নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাল দিনটি হোক শুধু মা’র জন্য

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ব্যস্ত কর্পোরেট আবার ফেসবুকে নানান এলাটিং বেলাটিং করি। সোসাইটিতে যাই, স্ট্যাটাস মেইনটেইন করি। ধান্দাপানি, ঘাইকিচিং আবার ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক লেখালেখি। হঠাৎ একদিন দেখি লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছি। নানান বিষয়ে লেখার সংখ্যাও কম হয়নি। কতজনকে কত বিষয়ে কত উপদেশ, পরামর্শ, চোখরাঙানী; কতজনকে নিয়ে চোখের জল বিসর্জন-সবই হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়। এতসব যার কল্যাণে তাকে নিয়ে সত্যিই কোনো একটি সিরিয়াস কাজ নেই। না একটা প্ল্যানড ছবি, না একটা আবেগীয় লেখা না সামান্য কৃতজ্ঞতাবহ পোস্ট। হ্যা, মা এমন একজন স্বত্ত্বা, এমন একজন মানুষ যাকে নিয়ে কিছু লেখাটা সত্যিই কঠিন। কয়েকদিন আগে বন্ধু অভির অনুরোধে বাবাকে নিয়ে একটা গান লিখতে বসেছিলাম। অবাক হলাম নিজেই যখন দেখি কোনো লাইন মাথা হতে বেরোচ্ছে না। যাই লিখি নিজেরই মনে হয় ন্যাকা ন্যাকা হচ্ছে। সেই............. ’হে বাবা’ ’ওগো বাবা’ ‘কোথায় বাবা’ টাইপ পুতু পুতু ছন্দ। আশ্চর্য! একটা প্রবল আবেগ নিয়ে প্রচন্ড সেন্টিমেন্টাল একটা কবিতা লিখতে চাচ্ছি। অথচ নিজের সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের একজেনকে নিয়ে লিখতে পারছি না। লেখা আসছে না। কেন এমন হয়?

লেখা বাদ দিয়ে কতক্ষন ভাবলাম। আমার যেটা মনে হল তা হল, আসলে বাবা বা মা’কে নিয়ে সন্তানদের আবেগ, অনুভব, মমত্ববোধ, নিবিড়তার স্থানটি সন্তানের কাছে চিরকাল অব্যখ্যাত এক রহস্য। ঠিক কোন যাদুমায়ার বদৌলতে আমাদের মা-বাবারা এরকম প্রগাঢ় স্নেহ আদর দিয়ে আমাদের বাঁধতে পারেন যা মনে করে আজ এই ৪০ বছর বয়সেও চোখ ভিঁজে উঠছে তাকে কলমের ডগায় আনা সন্তানদের কাছেও অসাধ্য। কী এক মায়ার বলে ইশ্বর তাদের হৃদয়ে আমাদের জন্য এতটা মমতা বাঁধাই করে দিয়েছিলেন যে, সারাজীবন এতটা অবাধ্যতা, এতটা দুর্বিনীত অপরাধ, এত কষ্ট দেবার পরেও মা বা বাবা বলতে পারেন, “এসেছিস বাবা?”

ইচ্ছা ছিল মা’কে নিয়ে শুধু লিখব। বাবাকে নিয়ে লিখতে চাইলেও লিখতে পারব না। আমাদের পরিবারে ’বাবা’ এক ইচ্ছা করে ভুলে থাকা নাম। তিনবছর আগে তাকে হারানোর পরে আমরা সন্তানরা সবাই অভিনয় করে চলি যেন তাকে আমরা ভুলে গেছি। যেন ‘বাবা’ কখনোই কোনো স্বত্তা হিসেবে ছিলেন না আমাদের সাথে।

