নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই, আমি আমার নই, আমি তোমার নই, আমি তুমিও নই

বেচারা

Walid

বেচারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রেশারদের চাকরীর বাজার: কিছু ভ্রান্তি বিলাস

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৩

কর্পোরেট জগতে পরিচীতি তৈরী হওয়ার সুবাদে আর এইচআরে কাজ করার সুবাদে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে ইন্টার‌্যাক্ট করার সুযোগ হয়। কখনো ফোনে, কখনো সামনাসামনি, কখনো মেসেঞ্জারে, কখনো ভাইবার বা ফেসবুক ওয়ালে। কখনো তারা সরাসরি প্রশ্ন বা মন্তব্য করেন কখনো প্রফেশনাল পোষ্টে কমেন্ট করেন। নিজে একজন প্রফেশনাল হবার কারনে লেখালেখির একটা বড় অংশই থাকে ক্যারিয়ার রিলেটেড। মানুষ অবসর সময়ে গান শোনে, সিরিয়াল দেখে, আড্ডা দেয়, আইপিএল দেখে। কেউ কেউ আবার বাসার খাটে শুয়ে নিজের অপত্ত পোলাপানের সাথে রোমশ বুক উন্মুক্ত করে খালি গায়ের সেলফী পোস্ট করে। আমি নিজের ব্যক্তিগত সময়টাতে লেখালেখি করি কারন ওটাই আমার প্যাশন। ওটা করেই সময় কাটাই। এখন ব্যাক্তিগত সময়ে লেখালেখি করে সেটা আবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোষ্ট করা নিশ্চই গুনাহের কাজ নয়? আমি ফ্রেশারদের ক্যান্ডিডেটদের নিয়ে অন্য মাধ্যমে প্রকাশিত দু’টি লেখা এখানে পোষ্ট করলাম। যদিও ব্লগ হয়তো এর উপযুক্ত ফোরাম নয়, তবু মনে হল, এটা কারো না কারো কাজে আসতেও পারে।

চাকরীর বাজারে আমাদের ফ্রেশার ক্যান্ডিডেটরা প্রায়ই মন্তব্য বা অনুযোগ করেন, আমরা ক্যারিয়ার রিলেটেড এত পোষ্ট দিই অথচ তারা একটা সুযোগ পান না, তাদের কাছে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয় অথচ প্রথম চান্সটি না পেলে তারা অভিজ্ঞতা কোথায় পাবেন, সব চাকরীতে অভিজ্ঞতা চাইলে তারা কোথায় জব পাবেন ইত্যাদি। আমি তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, বাংলাদেশের যেকোনো সরকারী চাকরীতো বাই ডিফল্ট ফ্রেশারদেরই দেয়া হয়। আপনারা হয়তো জানেন না, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রতিমাসে হাজার হাজার ফ্রেশার চাকরীতে ঢোকেন। ভাই, সিম্পল ম্যাথ, ফ্রেশার যদি কেউ নাই নিত, তবে প্রতিবছর দেশে বেকারের সংখ্যাটাতো বিন্দুমাত্র কমত না। কেউ না কেউ তো তাদের নিচ্ছে ঠিকই। সমস্যা হল, চাকরীদাতা আর চাকরীপ্রার্থীর মধ্যে ব্যাটে বলে হচ্ছে না।

