![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সহজ গল্পের ফেরিওয়ালা। গল্প বলাই আমার কাজ।
ছায়ানটের জন্মকথা
ইংরেজী ১৯৬১ সাল, ১৩৬৮ বঙ্গাব্দ রবীন্দ্রশতবার্ষিকী উদযাপনের সূত্র ধরে ছায়ানটের জন্ম হলেও এর ইতিহাস কিছুটা প্রাচীন এবং বিস্তৃত। সময়টা ছিল ১৯৬১ সাল। তখন তদানীন্তন পাকিস্তানে সামরিক শাসন চলছিল। সেই সময় সারা দেশে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল। বিশেষ করে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি বৈরী মনোভাবাপন্ন পাকিস্তান সরকারের কাছে, বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ছিল দেশদ্রোহিতার সমতুল্য। এই পরিবেশের মধ্যদিয়ে রবীন্দ্র-জন্ম-শতবার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন, তৎকালীন ঢাকার কিছু বাঙালি বুদ্ধিজীবী। তাঁদের মধ্যে বিচারপতি মাহবুব মুর্শেদ, ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, খান সারওয়ার মুর্শেদসহ অনেকে ছিলেন।
রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপনের পর, তাঁদের একটি দল ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে বনভোজনে যান। তাঁদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান (সিধু), শামসুন্নাহার রহমান, আহমেদুর রহমান (ইত্তেফাক পত্রিকার কলামিষ্ট ভীমরুল), কবি সুফিয়া কামাল, সন্জীদা খাতুন, ওয়াহিদুল হক, ফরিদা হাসান, সাঈদুল হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। বনভোজন শেষে তারা বিকেলের শেষ লগ্নে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চাকে আন্দোলনে রূপ দেওয়ার জন্য একটি সংগঠন তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। এই সূত্রে ফরিদা হাসান ও সাঈদুল হাসানের প্রস্তাবে সংঠনের নাম হয় 'ছায়ানট'। ১৯৬১ সালে কবি সুফিয়া কামালকে সভাপতি এবং ফরিদা হাসানকে সম্পাদক করে ছায়ানটের প্রথম কমিটি তৈরি করা হয়। কমিটির বিভিন্ন পদে ছিলেন− জহুর হোসেন চৌধুরী,সাঈদুল হাসান, মোখলেসুর রহমান, সাইফুদ্দীন আহমদ মানিক, মিজানুর রহমান ছানা,ওয়াহিদুল হক, আহমেদুর রহমান প্রমুখ। ওই বছরই ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ছায়ানটের প্রথম অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সমগ্র বাংলার বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকারদের গান পরিবেশিত হয়েছিল আর সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন তৎকালীন সময়ের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান। এরপর পাকিস্তান সরকারের বৈরী আচরণে কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ে ছায়ানটের কার্যক্রম। ১৯৬৩ সালে সন্জীদা খাতুনের উদ্যোগে প্রথম বাংলা একাডেমীর বারান্দায় সঙ্গীত শেখার ক্লাশ শুরু হয়। এই সময় রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখাতেন সন্জীদা খাতুন ও ফরিদা মালিক, নজরুল সঙ্গীত শেখাতেন সোহরাব হোসেন, তবলা শেখাতেন বজলুল করিম, বেহালা ও সেতার শেখাতেন মতি মিয়া। এই বছরই ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের জন্ম হয়। ইংরেজী ১৯৬৩ সাল, ১৩৭০ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখে তৎকালীন ইংলিশ প্রিপারোটরি স্কুলে (উদয়ন স্কুল) সঙ্গীতবিদ্যায়তনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ওস্তাদ আয়াত আলী খান ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের উদ্বোধন করেছিলেন, আর বিদ্যায়তনের দ্বারোদ্ঘাটন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। বিদ্যায়তনের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন ঢাকা বেতারের গুণী যন্ত্রী মতি মিঞা (মতিয়র রহমান খান)।