কেউ কেউ বলেন, আমাদের সেই বৃটিষ বয়সের মা-বাবাদের জন্য ফেসবুকে ভালবাসার প্রকাশ, বিশেষ দিবসে বিশেষ উইশ-এগুলো অবান্তর কারন বাই ডিফল্ট আমাদের ওই প্রজন্মের বাবা-মা’দের কারোরই ফেসবুক আইডি থাকার কথা না যে তারা আমাদের সেসব পোষ্ট দেখবেন আর আবেগে ভাসবেন। আমিও এই ধারনাটার একদম বিরোধি নই। তবু মাঝে মাঝে মনে হয় খারাপ কী? ফেসবুকে নানান এলাটিং বেলাটিং কি করছি না? মনের সবটুকু আবেগ (নানান ফালতু বিষয় নিয়েও) এখানে ঢেলে দিচ্ছি না? তাহলে বাবা-মা’কে নিয়ে কেন নয়? আর তাছাড়া আমার ফেসবুক ওয়াল আমার নিজস্ব ডায়েরী। সেখানে কী লিখব, কাকে নিয়ে লিখব সেটাতো আমি নিজেই নির্ধারন করব। ফেসবুকে মা’কে নিয়ে একটা ছোট্ট উইশ করলে মা হয়তো সেটা দেখবেন না, কিন্তু আমি আমার মা’কে ভালবেসে একটা ছোট্ট আবেগ ভাসিয়ে রাখলাম ইথার নামক ডায়রিতে। যেটা জনম জনম ভেসে বেড়াবে ইথারে। খারাপ কী? যেকোনো সন্তানের কাছে তার মা নিশ্চই সবচেয়ে প্রিয় ও আপনজন। অনেকে বলেন, মেয়েরা বাবাকে বেশি ভালবাসে আর ছেলেরা মা’কে। আমি তা বিশ্বাস করি না। আমার মনে হয়, ওটা ঠিক ভালবাসার ব্যবধান না। ব্যবধান ইন্টিমেসি বা ঘনিষ্ঠতার। ভালবাসাটা মা’য়ের প্রতিই বেশি। (কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা ‍আছে বিপরীত দিকে ইন্টিমেসি বেশি হবার......সেটা জেনেটিক গঠন ও জেন্ডার সাইকোলজির অংশ যা নিয়ে এখন খটোমটো আলাপ ভাল লাগবে না।)

আমার মা একজন অত্যন্ত সেঁকেলে, পুরোনো দিনের মা। বৃটিষের সময়ে তার জন্ম, পাকিস্তানে তার বেড়ে ওঠা আর বাংলাদেশে তার সংসার জীবনে পদার্পন। তিনটি যুগসন্ধিক্ষণে তার জীবনবোধ তৈরী হয়েছে। অতিসাধারন একজন বৃটিষ ভারতীয় গ্রাম্য বালিকা, তারপর অত্যন্ত অপটু অবস্থায় স্বামীর গৃহে গমন। এতটুুক ভূমিকা করলাম আমার আপাতঃ অতি সাধারন মা’য়ের একজন অসাধারন মা, অনন্যসাধারন গৃহিনী, অকল্পনীয় একজন স্বপ্নদ্রষ্টা আর স্রষ্টার সৃষ্টি সেই বিখ্যাত ’মা’ হয়ে ওঠার গল্পটাকে আরেকটু চমকপ্রদ করতে। একটা বিজ্ঞাপনের ভাষা আছে এমন, ‘প্রতিটা ’মা’! হতে ‘মা’!! পর্যন্ত। অর্থাৎ একজন মা তার সন্তানদের জন্য চিরকালই আশ্রয়, ভরসার শেষকথা। আজকাল শুনতে পাই, একজন মা হত্যা করেছেন তার নিজের সন্তানকে, পরিত্যাগ করেছেন সন্তানকে। কেউ কেউ আবার আগ বাড়িয়ে বলতে শুরু করেছেন, যুগ বদলাচ্ছে। তার মানে সেই গতানুগতিক যুগের মতো মা কে আর সেই মূল্যায়নে দেখা চলবে না। তার মানে হল, কুমাতা’র অস্তিত্ব মেনে নিতে বলা। পিতা বা মাতার হাতে সন্তান নিহত হবার ঘটনাকি একদমই অভিনব? কখনোই কি সেটা অতীতে দেখা যায়নি? আমার সীমিত জ্ঞানতো বলে, সেই বৈদিক যুগেও কখনো কখনো পিতা বা মাতাকে সন্তান হন্তারকের ভূমিকায় দেখা গেছে। কিন্তু এইরকম লাখে একটি ঘটনা কখনোই সার্বিক সম্পর্কের নির্নায়ক হতে পারে না। পারে না, মা’য়ের মহিমান্বিত ইমেজে ছিটেমাত্র কালি ছিটাতে। মা’তো মা’ই।

