নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অচল নোটে ছেয়ে গেছে দেশ।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২১




এখন দেশে অচল টাকার প্রবাহ বেশী। ছিড়া, কসটিভ দেওয়া, ঘামে দুর্বল হওয়া ছিড়া টাকা এর প্রবাহ বেশী। বাংলাদেশের টাকা টাকশাল ছাপালেও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে উক্ত প্রতিষ্ঠান টাকা ছাপায়।

হিসেবে টাকা ছাপায় বাংলাদেশ ব্যাংক। আমার বাপ, তমুকের বাপ টাকা ছাপায় না। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকই টাকা ছাপিয়ে ডিসট্রিবিউশন করে, সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত, পুরাতন নোট ফেরত নিয়ে সম পরিমান নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া।

এই ব্লগের প্রেক্ষাপট:

০১। আম্মু আমার মামাকে কিছু টাকা পাঠাবে। সেই টাকা নিয়ে আমি ব্যাংকে যাই। ইদুরে একটি টাকা খুব খারাপ ভাবে নষ্ট করে। তাই একট নোট তারা নিবে না। আমি ক্যাশিয়ার কে বললাম “আপনি এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এক্সচেইন করেন।” তিনি রিপ্লাই দিলেন যে, “এমন ১০০টি নোট জমা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সচেইন করে না।” এই টাকা নিয়ে দুই তিনটি ব্যাংকে গেলাম। সবাই একই কথা বলে। এখন এই নোট তো আমি ছাপাই নাই। এই নোট ছাপাইছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেহেতু আইনগত ভাবে টাকা ছাপাতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিৎ এই অচর টাকা ফেরত নিয়ে এর সমপরিমান টাকা ছাপানো। পরে বাধ্য হয়ে গুলিস্থান থেকে ৫০০ টাকার সেই নোট এর বিনিময়ে ৪৫০ টাকা পেয়েছিলাম। যাতায়াত ভাড়া তো আলাদা।

গুলিস্থান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফ, অফিসার গর্ভনর কমিশন পায় কিনা দেখতে হবে।

০২। কোন একদিন কোন এক কাজে ১০ টাকার ২ টা ভান্ডেল দরকার ছিলো। এই ১০ টাকার ভান্ডেল এর মধ্যে ৪০% ছিলো ব্যাবহারের অযোগ্য। আমার প্রশ্ন। এসব অচল টাকার পরিবর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক সম পরিমান নতুন নোট সাপ্লাই দেয় না কেন? গুলিস্থান থেকে কমিশন পাইলে তো তফসিল ভুক্ত ব্যাংকে নতুন নোট যাবে না। সব নতুন নোট গুলিস্থান বিক্রি হবে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমাকে ছেঁড়াফাড়া টাকা গছিয়ে দেয়। এখন দেখেটেখে নিই। আপনিও একটু সতর্ক থাকবেন টাকা নেওয়ার সময়।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন?

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ডিপার্টমেন্টের লোকগুলো প্রচন্ড অসৎ তারা টাকা ছাড়া নতুন টাকা দেয়না; গুলিস্থানে তাদের লিঙ্ক আছে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: দেশ চালাচ্ছে অচল মালরা।নোট আসল হবে কি করে।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬

নাহল তরকারি বলেছেন: দেশ এখন অচল আমলাদের নিয়ে। তো আমার কি? ছিড়া, দুর্বল টাকা চালাতে সমস্যা।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: পুরা দেশটাইতো অচল। সেখানে নোট এর কথা বলে আর কি লাভ।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

নাহল তরকারি বলেছেন: অচল টাকা তো রিক্সাওয়ালা নেয় না। দোকানদার নেয় না। ব্যাংক ও নেয় না। এখন কি যে করি!!

