নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I want very active debate
১৯৮৮র ভয়াবহ বন্যার বিষয়ে আমরা কম-বেশী জানি ও মনে করতে পারি। বন্যা কবলিত বাসিন্দাদের পানি বন্দী, বিশুদ্ধ পানির কষ্ট, পয়নিস্কাশন, চলাচল, রোগবালাই সহ নানাবিধ সমস্যা হয়। এরপর আসে ১৯৯৮ ও ২০০৪ ব্যাপক ভয়াবহ বন্যা। এর মধ্যে ৯৮র বন্যা ছিল রীতিমত তান্ডব। প্রায় ৩ মাসেরও বেশী এই বন্যা স্থায়ী হয়। বরাবরে মত সারা দেশের সাথে ঢাকার বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্থ হন। তবে ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলের সিংহভাগ বাসিন্দারা ভাগ্যবান(তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী ও নিম্নাঞ্চল ব্যাতীত) যে তাদের এই দুই দুইটি বড় বন্যার(১৯৯৮ ও ২০০৪) জন্য বড় সমস্যায় পড়তে হয় নাই। ১৯৮৮র বন্যার পর পরই এরশাদের আমলে ঢাকা শহড়ের পশ্চিমাঞ্চল বন্যা রক্ষাকারী বাধের নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই বাধই ১৯৯৮ ও ২০০৪র বন্যাদ্বয় কে সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে। কিন্তু সবুজবাগ থানা, খিলগাও থানা, বাড্ডা ও উত্তরা থানা সহ তথা ঢাকার পূর্বাঞ্চলের মানুষের পরবর্তী এই দুই বন্যায় ব্যাপক র্দূভোগের সম্মুখীন হতে হয়।
১৯৯৮র বন্যার পর ঐ সময়ে প্রথমবারের মত হওয়া প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঢাকার পূর্বে বালু নদীতে (স্পীড বোটে) পূর্বাঞ্চলীয় বাধ রক্ষার বিষয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে। বিষয়টা এডিবি, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরে। শুধু অর্থায়নই না বরং কারিগড়ি বিষয়ে ব্যাপক সহযোগীতা প্রয়োজন। কিন্তু যেকোন কারণেই হৌক হাসিনার প্রথম আমলে এই বাধ নির্মাণ করার কোন প্রোগ্রাম নেওয়া হয় নাই। ফাইলবন্দী হয়েই ছিল। এরপর যখন ২০০৪ সালে বন্যা হয় তখনও খালেদ জিয়ার দ্বিতীয় আমলেও অনেক শোরগোল হলেও শেষপর্যন্ত কোন কাজই হয় নাই। আর যথারীতি আমাদের মৌসুম নির্ভর হুযুগ উঠা ছাড়া সাধারণ ভাবে ভবিষ্যতে কি বন্যা বা অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে কোন কার্যকর উদ্যোগ নাই(সুমুদ্রের সাইক্লোন ব্যাতীত)। সেই প্রায় ১২ বছর পার হয়ে গেছে ২০০৪র বন্যার পর। এর মধ্যে কোন বড় বা ব্যাপক বন্যা হয় নাই। তাই ঢাকার পূর্বাঞ্চলীয় শহড় রক্ষাকারী বাধের বিষয়ে কোন তোড়জোরও নাই। এখন যদি ২০১৭র বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয় তখন ঢাকার পূর্বাঞ্চলের মানুষের কি অবস্থাটা দাড়াবে সেটা ভাবতেই দূঃস্বপ্নের মত মনে হয়। ১৯৯৮তে ৩ মাস আর ২০০৪এ প্রায় ৩ সপ্তাহের মতন কষ্ট করছি। এরই মধ্যে ঢাকার পূর্বের অনেক খাল, বিল, লেক, জলাশয় ভারট হয়ে গেছে। এখন ঢাকার লোক সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। পূর্বাঞ্চলে যদি ৭৫ লক্ষ হয় তার মধ্যে ৬০-৬৫ লক্ষ লোক এই র্দূদশার মধ্যে পড়বে।
তাই বলছিলাম যা দেড়ী হওয়ার হইছে। এখনই বালু নদীর পশ্চিম পার্শ্বে তথা ঢাকা পূর্বাঞ্চলীয় বাধ নির্মাণের জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হৌক। যেভাবে পশ্চিমপার্শ্বে বিভিন্ন পাম্প হাউজ, লেগুনা ও স্লুইস গেইট নির্মাণ করে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন করা হয় একই ভাবে কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলের জন্যও করা হউক। সেই সাথে উভয় পার্শ্বের পাম্প গুলির জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যাবস্থাও প্রস্তুত রাখা হউক। তাতে জাতীয় গ্রীডে কোন সমস্যার জন্য যেন বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন ব্যাবস্থা ব্যাহত না হয়। সেই সাথে ঢাকা শহড়ের চারিদিকের নদী নিয়মিত ড্রেজিং সহ বাধ ও স্লুইস গেইট-পাম্প সমূহের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। বর্তমান বিশ্ব সিংহভাগই নগর কেন্দ্রিক। তাই ঢাকার পূর্বাঞ্চলও বর্ষা মৌসুমে বন্যা মূক্ত থাকুক সেটাই কাম্য!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৯
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আমাদের অনেকের মেমরী গোল্ড ফিশের মত কিনা তাই ছবি দিতেই হইল!
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০
ভারসাম্য বলেছেন: ভাল পোস্ট, কিন্তু এই অসময়ে কেন!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই বর্ষার বা বন্যার সময় এই পোষ্ট দিলেই কি সহজে কিছু হবে? সেই ২০০৪র বন্যার পর পরই ঢাকার পূর্বাঞ্চল রক্ষাকারী বাধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। সেই যাই হৌক আমি দিছি ভবিষ্যতে মনের তাগিদে আপনেও এই বিষয়ে পোষ্ট দিবেন। ঢাকা আমাদের সবার রাজধানী।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
জগতারন বলেছেন:
এ তো দেওখছি ছবিতে কথা বলছে !!!!