নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Bangladeshi Moinul

Bangladeshi Moinul › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময় থাকতে অন্যের পিছনে না লেগে, বিজ্ঞানের পিছনে লাগ হে জাতি। চেতনা বেচে আর কত! অনেক তো হলো!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

Apple এ প্রতি তিনজন ইঞ্জিয়ারের একজন ইন্ডিয়ান। ভাবতে পারেন? এপলে জব করা ওখানে আর স্পেশাল কিছুনা।
আর আমরা আছি কত কোটি লোক ইন্ডিয়ায় খোলা জায়গায় বাথরুম করে সেটা নিয়ে।
ইউ কের রয়্যাল সোসাইটি ২০১১ সালে প্রকাশ করে
বিশ্বের ফার্স্টেট গ্রোয়িং সায়েন্টিফিক নেশনসের তালিকা।
সেখানে এক নাম্বারে কোন নামটা আসে জানেন?
আমেরিকা? না রাশিয়া? না জার্মানি?
না
বিশ্বে বৈজ্ঞানিক ভাবে সবচাইতে দ্রুত বর্ধণশীল দেশের তালিকায় এক নাম্বারে নাম আসে ইরানের।
সারা দুনিয়া যখন ইরানে নিউক্লিয়ার উইপন আছে কিনা এইটা নিয়ে গবেষণায় ব্যাস্ত ,তখন ইরানে গত এক দশক ধরে নিরব টেকনোলজিকাল এবং সায়েন্টিফিক বিপ্লব হয়ে যাচ্ছে। ইরান কে ধরা হচ্ছে ইজরায়েলের পাশাপাশি মিডল ইস্টে সায়েন্টিফিক লিডার হিসেবে।
২০০১ সালে ইরানের সরকার বুঝতে পারে
" পরাশক্তিগুলোর সাথে ফাইট করতে হলে বিজ্ঞানের আশ্রয় নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। মুখে মুখে ইহুদী নাসারাদের গালি দিয়ে পাওয়ার গেম জেতা যায়না। "
২০০৫ সালে ইরান সরকার জাতীয় সায়েন্স বাজেটে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে।
২০০৪ সালে ইরান সরকার এক যুগান্তিকারী পদক্ষেপ নেয়। তারা লক্ষ করে দেশের মেধাবী তরুণরা সব দেশের বাইরে ইউরোপ,আমেরিকায় চলে যাচ্ছে।
তখন ইরানি সরকার দেশের সব ইউনিভার্সিটির যত লোন আছে সব মওকুফ করে দেয় এবং ইউনিভার্সিটি গুলোকে নির্দেশ দেয় রিসার্চ সেক্টরে স্টেট অফ দি আর্ট ফ্যাসিলিটিজ নির্মাণ করতে। যত টাকা লাগে সরকার দেবে। দেশের মেধাবীরা দেশে থেকেই রিসার্চ করুক।
আফসোস আমাদের বুয়েট ,চুয়েট ,রুয়েট ,ঢাবি ,চবি, জাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের জন্য। তারা দেশের বাইরে কম কষ্টে যায়না। রিসার্চ বেজড জব না করে বিসিএস কম কষ্টে দেয়না। এ দেশে রিসার্চের জায়গা কই? পয়সা কই?
এরপর ইরান সরকার ভিশন ২০২১ গোল সেট করে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালে ইরানী সরকারের তিনটা টপ প্রায়োরিটির মধ্যে একটা হচ্ছে
সায়েন্টিফিক এন্ড টেকনোলজিকাল ডেভেলপমেন্ট।
ফলাফল যেখানে ১৯৯৫ সালে বিশ্বের নামকরা জার্নালে ইরানিদের প্রকাশিত পিয়ার রিভিউড পেপার ছিল মাত্র ৭৩৬ সেখানে ২০০৮ সালে পিয়ার রিভিউড জার্নালের সংখ্যা হইল ১৩২৩৮
ইউনিভার্সিটি অফ তেহরান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং এ সেরা ৩০০ তে চলে আসে। আমাদেরগুলার কথা বলে লজ্জা পাবার কোন মানে হয়না।
স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে ইরান মিডল ঈস্টে দুই নাম্বার পজিশনে। ২০২১ সালের মধ্যে টেকনোলজিতে ইরান সরকার শুধুমাত্র রিসার্চেই ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করবে।
আরো অবাক করা ব্যাপার হল ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং এ যুদ্ধ আর বোমাবাজির দেশ পাকিস্তানের ৬ টা ইউনিভার্সিটি জায়গা পায়। আর আমাদের?
ভারত, পাকিস্তানের পক্ষে আমার এইসব কথা অনেকের কাছে তিতা লাগতে পারে।
বাট এইগুলা হইল হার্ড ট্রুথ। ক্রিকেট ফিল্ডে শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ হয়না। আইসিসির পেজে যাইয়া দুইটা গালি দিলেও ওসব দেশের দুই পয়সার কিছু যায় আসেনা।
আবার ওয়াজ মাহফিলে ইহুদি নাসারাদের চোদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করলেও ইসলামের এমন কোন উপকার হয়না। মুসলমান দেশ হিসেবে জাতে উঠা যায়না। বিশ্ব রাজনীতির কঠিন এবং জটিল ব্যাটলফিল্ডে টিকে থাকতে হলে পয়সা লাগবে। আর সেই পয়সা আপনাকে সায়েন্সই এনে দিতে পারবে। ইরানো বুঝে গেছে তেল বেচে বেশীদিন চলবে না।
যতদিন পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানকে আপন না করছি ,আমাদের দেশের রিসার্চ সেক্টরে বিনিয়োগ না করছি ,দেশেই রিসার্চ ল্যাব করে আমাদের মেধাবীদের দেশেই কাজ করার সুযোগ না দিচ্ছি ততদিন বর্ডারে ফেলানীরাই ঝুলে থাকবে।
বিজ্ঞান কে আপন করেন, নৈতিক শিক্ষাকে জাগ্রত করেন, শ্রেষ্ঠত্ব আপনার হাতের নাগালে আসবে।.....
Collected

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সহমত

শুভকামনা

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: দেশের কর্তা ব্যক্তিদের এই বোঝাটা বুঝতে না জানি আমাদের এই জীবনই চলে যায় !

