![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলেই তো তাই! যে টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কথার যুদ্ধ লেগে থাকে, যে আসরের আগে দেখা দেয় রংহীনতায় বিবর্ণ হবার শংকা, তাকে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে গিয়ে অনেক কিছু গুবলেট করার শুরু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেই। বিপিএল গভার্নিঙ কাউন্সিল ও নিরাপত্তা কর্মীরা কেউ জানলোই না উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিভাবে যেনো হাজার দেড়েক উটকো লোক গ্যালারিতে ঢুকে গেলো! পরে দেখা গেছে গেট ভেংগে ঢুকে গেছে তারা! অথচ তখন স্টেডিয়ামে বসে আছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি! ভাবা যায়! এই হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা? এরপরের গল্প তো আরো করুণ। পত্রিকায় আসেনি, টিভিতে আসার সুযোগই নেই। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ যারা দেখেছেন তারা খেয়াল করলে দেখবেন আম্পায়ার ইলিংওয়ার্থ একটা কালো টি শার্ট পরে খেলা পরিচালনা করেছেন। কারণ!! আম্পায়ারদের যে আলাদা জার্সি আছে সেটা বিপিএলের গভার্নিঙ কাউন্সিলের নাকি জানা হয়েছে খেলা শুরুর দিন! তারপর? খেলোয়াড়া, কর্মকর্তা এবং আনুষাঙ্গিক অন্যান্যদের বহনের জন্য কোন গাড়ির ব্যবস্থা ছিল না শুরুর দিন। সেই গাড়ির ব্যবস্থা করা হলো একটি ভাড়া কোম্পানিকে দিয়ে। বাজারের চেয়ে গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা করে বেশি! লোপাটের শেষ এখানেই শেষ হলে নাকি কথা ছিল না বলে একজন সংশ্লিষ্ট জানালেন। আইসিসি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন এবং বিপিএল নিজের উদ্যোগের আরো দুজন, মোট তিন পর্যবেক্ষকে নিয়ে এসেছে এবারের বিপিএলে। কিন্তু তারা এসে যা দেখলেন তাতে চোখ ছানা বড়া! একি অবস্থা? স্টেডিয়ামের ভেতরে সোফা সমেত সত্ত্বাধিকারীরা পরিবার বেঁধে খেলা দেখছেন। যা আইপিএল, বিগ ব্যাশ এমনিক ফ্লপ এসএলপিএলেও দেখা যায় নি। সেখানেই শেষ নয়। ক্যামেরা নড়লেই হাতের মোবাইলে ফোন ঘনঘন বেজে উঠেছে ফ্রেঞ্জাইজিদের। তারা সেটা ডাগআউটের খুব কাছে থেকেও ধরছেন। কথা বলছেন। অথচ টি টোয়েন্টি শুধু নয়। কোন্ আন্তজার্তিক মানের টুর্নামেন্টে সেল ফোন নিয়ে খেলোয়াড়দের জন্য সংশ্লিষ্ট জায়গাকে অতি সংবেদনশীল বলে একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা দল কিনেছেন তারাই মানছেন না। স্পট ফিক্সিঙ এবং ম্যাচ পাতানোর রাহুকে আটকাতে যারা শপথও নিয়েছেন! হায় একেই কি বলে অর্গানাইজডলি ডিসঅর্গানাইজড?
©somewhere in net ltd.