![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে যেই মথ নিয়ে আলোচনা করব তার নাম হিকোরি হর্ণড ডেভিলস (hickory horned devils)।চিত্রঃ একটি পূর্ণাঙ্গ হিকোরি হর্ণড ডেভিলস মথ।
এই মথ ভরের দিক থেকে মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় মথ।
এদের ডিম সাধারণত ২-৩ মি.মি. হয় এবং দেখতে হয় হালকা হলুদ বর্ণের হয়। এই মথেরা সাধারণত ওয়ালনাট অথবা হিকোরিস জাতীয় গাছের পাতার উপরিভাগে একটা ডিম অথবা ডিমের গুচ্ছ আকারে ডিম পাড়ে।
চিত্রঃ মথের ডিম।
৭-১০ দিন থাকার পর ডিমগুলো কালো লার্ভায় পরিণত হয় এবং ডিম থেকে বেড়িয়ে আসে। লার্ভার পরের ধাপের নামকে বলা হয় ক্যাটারপিলার দশা। এই দশার শুরুর দিকে তারা একাকী শুধুমাত্র রাতে খাবার গ্রহণ করে। তারপর তারা খোলোস বদলায় এবং এখন থেকে তারা দিনের বেলায়ও খাবার গ্রহণ শুরু করে। তারা মোট পাঁচবার খোলোস বদলায় এবং প্রতিবারই তাদের আকার বাড়তে থাকে। পঞ্চমবার খোলস বদলানোর পর তারা আকারে অনেক বড় আর সবুজ বর্ণের হয় এবং কালো কালো শিং এর মত মোটা কতকগুলো সুড় গজায় মাথার দিকে আর এটাই তাদের এমন বিদিঘুটে নাম রাখার কারণ। এই ক্যাটারপিলার দশায় থাকাকালীন সময় (৩৭-৪২ দিন) তারা প্রচুর পরিমান খাদ্য (পাতা) গ্রহণ করে কারণ এই খাওয়াই তাদের জীবনের শেষ খাওয়া !! এই সময় তারা প্রায় ১৫ সে.মি. বা ৫.৯ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
চিত্রঃ ক্যাটারপিলার দশার বিভিন্ন সময়ের ছবি।
তারপর তারা খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং পূর্ণাঙ্গ মথ-এ পরিণত হওয়ার উদ্দেশ্যে শেষবারের মত খোলসে আবদ্ধ হয়। খোলস দেখতে হয় অনেকটা ফিরোজা বর্ণের।
অতঃপর খোলস থেকে বেড়িয়ে আসে পূর্ণাঙ্গ পাখাওয়ালা মথ।
পূর্ণাঙ্গ মথের মুখের ছিদ্র থাকে খুবই ছোট এবং এ সময় তারা খেতে পারে না। স্ত্রী মথেরা এসময় তাদের শরীর থেকে ফেরোমেন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যাতে পুরুষ মথেরা আকৃষ্ট হয়। এবং এই ফেরোমেনের আকর্ষণ এতই তীব্র যে মাইলখানেক দূরের পুরুষ মথও এই ঘ্রাণে স্ত্রী মথের কাছে চলে আসে। স্ত্রী এবং পুরুষ মথের মিলনের পর স্ত্রী মথ গাছের পাতায় বসে পড়ে ডিম পাড়ার উদ্দেশ্যে এবং তাদের বাকি জীবন এইভাবেই কাটে। আর অপরদিকে পুরুষ মথ আরও ৩-৪ বার মিলনে লিপ্ত হয়। একটি পূর্ণাঙ্গ মথ সাধারণত ৫-৭ দিন পর্যন্ত বাঁচে, অতঃপর মারা যায়। আর এভাবেই হিকোরি হর্ণড ডেভিলস মথের জীবন চক্র আবর্তিত হয়।
(ভাষাগত সমস্যার কারণে দুঃখিত)
১৩ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০২
Bangladeshi Moinul বলেছেন: বিজ্ঞান বলতে আমি বুঝি আমার চারপাশকে ব্যাখ্যা দেয়া এবং এর মাধ্যমে আরও ভালো করে জানা। ধন্যবাদ আপনাকে অনুপ্রেরিত করার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালোই, সায়েন্টিফিক ভাবনাকে তুলে ধরার দরকার আছে।