আর ফ্রেশাররা যে অনুযোগ করেন যে, কোম্পানীগুলো কেন ফ্রেশার নেয়না তার একটা যৌক্তিক উত্তর আছে। ভাইয়েরা, প্রাইভেট কোম্পানীগুলো সরকারের মতো সামাজিক কর্তব্য পালন করতে পারবেন না। সেটা তাদের কাজও না। তাদের কাজ হল ব্যবসা। সেটা রক্ষা করে তবেই যাবতীয় সামাজিক কর্তব্য। হ্যা, ইস্যু হল, ব্যবসা করার ভিতর দিয়েই তারা সামাজিক দায়ীত্ব পালন করতে পারেন এবং তারা সেটা করছেনও। কী করতে পারেন তারা? উত্তর হল, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আর সোস্যাল মার্কেটে মানি ফ্লো সৃষ্টি করে। কথা হল, আপনাদের দাবী মোতাবেক যদি কোনো কোম্পানী ফ্রেশার নিয়োগ না দিয়ে থাকে তবে বছরে ৭ লক্ষ ফ্রেশার বেকার সৃষ্টি হত। তাহলে বিগত ৪৫ বছরে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা কত হত? সেই ৭২ সালে যারা ডিগ্রী করেছেন তারা আজও বেকার থাকতেন। আছেন কি তারা?
আর তাছাড়া একজন উদ্যোক্তা তার প্রতিষ্ঠানে কেমন কর্মী নিয়োগ করবেন সেটা তার স্বাধীনতা। ব্যবসার স্বার্থে তার যেমন মানুষ দরকার তেমনই তো নেবেন। তবে কিছু কালপ্রিট আছে যারা ফ্রেশারদের স্বার্থ রক্ষার নামে তাদেরকে বিক্ষুদ্ধ করে তুলছে এই বলে যে, নিয়োগদাতারা ফ্রেশারদের কেন বেশি বেশি নেন না। বিপ্লবী কথা বলে তারা আপনাদের বিক্ষুদ্ধই শুধু করতে পারবে। বিপ্লব চাইলে পল্টনে যেতে হবে। চাকরী করতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে। আসল সমস্যাটা হল, ব্যাটে বলে হচ্ছে না। গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসে বিরাট সংখ্যায় ফ্রেশার নিয়োগ করেন। আমার নিজের প্রতিষ্ঠানও। হয়তো আপনি সেটার সুযোগ নিতে পারেন না নানা কারনে।
ফ্রেশার সহসা কেন নিতে চায়না প্রাইভেট কোম্পানী সেটা জানেন? আস্থার অভাব আর দক্ষতার অভাব। বিশ্বস্ততার অভাব মানে হল, আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখি ফ্রেশারদের একটা অংশ চাকরীতে ঢোকার পর একটু অভিজ্ঞতা (৬ মাস-১ বছর) হলেই বড় বেতনের হাতছানিতে চলে যান। অযুহাত দেন যে, এখানে ভবিষ্যত নেই, কাজের পরিবেশ নেই, বেতন কম ইত্যাদি। ভাই, আপনি এসব কিছু জেনেই তো ঢুকেছেন তাহলে আজ এ প্রশ্ন কেন? আর আপনার নিয়োগদাতা আপনাকে ফ্রেশার হওয়া স্বত্বেও নিয়েছেন, তার কৃতজ্ঞতাস্বরুপও তো আপনার একটা দায়বোধ থাকে। নিয়োগদাতা তার পেছনে যে অর্থ, সময়, এনার্জি ও অপর্চুনিটি ইনভেষ্ট করেন তার কিছুমাত্র রিটার্ন (ROI) পাবার আগেই এমনকি ভদ্রতাসূচক রিজাইনটাও না দিয়ে অনেকে চলে যান। কিছু কিছু অবিবেচকের এই কুঅভ্যাসটি বাকিদের জন্য পথটি রুদ্ধ করে দিচ্ছে।
আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেখানে প্রতিটি টাকারই (ROI) হিসেব করে চলতে হয় সেখানে একজন নিয়োগদাতা তো চাইবেনই তার একজন কর্মী প্রথম দিন না হোক, দ্বিতীয় দিন হতে তার টেকনিক্যাল ডিউটি শুরু করুক। তাতে করে তার কাজ জানা অভিজ্ঞ লোক হলেই তো বেটার তাই না? ভেবে দেখুন, চাকরী বাকরী না পেয়ে আপনি একটা কল সেন্টার দিলেন। সেখানে কাদের নিয়োগ দিতে চাইবেন? একদম আনকোড়া নতুন মানুষ যাদেরকে আপনার কাজ শেখাতে হবে নাকি বিনা কষ্টে আপনি কাজ জানা লোক নেবেন? না আমাকে মালিকদের দালাল ভাববেন না। আমি শুধু ভিতরকার রিয়েল চিত্রটা বললাম। আপনি নিয়োগকর্তাদের এই নীতির সাথে দ্বিমত হতে পারেন, রাগ করতে পারেন। তাতে কী এসে যায়? সমস্যার তাতে কি পরিবর্তন হবে।
কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, চাকরী না করলে অভিজ্ঞতা কোথায় পাব? সংক্ষেপে শেষ করার স্বার্থে বলি, অভিজ্ঞতার জন্য প্রথমেই মাল্টিন্যাশনাল না খুঁজে যেখানে পারেন ঢুকে পড়ুন, সেটা যদি আপনার দৃষ্টিতে থার্ড ক্লাস কোম্পানীও হয়। কাজ শিখুন, অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, চ্যালেঞ্জ নিতে শিখুন, কর্পোরেট কালচারে, লোড নিতে অভ্যস্ত হোন। ৩টি বছর যেতে দিন। তারপর অন্যত্র এপ্লাই করুন। যারা বলবেন, সেই থার্ড ক্লাসেও তো ডাক পাচ্ছিনা। তাদের বলছি, চাকরীর অভিজ্ঞাতা যদি নাও নিতে পারেন তবে আরো কিছু কাজ করে নিজের সিভি ভারি করা সম্ভব যেগুলোকে আমরা মূল্য ‍দিই ইন্টারভিউতে-ফ্রিল্যান্স আউটসোর্স করুন। বলবেন বেকারদের ইন্টারনেট বিল দেবার পয়সা কে দেবে? ভাই, ঢাকার অনেকগুলো স্পটে ফ্রি ওয়াইফাই আছে। ওখানে গিয়ে পড়ে থাকতে তো বলতে পারি না। তবে আপনি চাইলে নিশ্চই একটা রাস্তা বেরোবে। পত্রিকায় লিখুন, ইন্টার্নশীপ করুন, পার্ট টাইম করুন, এলাকায় একটা ছোট সংগঠন করে যেকোনো ফ্রি কাজ করুন, সোসাল সংগঠনে যুক্ত হোন, কিছু না পারলে যেকোনো সংগঠনে ভলান্টিয়ার হোন, গ্রূপ ফরম করে খরচবিহীন সোস্যাল ওয়ার্ক করুন, পথশিশুদের জন্য ফান্ড রেইজিং বা স্কুল করুন, লো এন্ডের কনজুমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং এর কাজ করুন, ব্লগ লিখুন, ওয়েবসাইট বানানোর কাজ করুন, ডাটা এন্ট্রির কাজ নিন, কোটিং এ ক্লাস ‍নিন। ওয়েল, এরপর কেউ কেউ বলবে, আপনি এত জ্ঞান দিচ্ছেন কারন আপনি এখন সুবিধাজনক স্থানে আছেন তাই। ভাইয়েরা, যে কয়টা বললাম ওর সবকটা নাহোক, বেশিরভাগই আমি বেকার থাকাবস্থায় করে তবেই বলছি। আর এখনো যদি বেকায়দার পড়ি, আমি ঢাকার রাস্তায় বাদাম বেঁচতেও রাজি আছি। শেষ করছি তিনটি রসকসহীন বাক্য দিয়ে-ইগো বাদ দিন, সিরিয়াস ও কমিটেড হোন, তুচ্ছাতিতুচ্ছ সুযোগও কাজে লাগান। আর হ্যা, নিজের যোগ্যতার সবগুলো তীর প্রস্তুত রাখুন।
সবশেষে একটা সেল্ফ টেস্টিমনি দিই? সমাজ সেবার জন্য কিংবা সোস্যাল/কর্পোরেট ডেভেলপমেন্টের জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেন। জরুরী নয় যে আপনি যেটা করছেন আমাকে সেটাই করতে পারতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ইন্ট্রোভার্ট মানুষ। আর পেশাগত উন্নয়ন কিংবা বেকারদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে কিন্তু সামর্থ সীমিত। অন্যদের মতো অনেক কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই নানা কারনে। আমার একটাই যোগ্যতা সেটা হল লেখালেখি। আমার শুভাকাঙ্খি ও সমাজসেবারত ভাইয়েরা, আমি এই এতটুুকুই পারি-নিজের অভিজ্ঞতাকে লিখে শেয়ার করতে। আমি জানি আপনি অনেক কিছুই করছেন সমাজের জন্য। আমি যাস্ট আপনাকে হেল্প করছি। কারন আমার সাধ্য এতটুকুই। আমি আমার নিজ কর্মস্থলে কতটুকু আধুনিকায়ন করতে পেরেছি (এত যে বকবক করি তাই কেউ কেউ জানতে চান, তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা) তার উত্তরে বলব, আমরা যাস্ট চাকরী করি। চাকরীস্থলের উন্নয়ন শুধু আমার একার স্বপ্ন মোতাবেক তো হবে না। আমি যা চাই সব নিশ্চই সে রকম হবে না। টপ ম্যানেজমেন্টের ভিশনই ওখানে শেষ কথা।

