অস্ত্র সংস্থাগুলি ইজরায়েলে রকেট এবং বিস্ফোরকও বিক্রি করেছিল। এই সম্পর্ক হার্ডওয়্যার বিক্রির বাইরেও বিস্তৃত, যার মধ্যে যৌথ অভিযান, সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতের 'র' এবং ইসরায়েলের মোসাদের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস রয়েছে। এমন একটা দেশকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া আদপে ''খাল কেটে কুমীর আনা''রই নামান্তর। ফলে আজ আমরা দেখছি, ইরানের আইআরজিসি চাবাহার বন্দরের কাছে একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ইজরায়েলের মোসাদের সাথে যুক্ত গুপ্তচরবৃত্তির একটা নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করে। ইরানি সাইবার ইউনিটগুলির কয়েক সপ্তাহের নজরদারির পর পরিচালিত এই অভিযানে ১৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার ১২১ জন ভারতীয় এবং ২০ জন ইজরায়েলি।

আপনাদেরকে একটা চমকপ্রদ তথ্য দেই। আমেরিকা দীর্ঘদিন থেকে ইরানের উপর বানিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এমনকি যেসকল বৈশ্বিক কোম্পানী ইরানের সাথে কাজ করবে, তাদেরকেও নিষেধানজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসা হয়। অথচ, চাবাহার বন্দরে কাজ করা ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানীকে নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত রাখা হয়, যাতে করে তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। আমার তো ধারনা, ভারত সেখানে যে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, তার সিংহভাগ অর্থই আমেরিকা-ইজরায়েল যৌথভাবে দিয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ পরমাণু বোমা প্রসঙ্গ।

ইরান মূলতঃ পরমাণু বোমার বিষয়ে অনাগ্রহী ছিল একটা ফতোয়ার কারনে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ২০০৩ সালে একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশ জারি করেন, যাতে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহারকে ইসলামবিরোধী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অথচ কোরআন শরীফে সূরা বাকারার ১৯৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, "তোমরা নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।" এই আয়াত থেকে ইসলামী ফেকাহবিদরা মনে করেন, নিজের জীবন রক্ষা করা বা আত্মরক্ষা করা ফরজ। এছাড়াও, কোনো নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করাকে সমগ্র মানবজাতির জীবন রক্ষার সমতুল্য বলা হয়েছে, যা সূরা মায়িদার ৩২ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে। আমি কোন ইসলামী স্কলার না, তবে আমার মনে হয় এর আলোকেই তো পরমাণু বোমা তৈরী করা যায়!!! হুদাই ফালতু ফতোয়া দেয়ার দরকারটা কি? আজকালের বিশ্বে এই বোমা থাকাটাই যথেষ্ট, ব্যবহারের দরকার পড়ে না। এই বোমার কারনেই দূর্বল অর্থনীতির উত্তর কোরিয়া ঠাট-বাট নিয়ে বিশ্বে যারে তারে হুমকি-ধামকি দেয়। এই বোমার কারনেই আগের মেয়াদে ট্রাম্প তাদের প্রেসিডেন্ট কিমের সাথে বৈঠক করতে বাধ্য হয়েছিল। আর এই বোমার কারনেই টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা গরীব পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে লাঞ্চের দাওয়াত দেয়!!! তাদের তো এই বোমা ব্যবহার করতেও হয় নাই, কিন্তু দেশ ও জাতির সুরক্ষা তারা ষোলআনাই নিচ্ছে। এই নশ্বর দুনিয়ায় ইজ্জৎও হাসিল করে নিচ্ছে!!! বোমা না থাকলে আজকের বিশ্বে ভুখা-নাঙ্গা উত্তর কোরিয়া আর পাকিস্তানকে কে গুনতো? ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এসব দেখেও কোন শিক্ষা নিবে না। তাদের সব নজর একটা ফালতু, অবিবেচনাপ্রসূত ফতোয়ার দিকে। তাদের শুধু বড় বড় হুমকি-ধামকি, ওইদিকে যে তলা খালি হয়ে যাচ্ছে তার কোন খবর নাই। কথা কম বলে তাদের উচিত কাজের দিকে মনোযোগ দেয়া। আজ তাদের কাছে পরমাণু বোমা থাকলে ১২ দিনের এই যুদ্ধই হতো না। পুরা মধ্যপ্রাচ্য তাদের কথায় সূর মেলাতো। ভুল কিছু কি কইলাম?

চীন, রাশিয়া কিংবা ব্রিকসের কল্যানে আমরা যতোই বহুপক্ষীয় বিশ্বব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি না কেন, এই জন্য আমাদের অপেক্ষার সময় হবে দীর্ঘতর। এই সময়টাতে পীর ইজরায়েল আর তার গুণমুগ্ধ ভক্ত-আশেকান আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্বের মাস্তানী আমাদের সহ্য করতেই হবে। আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যা খুশী তাই করতে পারবে কিন্তু জাতিসঙ্ঘ নামক আবাল ক্লাবটা কিছুই করতে পারবে না। বিলাসিতায় ডুবে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের ইতরশ্রেণীয় মুসলিম দেশগুলোর কল্যানে ওআইসি ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করতেই থাকবে। এই বিশ্ব-বাস্তবতায় এখানে ওখানে ইরানকে কেন মাথা ঠুকতে হয়, সেটাই বুঝি না। কেউ কিছু করে দেবে না। যা করার, তাদেরকেই করতে হবে। এটা তারা যতো তাড়াতাড়ি বুঝবে, ততোই মঙ্গল।

আমি আসলে বুঝি না, আমার মতোন ভুয়া যেই বিষয়টা চ্যালচ্যালাইয়া বুঝতে পারতেছে, ইরানের তাবৎ বাঘা বাঘা নেতৃবৃন্দ সেইটা বুঝতে পারতেছে না কেন? হুয়াই!!!!!!