ইংরেজী ১৯৬৪ সাল, ১৩৭১ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখে ইংলিশ ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন প্রিপারোটরি স্কুল (উদয়ন স্কুল) প্রাঙ্গণের কৃষ্ণচূড়া গাছের তলে প্রথম বার্ষিকী এবং নববর্ষ উদযাপন করে। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তান সরকার তথ্যমাধ্যমে রবীন্দ্রসঙ্গীত আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নানা অজুহাতে পাকিস্তান সরকার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চাকে ব্যাহত করার প্রয়াস চালাতে থাকে। বৈরী পরিবেশে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার জন্য ছায়ানট সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে। একদিকে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা চালানোর সংগ্রাম, অন্যদিকে নিজেদের মধ্যে সংগঠিত হয়ে ওঠার প্রয়াস। ওই বছরই ছায়ানট রমনা উদ্যানের অশ্বত্থতলায় (পঞ্চবটী বলতে অশ্বত্থ, বট, আমলকী ও অশোককে বোঝায়। ভালো শোনায় বলেই পরবর্তীতে অনুষ্ঠানস্থলের নামকরণ করা হয় বটমূল) নববর্ষ উদযাপন শুরু করে। এই সময় ছায়ানটকে নানাভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তানি সরকার। কিন্তু ছায়ানট নিজেদের লক্ষ্যে ছিল অবিচল।
এই সময় পাকিস্তান সরকার ছায়ানটের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বাধার কারণে ছায়ানট বিদ্যায়তন নিজেদের কার্যক্রম স্থানান্তরিত করে অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপরও ক্ষান্ত হয়না তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।
বিভিন্নভাবে ছায়ানটের উপর চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে পাকিস্তান সরকারের চাপের মুখে ছায়ানট অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয় থেকে লেক সার্কাস গার্লস হাই স্কুলে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত লেক সার্কাস গার্লস হাই স্কুলেই ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন তার কার্যক্রম চালিয়ে নেয়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনসহ, ছায়ানটের অন্যান্য সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছায়ানটের কর্মীদের অনেকেই ভারতে আশ্রয় নেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ হয়ে কাজ করেন। কিছু আগ্রহী সংস্কৃতিকর্মী নিজেদের সংগঠিত করে মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থা গড়ে তোলে। তাঁরা স্বাধীনতার পক্ষে গান গেয়ে প্রচারণা চালাতে থাকে এবং যুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে থাকেন।
দীর্ঘ বিরতির পর স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন পুনরায় আবার কাজ শুরু করে। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের অধ্যক্ষ ড. নূরুন নাহার ফয়জুন্নেসা তাঁর স্কুলে ছায়ানটকে কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরীও ছায়ানটকে তার কার্যক্রম চালানোর জন্যে অনুমোদন করেন।
ধানমন্ডি, ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন ভবনের ইতিহাস
ছায়ানটের সাড়ে চার দশকের সংস্কৃতিসাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠানকে তার নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৯৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ধানমণ্ডিতে এক বিঘা জমি বরাদ্দ দেন। এই জমিতে সংস্কৃতি-ভবন নির্মাণ করে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে ব্যাপকতর অবদান রাখার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ছায়ানট। কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই প্রখ্যাত স্থপতি বশিরুল হক ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের নক্শা প্রণয়ন করেন। ২০০০ সালে ২৩মে প্রতীকী মূল্যে এক বিঘা জমিসহ ধানমণ্ডি ১৫/এ সড়কের ৭২ নম্বর বাড়িটি ছায়ানটকে সরকার দান করে। ২০০২ সালে ১৩মে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের নকশা অনুমোদন করে। ২০০২ সালের ১৫ই মে থেকে ধানমন্ডি, ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। বিভিন্ন জটিলতার মধ্যদিয়ে নির্মাণ কাজ আগালেও ২০০২ সালে সেপ্টেম্বর মাসের দিকে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায়। