নারী তুমি আসলে কার?

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

ছবিঃ প্রতীকী


প্রটোকলে থাকা তুমি খুন হও নির্দয় নৃশংসভাবে,
আয়েশে থাকা ভাবি আমি, কি করলে আমাকে আরো সুন্দর লাগবে?
তুমি হয়তোবা নারী, মহিলা, বোন, মা বা জায়া
আমি তো পুরুষ, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরি ভায়া।
তুমি কেঁদে মরো তোমার নারী সম্ভ্রম বাঁচানোর দায়ে,
আমার নির্লিপ্ত রিপু হাঁতড়ে বেড়ায় হাত দিবে তোমার গায়ে।
আমি কিন্তু পুরুষ আমার প্রয়োজন নেই কোনো প্রটোকলের,
প্রটোকল নামের আভ্রু তুমি চাও, তা গলা ফাটিয়ে বলতে হয় অবলা নারী দলের।
তোমাদের দেখলে আমার মনে কষ্ট হয়, আসে হতাশা কখনো,
বিধাতা সত্যিকারের যৌবনদীপ্ত পুরুষ, তাই তোমাদের যৌবন দিয়ে দীপ্ত বাদ দেয় এখনো।
তুমি কখনো উর্দিপড়া প্রাচীরে ঢাকা সোহাগী জাহান তনু হয়ে,
কখনো পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ফাতিমা আক্তার ইতি হয়ে,
কখনো ফরিদপুরে বেড়ে উঠা জাকিয়া আক্তার চম্পা হয়,
আমাদের কানে এসে ধরা দাও, পত্রিকা বা সোশ্যাল মিডিয়াতে,
কখনো তোমার ধর্ষিত হওয়া করুণ ছবিতে,
কিংবা পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ তোমার পরিবারকে দেখি কাঁদতে।
এই সব ছবি বা সংবাদে জেগে উঠে রাজপথ বা রাতের আলাপন শো,
কিছুদিন পরে ধামা চাপা পড়ে গিয়ে, আবার আসে নতুন কোনো ধর্ষিত হওয়া দৃশ্য।
নারী তুমি আসলে কার? বাবার, ভাইয়ের নাকি সন্তানের?
নাকি, যৌন তরবারী নিয়ে ঘুরে বেড়ানো বর্বর পুরুষের?
নারী তোমাকে চাই আমরা দিনে, রাতে বা বর্ষবরণের নতুন প্রভাতে,
তোমার নরম শরীরে টিপ্পনী কেটে আরাম লাগে আমার যৌন অঙ্গেতে।
এতোসব জঞ্জাল সহ্য করে নামো তুমি পিচ ঢালা পথে, রুদ্ধ কন্ঠে দাও শ্লোগান,
সবকিছু দেখেও রাতের কনডেম সেলে ধর্ষিত হয় দিনাজপুরের ইয়াসমিন বা অন্য নারীর জীবনাখ্যান।
এই আবিষ্ট সমাজ ব্যবস্থা, আইন বা প্রশাসন আমাকে খুঁজে পায় না কখনো,
কারণ আমি এইসবের মধ্যে আড়ালে, আবডালে লুকিয়ে থাকি এখনো।
এতোকিছুর পরে নারী তুমি স্বপ্ন দেখো পুত্র সন্তান জন্মের আশায়,
হয়তো সে বর্বর না হয়ে আদর্শ মানুষ হয়ে জন্মাবে এই প্রতীক্ষায়।
আসলে নারী তুমি মহান, তোমার পদতলে আমাদের দিয়ো ঠাঁই,
তোমার ক্ষমার মহত্ত্বে এই বর্বর পুরুষ সমাজ পাবে নতুন এক অধ্যায়।।

(ঈষৎ ও সংক্ষেপিত)

ধর্ষিত ও নিহত হওয়া আমার বোনদের উদ্দেশে......
[৩০/৩/২০১৬]

০ টি +০/-০