![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের বাসস্থান পৃথিবী হচ্ছে সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ এবং সমগ্র সৌরজগতে এটাই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। যদিও এই পৃথিবী আমাদের কাছে অনেক বড় মনে হয়, কিন্তু আদতে এটা বিশাল মহাবিশ্বের কাছে কিছুই না। এখানে এই "কিছুই না" শব্দটা যে কত ক্ষুদ্র আপনি তা কল্পনাও করতে পারবেন না। বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা কতটুকু ক্ষুদ্র তা একটু কল্পনা করার চেষ্টা করি...
#
সূর্যকে যদি একটা সাধারণ দরজার সমান বড় ধরা হয়, তাহলে তার তুলনায় পৃথিবী হবে শুধুমাত্র একটা এক টাকার কয়েনের সমান!!!চিত্রঃ সূর্য আর পৃথিবীর তুলনা।
(এবার চিন্তা করে দেখেন আপনি কতটুকু!!!)
#
সমগ্র সৌরজগতের ভর যদি ধরা হয় ১০০ ইউনিট, তাহলে সূর্যের একার ভরই হবে ৯৯.৮ ইউনিট আর সৌরজগতের বাদবাকি সকল গ্রহ উপগ্রহের মোট ভর হবে ০.২ ইউনিট!!!
#
এখন পর্যন্ত চারটা আমেরিকান মহাকাশযান আমাদের পৃথিবী থেকে উতক্ষিপ্ত হয়েছে ইন্টারস্টেলার স্পেস এর উদ্দেশ্যে।
যার মধ্যে ভয়েজার-১ ই আমাদের সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে গেছে এখন পর্যন্ত এবং তা ১১ বিলিয়ন মাইল। এটাই ছিল মানুষের তৈরী একমাত্র বস্তু যা কিনা প্রথমবারের মত আমাদের এই সৌরজগত ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে!! তারপর আসল ভয়েজার-২ যেটা কিনা পৃথীবী ছেড়ে চলে যায় ১৯৭৭ সালের ২০ই আগস্ট এবং এর বেগ হচ্ছে প্রতি ঘন্টায় ৩৯০০০ মাইল!চিত্রঃ ভয়েজার-২
কিন্তু তারপরও আমাদের রাতের আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল যে তারা (তার নাম সাইরাস) তার কাছাকাছি যেতে ভয়েজার-২ এর এখন থেকে আরও ২৯৬০০০ বছর লেগে যাবে!!!
#
১৯৯৫ সালে আমরা আমাদের সৌরজগতের বাহিরেও প্রথমবারের মত গ্রহের অনুসন্ধান পেয়েছি। আর এখন সূর্যের মত বিভিন্ন নক্ষত্রের চারদিকে আবর্তনরত গ্রহের সংখাও হাজার ছাড়িয়ে গেছে যাদের কিনা এক্সোপ্লানেট (যাদের সাথে সবদিক থেকে পৃথিবীর সাথে সবচেয়ে বেশি মিলে এমন গ্রহ। সেটা নিয়ে পরে একদিন আলোচনা করব) বলে।
#
সূর্যের মত এমন অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে তৈরী হয় এক একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ। আমরা যে ছায়াপথের অধীনে আছি তার নাম মিল্কিওয়ে। এই মিল্কিওয়েতে কমপক্ষে হলেও ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্র আছে। আর এই ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্রের মাঝে আমাদের সূয্যি মামা হচ্ছে আকারের দিক থেকে একটা নিম্নমধ্যমানের নক্ষত্র মাত্র!!!চিত্রঃ মিল্কিওয়ের মাঝে অসংখ্য নক্ষত্র (এদের মাঝে সূর্যও একটা মাঝারি ধরনের নক্ষত্র)
আর এই পর্যন্ত আমাদের দেখা (মানে আমরা যতদূর পর্যন্ত দেখতে পেরেছি এপর্যন্ত) এরকম মিল্কিওয়ের মত ছায়াপথের সংখাই ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে!!!চিত্রঃ শিল্পীর তুলিতে মিল্কিওয়ের মত অসংখ্য ছায়াপথ
#
আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ে এতই বড় যে, যদি আপনি আলোর বেগেও যান, তারপরেও আপনি মিল্কিওয়ের একমাথা থেকে আরেক মাথায় যেতে পাক্কা ১লক্ষ বছর লেগে যাবে!!!
উল্লেখ্য এই মহাবিশ্বে আলোই সবচেয়ে দ্রুতবেগে চলে এবং তা প্রতি সেকেন্ডে ৩লক্ষ কিলোমিটার করে যায়!!!
#
যদি মোটামুটিভাবেও হিসেব করি, তাহলে দেখা যায় যে এই মহাবিশ্বের প্রায় ৭০%ই হচ্ছে ডার্ক এনার্জি, যা কিনা আমরা কখনোই দেখি না। আর ২৫% হচ্ছে ডার্ক ম্যাটার, দুর্ভাগ্যবশত(!) আমরা এগুলোও দেখতে পাই না। তাহলে আমরা আসলে দেখতে পাই কি?? এই যে এত্ত বড় বড় বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র, ছায়াপথ এবং অন্যান্য ভরযুক্ত যা কিছু বস্তু আছে তার সবকিছু মিলাইয়াও মহাবিশ্বের ৫%ও হয় না!!!
