| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়
গুমের শিকার ব্যক্তিদের অতি ক্ষুদ্র কক্ষের ছবিটি বিবিসি ডটকম থেকে নেওয়া।
পরিচিতি
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্তের শাসনকালে গুমের ঘটনাগুলো একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এই সময়ে শত শত মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিক অন্তর্ভুক্ত। এই গুমগুলো প্রায়শই নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা রাষ্ট্রীয় স্তরের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। পরিবারগুলোর জন্য এটি একটি অসহ্য যন্ত্রণা, কারণ তারা জানতে পারেন না যে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি জীবিত আছেন কি না। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুম তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে, যা এই ঘটনাগুলোর সত্যতা উন্মোচনের দিকে একটি পদক্ষেপ। এই রিপোর্টটিতে তথ্যভিত্তিক সোর্স থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গুমের পরিধি, প্রভাব এবং বর্তমান অগ্রগতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গুমের পরিধি এবং পরিসংখ্যান
শেখ হাসিনার শাসনকালে গুমের ঘটনাগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০৮টি গুমের কেস রেকর্ড করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এর ২০২১ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রায় ৬০০ জনকে নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮৬ জন এখনও নিখোঁজ। বাংলাদেশী মানবাধিকার সংস্থা ওধিকারের তথ্য অনুসারে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে গুমের সংখ্যা ৭০৯টি ছাড়িয়ে গেছে, এবং কমিশন অব ইনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিস্যাপিয়ারেন্সেস (সিওআইইডি) এর রেকর্ডে এটি ১,৭৫২টি পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই ঘটনাগুলোতে অনেককে হত্যা করা হয়েছে, যেমন অ্যামনেস্টির ২০১৪-১৫ রিপোর্টে উল্লেখিত ২০টি কেসের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ২০২৪ সালে হাসিনার পতনের পর কমপক্ষে ৩ জন গুমের শিকার ফিরে এসেছেন, কিন্তু অনেকের ভাগ্য এখনও অজানা। বিবিসির তদন্তে উঠে এসেছে যে গুমের শিকারদের মধ্যে বিরোধী দলের সদস্যরা বেশি, এবং এটি একটি "ক্লাইমেট অব ফিয়ার" তৈরি করেছে। নেত্র নিউজের রিপোর্টে গুমের সঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (আরএবি) এর সংযোগ তুলে ধরা হয়েছে, যা একটি "ডেথ স্কোয়াড" হিসেবে পরিচিত। Bangladesh: Signing of Convention on Enforced Disappearances is a much welcome first step, “Where No Sun Can Enter”, New rulers, old killers: Bangladesh extrajudicial deaths mount under Yunus, Dozens of people were forcibly disappeared, Hasina’s gone, but fate of Bangladesh’s forcibly disappeared uncertain, 'Enforced disappearances' haunt Bangladesh, A “death squad” in blue helmets
নির্দিষ্ট কেসের উদাহরণ
গুমের ঘটনাগুলোতে উল্লেখযোগ্য কেস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এম ইলিয়াস আলী, আমিনুল ইসলাম, আমান আজমী, মীর আহমদ এবং হুম্মাম চৌধুরীদের মতো ব্যক্তিদের গুম উইকিপিডিয়া এবং অন্যান্য সোর্সে তালিকাভুক্ত। বিবিসির ডকুমেন্টারিতে "আয়নাঘর" নামক গোপন জেলের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে শতাধিক লোককে আটকে রাখা হয়েছিল। আল জাজিরার ভিডিওতে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার দেখা যায়, যেখানে তারা বলেন যে ৬০০+ লোক গুম হয়েছে এবং কিছু ফিরলেও ভয়ে কথা বলেন না। ইউটিউবে "দ্য মাদার অ্যান্ড দ্য মনস্টার" ডকুমেন্টারিতে গুম, যন্ত্রণা এবং অতিরিক্ত বিচারবহির্ভূত হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। আরেকটি ইউটিউব ভিডিওতে "ফাইভ ইয়ার্স উইদাউট ডেলাইট" শিরোনামে গুমের শিকারদের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। Click This Link His memories uncovered a secret jail - right next to an international airport, ‘Wait never ends’ for families of the forcibly disappeared in Bangladesh, 101 East Documentary, Five years without daylight: Bangladesh’s forced disappearances • FRANCE 24 English
পরিবার এবং সমাজের উপর প্রভাব
গুমের শিকার পরিবারগুলো একটি অসহ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে। আল জাজিরার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে "দ্য ওয়েট নেভার এন্ডস", কারণ পরিবার জানে না যে ব্যক্তি জীবিত কি না। বিবিসির সাক্ষাৎকারে ভিকটিমরা বলেন যে তারা ভয়ে থাকেন, কারণ তাদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনাগুলো সমাজে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে, যা বিরোধী মত প্রকাশকে দমিয়ে রাখে। অ্যামনেস্টির রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে পরিবারগুলো থানা, পুলিশ বা আদালত থেকে তখন কোনো সহায়তা পায়নি। ‘Wait never ends’ for families of the forcibly disappeared in Bangladesh, BBC News, Bangladesh: Reveal whereabouts of disappeared journalist, end repression
