![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু আগেই সংবাদ সম্মেলন শেষ হলো। গল থেকে আমার অনুজ ফোনে জানালেন- বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বলেছেন, পাঁচ দিনে টেস্ট খেলাটাই তার প্রথম লক্ষ্য। একটু আগে ক্রিক ইনফোতে মার্ক নিকোলাসের একটা লেখা পড়ছিলাম। সেখানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যারা এখন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা তাদের অনাগ্রহের কারণে টেস্ট এখন মরার পথে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মত জম্পেশ সিরিজেও হাজার খানেকের বেশি দর্শক দেখা যায়নি। যদিও হায়দরাবাদে দর্শক না হওয়ার কারণ সেখানকার সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সে যাই হোক। টেস্ট ক্রিকেট তার আবেদন হারাচ্ছে সেটা তো মিথ্যে নয়। কারণ আইসিসির ভবিষ্যত সূচীতে মোড়ল ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড-চার দেশ মিলে নিজেদের মত করে সিরিজগুলো ভাগ-বটোয়ারা করে নেয়। তার পরের অংশটুকুর খানিকটা পাকিস্তানের পক্ষে থাকে। বাকীটা থাকে ৯৬র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার পক্ষে। আর বাকী চার দেশ? নিউজিল্যান্ডের পারফরর্ম্যান্সের অবস্থা ঢাকার শেয়ার বাজারের মত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটটা দশ বছরে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট লিগের কাছাকাছি পর্যায়ে নেমে গেছে। জিম্বাবুয়ে তো নতুন করে ফিরলো সেদিন। আর বাংলাদেশ? সেটা কম-বেশি সবারই জানা। বছর বছর টেস্ট কমছে। পাল্লা দিয়ে দেশের ক্রিকেট মাথাগুলো বোর্ডে থেকে আরো কমিয়ে দিচ্ছেন বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট। বিসিএল দিয়ে বিপিএলের ক্ষতি পুষিয়ে দেবার চেষ্টাটা এবারই বিসিবিরই প্রথম। কিন্তু সেটা কত কাজে আসবে কাল সকাল থেকে সবার জানা হয়ে যাবে। ফিরে যাই মার্ক নিকোলাস ও মুশফিকুর রহিমের কথায়। দর্শকহীন টেস্ট ক্রিকেট খুব আবেদন তৈরী করে না। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটে দর্শকরাই এ দেশের ক্রিকেটের মূল চালিকাশক্তি। তবে তারাও টেস্ট ক্রিকেটে খুব আগ্রহী নন। যে কারণে প্রথম দিন ছাড়া কোন টেস্টে ঢাকার দর্শকদের দেখা পাওয়া যায় না। খুলনা ও সিলেটে টেস্ট চলে গেলে হয়তো আপাতত সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু টেস্ট খেলার সত্যিকারের বীরোচিত মানসিকতা তো এখনো গড়ে উঠলো না! মুশফিকুর রহিম পাঁচ দিনে টেস্ট নিতে চান। ভালো কথা। তিনি শ্রীলঙ্কার আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেখে এ মন্তব্য করতেও পারেন। গলে যখন-তখন বৃষ্টি নামে। সে কারণে খেলা বন্ধ থাকতে পারে। তাতে পাঁচ দিনের নিরবিচ্ছিন্ন টেস্ট খেলাটা অসম্ভবও হতে পারে। সেই সমীকরণে কথা বললে কোন কথা নেই। কিন্তু যদি হয় মানসিকতার কারণেই পাঁচ দিনে খেলার বিষয়টি উল্লেখ করা তবে অনেক কথা আছে। কারণ পাঁচ দিনে খেলা বলে কয়ে হয় না। টেস্ট ক্রিকেটে হারতে না চাওয়ার জন্য যে খেলা হয় সেটি হলো ড্রয়ের জন্য খেলা। কিন্তু সেটাও দৈনিক সম্ভব হয় না। ওটা পরিস্থিতির দাবী করলে হয়ে যেতে পারে। হাল আমলের ক্রিকেটে ড্র-ই বা হয় কয়টা? বাংলাদেশের তো উচিত তুলনামূলক কম শক্তির শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের কথা উচ্চারণ করা। হয়তো সিরিজটা বাংলাদেশ হারবে। তাই বলে জয়ের কথা না বলাটা কোন কাজের কথা নয়। ১৩ বছরে এসেও যদি পাঁচ দিনে খেলার প্রতিশ্রুতির কারণটা এখনো বোধগম্য নয়। হয়তো মুশফিকের মতে এটাও হতে পারে, বছর বছর আইসিসি যেভাবে বাংলাদেশের মত দলের টেস্ট বরাদ্দ দেয়ার ব্যাপারে খড়গহস্ত হচ্ছে, তাতে করে ৫ দিন খেলাটাও বড় অর্জন। একরকম জয়ই বটে। হতে পারে মুশফিকের চিন্তাটা খুবই বাস্তবসম্মত। সেটাকে যদি বড় ঢাল বানানো হয়, তবে বাংলাদেশ দলের প্রতিটি সদস্যের উচিত মার্ক নিকোলাসের লেখাটি পড়া। সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের বড় বড় কর্মকর্তাদেরও। ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলতে এখনো হয়তো পুরোপুরি শিখে ওঠেননি। কর্তারাও যে লম্বা ক্রিকেটের রাস্তাটা আরো প্রশস্থ করার চেষ্টা করবেন, তার নজিরও দেখি না! টি টোয়েন্টির বাজারদরে অবহেলিত হতে থাকা টেস্ট ক্রিকেটের ঝুড়ি থেকে কিছু টেস্ট আইসিসির কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে নিয়ে আসার কাজটা তো মুশফিকদের নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: টেস্ট খেলা তুলে দেয়া উচিত। একটানা ৫ দিন এটা কোন খেলা হলো? টেস্ট খেলা ধৈর্যের খেলা। এটা আর্মি বিডিয়ারদের খেলা উচিত ধৈর্য বাড়ানোর জন্য।