ফটো ক্রেডিটঃ বিবিসি।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

অপলক বলেছেন: চমৎকার পর্যবেক্ষণ আপনার। ভাল লাগলো।

আমার একটা এলোমেলো প্রাসঙ্গিক লেখা পোস্ট করেছিলাম: ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি এবং অন্তরালের চাল: আমার ধারনা

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগে অনিয়মিত হওয়ার কারনে অনেক লেখাই চোখে পড়ে না। আপনার লেখাটা সময় করে অবশ্যই পড়বো।

২| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭

অগ্নিবাবা বলেছেন: ইসলাম একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ধর্ম। নবী মুহাম্মদ (স.)-ই সর্বপ্রথম কাবার দেব-দেবীদের নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন এবং সেখান থেকেই ধর্মীয় মতবিরোধের সূচনা হয়। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বিধর্মীদের ‘নিকৃষ্ট’ ও ‘অপবিত্র’ বলা হয়েছে।

বহুদিন ধরে অনেকেই এসব বিষয়ে অবগত ছিলেন না। সুফীদের ভালোবাসার বাণী ও মানবিক চর্চার কারণে অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামের একটি কোমল, সহনশীল ও আধ্যাত্মিক রূপের ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিল।

কিন্তু জিহাদি গোষ্ঠীগুলো, মধ্যপ্রাচ্যের তেলনির্ভর সম্পদের বলয়ে, ইসলামের একটি কঠোর ও অসহিষ্ণু রূপ প্রকাশ করেছে, যার ফলে বহু অমুসলিম এখন ইসলাম সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছেন। তারা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে এই ধর্ম হয়তো সহাবস্থান নয়, বরং একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার বা ‘ইসলাম কায়েম’ করার লক্ষ্যেই কাজ করে।

ফলে আজ বিশ্বের অমুসলিম সমাজের মধ্যে এক ধরনের ঐক্য তৈরি হচ্ছে, এবং ভবিষ্যৎ মুসলিমদের জন্য কঠিন হতে পারে।

এখনো সময় আছে—যদি কোরআন ও হাদীসের কঠোর ও বিতর্কিত অংশগুলোর ব্যাখ্যা পুনর্বিবেচনা করা হয় এবং বিদ্বেষমূলক ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে ভালোবাসা, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের ধর্মীয় চেতনা তুলে ধরা হয়, তবে হয়তো শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোরআনে কোন বিতর্কিত অংশ নাই। আর আপনার মতো একজন চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীর সাথে এইসব নিয়ে আলোচনা করার কোন ইচ্ছাও নাই। আশাকরি বিষয়টা পরিস্কার করেছি।

৩| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৩

মেঘনা বলেছেন: আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ২০০৩ সালের ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশ লোকদেখানো মিথ্যা কাহিনী। ইরান যদি সত্যি পারমাণবিক বোমা তৈরির কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে তাহলে পাহাড়ের ৫০০ মিটার গভীরে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা তৈরি করত না।
খামিনির এই মিথ্যাচার যুদ্ধ কৌশল হতে পারে অসুবিধা নেই। সমস্যা হলো তিনি কোরআন হাতে নিয়ে এই মিথ্যাচার করেছেন যা প্রকারান্তরে ইসলামের অবমাননা।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ২০০৩ সালের ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশ লোকদেখানো মিথ্যা কাহিনী। এই তথ্য কোথায় পেলেন? রেফারেন্স দেন। ৫০০ মিটার গভীরে কেন তাদের পারমানবিক স্থাপনা তৈরী করতে হলো, এটা শ্যালো চিন্তা-ভাবনার মানুষদের বোঝার কথা না। খামেনি কোরআন হাতে নিয়ে কখন মিথ্যাচার করলেন? ভালো কথা, ইসলামের অবমাননা নিয়ে আপনার মায়াকান্নার কোন প্রয়োজন দেখি না।

৪| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: উপরে দাদারা ভালো ফতোয়া দিচ্ছে আর যাইহোক দাদারা কিন্তু রসুনে পু*ট*কির মতো এক হয়েছে। যেটা মাথামোটা মুসলিমদের বেলায় নেই।

আসল কথায় আসি, এখন ইরানের প্রথম ও প্রধান কাজ হওয়া উচিত মুত্রখোদের বিতারণ করা এরা যেখানে খায় সেখানেই হাগে। ২য় হলো ইরানের পরমাণু বোমা তৈরী করা এখন ফরজে আইন।

আপনার চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইসলাম বিদ্বেষীদের ঐক্য সব সময়েই খুব সুদৃঢ়, কোন সন্দেহ নাই। আশাকরি, এবার ইরানিদের ঢুশ খেয়ে হুশ হবে। বন্ধু আর শত্রুর মধ্যে পার্থক্য বোঝাটা জরুরী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনেও ভালো থাকেন।

৫| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০০

অগ্নিবাবা বলেছেন: @দেশ প্রেমিক বাঙালী, সকলের পুটকি যখন এক্ত্রে মিলিত হয়েছে, আপনি বাদ যাবেন কেনো? আপনিও আপনার পুটকি পাতিয়া দিন, আপনার পুটকি গ্রহন করিয়া আসুন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করি।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শান্ত হোন। ওই স্পর্শকাতর অঙ্গটার ব্যাপারে আপনাদের আরো সচেতনতা জরুরী। যেখানে সেখানে বসে যাওয়া ঠিক না।

৬| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

অগ্নিবাবা বলেছেন: @মফিজ মুমিন ভাই, আলোচোনা তো ইসলাম বিদ্বেষী সাথেই বেশী করা উচিত, তাই নয় কি? মুমিনদের সাথে আলোচনা করে কি লাভ? তারা তো আর নতুন করে ইসলাম গ্রহন করবে না। আসলে আপনার মুমিনদের পিছনে সময় ব্যয় না করে, নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া উচিত, যাতে আরো পাঁচটা ত্যাড়া নাস্তিক সোজা হয়ে ইসলামে ফিরে আসে।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি নাস্তিকদের সাথে আলোচনা করি। ইসলাম বিদ্বেষীরা আবাল জাতীয় প্রাণী। কাজেই তাদের সাথে আলোচনা আমার কাছে সময়ের অপচয়।

৭| ২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫

যাযাবর চখা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন চমৎকার। ইরানকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮

মেঘনা বলেছেন: @ভুয়া মফিজ আসলেই ভুয়া।

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গো-মূত্র পানকারী এক ভারতীয় আবাল আমার সম্পর্কে কি ভাবলো তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। =p~

৯| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: ইরান শুধু বাইরের চাপ না, আভ্যন্ত্রিন রাজনীতির ও চাপে আছে।
ইরানের অর্থনীতিক অবস্থা নিষেধাজ্ঞার কারনে খুব খারাপ, জনগন ক্ষেপে আছে।
ইরান চাইছে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক, নইলে জনগন কে সামাল দেয়া কঠিন হতে পারে।
তাই ইরান বোমা বানায়নি। তবে ইরান প্রযুক্তি অর্জন করতে চেয়েছে, যাতে দরকার হলে বোমা বানাতে পারে।
ইরান সেই পথেই আছে। ইরানের রাজনীতিবিদরা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে ধূর্ত। আপনি যা বোঝেন, তারাও তা বোঝে।