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খুবই তথ্যবহুল গুরুত্বপুর্ণ রচনা ।


৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: উত্তর আমেরিকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় আমি বেশ কয়েকজন ইরানি শিক্ষককে পেয়েছি, শিক্ষক হিসাবে যাদের মান ছিল অসাধারণ | আমার কন্যার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাসে নাকি বেশ কিছু মেধাবী ইরানিয়ান ছাত্র আছে যারা খুব ভালো করছে | সুতরাং ইরানিয়ানদের সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণে আমার সহমত | তবে ইরান একটি প্রাচীন সভ্যতার দেশ, তাই তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে সরকারের আন্তরিকতার পাশাপাশি জাতি হিসাবে তাদের এই সুপ্রাচীন সভ্যতারও কিছুটা ভূমিকা রয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না |

বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে অনেক উন্নতি হয়েছে চোখে পড়ার মতো | যদিও তার তুলনায় তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ সাম্প্রতিককালে অনেক দ্রুত উন্নতি করে ফেলেছে | তাই এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সরকারকে অনেক এফিসিয়েন্ট হতে হবে | কথার ফুলঝুরি দিয়ে বেশি দিন চালানো যাবে না |

তবে একটি সেক্টরে বাংলাদেশ দিন দিন খুব পিছিয়ে পড়ছে, সেটা হলো শিক্ষা | এটা সত্যি যে,বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না, দিন দিন কেমন জানি ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে | এর কারণ বহুবিধ; তবে একটি কারণ সবার কাছে পরিষ্কার আর তা হচ্ছে শিক্ষকদের শিক্ষা প্রদানে কমিটমেন্টের বড়োই অভাব - এরা পড়ানোর চাইতে রাজনৈতিক দলের পদলেহন বা লেজুড়বৃত্তিতেই অধিক মনোযোগী |

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লেখার উদ্দেশ্য ভালো, ইরানের উদাহরণ ভালো নয়; ইরান হয়তো কোন শিয়া বিপ্লবের প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রতিটি শিয়ার হাতে অস্ত্র ও পকেটে কিছু ডলার দিবে মনে হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মাঝে তরুণ সবগুলো মরেছিল, আবারও মড়ক লাগবে।

আপনি কি শিয়া মঘতবাদের পক্ষে লড়ছেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

Bangladeshi Moinul বলেছেন: ভাই আমি অত শিয়া-সুন্নী মতবাদ বুঝিনা, ডান-বাম মতবাদও বুঝিনা আর বুঝতেও চাই না। আমি কেবল দেখতে চাই, আমার দেশ যেন জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকে, এদেশে যেনো বিজ্ঞানের চর্চাটা হয়, এদেশের মানুষ যেন প্রকৌশলে এগিয়ে থাকে, আকাশের দিকে যেনো আরও একটু ভাল করে নজর দেয়। এদেশটা যেনো বিজ্ঞানের ছায়ায় আগামী ২০০ - ৩০০ বছর পরের জিনিষে দূরদর্শিতা দেখাতে পারে।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। মুসলিম দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ইরানই জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভোগবিলাসী শাহকে উৎখাত করে এলেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি, কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার এই যে তারা পিছিয়ে না গিয়ে কেবলই উন্নততর হচ্ছে। এর সাথে তুলনীয় একমাত্র মালয়েশিয়া, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে। বাকিরা কেবল গবেষনায় ব্যস্ত দাঁড়ি কতটুকু লম্বা হবে বা গোড়ালি ঢাকা কাপড় পরলে কতটুকু গুনাহ হবে! আর আমরা! আমাদের এসব ভাবার সময় কই?

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমি তো জানতাম ইরান কট্টরপন্থী একটা দেশ, যাহোক, জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগোনো ছাড়া কোন জাতি এগোতে পারে না; এটাই হক কথা।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: Bangladeshi Moinul ,




ভালো লাগলো এমন একটি বিষয় শেয়ার করেছেন দেখে ।
তবে এসব কথা শুনবে কে বা কারা ?

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: দাদা রা অর্ধেক ডিম খায় আর আমরা ফুল ডিম খেয়েও ....

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: কে চেতনা বেচে ?? কত টাকা হালি??? ১৯৭১ না হলে এই লিখা ও লিখতে যে জ্ঞানের দরকার, তা আপনি পেতেন কিনা তা সন্দেহ....

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "ভাই আমি অত শিয়া-সুন্নী মতবাদ বুঝিনা, ডান-বাম মতবাদও বুঝিনা আর বুঝতেও চাই না। "

-শিয়াবাদ না বুঝেই ইরানকে "উদাহরণ" হিসেবে নিয়েছেন; না নুঝে কতটুকু কি করা যায়?

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

আলআমিন১২৩ বলেছেন: এত সূন্দর লেখার মধ্যে শিয়া সূন্নীই চোখে পরলো? হায়রে মানুষ....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.