নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বর্ষণ কবির

i`m what i`m.

্বর্ষণ কবির

্বর্ষণ কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ পাতানো লিগ!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ঘটনাটা সত্য। এই বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সেমির দৌড়ে আছে এমন এক ফ্রেঞ্চাইজির কথা বলছি। তার দলে আছেন এক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। নামটা চাইলে আপনি অনুমান করে নিতে পারেন। তো সেই সত্ত্বাধিকারী ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ঢুকেছেন। দলের সবার তখন ম্যাচটা সদ্য হেরে আসায় মন খারাপ। কোচ স্বান্ত্বনা দিচ্ছেন, অন্যরা পরিকল্পনার গলদ নিয়ে কথা বলছেন। আত্মশুদ্ধির জন্য কে একজন রানআউট হয়েছেন,তিনি পরাজয়ের পুরো দায়ভারটা নিতে চাইছেন। এমন হুলস্থূল এক অবস্থার ড্রেসিংরুমে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা হারার কারণে অনুপ্রেরণা দিতে গিয়ে একটা অবাক সেই সত্ত্বাধিকারী। চারদিকে তাকালেন। পরিস্থিতি বুঝবার চেষ্টা করছেন। তার চশমার নীচে থাকা চোখ জোড়া খুঁজে পেলো এক এশিয়ান ক্রিকেটারকে। তারপরের ঘটনা পুরোটাই দেখেছেন এক সাংবাদিক। বর্ণনা করছি তার ভাষায়:



বয়েজ, আমি জানি তোমাদের মন খুব খারাপ। আমারও খারাপ। এতো টাকা দিয়ে টিম করলাম। দলকে চ্যাম্পিয়ন রেসে রাখবো এটাই আমার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এখনই সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি।



চারপাশ তখন তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। ভতসর্না শুনবার আশঙ্কায় কুঁকড়ে থাকা ক্রিকেটাররা তখন পারলে চোখ ডলেন-স্বপ্ন দেখছি না তো!



তারপর তিনি: এই যে ড্রেসিংরুম। তার আবেগ আমাকেও ছুঁয়ে গেছে। দলের প্রতি মমত্ববোধ থাকলে এই দল সেমিতে না গিয়ে পারেই না।



সবাই একটু হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো। এখন আশার কথার লাইনগুলো কানে রিনরিন করছে। আরো আশার কথা শুনবার জন্য মন আনচান না করলেও, এখন ক্রিকেটাররা অন্তত: নিরাশার বলয় ভাংগার চেষ্টা করছেন।



তারপর তিনি: এই যে এই ড্রেসিংরুমে দেখলাম মি. ...গেদারাকে। আপনারা জানেন সরাসরি শ্রীলঙ্কা থেকে এসেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। আমি নিশ্চিত তিনি এই দলকে একই সুতোয় গাঁথবেন। নিজেও পারফরম করবেন। তিনি চলে আসাতে আমি এখন নির্ভার।



সবাই এ ওর দিকে তাকাচ্ছে। আস্ত একটা ম্যাচ গেলো। তাদের সঙ্গে সেই .. দারা চলে এসেছেন! অথচ কোন খোঁজই তারা পেলেন না! আফশোস, মাঠ তো বটে, মাঠের বাইরের খুঁটি নাটি বুঝবার মত অবস্থাও নেই তাদের? লজ্জায় হতাশাবোধটা কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে ফিরে এলো।



তারপর তিনি: এই যে ড্রেসিংরুমে তিনি আছেন আশা করি আপনারা তাকে দেখে অনুপ্রানিত হবেন।



সবগুলো চোখ ঘুরে ফিরলো। কই কোন অপরিচিত কাউকে তো দেখা যাচ্ছে না! তারপর চোখ পড়লো সত্ত্বাধিকারীর দিকে। তিনি তাকিয়ে আছেন সেই কালো, খর্বাকার ক্রিকেটারটির দিকে। সেই ক্রিকেটার এবার আবিষ্কার করলো তাকে সবাই দেখছেন! ঘামতে ঘামতে মালিকের সামনে বলেই ফেললো, ভাই, আমি আলমগীর কবির, বাংলাদেশ টিমে খেলছিলাম এখন আপনার টিমে আছি কোচিং স্টাফ হয়ে!



----------------------



এই হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের ফ্রেঞ্চাইজি। এই একই মালিকের দল জিততে জিততে হেরেছে দুটি ম্যচ। হারতে হারতে জিতেছে দুটি ম্যাচ। ক্রিকেটে তেমনই হবার কথা। কিন্তু সমস্যা হলো আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের যিনি বিপিএলের দেখ-ভাল করছেন,তার সন্দেহের খাতায় লেখা হয়ে গেছে ওই চারটি ম্যাচ। তার যে নোট বিপিএল গভার্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে গেছে, সেখানে লেখা হয়েছে- এমন ফ্রেঞ্জাইজি থাকলে বাংলাদেশ পাতানো লিগ বলবে অচিরেই সবাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের মধ্যপ্রদেশের দুর্গা প্রসাদ নামের যে ব্যক্তিকে অগ্রিম এস এম এসের মধ্য দিয়ে খেলার ফলাফল দুবাই পাঠাতে দেখে বিসিবি নিরাপত্তা কর্মীরা ধরেছিল (তারপর কিন্তু পাঁচ ঘন্টা বসিয়ে রেখে মুচলেকা নিয়ে প্রসাদকে ছেড়ে দেয় বিসিবি), তিনি কার ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারন করছিলেন জানেন?



সেই ফ্রেঞ্জাইজিকে কি আর চেনানোর দরকার আছে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

বিবেক বিবাগী বলেছেন: বিপিএল পাতানো হবে, ভাবতে খুব কষ্ট হয়। তবে চট্টগ্রাম আর ঢাকার ম্যাচটা এখনও ভাবায়...

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

্বর্ষণ কবির বলেছেন: আসলেই দূর্ভাগ্যজনক। কিন্তু অর্থ বড় অনর্থ বাঁধাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.