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইরানীরা ঐতিহাসিকভাবেই কষ্টসহিষ্ণু জাতি। জাতীয় ক্রাইসিসে তারা সবকিছু ভুলে এক হয়ে যায়। সর্বশেষ আট বছরব্যাপি ইরান-ইরাক যুদ্ধে তারা আরেকবার তার প্রমাণ দিয়েছিল। মাত্রই একটা সফল বিপ্লব করে দেশ গোছানোর সময়টাতেই সাদ্দাম ইরান আক্রমণ করে। প্রথমদিকে বেকায়দায় থাকলেও পরে তারা ঠিকই ঘুরে দাড়ায়। কাজেই আভ্যন্তরীণ-বৈদেশিক চাপ, অর্থনৈতিক সমস্যা ইরানের জন্য নতুন কিছু না। তারা এসব সামলে অভ্যস্ত। সুতরাং আপনার বর্ণিত যুক্তি ধোপে টেকে না।

বোমা বানানোর প্রযুক্তি ইরানের আছে। তাদের সব রকমের প্রস্তুতিও আছে। কেন বানায় নাই, সেটা পোষ্টে বলেছি। আমি যা বললাম, এটা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত। অনেকে তো একধাপ এগিয়ে এটাও বলে যে, তারা ইতোমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে, শুধু ঘোষণা দেয় নাই। সেসবের পিছনেও যুক্তি আছে।

তারা ধূর্ত ঠিক আছে, কিন্তু ধূর্ত হলেই কোন ভুল করতে পারে না সেটা আপনাকে কে বললো? আমাদের হাসিনা বিবি কি কম ধূর্ত ছিল? এখনকার অবস্থা কি? :-B

১০| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

জটিল ভাই ২.০ বলেছেন:
বিশ্বাস কেমনে করি যে তলে-তলে ইরান-আমেরিকার মাঝেও টেম্পু চলে না? :(

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতোদিন পরে কোত্থেকে উদয় হইলেন? তলে তলে যে কোনও টেম্পু চলতেই পারে, আপনের আর ব্লগ কর্তৃপক্ষের মধ্যেও চলতে পারে!!! :P

তবে আমেরিকা-ইরানের ক্ষেত্রে চলে নাই, বলাই বাহুল্য। তাদের বৈরিতা আজকের না, সেই শাহের পতনের পর থেকেই শুরু। কাজেই টেনশান নিয়েন না। :)

১১| ২৬ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইরাকে গনবিধংসী অস্ত্র আছে সেটা সাদ্দাম দাবী করে নাই , আমেরিকা ও ইউকে এই দাবী কইরা ইরাক ধংস করসে। Prior to the 2003 invasion, the US and UK governments claimed Iraq possessed weapons of mass destruction (WMDs), particularly chemical and biological weapons, and was actively pursuing a nuclear weapons program. These claims were a key justification for the invasion. However, no WMDs were found after the invasion, and the intelligence used to support the claims was later discredited.


ভারতীয়দের ব্যপারটাও ইরান ধরা খাইসে। খোদ ভারত সরকারের সাথে চুক্তি করসে , তাই ভাবে নাই যে , তারা ভিতরে ভিতরে ইজরাইলের হয়ে স্পাইগিরি করবে। আর মনে হয় তাদের গোয়েন্দা সংস্থার অবস্থাও আমাদের ডিজিএফাই এর মত! বাংলাদেশে আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পরই মুলত ইন্ডিয়ার মুখোশ বিশ্বব্যপী উন্মোচন হইসে।

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি কি কইছি নাকি যে সাদ্দাম দাবী করছিলো তার হাতে গনবিধংসী অস্ত্র আছে? কি কন না কন!!!! আমেরিকা ও ইউকে এই দাবী কইরা ইরাক ধংস করসে। কথা সত্য। তবে তাদেরকে এই ব্যাপারে প্রোভোক করছিলো ন্যাতা-নিয়াহু, মোসাদের রেফারেন্সে। আর ইরাক-ইরান যুদ্ধে সাদ্দাম রাসায়ানিক অস্ত্র ব্যবহার কইরা পালে হাওয়া দিছিলো, এইটাও সত্য।

খোদ ভারত সরকারের সাথে চুক্তি করসে , তাই ভাবে নাই যে , তারা ভিতরে ভিতরে ইজরাইলের হয়ে স্পাইগিরি করবে। ভারত সরকার মানে তো মোদি সরকার!!! এসপিওনাজ জগতের একটা নবিশও বুঝবে যে, এইখানে খাতরা আছে!!! আবালের আবালদের শত্রু-মিত্র আইডেন্টিফাই করারই ক্ষমতা নাই, কামের কনসিকোয়েন্স বোঝে না; এখন ঠ্যালা সামলাক!!!! X(

১২| ২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:২৪

আরোগ্য বলেছেন: বর্তমানে আমি এই যুদ্ধের আপডেটগুলো মোটেই রাখছি না, যা খালি হেডলাইন চোখে পড়ে। অনেকটা বিতৃষ্ণা হয়া গেসি। এটা যেহেতু আপনের পোস্ট তাই পুরাটা পড়লাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা জিতনের পরও আমরিকা রাজা হয়া যায়। যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধানের ষড়যন্ত্র হয়া থাকে তয় ফলাফল ইসরায়েল রাজা হইবো। অনেক আগে একটা আর্টিকেল পড়সিলাম যে, ইসরাঈলরে খাড়া করনের লেইগা ই আমেরিকার উৎপত্তি, এইটা আমি মানি। মূলকথা গেম অনেক আগে শুরু হয়া গেসে কহন কার এন্ট্রি হইবো এইটা দেহনের বিষয়।

আর মুসলমান গো কথা কি কমু, না আছে ঈমান না আছে আমল( পারমাণবিক শক্তি)। ঈমান থাকলে তো বদরের যুদ্ধের মত ফেরেশতার সাহায্য পাইতো আর বোমা থাকলে প্রতিপক্ষ সাবধান থাকতো।

