নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বর্ষণ কবির

i`m what i`m.

্বর্ষণ কবির

্বর্ষণ কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলম্বোর সিন্দবাদের ভূত

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪

হুলস্থূল চলছে চারদিকে। খেলাধূলায় রাজনীতি আসতে নেই। তারপরও বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোন কিছুই রাজনীতির বাইরে নয়। বেগম জিয়া শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিকতা বলায় বিকেল থেকে বেশ হইচই। এক পক্ষ বলছে সহি কথা। আরেক পক্ষ বলছে- দেশপ্রেম যদি ঈমানের অঙ্গ এই কথা ঠিক থাকে তবে শাহবাগে যা হলো তা তো সবচেয়ে বড় মুসলমানের কাজ হয়েছে! তর্ক-বিতর্ক অনেক জমবে। কিন্তু আর কয়েক ঘন্টা বাদে কলম্বোতে যা হবে তাতে ক্রিকেট কূটনীতি বা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটা মেরুকরণের খুব কাছে দাঁড়ানো বাংলাদেশ দলটি যেনো আলোচনার টেবিল থেকে বিদায় না নেয়।

কলম্বোতে শেষ টেস্ট যদি কোন ক্রমে( বৃষ্টির কারণে হতে পারে, দুর্দান্ত তামিমের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির কারণে হতে পারে-এমনকি ক্রিকেটের কোন কিছু অসম্ভব নয় এ্ই ত্ত্বটাকে আঁকড়ে ধরলে- জয়ও (!) অসম্ভব নয়) ড্র করতে পারে তবে বিশ্ব ক্রিকেটে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিত থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিনত হতে সময় লাগার কথা নয়। এলিট ক্লাবেও দুটি ভাগ আছে। টেস্টে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অবশ্যই ইংল্যান্ড প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। তারপরেরগুলো কম-বেশি দ্বিতীয়তে। বাংলাদেশ সেই দ্বিতীয়ভাগেরও তলানিতে। তার পেছনে শুধু জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল বা অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের জিম্বাবুয়েও টেস্ট সিরিজে ড্র করতে পারেনি। সেদিক দিয়ে মুশফিকুর রহিমের জন্য সমূহ সুযোগ। তার চেয়ে বড় কথা, টেস্ট ম্যাচ দিনকে দিন কমতে থাকা বাঙলাদেশের জন্য এটি বড় সুযোগ, অন্যদের সঙ্গে খেলা বাড়ানোর প্রস্তাবটা দেবার। কিন্তু তার আগে তো ড্র করতে হবে

কলম্বোতে দুটি জিনিস বাঙলাদেশের পরিচিত। প্রেমাদাসায় হাবিবুল বাসারের ৯৬ বলে ১২ চারে সাজানো ৮৪। আর দ্বিতিয় ইনিংসে ছয় উইকেট। ১৯৯৭ এ ভারতের বিপক্ষ টেস্ট ক্রিকেটে যেদিন জয়াসুরিয়ার ৩৪০ এ শ্রীলঙ্কা সবচেয়ে বেশি দলীয় স্কোর ৬ উইকেটে ৯৫২ করেছিল, সেদিন থেকে প্রেমাদাসার সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের প্রেমটা বেশি এই তত্ত্ব বড় জোর পেয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ এ দ্বিতীয় ইনিঙসে ৮৫তে অলআউট হওয়া বাঙলাদেশের কাঁধে ইতোমধ্যে জেঁকে আছে সিন্দবাদের ভূত। চাপ। যা কখনো সখনো মুশফিকরা জিতলেও, বরাবরই ওই ক্লাসে লাড্ডুগুড্ডু ছাত্র। ইতিহাস গড়ার চাপটা নেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। পাঁচদিন কলম্বোতে খেলা গড়ানো যাতে সম্ভব না হয় সে কারণে এসএলসি ঘাস রেখে দিয়েছে উইকেটে। মানেটা পরিষ্কার। কুলাসেকেরা, এরেঙ্গারা ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত। তাই যদি হয় তবে টস জিতলে প্রথমে আশরাফুলদের ব্যাট করতে পাঠানোর কথা ম্যাথিউজের। কিন্তু টস যদি বাংলাদেশ জেতে? শাহাদাত রাজীব লর্ডসে পাঁচ উইকেট পেয়ে অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর পর নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। রবিউল ইসলাম শিবলু সুযোগ পেলে তা হতে পারে তার জন্য অ্যাসিড টেস্ট্। সাতক্ষীরার ছেলেটিও জানেন, দিলশান-সাঙ্গাকারেদর তাদের মাটিতে পেড়ে ফেলা কঠিনই। আর যে ব্যাটিংয়ে গল বীরত্ব হয়েছে সেটি যদি কলম্বোতে প্রথমে নামে, তবে সত্যিকারের টেস্ট চরিত্র প্রমাণের বড় প্লাটফর্মটা পেয়ে যাবেন তামিমরা। কিন্তু গরমের কারণে উইকেটের ঘাসের প্রথম দুটি সেশনের বড় বড় সুইং ও বাড়তি বাউন্স সামলানো অনেক কঠিন। কলম্বোতে ইতিহাস গড়ার চাপে বাংলাদেশ যেনো কঠিনটাকেই বেশি ভালোবেসে না আবার অসম্ভব বানিয়ে দেয়! ক্রিকেট রাজনীতিতে এই সিরিজ ড্র বড় দরকার বাংলাদেশের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.