এবার ভেবে দেখেন মহাবিশ্বের তুলনায় আপনি কতটুকু!!
আমরা নিজেদের অনেক অনেক বড় ভেবে কতইনা মারামারি হানাহানি করি, নিজেকে বড় বলে অহংকার করে কতজনকেই না তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করি, একবার ভেবে দেখুনতো আমরা আসলে কি? কি লাভ এসব করে? কতটুকুই বা ছোট আমরা!!! আসলে চিন্তাই করা যায় না যে আমরা আসলে কতটুকু ছোট!!
যাওয়ার আগে ছোট্ট আরেকটা তথ্য দিয়ে যাই। আমরা এত এত আধুনিক যন্ত্র দিয়ে মহাবিশ্বের যতটুকু পর্যন্ত জানতে পেরেছি , বিজ্ঞানীদের মতে তা সমগ্র মহাবিশ্বের প্রায় ১০% এরও কম। অর্থাৎ আমরা এখন পর্যন্ত মহাবিশ্বের প্রায় ৯০% জায়গা সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখি না।
১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
Bangladeshi Moinul বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। আমার কাছে তো মনে হয় আরও কম!! আজকের আধুনিক বিজ্ঞান এত্ত হেভি ওয়েট টেলিস্কোপ এবং সুপার কম্পিউটার দিয়ে অনেক অনেক দূরের স্টার সম্পর্কেও অনেকটা নিখুঁত তথ্য দিতে পারছে। তারপরও আমরা নাকি এখন পর্যন্ত মহাবিশ্বের ১০% ও দেখতে পারি নাই!! এইডা কোনো কথা!!
২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০০
আদম_ বলেছেন: আমাদের সূয্যি মামা হচ্ছে আকারের দিক থেকে একটা নিম্নমধ্যমানের নক্ষত্র মাত্র!!!
সুয্যি মামাকে অপমান!!!
তবে পোস্ট ভালো লেগেছে।
১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
Bangladeshi Moinul বলেছেন: আসলেই আমাদের সূয্যি মামা অনেক ছোটই। এখনকার রাতের আকাশে আনুমানিক রাত ১১-১২টার দিকে যদি আপনি পশ্চিম দিকে মুখ করে থাকেন এবং মাথাটা সোজা উপরের দিকে তাক করেন তাহলে উজ্জ্বল একটা তারা দেখতে পাবেন। নাম তার আর্কটুরাস। আর এই আর্কটুরাসের সাইজ যদি হয় ৩টা বাস্কেটবল এর সমান তাহলে সূর্য হয়ত হবে একটা ছোট্ট পিংপং বলের সমান!!! যদিও আর্কটুরাসও একটা নক্ষত্রই!!!
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট। ভাবতেই কেমন যেন লাগে যে যেই তারার আলো এখন দেখি, তা হয়তো কয়েক কোটী বছর আগের। এই জগত খুবই অদ্ভুত।
পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
Bangladeshi Moinul বলেছেন:
এই জিনিষটা আসলেই খুব বেদনাদায়ক!! তারারাও আমাদের ধোকা দেয়!!!
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৯
Ahsan mir বলেছেন: আমাদের এতে ছোট্ট. বানিয়ে দিলেন ।
তবে পোস্টটা খোব ভাল লেগেছে।
আরো ভাল কিছু আশাকরি।ধন্যবাদ
১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৬
Bangladeshi Moinul বলেছেন: আরও ভাল কিছু দেয়ার ইচ্ছা অবশ্যই আছে। আশীর্বাদিত হয়ে ধন্য হলাম। ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২২
অন্তু নীল বলেছেন: নিয়ে নিলাম,
কাজে দিবে।
++
১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৭
Bangladeshi Moinul বলেছেন: অবশ্যই। এসব নিয়ে ঘাঁটতে যেয়ে আমার একটা সুবিধা হয়েছে। নিজেকে নিয়ে অহংকার এর মাত্রা অনেক কমে গেছে। এক্ষত্রে এটা একটা টনিক হিসেবে কাজ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২০
কাবিল বলেছেন: পোস্টটি ভাল লাগল।
পৃথিবীর সাথে সবচেয়ে বেশি মিলে এমন গ্রহ সম্পর্কে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাথা ঘুরতাছে।
১৪ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
Bangladeshi Moinul বলেছেন: :p
৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কি লেখুম বুঝবার পারতেছি না ভাই।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫
Bangladeshi Moinul বলেছেন:
৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভালো লাগলো, আরও চাই এরকম পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫
সেলিম৮৩ বলেছেন: অামার মনে হয় মহাবিশ্বের তুলনায় এই পৃথিবী সাহারা মরুভূমির বুকে এক পিস বালি যতটুকু যায়গা দখল করে অাছে ততটুকুও হবে কিনা সন্দেহ।
অাসলে মহাবিশ্বে অামাদের খুঁজে পাওয়াই মুশকিল।