ছাইছাত্তু কি কইসি জানিনা, ভুলচুক মাফ।

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও খুব একটা আপডেট রাখতাছি না অহন, খাইসলতের কারনে যা ইকটু দেহি আর কি!!! ইরানের কাজ-কামে চেইতা আছি!!!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা জিতনের পরও আমরিকা রাজা হয়া যায়। যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধানের ষড়যন্ত্র হয়া থাকে তয় ফলাফল ইসরায়েল রাজা হইবো। অনেক আগে একটা আর্টিকেল পড়সিলাম যে, ইসরাঈলরে খাড়া করনের লেইগা ই আমেরিকার উৎপত্তি, এইটা আমি মানি। এইহানে আপনের আরেকটু ইস্টাডি করন লাগবো। এইটা লম্বা আলোচনা, অফিসে বয়া এর চেয়ে বেশী কিছু কইতে পারুম না। তয় আপনে আমার তে বিস্তারিত জানতে চাইলে আওয়াজ দিয়েন। নিজেও খুইজা পড়বার পারেন!!! :)

আর মুসলমান গো কথা কি কমু, না আছে ঈমান না আছে আমল( পারমাণবিক শক্তি)। ক্যালা.......ঈমান-আমল না থাকলেও তো পাকিস্তানের কাছে বোমা আছে!!! ফেরেশতারা কি সাহায্য করবো, আল্লাহ নিজেই মুসলমানগো উপ্রে চেইতা আছে। আমাগো এমন অবস্থা যে, আল্লাহর গজবও টের পাই না!!!! B:-)

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:৩০

আরোগ্য বলেছেন: তয় আপনে আমার তে বিস্তারিত জানতে চাইলে আওয়াজ দিয়েন। নিজেও খুইজা পড়বার পারেন!!! নাহ্ নিজে নিজে খুইজা পড়নের মতন অহন এনার্জি নাই। এনার্জির ডিম লাইট জলতাসে। :( । তয় যদি আপনে কিছু জানান দেন ওইটা আলাদা কথা।
ঈমান-আমল না থাকলেও তো পাকিস্তানের কাছে বোমা আছে!!! ওইটা ই তো পাকিস্তানের তো আমল (বোমা) আছে। আল্লাহ নিজেই মুসলমানগো উপ্রে চেইতা আছে। আমাগো এমন অবস্থা যে, আল্লাহর গজবও টের পাই না!!!! এই টের না পাওনটাও আরেক পদের গজব। :-<

এহন তো মনে হয় যতটুকই ঈমান আছে ওইটা লয়া জলদি মরা পারলেই বাঁচি। না রাহেগি বাঁশ, না বাজেগি বাসুরী। |-)

২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আইচ্ছা..........আপনের ১২ নং মন্তব্যের সংক্ষেপ উত্তর দেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা জিতনের পরও আমরিকা রাজা হয়া যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা জিতছে এইটা ঠিক না, জিতছিলো মিত্রশক্তি। আমেরিকা ছাড়া যদি মিত্রশক্তি কল্পনা করেন (মেইনলি বৃটেইন, ফ্রান্স, সোভিয়েত ইউনিয়ন) তাইলে তাগো অক্ষশক্তি (জার্মানী, ইটালী, জাপান) এর বিপক্ষে জয়ে সম্ভাবনা বেশ কম আছিলো। তাগো জয়টা নিশ্চিত হয় আমেরিকা মিত্রশক্তিতে যোগদানের পর। সেইজন্যই যুদ্ধের পরে পৃথিবীব্যাপী বৃটিশ সাম্রাজের অবসান হয়া আমেরিকান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়।

ইসরাঈলরে খাড়া করনের লেইগা ই আমেরিকার উৎপত্তি এইটা কি কইলেন? আমেরিকার উৎপত্তি হইছে ১৭৭৬ সালে। আর ইজরায়েলের জন্ম ১৯৪৮ সালে। এই জন্মের পিছনের কারন তো আপনের জানোনের কথা!!!

আর মুসলমান গো কথা কি কমু, না আছে ঈমান না আছে আমল বর্তমান দুইন্যায় সত্যিকারের মুসলমানের সংখ্যা লয়াই আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। ঈমান-আমল তো বহুত দূর কি বাত!!! আমার মতে সবরকমের শর্ত পূরণ করা ১০০% খাটি মুসলমান একজনও নাই। সব আমার মতোন ভুয়া!!! :-B

যান...........কইলেন যহন, ভুলচুক মাফ কইরা দিলাম!!! :P

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই লেখার কারণে আপনি হয়তো চ্যালচ্যালাইয়া বেহেশতে যাইবেন।

২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গেলে তো ভালোই হইতো, কিন্তু শকুনের দোয়ায় আদৌ কাজ হবে কিনা বুঝতে পারতেছি না!!!! =p~

১৫| ২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি রাজনীতি বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি কম বুঝি। তারপরেও কিছু মতামত দিচ্ছি।

শুধু ইরান না পৃথিবীতে বর্তমানে যে সব ইসলামী শক্তি আছে তারা সবাইই তাদের প্রকৃত শক্তি সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছে। শুধু জিহাদি জোশ দিয়ে এই বিশ্বে জেতা যাবে না। সামরিক শক্তি, নিজেদের মধ্যে একতা এবং রাজনৈতিক কৌশলের ক্ষেত্রে ইসলামী পক্ষসমুহ পিছিয়ে আছে। এটা তারা বোঝে না এবং না বুঝেই নির্বোধের মত নিজেদের শক্তি ক্ষয় করছে এবং শত্রুর ফাঁদে পা দিয়ে আরও পিছিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমান পৃথিবীতে কোন জোটের অংশ না হয়ে এককভাবে লড়াই করা সম্ভব না। ইরান সেটা বোঝে বলে মনে হয় না। যুদ্ধ লাগলে ইরানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে যোগ দেয়ার মত একটা দেশও নাই। রাশিয়া এবং চিন বড়জোর অস্ত্র দিবে। কিন্তু তাদের শত্রু পক্ষ একজোট এবং প্রয়োজনে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিবে। মদ্ধপ্রাচ্যে ইরান শুধু তার শত্রু তৈরি করেছে। অথচ তার উচিত ছিল সুন্নি দেশগুলির সাথে একটা সন্ধিতে আসা।

এই যুদ্ধে ক্ষতি বেশী হয়েছে ইরানের। তবে অ্যামেরিকা এবং ইসরাইল বুঝেছে যে ইরানকে ঘায়েল করা এতো সহজ না। অবশ্য ইসরাইলের জায়নবাদিরা মুলত জাতিগতভাবেই একটা হারামজাদা জাতি তাই এরা হয়তো আবারও নতুন কোন ফন্দি আঁটছে।