চাকরী সোনার হরিণ নয় তবে আবার মামীর হাতের মোয়াও নয়:

অভিজ্ঞ চাকরীপ্রার্থী/ফ্রেশার চাকরীপ্রার্থী/ফার্ষ্ট ইয়ার-মাস্টার্স পরীক্ষার্থী: আমাদের কাছে বিভিন্ন সূত্র হতে প্রার্থীরা আসেন চাকরীর অনুরোধে। আমরাও চেষ্টা করি তাদের সাহায্য করতে। মনে রাখতে হবে, একজন সৎ কর্পোরেট হিসেবে আমাদের কাজ হল প্রার্থীদের সুযোগের সাথে লিংক করিয়ে দেয়া, নিজের যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ করে দেয়া। যেকোনো প্রকারে চাকরীতে জয়েন করিয়ে দেয়া নয়। মনে রাখবেন দেশে ২৬ লক্ষ কমপ্লিট বেকার, সাথে আছে চাকরীরত মানুষদের নতুন চাকরী খোঁজার কারনে সৃষ্ট প্রতিযোগীতা। এত টাফ প্রতিযোগীতার মধ্যে আপনাকে যদি একটি চাকরী ম্যানেজ করতে হয় তাহলে ভাবুন, ওই ২৬ লক্ষের মধ্যে আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে আপনাকে নিয়োগদাতা পছন্দ করেন। একেকটি পদের বিপরীতে যখন হাজার খানিক সিভি জমা পড়ে, তখন কি মনে হয় আপনার? কেন বা কী করলে আপনি তাদের মধ্য হতে ইন্টারভিউতে ডাক পাবেন? প্রতিদিন যখন আমরা ইন্টারভিউ করি, মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই দুঃখ করি প্রার্থীদের দুর্বল যোগ্যতা দেখে। চাকরী আছে, দিতেও চাই অথচ প্রার্থীদের অবস্থা ভয়াবহ। স্বভাবতই চাকরী আর দেয়া হয় না। বেশিরভাগ প্রার্থী কেন বাতিল হয়ে যায় জানেন? অনার্সের ‍শুরু হতে মাস্টার্স-চাকরীর কোনো প্রস্তুতি নেই। বলতে পারেন ওসময়টাতো একাডেমিক পড়াশোনায় মনে দেয়ার কথা। হ্যা, অবশ্যই কিন্তু পাশাপাশি নিজের যোগ্যতা বাড়াবার জন্য ইংরেজি কি শিখতে পারবেন না, সাধারন জ্ঞানের বই পড়া, নভেল পড়া, ম্যাথের চর্চা, ইন্টারভিউ দেবার প্রাকটিস কি একদম নিষেধ? বেশিরভাগ প্রার্থী আমাদের কাছে রিজেক্ট হন শ্রেফ অপ্রস্তুত থাকার কারনে। একজনের সাথে আজ কথা বললাম। নিজেই বললেন, স্যার ফার্ষ্ট ইয়ারের ভর্তির পরে রেজাল্ট পর্যন্ত আর কোনো প্রিপারেশন নিইনি। আমি তাকে বললাম, ৪+১=৫ বছরের গ্যাপ কিভাবে এখন মেকআপ করবেন?
ইংরেজি বলা, পড়া, লেখা ও বোঝায় ক্ষমাহীন দুর্বলতায় রিজেক্ট হন বিশাল সংখ্যক প্রার্থী। তারপরে একটা অংশ রিজেক্ট হন, অত্যন্ত বাজে কোয়ালিটির সিভির কারনেও। প্রার্থীদের একটা অংশ শেষ পরীক্ষাটি দিয়েই এমনকি রেজাল্ট হবার আগেই চাকরীর দরখাস্ত শুরু করেন। অথচ চাকরীর প্রস্তুতির জন্য সামান্য প্রস্তুতি নেবার পেছনে সময় দেন না। দয়া করে চাকরীর জন্য প্রিপারেশন নিন। কিভাবে? একটি ভাল সিভি বানান, ইংরেজিতে ৪টি লেভেলে দক্ষতা বাড়ান, ইন্টারভিউ ফেস করার চর্চা করুন (লাগলে গ্রূপ প্রাকটিস করুন), আইকিউ বাড়ান, ম্যাথ চর্চা করুন, সাধারন জ্ঞান বাড়ান