নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Bangladeshi Moinul

Bangladeshi Moinul › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরায়েলের ত্রাস, দুর্ধর্ষ এক গেরিলা বাহিনী "হিজবুল্লাহ"

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫



এটির জন্ম ১৯৮২ সালে ইসরাইল ও লেবানন যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে। এটি লেবাননের একটি শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপ। কিন্ত অনেক সুন্নিও সেখানে বিভিন্ন পদে ও তাঁদের সাথে থেকে যুদ্ধ করেছে। হেজবুল্লাহর নীতি হল লেবাননে ইসরাইলী হামলা থেকে সাধারণ মানুষ ও দেশকে রক্ষা করা। গ্রুপ টি ইরান, সিরিয়ার ও কাতারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ও সামরিক সহয়তা লাভ করে। Iranian Revolutionary Guards এঁদের প্রথম প্রশিক্ষন দিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯৮০ সালে দলটি গঠনে সহায়তা করেছিলেন দামাস্কাতে নিযুক্ত ইরানের সাবেক রাস্ট্রদূত আলী আকবর মোহতাশেমি।

হিজবুল্লাহর কিছু উল্লেখ্যযোগ্য অপারেশন-

১৯৮২ সালে ইসরাইলী সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৭২ জন ইসরাইলী সেনাকে হত্যা করে হিজবুল্লাহ।
১৯৮৩ সালে হিজবুল্লার গেরিলাদের হামলাকে বলা হয় অন্যতম সফল ও ভয়ানক হামলা বৈরুতে মার্কিন সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালিয়ে ২৪১ জন মার্কিন মেরিন সেনা ও ৫৮ জন ফ্রান্সের সেনাকে হত্যা করে।
১৯৮৪ সালে তেলআবিবে ইসরাইলী সেনা হেডকোয়াটারে হামলা চালিয়ে ২২ অফিসার সহ ১৩২ জন ইসরাইলী সেনাকে হত্যা।
১৯৮৫ সালে ইসরাইলী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৪২ জন সেনাকে হত্যা।
১৯৮৫ সালে বিমান ছিনতাই।
১৯৮৬ সালে ইসরাইলে বোমা হামলা করে ২৬ জন ইসরাইলী সেনা হত্যা।
১৯৯২ সালে আজেন্টিনায় বোমা হামলায় ইসরাইলী রাষ্ট্রদুতকে হত্যা সাথে ২৮ জন ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়।
১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৯৪ জন ইসরাইলী সেনা হত্যা।
১৯৯৪ সালে লন্ডনে হামলা চালিয়ে ইসরাইলী রাষ্ট্রদূত হত্যা সেই হামলায় ৬২ জন নিহত হয়েছিল।
১৯৯৫ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ১২০০ সেনা পাঠায় হিজবুল্লাহ বসনিয়ার মুসলিম বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য।
১৯৯৬ সালে সার্বিয়ার সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ২৩২ জন সার্বিয়ার সেনাকে হত্যার অপারেশন।
১৯৯৬ সালে আমেরিকায় বোমা হামলায় ৪২ জন ইহুদিকে হত্যা।
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইসরাইল যুদ্ধ
২০১২ সালে ইসরাইলী সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা।
২০১৫ সালে সেবা ফার্মে হামলায় চালিয়ে ১৫ জন ইসরাইলী সেনাকে হত্যা।
বর্তমানে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পক্ষে আইএস ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহ ইরান থেকে তাঁদের তৈরি অনেক অস্ত্র ব্যাবহার করে এমনকি ক্রুজ মিসাইল ব্যাবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁদের কাছে ৩০০ কিলোমিটারের বেশী ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা হয়।
হিজবুল্লাহর সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার ধরা হলেও প্রায় ৫০ হাজারের মতন বলে ধারনা করা হয়। তাঁদের বাজেট ধরতে গেলে মিলিশিয়া বাহিনীর ভিতরে সবচেয়ে বেশী প্রায় ২ বিলিয়ন! এর বেশীর ভাগ পেয়ে থাকে ইরান ও কাতার থেকে। কাতারকে অবরোধ দেওয়ার পিছনে অন্যতম কারন হল হামাস ও হিজবুল্লাহকে অর্থ সহায়তা করা।
হিজবুল্লর বর্তমান মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ।
বলা হয় এটি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গেরিলা বাহিনী।

কালেক্টেড #

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ইসরাঈল কাউকে ভয় না পেলেও হিজবুল্লাকে যমের মত ভয় পায়।
হিজবুল্লাহর কাছেই পরাজয়ের সাধ গ্রহন করেছে।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আরব জোট যা পারেনি হিজবুল্লাহ তাই করে দেখাইছে

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব কারণে ১৯৯৩ সালের ওসলো চুক্তির পরেও ফিলিস্তিন দেশ দেয়নি ইসরায়েল, হিজবুল্লাহ অন্যতম; ওদের অবদানের ফলে, ফিলিস্তিনীরা দেশ পাচ্ছে না, এর থেকে শক্তিশালী আর কি হতে পারে?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০০

Bangladeshi Moinul বলেছেন: একবার ভাবুনতো, ইসরায়েল কেন ফিলিস্তিন দেশ দিতে যাবে?? কেনো এরকম চুক্তি হওয়ার প্রশ্নটাই বা উঠবে। ফিলিস্তিন তো একটা দেশই ছিল। সেই দেশে ইহুদীদের পাঠানো হয়েছিল অভিবাসী হিসেবে, রিফিউজি হিসেবে। আর তারাই কিনা ফিলিস্তিনকে বলে দেশ দিবে!!! এর জন্য আবার চুক্তিও হয়!!! ঘটনাটা অনেক মজার। ব্যাপারটা অনেকটা এমন, আমার বাড়ির মেহমান(?) আমার ঘরে বসে আমাকে বলে, "তোমাকে এই ঘরের কয়টা রুম দেয়া লাগবে?" হা হা হা

