নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I want very active debate
বিগত প্রায় ১০ মাস ধরে কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাসের দরুণ সারা বিশ্বে মহামারী চলছে সেটা আমরা সবাই জানি। তাই এই ২০২০টা ইতিহাসের পাতায় মহামারীতে আক্রান্ত দুনিয়া হিসেবই রেকর্ডে থাকবে। কিন্তু উন্নয়শীল দেশ হিসেবে এই কোভিড-১৯ দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা কতটা নাজুক! করোনাভাইরাসের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়ায় মানুষের ফুসফুসের কার্যকরিতা ও শ্বাস কষ্ট। যখন ফুসফুস পর্যাপ্ত ভাবে নিশ্বাস নিতে পারে না তখন সেটা অটোমেটিকালি হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। তখন রক্তে অক্সিজেন সরবারাহ ঠিক রাখতে হার্টকে অতিরিক্ত পাম্প করতে হয় আর যার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যায়। তখনই সেই রোগীদের কৃত্রিম শ্বাস প্রশাসের জন্য অক্সিজেন দেওয়া সহ আরো কিছু জটিল পরিস্থিতিতে Intensive Care Unit (ICU)তে নিতে হয়। র্দূভাগ্যের বিষয় যে বাংলাদেশ ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলার সরকারী হাসপাতাল গুলিতে ICU আছে। মানে বাকী ৪৭টা জেলাতেই কোন ICU নাই।
জটিল করোনা রোগীর চিকিৎসা: ৪৭ জেলায় নেই আইসিইউ
view this link
এখন শুধু যে করোনাভাইরাস বা অন্যকোন মহামারী রোগই না বরং ICUতে হার্ট এটাক, এজমা, লিভার, কিডনী ও বিভিন্ন র্দূঘটনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিদেরকে জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট দেওয়া যায়। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ জনগণই সীমিত আয়ের মানুষ। সেই ক্ষেত্রে সরকারী হাসপাতাল গুলির ICUই প্রয়োজনে ভরসা। বেসরকারী এক একটা হাসপাতালে ICUর জন্য ২৪ ঘন্টায় তারা রুগী প্রতি চার্জ করে ১৫০০০ থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত;
view this link
কাজেই বোঝা যায় বাকী ৪৭টি জেলার সরকারী হাসপাতাল গুলিতে পর্যাপ্ত ICUর ব্যাবস্থা করা কত অপরিহার্য!
এর আগেও বলেছিলাম যে বাংলাদেশে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা সুশৃঙ্খলবদ্ধ করতে জাতীয় স্বাস্থ্য ডেটাবেজ করা হবে কবে? সেটা ২০১৭র কথা;
view this link
সেই ২০০৯ সালেই সরকার বলে আসছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে। স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রের মতই স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার তথ্য সম্বলিত একটি ব্যাবস্থা করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই বিষয়ে বিগত প্রায় ১২ বছরেও কোন উদ্যোগ তো দূর নিদানপক্ষে কোন সার্ভেও হয় নাই। বেশ কয়েক মাস আগে ভারতে এই উদ্যোগ নেওয়া হইছে;
India is getting its first public healthcare record system to track the health of all citizens!
view this link
বলাই বাহুল্য এর মাধ্যমে রোগীর অতীত স্বাস্থ্য অবস্থা, কি কি টেষ্ট ও ওষুধ এবং ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হইছে তা সাথে সাথেই কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক সেটা জানতে পারবে। তাতে রোগীদের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং ডাক্তারদেরও রোগীর রোগ বা সমস্যা বুঝা সহজ হবে। আশা করি বাংলাদেশ সরকার এই মহামারীর সময়ও বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিবে। সেই সাথে দেশের সচেতন মানুষকেও সময়ে সময়ে বিষয়টি সরকারকে স্মরণ করানো সহ দাবী করতে হবে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৯
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু আদৌ কি বাংলাদেশে এই ধরণের ডেটাবেইজ রাষ্ট্রীয় ভাবে করার উদ্যোগ নিছে এখন পর্যন্ত?
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
আমি সাজিদ বলেছেন: জাতীয় স্বাস্থ্য ডাটাবেজ করলে স্বাস্থ্যসেবার মান একলাফে অনেকগুন বেড়ে যাবে। আমাদের দেশের ডাক্তাররা গুনে মানে বিদেশী ডাক্তারদের চেয়ে কোন অংশে কম নন কারন আমাদের দেশে রোগীর সংখ্যা ও রোগের সংখ্যা অনেক। শুধু দরকার আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ ছাড়া সঠিক ব্যবস্থাপনা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আপনার সাথে বহুলাংশেই একমত, ধন্যবাদ!
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ।
জয় বাংলা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩০
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: ঠিক বলেছেন সুন্দর আলোচনা