রাষ্ট্রীয় ভূমিকা এবং অভিযোগ
গুমগুলোতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর একাধিক ইউনিট জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই ছিল। নেত্র নিউজের তদন্তেও তা উঠে এসেছে। এইচআরডব্লিউ ইউএন তদন্তের দাবি করেছে। বিবিসির রিপোর্টে "সিক্রেট জেল" এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়েছে, যেখানে ভিকটিমরা বছরের পর বছর আটক ছিল। A “death squad” in blue helmets, HRW calls for UN probe into Bangladesh ‘enforced disappearances’, 'The howls were terrifying': Imprisoned in the notorious 'House of Mirrors'
কমিশনের অগ্রগতি
২০২৪ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার গুম তদন্তের জন্য সিওআইইডি গঠন করে, যার ম্যান্ডেট ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কমিশন শেখ হাসিনাকে ৩,৫০০+ গুমের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ফরটিফাই রাইটসের তথ্যে ১০ জন সারভাইভারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালে "এনফোর্সড ডিস্যাপিয়ারেন্স প্রিভেনশন অ্যান্ড রিড্রেস অর্ডিন্যান্স" পাস হয়েছে, যাতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। Bangladesh: Ensure Accountability for Enforced Disappearances, Provide Reparations for Survivors and Victims’ Families, Sheikh Hasina involved in forced disappearances, says Bangladesh probe panel, Govt okays draft ordinance on enforced disappearance with capital punishment,
উপসংহার
শেখ হাসিনার শাসনকালে গুমের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের মানবাধিকারের একটি কালো অধ্যায়। কমিশনের কাজ অগ্রসর হলেও, পূর্ণ ন্যায়বিচার এখনও অনেক দূরের পথ। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা এবং স্বচ্ছ তদন্ত দরকার। এই রিপোর্টটিতে ভিকটিমদের কণ্ঠস্বর জোরালেভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা কোন দিন এদেশের মাটিতে আর কেউ ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
না, পুরোপুরি জানি না। একটু বিস্তারিত বলেন। এই বিষয়ে আমার জানার ইচ্ছে। আমি চাই, গুমের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক। পরিবারের সদস্যরা অপহৃতকে ফেরত না পেলেও (মেরে ফেলা হয়ে থাকলে) অন্ততঃপক্ষে যেন এটুকু জানতে পারেন যে, তাদের প্রিয়জন নেই। তাকে আর তারা কোন দিন ফেরত পাবেন না।
এতে করে তাদের অনিশ্চয়তাজনিত মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে। তাদের জীবন কিছুটা হলেও সহজ হবে। আমি মনে করি, এটা খুবই জরুরি।
ধন্যবাদ।
২|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেখ হাসিনার কালো অধ্যায় নিয়ে এমন ধারাবাহিকভাবে কথা বলতে থাকলে এক সময়ে আপনি নিজেই কালো হয়ে যাবেন........মানে লিটারেলি ব্ল্যাক!!! দরকার কি?
ভারত হাসিনাকে এমনিতেই ফেরত দিবে না। আপদটা ওই দেশেই জ্বলে পুড়ে মরুক, মোদির ঘরণী হয়ে। ইউ ডোন্ট গিভ এ শিট এনি মোর!!!! ![]()
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন। ইদানিং আমি এমনিতেই আস্তে আস্তে কালো হয়ে যাচ্ছি।
এটা লিখতাম না। একজনকে বলতে দেখলাম, গুম নাকি তখন তেমন একটা হয়নি। সেই জন্য এই পুরনো প্যাচাল আবার সামনে নিয়ে আসতে হলো বলে দুঃখিত! আসলে আমরা পুরনো মনে করলেও, আমাদের কাছে গুমের আলোচনা বিরক্তিকর মনে হলেও যাদের পরিবারের কেউ গুম হওয়ার পরে এখনও ফিরে আসেননি, তাদের কাছে এগুলো এখনও দগদগে ক্ষতের মত হয়ে আছে। তাদের এই আলোচনা প্রতিদিন দরকার। প্রতি প্রহরে দরকার। যতক্ষণ না তাদের পরিবারের প্রিয়জন, আপনজন ফিরে না আসে ততদিন, ততক্ষণ দরকার।
ভারত হাসিনাকে এমনিতেই ফেরত দিবে না। আপদটা ওই দেশেই জ্বলে পুড়ে মরুক, মোদির ঘরণী হয়ে। ইউ ডোন্ট গিভ এ শিট এনি মোর!!!! ![]()
-দ্বিমত করি কোন সাহসে! আপনার কথার অনেক মূল্য আমার কাছে। ![]()
৩|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: গুম তো আর শেখ হাসিনা করে নাই।
সে ছিলো উন্নয়ন কাজে ব্যস্ত।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
একেবারেই সইত্য খতা। একগান হাচা খতা কইছুইন। পরানডা জুরাইয়া গেল। হুদাই মানুষ তারে দোষারোপ করে। আইচ্ছ্যা, কন, এইসব করলে কি কোন লাভ অইবো? দ্যাশের কোন উন্নতি অইবো?
৪|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩০
নতুন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: গুম তো আর শেখ হাসিনা করে নাই।
সে ছিলো উন্নয়ন কাজে ব্যস্ত।
![]()
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবচেয়ে বেশি গুম হয়েছে বামেরা । এটা কি আপনি জানেন ?