এবং ক্রিয়েটিভ থিংকিং দক্ষতা বাড়ান। আর হ্যা, ফেসবুকে সারাক্ষন হাবিজাবিতে ব্যস্ত না থেকে নিজের নেটওয়ার্ক বাড়াতে এটাকে কাজে লাগান। প্রফেশনাল ও কর্পোরেটদের সাথে ফার্ষ্ট ইয়ার হতেই যোগাযোগ সৃষ্টি করুন। ইউটিউবে শুধু ফ্রি মুভি না দেখে ওখান হতে কোয়ালিফিকেশন বাড়ানোর ভিডিও গুলো দেখুন, শিখুন, রেডি হোন। আমার মোদ্দা কথা হল, এমন একটা সত্যিকারের প্রস্তুতিসহ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইন্টারভিউতে আসুন যাতে নিজেই মনে করতে পারেন, “আজ যদি একজন মানুষেরও চাকরী হয় সেটা আমার হবে।”
(এই লেখাটা পুরোটা না বুঝেই অনেকে নানা সমালোচনা, টিটকারী, বাজে মন্তব্য, ইস্যুহীন আলাপ শুরু করতে চাইবেন। আগে পোষ্টের উদ্দেশ্যটি বুঝুন, মূল বক্তব্যটি বুঝুন, তারপর বিতর্ক করুন। বিতর্ক করলে যুক্তি দেবেন, দয়া করে নিজের বিশ্বাস চাপিয়ে দেবেন না। অনেকে অনেক ইগোয়িক যুক্তি দেন, ”কেন ইংরেজি শিখব, ইংরেজি জানাই সব না, আগে কাজ দিন পরে যোগ্যতা যাঁচাই করুন, সিভি কোনো যোগ্যতার মাপকাঠি না, এমপ্লয়াররা ভন্ডামী করেন, এমপ্লয়াররা স্বজনপ্রীতি করেন, ফ্রেশাররা অভিজ্ঞতা কোথায় পাবে”-ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি ওগুলোর কোনো পাল্টা জবাব দেবনা। কারন এই পোষ্টের উদ্দেশ্য শুধু একটা কথা জানানো-কেন রিজেক্ট হচ্ছেন আর কিসে তা থেকে বেরোতে পারবেন। দয়া করে বিপ্লবী কথাবার্তা বলবেন না। বিপ্লব চাইলে আবার চাকরী খোঁজা কেন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৪৬

রোদ্র রশিদ বলেছেন: ভালো লিখছেন, সহমত...

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ রোদ্র ভাই। সাথে থাকুন।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো লিখেছেন!

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্লগের উপযুক্ত কন্টেন্ট হয়তো ওটা হয়নি। তবু মনে হয়েছিল, কারো যদি কাজে লাগে। সাথে থাকুন। ভাল থাকুন।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট। অনেক জরুরী কথা সবার পড়া উচিৎ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৫

বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ সরকার। এতবড় পোষ্ট পড়ার জন্য। ভাল থাকুন।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২২

আনু মোল্লাহ বলেছেন: বেশ সুন্দর লিখেছেন। সহমত পোষণ করি।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

বেচারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমাদের বেকারদের জন্য প্রচুর ইফোর্ট দেয়া দরকার। সরকারেরও, প্রফেশনালদেরও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.