বলছিলাম আমার মা’র কথা। জগতের আর দশজন সাধারন মায়ের মতো তিনিও তার চারটি সন্তানের মা। তার খুব অদ্ভুৎ একটা গোঁ ছিল। তিনি কখনোই তাকে ‘আম্মা, আম্মু, মামুনি, মাম্মি, মম’ এগুলো ডাকা পছন্দ করতেন না। একদম সলিড ‘মা’। মা বলত, আর কোনো ডাকে ডাকলে ’পরান ভেজে না’। সত্যিই, মা ডাক শুনবার জন্য আমার মা অহর্নিশী কান পেতে থাকতেন। আজ যখন আমরা তার সন্তানরা নিজেরাই বাবা-মা হয়েছে (আমার অবশ্য সেই অভিজ্ঞতা হয়নি বিধায় একজন বাবার অনুভুতি কখনোই বুঝতে পারব না, একটা অপূর্ণতা রয়ে যাবে জীবনে) তখনো ঈদে কোরবানিতে বাড়িতে গেলে মা সেই সকাল হতে বাসার গেটে বসে থাকেন। আমরা বাড়িতে পৌছালেই বুকে নিয়ে, কেঁদে কেঁটে, চিৎকার করে একাকার করে একরকম দুর্দমনীয় আবেগে আমাদের কাছে টেনে নেন। মায়েদের সাধারন আবেগ অনুভুতির বাইরে তিনি কবে যে একজন অসাধারন ভবিষ্যতদ্রষ্টা হয়ে উঠে আমাদের চার চারটি সন্তানকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন ভব্যিষ্যতের বন্দর তার হদিস আজো পাই না। একজন সাধারন আটপৌড়ে গৃহিনী তার সামান্য একাডেমিক জ্ঞান আর সংসারের হাজারটা ব্যস্ততার গন্ডির বাইরে কী করে জগতটাকে এমন নিখুঁতভাবে পড়ে ফেললেন আর তার সন্তানদের সেই একই অভিন্ন বিদ্যায় পাঠদান করলেন সেটা একটা মিরাকল। অনেকেই বলেন, মায়েদের অতিরিক্ত আদর আর স্নেহ সন্তানদের বিপথে চালিত করে। আরে ভাই, মা’কে তো বিধাতা শুধু আদর আর আবেগ দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এর বাইরে কিছুকি তাদের আছে? আমাদের বিশেষত আমার জীবনের অন্তত তিন সিকি পরিমান জীবনবোধের উপরতো আমার মায়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখতেই পাই। নেপোলিয়ন শুধু শুধু তার সেই বিখ্যাত উক্তিটি করেন নি, ”আমাকে একজন ভাল মা দাও, আমি তোমাদের একটি দারুন জাতি দেব।”

অথচ কী জানেন? আমার এই অসম্ভব ভালমানুষ বোকা আবেগের মা তার নিজের মা’কে হারিয়েছেন ‘মা’ কী জিনিস সেটা বুঝবার আগেই। একজন নিজের মাকে না দেখা নারী কিভাবে কোন পথে একজন সত্যিকারের মা হয়ে গেলেন সেটাই ভাবি। দশভূজা যাকে বলে না? তিনি সত্যিকার অর্থেই তাই ছিলেন আমাদের জীবনে। সমাজের খুব উঁচু স্তরের একজন কেউকেটা হয়তো আমি হতে পারিনি তবে এতটুকু বলতে পারি, আমি আমারে মায়ের সন্তান হয়ে উঠতে নিশ্চই পেরেছি। মানুষ হবার একটা নিরন্তর চেষ্টাকে লক্ষ্য অন্তত করতেতো পেরেছি যা কখনো অমানুষ হতে দেয়নি। সেটাই ছিল আমার সর্বংসহা মায়ের জীবনের লক্ষ্য। তিনি সহ্য করেননি এমন কোনো বিপদ, বেদনা, বঞ্চনা বোধহয় কিছু নেই। অথচ পরম মমতায় ভুলে গেছেন সব। জগতের প্রত্যেক সন্তানের কাছেই তার মা স্পেশাল। বিশেষ বৈশিষ্টের কেউ। আমার মা’ও তার সন্তানদের কাছে তেমনি স্পেশাল।

মা আমাদের শৈশবে একটা গল্প করতেন। একব্যক্তি পরিনত বয়সে একটি মসজিদ তৈরী করেন। উদ্বোধনের সময় মা’কে ডেকে বলেন, ”মা, তোমার দুধের ঋণ শোধ করলাম এই উপসনালয় দিয়ে।” সাথে সাথে উপাসনালয়টি ভেঙে পড়ে। হয়তো এটি নিছক একটি উপমা। কিন্তু কী জীবন্ত শিক্ষা। মাঝে মাঝে ভাবি, একজন মায়ের অপরিমেয় স্নেহ, আদর, ভালবাসার বিপরীতে সারাজীবনে সন্তান হিসেবে আমরা ঠিক কতটুুকু কৃতজ্ঞতা শোধ করি? শুধু ঈদে কোরবানীতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা নয়, সারাবছর মা’কে আমরা কিভাবে ভালবাসি সেটা একটা প্রশ্ন।

