![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসা পৃথিবীর বড় অস্ত্র। মানুষকে ভালোবাসুন, সম্মান করুন পৃথিবীর সব কিছু জয় করতে পারবেন।।
আমার এই post কি আর ঐ মূর্খ বাবা-মা এবং ঐ অশিক্ষিত সমাজের মানুষের চোখে পড়বে যাদের আচরনে কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়?(কুমিল্লায় আত্মহত্যাকারী একজন ছেলেকে অনুসরন করে বললাম)।
শিক্ষাজীবনে যেকোনো মূল্যবান পরীক্ষার ফলাফলই হোক না কেন তা একজন মানুষের জীবনের সাপেক্ষে ০.০০০০১% মূল্য আছে কিনা সেটা গবেষণার বিষয়। একজন ছাত্র কোন ধরনের পরিবেশে জন্মগ্রহন করলে এই ধরনের ফলাফলের জন্য আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়?
একজন মানুষ তখনই suicide করার কথা মাথায় নেয় যখন সে তার ধর্ম সম্পর্কে অবগত থাকে না (সে যেই ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন)। একজন মানুষের মাঝে ধর্মীয় অনুভুতি সৃস্টির দ্বায়িত্ব কাদের?
বাবা-মা সন্তানকে smart phone সহ নানারকম প্রযুক্তির জিনিস কিনে দিচ্ছে।অথচ এর ভালো খারাপ দিক গুলো সম্পর্কে অবগত করে দিচ্ছে না। আমার গ্রামের স্কুলে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম তাদের smart phone,laptop,facebook id আছে কি না? অধিকাংশই হাত তুলেছিল। কিন্তু যখন প্রোগ্রামিং এর ব্যাপারে কথা বললাম কেউই তেমন সাড়া দিলো না। হয়তো বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় এই অবস্থাই হতে পারে (আমি নিশ্চিত নই)। যদি বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিশোর বয়সেই এসব technology ব্যবহার অনেক কিছু করছে তাহলে আমাদের lackings গুলো কোথায়?
আমাদের সমাজে শিশু জন্মগ্রহন করার পরেই স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়ার চেস্টা শুরু হয়। এমনভাবে ব্রেইনওয়াশ করা হয় যেন ক্লাস এ ১ম, তারপর A+, তারপর A+, তারপর A+(JSC,SSC,HSC), তারপর তো পাবলিক ভার্সিটি ছাড়া আরও অনেক কিছু আছেই যা না হলে বা না পেলে জীবন শেষ। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে উচু মঞ্চে যারা বসে আছে অনেকেরই শিক্ষাগত ফলাফল ভাল না। উদাহরন আর না ই দিলাম। একটা A+ না পেলে যে আরও লক্ষ-কোটি পথ খোলা থাকে এটা তাদের বুঝানোর দায়িত্ব কার?
উক্ত প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা প্রায় সবাই জানি। তবুও প্রতি বছর একই ঘটনা বারবারই ঘটছে।
আর সরকারের তো কোনো দোষই নাই। কারন সরকারকে নির্বাচিত করেছি আমরা যেহেতু গনপ্রজাতন্ত্রীদেশের বাসিন্দা আমরা। শিক্ষাখাতের বাজেট, প্রশ্নফাস এগুলো নিয়ে আর কিছু বললাম না। তবে সরকার শিক্ষামন্ত্রনালয় এবং এর অধিদপ্তরগুলোর দিকে একটু ভালোভাবে নজর দিলে ভালো হয়।
ছোট ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলছি-
"আমাদের সমাজে সবাই শিক্ষিত না। আবার অনেকে অনেকগুলো certificate অর্জন করেও পারিপার্শ্বিক সাপেক্ষে শিক্ষিত না। তোমাদের ফলাফল খারাপ হলে এসব ব্যক্তিরা অনেক কথা বা তিরস্কার করবে। এসময় মাথা ঠাণ্ডা করে এগুলো স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে। কারন জীবনে উন্নতি করার আরও অনেক পথ আছে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে অনেক বড় হওয়া সম্ভব। বিপদে ধৈর্য্যধারন করা এবং স্রস্টাকে স্বরন করা উচিত। কখনও কেউ আত্মহত্যা(suicide) করোনা, please."
MD. Habibur Rahman.
EEE, KUET.
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
আবুল বাশার নাফি বলেছেন: ধন্যবাদ.।।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।