ইরান কেন ভারতকে এতো মিত্র মনে করে এটা আমার মাথায় আসে না। এটা ইরানের একটা আহাম্মকি বুদ্ধি ছাড়া আর কিছু না। ভারতের সরকার শুধু না ভারতের জনগণের একটা অংশ ইসরাইল বলতে অজ্ঞান।

ইরান ইসরাইলের কয়েকজন গুপ্চতরকে পাকড়াও করেছে। এই কাজ আরও আগে কেন করা হল না এটা একটা বিস্ময়। কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সে ইরান সম্ভবত অনেক পিছিয়ে। বর্তমান দুনিয়াতে দেশগুলি চালায় আসলে গোয়েন্দা সংস্থা। এটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ইরানের পারমাণবিক বোমা সংক্রান্ত ফতোয়াটা কোন কাজের ফতোয়া না। যার শত্রুর হাতে এই বোমা আছে তার জন্য বাঁচতে হলে পাল্টা একটা বোমা থাকা দরকার আছে।

ইরানের হাতে আজ পারমাণবিক বোমা থাকলে অ্যামেরিকা এবং ইসরাইল এতো সাহস করতো না। হাতির দুই ধরণের দাঁত থাকে। কিছু দাঁত খাওয়ার জন্য আর কিছু দেখানোর জন্য।

জাতিসঙ্ঘ পশ্চিমাদের একটা ক্লাব বা সমিতি যেটার মূল কর্ণধার হল ইউএসএ। আরব দেশগুলির শাসকরা মুনাফেক। আর জনগণের সিংহভাগ বেলিড্যান্স, হালাল পতিতালয় আর শাকিরার 'হিপস ডোন্ট লাই' নিয়ে ব্যস্ত।:)

আর বাংলাদেশের ইসলামী নেতাদের যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ বাইতুল মোকাররমে জুম্মার নামাজের পরে মিছিল নিয়ে এক চক্কর দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ। হেফাজতে ইসলাম হাসিনার দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পরে যে কাজ তারা করেছে সেটা হল হাসিনাকে কওমী জননী উপাধি দিয়েছে।

জোশ দিয়ে জেতা যাবে না। বুদ্ধি, কৌশল, একতা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়া জেতা যাবে না।

২৮ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সারা বিশ্বেই দেখবেন রাষ্ট্রক্ষমতায় বসা বিভিন্ন দেশের মুসলমান নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ধান্দায় ব্যস্ত। এরা নির্বোধ না, স্বার্থপর। এতোটাই স্বার্থপর যে, স্বার্থের জন্য এরা বিধর্মীদের সাথে হাত মিলায়ে নিজের ভাইদের পিঠেই ছুরি মারে। সূরা আল-হুজুরাতের ১০ নং আয়াতে বলা আছে, মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই; কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। এআই আমাকে জানাইলো, তাকওয়া (আরবি: تقوى) একটি ইসলামী পরিভাষা, যার অর্থ হলো আল্লাহকে ভয় করা এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকল প্রকার পাপ ও অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলা। এখন আমাকে বলেন, কোন মুসলিম নেতা এইটা ফলো করে? যার তাকওয়াই নাই, সে কতো ভাগ মুসলমান?

বর্তমান পৃথিবীতে কোন জোটের অংশ না হয়ে এককভাবে লড়াই করা সম্ভব না। ইরান সেটা বোঝে বলে মনে হয় না। আচ্ছা, ধর্মের কথা বাদই দেই, আমাদের বাংলা ভাষাতেই তো একটা প্রবাদ বাক্য আছে, দশের লাঠি একের বোঝা। এইটাই বা কে বোঝে? বর্তমানের বিশ্ব-রাজনীতিতে মুসলমানরাই মুসলমানদের পাশে নাই। বরং দেখা যায়, কিছু বিধর্মী মানবতাবাদী দেশ মুসলমানদের পাশে দাড়ায়। এরা দূর্বল দেশ, তারপরেও দাড়ায়। আর আমাদের সবল হারামজাদা রাজা-বাদশাহরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। আজকে চাবুক হাতে এমন একজন নেতা বা এমন একটা দেশ দরকার, যারা মুসলমানদের এই দূর্দশা দুর করতে পারবে। হারামী রাজা-বাদশাহদেরকে দৌড়ের উপর রাখবে। ইরান সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারতো। কিন্তু এরা গাধামী করে সেই সুযোগটাও নষ্ট করছে, যার মাত্র দুইটা উদাহরন এই পোষ্টে দিলাম। মেজাজ কি খামাখা খারাপ হয়, কন দেখি?

ইরানের সামনে এখনও সময় আছে আম্লীগের মতো ভারত-প্রীতি বন্ধ করার। ভারতের সাথে সব ধরনের চুক্তি বাতিল করে সব ভারতীয়দের পশ্চাদ্দেশে লাথি মেরে দেশ থেকে তাড়াতে হবে আগে। এরা এমন একটা জাতি, যারা যেই পাতে খায়, সেই পাতেই হাগে। তাও টয়লেটে না.........মাঠে-ঘাটে!!!! X(

আর ছলে-বলে-কৌশলে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা পরীক্ষামূলক পারমানবিক বিস্ফোরণ ঘটানো। তাহলেই সব পক্ষ তব্দা মেরে যাবে। এছাড়া আর উপায় নাই। কারন একবার যখন শুরু করেছে........ আজ অথবা কাল, আমেরিকা-ইজরায়েল আবারও হামলা করবে। নয়তো তাদের কথা মতোন চলতে হবে। আজীবন এইরকমের ঠুসঠাস চালানো ইরানের জন্য মোটেও লাভজনক না; কিংবা কোন সমাধানও না। ইতরদের কাছ থেকে ইতরামী ছাড়া আর কি আশা করা যায়?