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@আবু তালেব শেখ ,

আপনারা ফিলিস্তিনীদের পরাজয় দেখছেন না, ইসরায়েলের পরাজয়ের স্বাদের হিসেব রাখছেন; বেশীর ভাগ আরবেরাও আপনার মতোই হিসেবে করে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

Bangladeshi Moinul বলেছেন: দেখুন, এখানে হিজবুল্লাহ বা আইএস বা ইসরায়েল বা তালেবান এইসবই আমার কাছে একই মনে হয়। এইসব কিছুকেই সৃষ্টি করা হয়েছে, এরা কেউই নিজ থেকে সৃষ্টি হয়নি। হিজবুল্লাহ/আইএস/তালেবান এদের সাথে ইসরায়েল এর পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়। ইসরায়েলকে ১৯১৮ সালে ইংল্যান্ড বা ইউরোপ এখানে এনে একত্রিত করে দেয়ার পর তারা নিজেরাই পরবর্তীতে এতটাই শক্তিধর হয়ে পড়ে যে তার এখন ওই নির্বাসিত ভুখন্ডটাকে নিজেদের দেশ বলেই দাবি করে বসে আছে এবং তারা ইহুদী জনগোষ্ঠী হওয়ায় বহির্বিশ্ব থেকে সহায়তা পেয়ে তারা তাদের নিজেদেরই খুবই শক্তিশালী অর্থনীতি দাঁড় করিয়ে ফেলছে। যদিও তারা বহির্বিশ্ব থেকে যে সহায়তা পায়, তার পুরোটাই তাদের নিজেদের লোক থেকেই। আজ যদি ইসরায়েল এর মত করে হিজবুল্লাহও তাদের এরকম নিজস্ব শক্তিশালী অর্থনীতি দাঁড় করাতে পারত এবং নিজেদের দেশ করে ফেলত তাহলে এতদিনে আমি বা আপনিও ওই হিজবুল্লাহকেই সাপোর্ট করতাম। আমি এখানে ইসরায়েল বা হিজবুল্লাহ কাউকেই দোষ দিব না, আর দিলে দিব উভয়কেই। কারণ তারা উন্নত দেশগুলোর চালবাজির একটা অংশ।

আর দয়া করে কথায় কথায় এখানে "তথাকথিত টিপিক্যাল আরবে সাপোর্টিং লোক" বা পাকিস্তানের ভাল কিছুর দিক বললে "রাজাকার বা পাদা" এবং ভারতের পক্ষে কিছু বললেই "ভাদা" বা এই সমস্ত ট্যাগ বা উপমা হুট করেই কাউকে দেয়া থেকে বিরত থাকবেন আশা করি। আমার বক্তব্যে আমি ভুল থাকতেই পারি। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার মতামত আপনি এখানে দিতেই পারেন, কিন্তু এরকম হুট করেই কাউকে ট্যাগ দেয়াটা আমার মনে হয় চরম বিরক্তিকর এবং অবমাননাকরও বটে।

আমি ভুল হলে, অবশ্যই আপনি আমাকে সেটা ধরিয়ে দেয়ার অধিকার রাখেন, যেহেতু আমি ঠিক এখানটাতেই পোস্ট করেছি।

ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব কারণে ১৯৯৩ সালের ওসলো চুক্তির পরেও ফিলিস্তিন দেশ দেয়নি ইসরায়েল, হিজবুল্লাহ অন্যতম; ওদের অবদানের ফলে, ফিলিস্তিনীরা দেশ পাচ্ছে না, এর থেকে শক্তিশালী আর কি হতে পারে? [/sb

ইসরায়েল নামের এই ইহুদি রাস্ট্রটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল(বিশেষ করে আমেরিকা/বৃটেন)-এর পরিকল্পনা কতটা গভীর সে সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা থকলে এই কথা বলতে পারতেন না আপনি।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আশা করি অচিরেই হেজবুল্লাহ ইসরায়েল , আমেরিকা , সৌদি আরব দখল করিয়া ফেলিবে !

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: জনাব চাদগাজি বলেছেন
আপনারা ফিলিস্তিনীদের পরাজয় দেখছেন না, ইসরায়েলের পরাজয়ের স্বাদের হিসেব রাখছেন; বেশীর ভাগ আরবেরাও আপনার মতোই হিসেবে করে।
//
আরবরা যদি সেই হিসাব করতো তাহলে আজ ইসরাইল নামক রাস্ট্রের জন্মই হতনা। বেকুব আরব শাসক গনের
নির্বুদ্ধিতার ফসল আজকের ইসরাঈল।
/
ইসরাঈল ভবিষ্যতে পুরো প্যালেস্টাইন দখল করে নিবে তদুপরি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের শিকৃতি দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।
মিয়ানমার যেমন রোহিংগাদের আর কখনোই ফেরত নেবে না।
এখন যদি রোহিংগা জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আমেরিকা বার্মায় হামলা চালায় তাহলে আমরা একটু হলেও খুশি হব।
নাকি চাদগাজি আংকেল?
ইসরাঈল হিজবুল্লাহর ব্যাপারটাও ঠিক একিরকম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.