আমি শুধু একটা কথাই ভাবি, মা নেই-এমন একটা পৃথিবীতে কী করে বেঁচে থাকব। নিশ্চই বলবেন, সময়ের সাথে সাথে সব শোক স্তিমিত হয়ে যায়। আমি খুব বিশ্বাস করি না এই মিথটিতে। আমার কয়েকটি প্রাচীন শোক আছে যার একটিও আজও এতটুকু শুকায়নি, আজও তেমনি তাজা। শোকগুলোকে কখনো স্মৃতি নামক হৃদয়ের অদ্ভূৎ কুঠুরী হতে মাথার সাময়িক চিন্তাতেও আনতে পারি না-এক দুরতিক্রম্য বিবশ অনুভূতির ভয়ে। তাই ভুলে থাকি। পৃথিবী যতই ডিজিটাল হয়ে থাকুক, মাতৃস্নেহ কিন্তু আজও এনালগই আছে। মা দিবস নামক বিশেষ দিবসে সুন্দর সুন্দর ইমোটিকন, হৃদয়স্পর্শী মেসেজ, বানিজ্যধান্দা মাখানো বিজ্ঞাপন, এসএমএস-এসবের জন্য আমাদের মায়েরা এখনো রেডি নন। এখন যারা মা-বাবা হচ্ছেন তারা হয়তো আর ২০ বছর পরে এসবেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবেন। আমি একবার সাহস করে সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে মা দিবসে মাকে ফোন করলাম, বললাম, ”মা তোমাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা”। আমার মা ফোকলা হাসি হেসে বললেন, ”সেটা আবার কী?” এই হল আমার ডিজিটাল যুগের এনালগ মা। তবে আমার এই মা’কেই আমার বেশি পছন্দ। নতুন যুগের মা যারা ’মা’ হতে ‘মম’ হতে বেশি পছন্দ করেন তাদের জন্য শুধুই করুণা।

আমাদের একটু ভাল রাখতে বাবা মায়েরা সারাজীবন কী ভয়ানক কৃচ্ছতা সাধন করে যান তার খবর ক’জন সন্তান রাখে। আমরা চার ভাইবোন ছিলাম। মা’কে দেখতাম কখনোই আমাদের সঙ্গে খেতে বসতেন না। ছোট হওয়ায় আমরা অভিমান করতাম, মা কেন আমাদের সাথে খান না। এখন বুঝি,আমরা যাতে তৃপ্তি মতো খেয়ে নিতে পারি তাই তিনি নানান অযুহাতে পরে খেতেন (আমাদের ভাইবোনের খাওয়ার পরে যা থাকত তাই।) ঈদের নতুন জামা সময়মতো না পেয়ে অনেক সময় কান্না জুড়তাম। অথচ কোনোদিন চিন্তাও করিনি, মা কি কোনো নতুন জামা নিতেন? আজকে বড় হয়ে মা’কে নতুন জামা কিনে দিই, মা নিতে চান না। কিন্তু সেই সময়ে তার না পাওয়ার বেদনা কি ঘোঁচাতে পারব? ছোটবেলায় আমি বড্ড রোগা ছিলাম। প্রায়ই জ্বরে ভুগতাম আর মা সারারাত জেগে মাথায় পানি দেয়া বা মাথার হাত বুলোনোর কাজ করতেন। আপা দিলে হবে না, ভাইয়া, বাবা দিলেও না, শুধু মা এসে মাথায় হাত দিলেই সব ঠিক। আজকে যখন নিজেরা বাবা-মা হয়ে নিজের সন্তানের সামান্য উহু করলেই সারারাতের ঘুম নষ্ট, অ্ফিস নষ্ট করে জীবন তোলপাড় করে ফেলি, তখন ভাবি কি, মা’র জন্য ক’টা রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি? তিনি থাকেন দূর গ্রামে। আমরা এখানে বসে শুধু আহা উহু করে, হঠাৎ একটা ফোন দিয়ে দায়িত্ব সারি।

মা-বাবা তোমরা এত ভাল কেন হও? মা’কে জীবনে অনেক কষ্ট দিয়েছি জানি। তার ৯৯%ই ছোটবেলায় বা একান্ত না বুঝে। কিন্তু একটা কষ্ট তাকে দিয়েছিলাম বোধহয় জেনে বুঝেই। মা’কে সেই কষ্টটার জন্য স্যরি বলার সময় কি পাব? শুধু সেই কষ্ট দেয়াটার জন্য জীবনে কখনো নিজেকে ক্ষমা করব না। স্যরি বলতে হবে। খুব গাঢ় আবেগ নিয়ে। শিগগীরই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.