![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিনটি জিনিস কখনো কারো জন্য বসে থাকে না- ১) সময় ২) সুযোগ ৩) সমুদ্র স্রোত
এক ছাত্র পড়ত দিল্লীর এক মাদ্রাসায়। কিন্তু রাত কাটাত পাশে এক মসজিদে। একবার মসজিদের নিকটবর্তী মহল্লার এক মেয়ে তার কোনো আত্তিয়ের কাছে কোন কারণে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুরু হল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শুরু হল মারামারি।
পরিস্থিতি বেসামাল দেখে মেয়েটি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিল। মসজিদে তখন ইশার নামাজ হয়ে গেছে। ছাত্রটি এমতাবস্থায় মেয়েটিকে দেখে ঘাবড়ে গেল এবং তাকে বিনয়ের সাথে বলল, আপনার এখানে থাকা ঠিক হবেনা। মানুষ দেখলে আমাকে লজ্জায় পড়তে হবে। তারা আমাকে মসজিদ থেকে বের করে দিতে পারে। তখন আমার লেখাপড়ায় সমস্যা হবে।
মেয়েটি তাকে বলল, বাইরে দাঙ্গা হচ্ছে সেকথা আপনি জানেন? বাইরে বের হলে আমার জীবন ও সম্ভ্রম দুটোই হারাতে পারি। এটা আল্লাহর ঘর। যদি এখানে নিরাপত্তা না পাই, তাহলে যাব কোথায়?
এ কথা শুনার পর ছাত্রটি লা জওয়াব হয়ে গেল। মসজিদের এক কোণে মেয়েটি বসে আছে। অপর কোণে ছাত্রটি বসে আছে। সে তার পড়ার ফাঁকে ফাঁকে জ্বলন্ত চেরাগের ওপর তার আংগুলটি তুলে ধরছে এবং একটু পর পর সে এই কান্ড করছে। এভাবে পুরোটা রাত কেটে যায়। অপর প্রান্তে বসে মেয়েটি বিস্ময়ের সাথে এ ঘটনা দেখছে।
যখন প্রভাত হল, তখন ছেলেটি মেয়েটিকে বলল, এখন দাংগা থেমে গেছে। লোকজন যার যার ঘরে পৌছে গেছে। পথঘাট ফাকাঁ। চলুন, আপনাকে আপনার ঘরে পৌছে দিয়ে আসি। মেয়েটি বলল, যাবো, তবে তার আগে রাতে প্রদীপের অগ্নিতে আপনি বার বার আপনার অংগুলি পুড়াচ্ছিলেন কেন, সে কথা বলতে হবে। ছাত্রটি বলল, এটা একান্তই আমার বিষয়। এটা আপনার জানার কোন প্রয়োজন নেই। মেয়েটি বলল, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি এর কারণ না বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এখান থেকে বের হচ্ছি না। অবশেষে ছেলেটি বাধ্য হয়ে বলল, দেখুন, শয়তান বার বার আমার মনে প্ররোচনা দিচ্ছিল এবং রিপু ও কামনাকে পাপ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে তুলছিল। যখনই আমি পাপকাজের প্রতি উৎসাহ অনুভব করছিলাম তখনই আমার আঙ্গুলটি চেরাগের অগ্নিতে ধরে আমার রিপুকে বলছিলাম পার্থিব জগতের এই সামান্য অগ্নিদহন যখন বরদাশত করতে পারছনা তখন জাহান্নামের ভয়ঙ্কর শাস্তি কিভাবে বরদাশত করবে? একথা শুনে মেয়টি হতবাক হয়ে গেল। তারপর সে ঘরে চলে গেল।
বাড়িতে গিয়ে মা বাবাকে পুরো ঘটনা খুলে বলল। মেয়েটির বাবা ছিল ধনী ও দীনদার। মেয়েও সুন্দরী। ফলে বড় বড় ধনাঢ্য পরিবার থেকে প্রস্তাব আসছিল রীতিমত। কিন্তু এ ঘটনার পর মেয়েটি সাফ বলে দিল, যদি আমাকে এই ছেলের কাছে বিয়ে দেন, তাহলে আমি সারাজীবন এমন পরহেজ্জগার ব্যক্তির সেবা করার সৌভাগ্য লাভ করবো। অবশেষে তার মা বাবা তাই করলেন। আসলে আমার ভাইও বোনেরা, এখানে গল্প বলা উদ্দেশ্য নয় বরং এথেকে শিক্ষা অর্জন করাই উদ্দেশ্য। আশাকরি এথেকে শিক্ষা লাভ করবেন।
ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
বাংলার দামাল সন্তান বলেছেন: ভাই যারা মুক্তমনা আমি তাদের থেকে ১০০০মাইল দুরে থাকার চেষ্টা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
নৈশ শিকারী বলেছেন: মুসলিমদের ন্যায় চরিত্রের এমন হাজার দৃষ্টান্ত থাকা সত্যেও কিছু লোক মুসলিমদের ধর্ষণে শীর্ষ জাতি হিসেবে প্রমান করতে ব্যাস্ত, সেটা যেভাবেই হোক, কিছুদিন আগে আমি হিন্দুস্তানি "ওয়ান ইন্ডিয়া" পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ষনের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছিলুম; কিন্তু সেখানে মুসলিম দেশের নাম ছিলনা বলে মুক্তমনাদের সাথে আমার কি পরিমান তর্ক যুদ্ধ হয়েছে কমেন্ট গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন লিংক: Click This Link