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নবোদ্দমে আবার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ সম্পূর্ণ হবার আগেই, সংস্কৃতি-ভবনে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে। বাকি কাজগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হয়। নানা প্রতিকুলতার মধ্যদিয়ে ২০০৭ সালে সম্পূর্ণ হয় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের নির্মাণ কাজ। একই বছরের নভেম্বর মাসে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী আসমা কিবরিয়া। তবে এখনো ছায়ানট মিলনায়তনের আলোক ও শব্দব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয় নিই। এই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা।
ছায়ানটের কার্যক্রম ছায়ানটের নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যবহৃত কক্ষের বাইরেও বর্তমানে সংস্কৃতি-ভবনে রয়েছে, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপযুক্ত ছায়ানট মিলনায়তন ও রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্র। সংস্কৃতি-সম্ভার, সঙ্গীত-সংস্কৃতি বিষয়ক গ্রন্থাগার 'কবি শামসুর রাহমান পাঠাগার', রেকর্ডিং স্টুডিও ও বক্তৃতা কক্ষ। ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন ছাড়াও বর্তমানে ছায়ানট সাধারণ শিক্ষার বিদ্যালয় 'নালন্দা', শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশকেন্দ্র ‘শিকড়’, ভাষা ও সাহিত্য চর্চার কার্যক্রম 'ভাষার আলাপ' ও 'পাঠচক্র'। নানা গ্রন্থ ও অডিও সিডি প্রকাশনার বাইরে ছায়ানট নিয়মিতভাবে 'বাংলা দেশের হৃদয় হতে' নামে একটি শিল্প-সাহিত্য ও সঙ্গীত-সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ করছে।
ছায়ানটের নববর্ষ উদযাপন পাকিস্তান সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ছায়ানট নববর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে যায় নিই। ইংরেজী ১৯৬৪ সাল, ১৩৭১ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখে ইংলিশ প্রিপারোটরি স্কুল (উদয়ন স্কুল) প্রাঙ্গণের কৃষ্ণচূড়া গাছের তলে ছায়ানট প্রথম নববর্ষ উদযাপন করে। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে একই স্কুল প্রাঙ্গণেও ছায়ানটের নববর্ষ উদযাপিত হয়েছিল। ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানট রমনা উদ্যানের অশ্বত্থতলায় (পঞ্চবটী বলতে অশ্বত্থ, বট, আমলকী ও অশোককে বোঝায়। ভালো শোনায় বলেই পরবর্তীতে অনুষ্ঠানস্থলের নামকরণ করা হয় বটমূল) নববর্ষ উদযাপন শুরু করে। এরপর থেকে প্রতিবছর নানা আড়ম্বরতার মধ্যদিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে ছায়ানট বাংলা বছরের প্রথম দিন রমনার বটমূল প্রাঙ্গণে নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ছায়ানট নববর্ষ উদযাপন করতে পারে নিই। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ছায়ানট আবারও নিজেদের সংগঠিত করে নববর্ষ উদযাপন করে।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গীরা বোমা হামলা করে। সেই হামলায় ১০ ব্যক্তি নিহতসহ অনেকে আহত হয়। রমনার বোমা হামলাও বাঙালীকে তার ঐতিহ্য আর উৎসব পালন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে নিই। এরপর থেকে প্রতিবছর কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ছায়ানট নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। উল্লেখ্য, ছায়ানট গত ২০১৩ সাল, ১৪২০ বঙ্গাব্দে ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনে ৫০ বছর উদযাপন করে।
বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোরে। অনুষ্ঠানে নানাবিধ বাংলা গান, যন্ত্রসঙ্গীতের পাশাপাশি আবৃত্তিও পরিবেশিত হয়ে থাকে। সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন, প্রধানত ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবিতা আবৃত্তি এবং সঙ্গীত শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রতিবছর বিভিন্ন ভাবনা থেকে ছায়ানট নববর্ষ উদযাপন করলেও এই বছর (১৪২১ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ) ছায়ানটের নববর্ষ উদযাপনের মূল ভাবনা ছিল ‘সম্প্রীতি ও স্বদেশ’।
ছায়ানটের সাংগঠনিক কাঠামো
ছায়ানটের সমুদয় স্থাবর সম্পত্তির স্বত্বাধিকারী ছায়ানট ট্রাস্ট। ছায়ানটের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তিনটি সংসদ:
সাধারণ সংসদ
কার্যকরী সংসদ
উপ-সংসদ
১. সাধারণ সংসদ: সাধারণ সংসদ ছায়ানটের সাধারণ সভ্যদের সমবায়ে গঠিত। সাধারণ সংসদ ছায়ানটের সর্বপ্রধান সংসদরূপে কাজ করে। বছরে একবার সাধারণ সংসদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সংসদ তিন বছরের জন্য একটি কার্যকরী সংসদ গঠন করে যা সংগঠনের যাবতীয় কার্যাবলী পরিচালনা করে।
২. কার্যকরী সংসদ: কার্যকরী সংসদ ছায়ানটের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বদা সচেষ্ট। কার্যকরী সংসদ তার কর্মকাণ্ডের জন্য সাধারণ সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। কার্যকরী সংসদের সদস্য সংখ্যা ২১। তবে কার্যকরী সংসদ ছায়ানটের সাধারণ সভ্য থেকে সর্ব্বোচ্চ দুইজনকে সহযোজন করতে পারবে কার্যকরী সংসদের সদস্য হিসেবে।
৩. উপ-সংসদ: ছায়ানটের কার্য পরিচালনার সুবিধার্থে প্রয়োজনবোধে কার্যকরী সংসদ যে কোনও সময়ে যে কোনও বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য উপ-সংসদ গঠন করতে পারবে। প্রতিটি উপ-সংসদ তার কাজের জন্য কার্যকরী সংসদের কাছে দায়বদ্ধ।
ছায়ানটের উপ-সংসদসমূহ:
অনুষ্ঠান উপ-সংসদ
সঙ্গীতবিদ্যায়তন উপ-সংসদ
নালন্দা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ্
শিশু-কিশোর কার্যক্রম উপ-সংসদ
প্রকাশনা উপ-সংসদ
সংস্কৃতি-সম্ভার উপ-সংসদ
ওয়াহিদুল হক সঙ্গীত প্রব্রজ্যা উপ-সংসদ
ভাষার আলাপ উপ-সংসদ
পাঠচক্র উপ-সংসদ
চলচ্চিত্র প্রদর্শন উপ-সংসদ
ছায়ানটের ট্রাস্টি
আ.ফ.ম.সাইফুদ্ দৌলা আবুল হাসনাত খায়রুল আনাম (শাকিল) নুরুন্নাহার আবেদীন সন্জীদা খাতুন সারওয়ার আলী সেলিনা মালেক চৌধুরী
ছায়ানটের সাধারণ সংসদ সদস্য
অনন্যা শিলা শামসুদ্দীন, অনিকেত আচার্য, অনিন্দ্য রহমান, অনুপ বড়ুয়া, অর্ণ কমলিকা, অশোক রায় নন্দী, অসিত কুমার দে, আজিজুর রহমান তুহিন, আ.ফ.ম সাইফুদ্ দৌলা, প্রফেসর আফজালুন্নেসা, আফরোজা খান মিতা, আবুল মোমেন, আবুল হাসনাত, আবদুল মান্নান, আমিনুল কাওসার দীপু, আমিনুল হক বাবুল, এস এম আলতাফ হোসেন, আলম খোরশেদ, আলমগীর সাত্তার, আলী যাকের, আলোময় বিশ্বাস, ইকবাল আহমেদ, ইফ্ফাত আরা দেওয়ান, ইমতিয়াজ আহমদ, ইলোরা আহমেদ, এস. এম. আহসান মুর্শেদ, ডা. এ. বি. এম. খুরশীদ আলম, এ. এম. এম. মহিউজ্জামান চৌধুরী, এ টি এম জাহাঙ্গীর, এনামুল হক ওমর, ওয়ার্দা রিহাব, করুণাময় গোস্বামী, কাজী আহমেদ মনোয়ার, কাজী নাসিরুল ইসলাম, খায়রুল আনাম (শাকিল), খালেদ খান, গোলাম মোর্শেদ খান, গোলাম সারোয়ার, গৌতম সরকার, চন্দনা মজুমদার, চয়ন মল্লিক, জহিরুল হক খান, জাকির হোসেন তপন, জান্নাত-এ-ফেরদৌসী লাকী, জাহানারা নওশিন, মো. জিল্লুর