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৪১

নতুন মেসাইয়া বলেছেন:



জাতির এই সমস্যাটা আপনি বুঝতে পেরেছেন, ইহা ১টি বিশাল অবদান। আপনি ইহার সমাধান করুন, নতুন টাকা প্রিন্ট করে বাজারে ছাড়ুন।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

নাহল তরকারি বলেছেন: টাকা ছাপানোর আদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দিতে পারেন। আপনি তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভবন না। এই আদেশ দেবার জন্য আপনাকে পুলিশে দেওয়া উচিৎ।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: নগদ টাকা একদম বন্ধ করে দেওয়া দরকার। সব কিছু হবে কার্ডে এবং বিকাশে।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯

নাহল তরকারি বলেছেন: একদিন হয়তো কার্ডে সব হবে.....।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


রাজীব নুর বলেছেন: নগদ টাকা একদম বন্ধ করে দেওয়া দরকার। সব কিছু হবে কার্ডে এবং বিকাশে।

এটিএম ভিসা কার্ড ঠিক আছে।
তবে বিকাশ নয়।
আমি দেশে গিয়ে বিকাশ নিয়েছিলাম।
তারা আমার ১২০০ টাকা মেরে দিয়েছে।
আমার কাছে আমার ১২০০ টাকার দাম আছে।
তাদের কাছে না থাকতে পারে।
বিদেশে এ ধরনের অপকর্ম কেউ কল্পনাও করতে পারে না।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪০

নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: @ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,

আমি দেশে গিয়ে বিকাশ নিয়েছিলাম।
তারা আমার ১২০০ টাকা মেরে দিয়েছে।


আপনার এই কথা কেমন যেন আজগুবি টাইপের মনে হচ্ছে। বিকাশ মেরে দিয়েছে এরকম কথা এই প্রথম শুনলাম। আমি শুরু থেকে বিকাশ ও কার্ড ব্যবহার করি এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। যদি প্রতারক চক্রে পরেন সেটা আলাদা কথা।

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪১

নাহল তরকারি বলেছেন: বিকাশ টাকা মারে নি। প্রতারক চক্র টাকা মেরে দিয়েছে।

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই সমস্যায় আমি অনেকদিন ধরেই পড়ছি। এই জন্য উচিত আমাদের বেশী বেশী ক্যাশলেস সিস্টেমে যাওয়া। আর ৫ লাখের উপর ক্যাশ ক্যারি করাও নিষিদ্ধ করা উচিত। কোন বন্ড বা কিউআর কোড সিস্টেম করা যেতে পারে। তাহলে ছেঁড়া নোট কম থাকবে বান্ডেলে। আর অন্য ব্যাংকে গেলেও সমস্যায় পড়তে হবে না...

১২ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪২

নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট।

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০৬

লোকমানুষ বলেছেন: আসলেই সমস্যাটা দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপানোর একমাত্র কর্তৃপক্ষ, অথচ নষ্ট বা অচল নোট বদলানোর দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ যখন ব্যাংকে যায়, তখন তাদেরকে নষ্ট নোট বদলাতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। "১০০ নোট জমা দিতে হবে"—এমন শর্ত কেন? একজন গরীব মানুষ যদি একটিমাত্র নষ্ট নোট নিয়ে যায়, তার টাকাটা কি হার মানবে? ব্যাংকগুলো যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশেই চলে, তাহলে এই অচল নোট ফেরত দিয়ে নতুন নোট পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ ও দ্রুত হওয়া উচিত।

গুলিস্থানের দোকানদাররা যেখানে ১০-১৫% কমিশন কেটে নিচ্ছে, সেখানে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক—এটা কি কোনো সিন্ডিকেটের খেলা? নতুন নোটগুলো যদি সত্যিই ব্যাংকিং চ্যানেলেই সঠিকভাবে বিতরণ হতো, তাহলে সাধারণ মানুষকে গুলিস্তানের দালালদের দ্বারস্থ হতে হতো না। ১০ টাকার নোটের ভাঁড়ে অর্ধেকই যদি ব্যবহারের অযোগ্য থাকে, তাহলে অর্থনীতির চাকাটা কীভাবে সচল থাকবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত, নষ্ট নোট সংগ্রহ ও প্রতিস্থাপনের জন্য একটি স্বচ্ছ ও সহজ প্রক্রিয়া চালু করা। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ন্যূনতম পরিমাণ নোট বদলানোর সুযোগ রাখা দরকার, যাতে মানুষকে ঘুরতে ঘুরতে সময় ও অর্থ নষ্ট না করতে হয়। নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করে এই ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি—নইলে অচল টাকার পাহাড় বাড়তেই থাকবে, আর সাধারণ মানুষই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.