আরেকটা কাজ ইরানকে জরুরী ভিত্তিতে করতে হবে। সেটা হলো চীন বা রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা, আর চীন বা তুরস্কের কাছ থেকে ফিফথ জেনারেশানের যুদ্ধ বিমান কেনা। দেখা যাক, হালার পো হালারা কি করে!!!! B:-/

১৬| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ! তবে আমার মনে হইলো ইরানের প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকায়, তাঁদের ব্যার্থতার আর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আপনি বেশ আশাহত ও কিছুটা রাগান্বিত!! B:-/ হওয়াটা মনে হয় স্বাভাবিক!!! তবে ইরান পরমাণু গবেষণায় কি সত্যিই দশ বছর পিছিয়ে পড়েছে? মার্কিন প্রথম সারির কিছু মিডিয়া আর এক্সপার্ট বিশ্লেষণ করলো বড়জোর ছয় মাস?? আর নিউক্লিয়ার ফেসিলিটি গুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত তা নিয়ে ও অনেক পশ্চিমা মিডিয়া অনেক দ্বিধাগ্রস্ত?

তবে ইরানের শত ব্যার্থতার মধ্যে আপনি কিন্তু অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারেন। ইরান মুলত একাই লড়েছে‌, বর্তমান প্রযুক্তি-গবেষণার শীর্ষে,‌ অর্থনীতি সমৃদ্ধ,‌ আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত গোটা পশ্চিমা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যেখানে শত অবরোধের মাঝে ও ইরানের মাত্র কয়েক দশকে নিজস্ব গবেষণায়-প্রযুক্তিতে ইসরাইলের এই সীমিত আক্রমণ ও কি খুবই নগন্য? ৯/১১ এরপর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য মত দেশে হামলার ভিক্টিম হয়, সেখানে কৌশলে ইসরাইল হয় নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ৪-৫ টা এয়ার ডিফেন্স ভেদ করে, অহংকারে গদগদ ইসরাইলি দের মনে কাঁপন ধরানো এই মিসাইল হামলা টা কিন্তু নিছকই তুচ্ছ বিষয় নয়?

মিলিটারি এক্সপার্টিরা বলছে- ইসরাইলে এত এয়ার ডিফেন্স ও নাই ইরানে যত মিসাইল বানিয়ে রেখেছে। ইরান মরন কামড় দেওয়ার মত কোন হামলা ইসরাইলের করছে বলে মনে হয় নাই। আমার মতে ইরানের সামর্থর ১৫-২০% শক্তি দিয়ে হয়তো ইসরাইলে হামলা করতে পারে। তবে আমার কিন্তু কখনো মনে হয় নাই এই কয়েক সপ্তাহের হামলায় বা নিউক্লিয়ার প্লান্টের আক্রমণে ইরানের রিজিম চেন্জ হবে বা যুদ্ধে হেরে যাবে।

"If the US could swallowed Iran in just two weeks, They would have swallowed Iran in long ago".



২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা জানি যে, ভারত আমাদের প্রশংসা করার মানে হলো আমরা ঠিক পথে নাই। আর সমালোচনা করলে আমরা ঠিক পথে আছি। কাজেই ভারতের যে কোনও কথা আমাদের তলিয়ে দেখা দরকার। প্রচুর বিচার-বিশ্লেষণ দরকার। তেমনি পশ্চিমা মিডিয়া ইরান সম্পর্কে যাই বলবে, আপনাকে তলিয়ে দেখতে হবে। তাদের কথা বিশ্বাস করার কোন কারন নাই।

কোম শহরের কাছে ফোর্দো প্ল্যান্টে বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলা হইছে ৬টা। আর পশ্চিমা এক্সপার্টরা বিশ্লেষণ করলো বড়জোর ছয় মাস পিছাইছে? হাইকোর্ট দেখায়? এই বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যই হলো আরো হামলার দরজা খোলা রাখা। যখন খুশী বলবে, আমরা কাম শেষ করতে পারি নাই, সো আবার হামলা করছি। ট্রাম্প তো ইতোমধ্যেই হুমকি দিছে, আলোচনায় বসো, নয়তো আরো হামলা। ইরান যদিও তাদের এনরিচড ইউরেনিয়াম সেখান থেকে সরায়ে ফেলেছে, কিন্তু ফ্যাসিলিটিজ তো ধ্বংস করা হয়েছে। বিষয়টা এমন যে আপনার কাছে রান্নার কাচামাল সবই আছে, কিন্তু যথাযথ রান্নাঘর নাই। এই যথাযথ রান্নাঘর তৈরী করতে তো সময় লাগবে, তাই না!!!

যেখানে শত অবরোধের মাঝে ও ইরানের মাত্র কয়েক দশকে নিজস্ব গবেষণায়-প্রযুক্তিতে ইসরাইলের এই সীমিত আক্রমণ ও কি খুবই নগন্য? ইরানের এই পারফরমেন্স আপনে খুশী হইতে পারেন, আমি না। আপনের যখন আরো ভালো করার ক্ষমতা আছে, তখন আপনে কম ভালোতে সন্তুষ্ট হইবেন ক্যান? মনে করেন, আপনের ছেলের প্রচুর মেধা, একটু খাটাখাটনি করলেই ফার্স্ট হইতে পারে। কিন্তু ঠিকমতো পড়ালেখা না করার ফলে খানিকটা নীচের দিকে থাকে। আপনে খুশী হইবেন? ইরান পাল্টা আক্রমনে যেই পারফরমেন্স দেখাইছে, আমি অবশ্যই খুশী, কিন্তু তারা ঠিকমতো কাজ করলে এই পাল্টা আক্রমনের তো দরকারই পরতো না। পোষ্টে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছি। এখন বোঝা না বোঝা আপনের ইচ্ছা!!!! ;)

If the US could swallowed Iran in just two weeks, They would have swallowed Iran in long ago. বর্তমান বিশ্বে যতো শক্তিশালীই হোক, একটা দেশ আরেকটা দেশরে গিলতে পারে না, কিন্তু যেই হাল করতে পারে, সেইটা গেলার থেকে কম খারাপ না। চোখের সামনে ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়ার অবস্থা দেখেন না? হালের ইউক্রেইন দেখছেন? তারপরেও এই ডায়লগ দেন কিভাবে? B:-)

১৭| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: চোখের সামনে ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়ার অবস্থা দেখেন না? হালের ইউক্রেইন দেখছেন? তারপরেও এই ডায়লগ দেন কিভাবে?
;)

ইরাক যুদ্ধের আগে আমেরিকার জাতীয় ঋণ ছিল জিডিপির ৫৫% এখন সেইটা ১২৫%।
এক আফগানিস্তানে ২০ বছরে আমেরিকান ঘাঁটির এসির বিল ছিল ২০ বিলিয়ন ডলার।
আচ্ছা!!! বাদ দেন!! শুধু এয়ার স্ট্রাইক করবো! বিটুবি এক ঘন্টা আকাশে উড়ার খরচ ১ লাখ ২৭ হাজার ডলার।
ইরানের মত একটি রিজওনাল থ্রেটের ক্ষেত্রে আমেরিকা কি সত্যিই আরো একটি যুদ্ধে জড়াবে?