রহমান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, ঝরনা বড়ুয়া, তানিয়া মান্নান, তামান্না রহমান, দিঠি হাসনাত, দ্বিজেন শর্মা, নাজমা খান, নাসিমা শাহীন, নাসিমা হক (মিতু), নাহাস আহমেদ খলিল, নুরুন্নাহার আবেদীন, মো. নাসিরউদ্দীন, নিয়াজ মোরশেদ, পার্থ তানভীর নভেদ্, পার্থ সারথী সিকদার, প্রদীপ কুমার নাগ, প্রদীপ কুমার রায়, ফাইয়াজ মুর্শেদ (অমি), ফাহ্মিদা খাতুন, ফাহমিদা মালিক, মো. বদরুল ইসলাম ভূঞা, বনা রাণী হালদার, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, বিপ্রদাশ বড়ুয়া, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, বেলায়েত হোসেন, বেলায়েত হোসেন খান, মদন গোপাল দাস, মনসুরা বেগম, মফিদুল হক, মানজারে হাসীন মুরাদ, মালেকা আজিম খান, মাসুদা আনাম কল্পনা, মাহ্মুদ হোসেন পাপা, মাহমুদুর রহমান (বেনু), মিতা হক, মীর বরকত, মুকুল মজুমদার দীপা, ডক্টর মুস্তাফা মজিদ, মৃত্তিকা সহিতা, মোজাম্মেল হোসেন, মোমেনা বেগম, মোহাম্মদ আবুল খায়ের, মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন, এম মমিনুল হক, মো. সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ সিফায়েত উল্লাহ্, রফিকুন নবী, রথীন্দ্রনাথ রায়, রশীদ আল্ হেলাল, রনজিৎ দাস, রামেন্দু মজুমদার, রিনাত ফওজিয়া, রুচিরা তাবাস্সুম নভেদ্, রেজোয়ান আলী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, রোকসানা হোসেন, রোকাইয়া হাসিনা নীলি, রোকেয়া মিনাক্ষী হক, লাইসা আহমদ লিসা, লাকী ইনাম, লিলি ইসলাম, মো. লোকমান হাকিম, লোপা মুদ্রা মামুদ (নাদিয়া আফরোজা জামান), শফি আহমেদ, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, শশাঙ্ক সাদী, শামসুজ্জামান খান, শারমিন সাথী ইসলাম, শাহীন সামাদ, সঞ্চিতা রাহনূমা খান, সতীন্দ্রনাথ হালদার, সন্জীদা খাতুন, সমীর সরকার, সরদার মোঃ রহমাতুল্লাহ্, সাঈদা কামাল, সামিনা হোসেন, মো. সানাউল্লাহ মিন্টু, ডা. সারওয়ার আলী, সালমা আকবর, সালমা এ শফি, সিদ্দিক বেলাল, সুধীর মল্লিক, সুমন মজুমদার, সুলতানা কামাল, সুস্মিতা আনোয়ার, সেলিনা মালেক চৌধুরী, সৈয়দ সানা উল্লাহ্ সানি, সৈয়দা জিনাত আফজা তানিয়া, সোহানা আহমেদ, সোনীয়া রশীদ, হালিমা সুলতানা ডলি, হাসান আজিজুল হক, হায়াৎ মামুদ
ছায়ানটের বর্তমান কার্যকরী সংসদ সভাপতি
সন্জীদা খাতুন
সহ-সভাপতি
ডা. সারওয়ার আলী
নুরুন্নাহার আবেদীন
সাধারণ সম্পাদক
খায়রুল আনাম (শাকিল)
যুগ্ম সম্পাদক
পার্থ তানভীর নভেদ্
অনিন্দ্য রহমান
কোষাধ্যক্ষ
প্রদীপ নাগ
সদস্য
আবুল হাসনাত
মফিদুল হক
সুলতানা কামাল
সেলিনা মালেক চৌধুরী
ইফ্ফাত আরা দেওয়ান
শাহীন সামাদ
নাহাস খলিল
মাসুদা নার্গিস আনাম
লাইসা আহমদ লিসা
সিদ্দিক বেলাল
সৈয়দ সানা উল্লাহ্ সানি
শারমিন সাথী ইসলাম
পার্থসারথী সিকদার
মোহাম্মদ সিফায়েত উল্লাহ্ মুকুল
ছায়ানটের নির্মাণ সহযোগী
ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন নির্মিত হয়েছে ছায়ানটের সঞ্চিত অর্থ ও সমমানসিকতার মানুষের দান-ধ্যান দিয়ে। এক বিঘা জমির উপর ছয় তলা ভবনের মেঝের পরিমাণ ৩৯ হাজার বর্গ ফুট। গাড়ি রাখার ব্যবস্থা বেইসমেন্টে। মোট ৪১ টি কক্ষের মধ্যে শ্রেণি কক্ষ ২২টি। বাকি কক্ষগুলো কার্যালয়, গবেষণাগার, সংগ্রহশালা এবং রক্ষণাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনে আছে আলাদা মিলনায়তন, মিলনকেন্দ্র, বক্তৃতা কক্ষ, পাঠাগার, শ্রবণ-দর্শন কক্ষ ও শব্দধারণকেন্দ্র।
ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন নির্মিত হয়েছে সর্বসাধারণের সহৃদয় সহযোগিতা ও ছায়ানটের নিজস্ব অর্থায়নে। সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, শিল্পীসমাজ এবং ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মীদের প্রতি ছায়ানট গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