তাছাড়া, মিথ্যা তথ্যের উপর ইরাকে আক্রমণ, সারাবিশ্ব যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় আমেরিকান টেক্সের
কাড়ি কাড়ি ডলার উড়ানোয় খুদ আমেরিকানরা এখন বিরক্ত। পশ্চিমা অনেক চ্যানেল আর টকশো
তে এখন (এইপেক) ইহুদি লবিষ্ট আমেরিকায় প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করে? চিন্তা করেন? ইরাক যুদ্ধ যে ইসরাইলের চাপিয়ে দেওয়া
তা এখন তাঁদের কাছে স্পষ্ট। যেই "পিয়ার্স মরগান" আগে অক্টোবর দ্যা সেভের্থ ইসরাইলিদের সমবেদনা জানিয়ে টকশো
শুরু করতো, সে এখন গাজায় জেনোসাইড,‌ ইসরাইলি নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করে??

মোটকথা,‌ ইসরাইলি/ইহুদিদের প্রভাব নিয়ে পশ্চিমারা এখন ভোকাল। ইসরাইলের কথায় ইরানে বড় স্কেলে সংঘাতে
যদি আমেরিকা যায় ও অভ্যন্তরীণভাবে অনেক চাপে পড়তে হবে।

২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শোনেন, যুদ্ধ করলে দুই পক্ষেরই ক্ষতি, এইটা সবাই জানে। এই ১২ দিনের যুদ্ধে ইজরায়েলের ক্ষতি এখন পর্যন্ত হিসাবে আনুমানিক ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার, আর ইরানের ২-৩ বিলিয়ন। ইরানের কম, এতে কি আপনে খুশী? ইজরায়েলের এই ক্ষতি পোষাইতে আমেরিকা আর ইওরোপ সাহায্য করবে। ইরানের ক্ষতি পোষাইতে কে সাহায্য করবে? তাইলে দিনশেষে ক্ষতি কার বেশী? এই যে হাজারখানেক ইরানে নিহত হইলো, হাজারখানেক ফ্যামিলি শেষ, এই ক্ষতি কার? মূল কথা, বড়লোকরা লক্ষ টাকার ক্ষতি পোষাইতে পারে, কিন্তু গরীবের হাজার টাকা ক্ষতি হইলে আর উঠে দাড়াইতে পারে না। কি বুঝলেন? সবচেয়ে বড় কথা, এই ক্ষতি এড়ানো ইরানের পক্ষে সম্ভব ছিল।

মোটকথা,‌ ইসরাইলি/ইহুদিদের প্রভাব নিয়ে পশ্চিমারা এখন ভোকাল। ইসরাইলের কথায় ইরানে বড় স্কেলে সংঘাতে
যদি আমেরিকা যায় ও অভ্যন্তরীণভাবে অনেক চাপে পড়তে হবে।
আপনি কোন দুনিয়ায় আছেন বুঝি না। সারা দুনিয়া নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার। নেতানিয়াহুর নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা আছে আন্তর্জাতিক আদালতে। খোদ আমেরিকা আর ইজরায়েলে তীব্র আন্দোলন হইছে। কোন লাভ হইছে? ডু দে রিয়েলী কেয়ার? যুদ্ধবাজ নেতাদের বহু ইস্যু আছে। যুদ্ধ বন্ধ করলে নেতানিয়াহু নিজ দেশেই বিপদে পড়বে। যুদ্ধ হইলো তার রক্ষাকবচ।

১৮| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমার তো মনে হয়েছিল যে ইরাণ আসলে কোন চুলই ছিড়তে পারবে না। বাস্তবেও কিন্তু কিছুই ছিড়তে পারে নি। কেবল বিল্ডিং ধ্বংশ করেছে। অন্য দিকে ইরানের জেনারেলদের বিজ্ঞানীদের মেরে ফেলল কী অবলিলায়! আর আমাদের দেশীয় পত্রিকা ফেসবুক আর ব্লগ পড়লে মনে হচ্ছে কী চুলই না ছিড়ে ফেলেছে!

২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে একটা ইস্যুকে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখার চেষ্টা করি।

ইরানের এই ১২ দিনের হামলায় একটা কাজ কিন্তু হয়েছে, যেটা নিয়ে আমি পোষ্টে কথা বলি নাই। কারন আমার আলোচনাটা মূলতঃ দুইটা ইস্যুতে ফোকাসড ছিল। লাভ যেটা হয়েছে সেটা বস্তুগত না, বরং মনস্তাত্ত্বিক। এটা ভবিষ্যতে কতোটা কাজে দিবে, সেটা সময়েই বোঝা যাবে। তবে বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন পশ্চিমা সমাজে মানসিক ব্যাপারটাকে কিন্তু খুবই প্রায়োরিটি দিয়ে দেখা হয়।

ইজরায়েলীদের মধ্যে যে ড্যাম কেয়ার ভাবটা ছিল, সেটা নষ্ট হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যুভয় ঢুকে গিয়েছে। তারা বুঝতে পারছে, ইজরায়েলে তারা আর আগের মতো নিরাপদ না। যে কোনও সময়ে হাজার মাইল দূর থেকে একটা মিসাইল এসে তাদের জীবন কেড়ে নিতে পারে। বাড়িঘর ছেড়ে তাদেরকে প্রতিনিয়ত আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতে হয়েছে। মাটির উপরে থাকতে সব সময়ে একটা চাপা আতঙ্ক তাদের পেয়ে বসেছে। এটা কিন্তু স্বাভাবিক জীবন-যাপন আর মনের উপরে প্রচন্ড চাপ তৈরি করে। তারা এতে একেবারেই অভ্যস্ত না।

বেশীরভাগ ইজরায়েলীর দ্বৈত- নাগরিকত্ব আছে। ফলে তাদের মধ্যে দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বেশীরভাগই বলেছে, তারা প্রতিনিয়ত এই চাপ নিয়ে থাকতে আবার ফিরে যেতে চায় না। সাইপ্রাসে ইতোমধ্যেই অনেকে জায়গা-জমি কিনে স্থায়ী হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। সেখানে অলরেডি একটা ইহুদি কমিউনিটি গড়ে উঠেছে যেটা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। তারা বলেছে, সাইপ্রাস যেন আবার দ্বিতীয় গাজায় পরিণত না হয়, সেইদিকে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে; আর এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইজরায়েলীদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া............ ইরানের মিসাইল হামলার এইটা একটা সাফল্য বলা যায়, কি বলেন!!! আমি সংক্ষেপে বললাম, আপনে চাইলে ঘাটাঘাটি করে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন। বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং!!!! :)

১৯| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৪৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ইজরায়েলীদের মধ্যে যে ড্যাম কেয়ার ভাবটা ছিল, সেটা নষ্ট হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যুভয় ঢুকে গিয়েছে। তারা বুঝতে পারছে, ইজরায়েলে তারা আর আগের মতো নিরাপদ না। কি ব্যাপার ভুয়া ভাই!!!! :P B:-) আপনে তো এই ফ্যাক্ট গনাই ই ধরলেন না।

আমার মন্তব্য ইসরাইলে এই স্বল্প হামলার ও ক্ষয়ক্ষতির এই বিষয়টি তুলে আনার চেষ্টা করেছি; যে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিউ ইয়র্কে, লন্ডনের মত শহর গুলো আক্রান্ত হয়, কিন্তু ইসরাইল ছিল সবসময় সেফ সেভেনে। এখন তারা বুঝতে পারছে যে তারা আর নিরাপদ না। কিন্তু আপনে তো তখন সন্তুষ্ট ছিলেন‌ না!!! :( ইরান‌ যদি আরো কয়েকদিন এই সামান্য বিল্ডিং ভাংইগা ইসরাইলে‌ হামলা চালাইতে পারতো; তাইলে নেতানিয়াহু সরকার অভ্যন্তরীণ ভাবে জনরোষের পড়তো। এখন গ্রীষ্মের তীব্র গরম, তার উপর তাদের লাইফস্টাইল কি উন্নত। এখন ই অলরেডি বিরোধীদল নেতা নাফতালি, তার পদত্যাগ নিয়ে শোরগোল শুরু করে দিছে।

আর এই স্বল্প মাত্রার সাংঘাতে কি ইরান তার সর্বশক্তি উজাড় করে ইসরাইলে হামলা করবে? এমন কি হওয়া উচিত; যদি নিজের অস্তিত্ব সংকটে না পড়ে। ইরানের নিজস্ব ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট ও নাই যে মিসাইলগুলো পিন পয়েন্ট একুরেশি নিয়ে টার্গেট হিট করবে?

আর আমেরিকা যতই বড়লোক ই হোক ইসরাইলের জন্য বড় স্কেলে যুদ্ধে জড়ানোর মত অর্থনৈতিক অবস্থায় তারা নাই। আপাতত এখন‌ তো নাই ই!! তারা একটা গ্লোবাল ফোর্স। সারা দুনিয়ার পুলিশের মত। ইউক্রেনে সংকট, আবার ইরানে যদি যুদ্ধে জড়ায় তাইওয়ান, কোরিয়া জাপান প্যাসিফিক সুরক্ষা দেওয়ার মত সামরিক আর আর্থিক কোন‌ অবস্থায় আর থাকবে না। ইনফ্লেশন, জব সংকট,‌ তারা নিজেরাই এখন জর্জরিত। কিয়ার স্টারমার, ম্যাকরন সবাই তো নিষেধ করছে ইরানে হামলা না করতে।

৩০ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরে সমস্যা...........আপনে পুরা পোষ্ট আর আমার সব মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিষয়টা না দেখে শুধু একটা খন্ডিতাংশ দেখলে হবে? সম্পূর্ণ বিষয়টা তো বিশাল একটা আলোচনার বিষয়। একটা ছোট্ট পোষ্টে কি সব আলোচনা বিস্তারিতভাবে করা সম্ভব? আমার পোষ্টের মূল বক্তব্যই তো ছিল যে, ইরান যদি বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করতো, তাইলে ১২ দিনের এই যুদ্ধই হতো না!!! বাকী সব তো কনসিকোয়েন্স।

দেখেন, একটা যুদ্ধ হলে দুই পক্ষের সবকিছু চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে কিছু নেগেটিভ দিক যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি কিছু পজিটিভ দিকও পাওয়া যাবে। কিন্তু সেইসব তো পরের কথা। ইরান নিশ্চয়ই ইজরায়েলীদের মনোজগতে আন্দোলন তোলার জন্য পাল্টা হামলা করে নাই, করেছে প্রতিশোধ নেয়া জন্য। এসব হলো এই যুদ্ধের বাই প্রোডাক্ট!!!! সেই জন্যই বলেছি, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মধ্যে কোন সার্থকতা নাই। নিজের নাকটা বাচানো জরুরী আগে।

এখন ই অলরেডি বিরোধীদল নেতা নাফতালি, তার পদত্যাগ নিয়ে শোরগোল শুরু করে দিছে। এই নাটক এখন না, গত ১০ বছর যাবৎই চলে আসছে। তাতে এখন পর্যন্ত কি নেতানিয়াহুর একটা চুলও বাকা করা গেছে? সাধারন ইজরায়েলীরা নেতানিয়াহুর পদত্যাগের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে আর সোশ্যাল মিডিয়াতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

আর আমেরিকা যতই বড়লোক ই হোক ইসরাইলের জন্য বড় স্কেলে যুদ্ধে জড়ানোর মত অর্থনৈতিক অবস্থায় তারা নাই। এই বয়ানও দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত, তাতে আমেরিকার কোন কাজটা থেমে আছে? বাইডেনের সময়েও ইউক্রেইনকে সাহায্য করা নিয়ে সাধারন আমেরিকানরা সোচ্চার ছিল। এইসব পয়েন্টগুলো তখনও আলোচনাতে ছিল। ট্রাম্প নিজেও এসব নিয়ে তখন কথা বলেছে। এখন সে নিজেই বাইডেনের মতো একই ধরনের কাজ করছে। আপনি নিশ্চিত থাকেন, আমেরিকার আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সাধারন আমেরিকানরা করতেই থাকবে, আর আমেরিকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা এইসব কর্মকান্ড চালিয়েই যাবে। এই সকল নাটককে গুরুত্ব না দিয়ে পপকর্ণ খান আর দেখতে থাকেন!!! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.