ভবন নির্মাণে বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তার জন্য তিন ধরণের স্বীকৃতি দেবার বিধান রাখা হয়েছিল: পৃষ্ঠপোষক ন্যূনতম ১০লক্ষ টাকা, স্থাপনা সুহৃদ ন্যূনতম ৫লক্ষ টাকা, স্থাপনা সহযোগী ন্যূনতম ১লক্ষ টাকা। পৃষ্ঠপোষক, স্থাপনা সুহৃদ ও স্থাপনা সহযোগীদের নাম ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের একতলার সম্মিলন স্থানে স্থায়ীভাবে লিখিত রয়েছে।
ছায়ানটের পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ
আনসার রহমান
কাজী জাহেদ হাসান
পারভীন হাসান
বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউণ্ডেশন
বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেড
ব্র্যাক
মনজুর রহমান (রথী)
মুস্তাফিজুর রহমান (শান্তনু)
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড
শহীদ খালেক এণ্ড মেজর সালেক বীরউত্তম ট্রাস্ট
সন্জীদা খাতুন
হোসনে আরা
স্কয়ার গ্রুপ
স্থাপনা সুহৃদ্
স্মরণীয় আব্দুল মালেক চৌধুরী
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড
এ বি ব্যাংক লিমিটেড
কনা রেজা
স্মরণীয় মোহাম্মদ ইব্রাহিম কামাল
হাসনিন মুক্তাদির
স্থাপনা সহযোগী
অপালা ফরহত নবেদ
আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড
আনোয়ারা আহমদ
স্মরণীয় আবদুল আউয়াল
স্মরণীয় আবদুল মান্নান খান
স্মরণীয় আবুল হেনা সাদউদ্দিন হেনু
আবেদা সুলতানা হক
আমিনুল ইসলাম
আলী আফজাল অর্ঘ্য
আলী যাকের
ইকবাল আহমেদ
ইখতিয়ার ওমর
ইমতিয়াজ আহমদ
প্রফেসর এ. এইচ. সাইদুর রহমান
এক্সপ্রেশানস্ লিমিটেড
এম. এ. মোমেন (টোকা ইংক বাংলাদেশ লিমিটেড)
এস এম আলতাফ হোসেন
ওয়াহিদুল হক
কাজী কামাল উদ্দীন এমরান
কাজী টুলু
স্মরণীয় কাজী মোতাহার হোসেন
খায়রুল আনাম (শাকিল)
গোলাম ফারুক (কাজল)
জয়তী রায় চৌধুরী
স্মরণীয় জয়নুল আবেদীন
জিনাত আফরোজা
স্মরণীয় জিয়াউল হক
ডানকান ব্রাদার্স
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন
দ্যা ডেইলি স্টার
স্মরণীয় ড.নলিনীমোহন সান্যাল
নাঈমা আলী
নাজমুল হক
নিনু নাজমুন আরা
নীলু গুলশান আরা
ন্যাশনাল ক্রেডিট এণ্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
পার্থ তানভীর নভেদ্ ও লাইসা আহমদ লিসা
প্রথম আলো
প্রদীপ নাগ
ফরিদুর রেজা সাগর
ফাহমিদা খাতুন
মনীষা আনোয়ার হক
স্মরণীয় মনোরমা বাগচী
ডা. মাখদুমা নার্গিস
মাহফুজুর রহমান ও জাহানারা রহমান
ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী
মিলিয়া গণি
স্মরণীয় মীর আশরাফুল হক
উপাচার্য ড. মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন
স্মরণীয় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী
রওশন কিব্রিয়া
স্মরণীয় ড. রাজকুমার বাগচী
রুচিরা তাবাস্সুম নভেদ্
শাহীন সামাদ
সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড
সাকেরা আহমেদ
সাদেক হোসেন খোকা
সানি ডেইল
সাবিহা ইসলাম সালেহ্উদ্দীন
ডা. সারওয়ার আলী
সারা যাকের
সুজিৎ কুমার দে
সুপ্রিয়া বারি
সুস্মিতা ইসলাম
ডা. সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ
সোনিয়া আহমেদ
স্মরণীয় সোফিয়া মান্নান খান
স্বদেশ রঞ্জন বোস
হিউম্যান ডেভেলপমেণ্ট ফাউণ্ডেশন
হেনা বেগম
ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের ঠিকানা
ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন
বাড়ি ৭২ সড়ক ১৫এ ধানমণ্ডি আ/এ ঢাকা-১২০৯
দূরভাষ: ৮৮-০৪৪৭৮৯১৩৩৮৮, ৮৮-০৪৪৭৭০১১৪৩৩
শংকর বাসস্ট্যান্ডের পাশেই ধানমন্ডি ১৫নং সড়কে ছায়ানটের অবস্থান।
ই-মেইলঃ [email protected] [email protected]
ওয়েবসাইটঃ http://chhayanaut.org/
তথ্যসূত্রঃ ছায়ানট, উইকিপিডিয়া, সাপ্তাহিক অনুশীলন, ছায়ানট : আরম্ভ কথা by ওয়াহিদুল হক এবং অন্যান্য।
©somewhere in net ltd.