![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত।
প্রত্যেক মানুষ মাতৃগর্ভ
থেকে স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে।
আল্লাহতাআলা মানব জাতিকে সহজাত
এমন প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে,
সে নিরঙ্কুশ কোনো সত্তার কাছে ছাড়া
অন্য কারো কাছে নতিস্বীকার করতে
চায় না। আল্লাহতাআলা তাঁর
প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টির সেরা
জীবরূপে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়ে
মানবজাতিকে অত্যন্ত সম্মানিত
করেছেন। তাই মানুষ স্বাভাবিকভাবে
এবং সঙ্গতকারণে স্বাধীনচেতা।
সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক
প্রভৃতি সব ধরনের পরাধীনতা ইসলাম
সমর্থন করে না। মানুষকে কোনো প্রকার
দাসত্ব বা পরাক্রমশালী শত্র“র
অত্যাচার ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ
করা যাবে না। পবিত্র কোরান থেকে এ
চেতনা লাভ করা যায়।
ইসলামে স্বাধীনতার লক্ষ্য হলো মহান
আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের অনুগমন
ও সর্বত্র এর প্রতিফলন। ইসলামের নবী
হজরত মোহাম্মদ (সা.) একটি স্বাধীন
ভূখণ্ড লাভের জন্য কঠোর সাধনা
করেছিলেন। পৃথিবীতে চিরসত্য, ন্যায় ও
কল্যাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আল্লাহর
আনুগত্যে সামষ্টিকভাবে সমর্পিত
হওয়ার জন্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার
পর তিনি ও তার সাহাবীরা মদীনায়
হিজরতের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন
রাষ্ট্র অর্জন করেছিলেন এবং মক্কা
বিজয়ের মাধ্যমে সে স্বাধীনতার
বিস্তৃতি ও পূর্ণতা অর্জিত হয়েছিল।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের
ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে চিন্তা
ও মত প্রকাশের পূর্ণ সুযোগ প্রদান করে
নবী করিম (সা.) ব্যক্তিস্বাধীনতাকে
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোতরূপে
প্রতিষ্ঠা করেন। মহানবী (সা.)-এর
কল্যাণমূলক আরব রাষ্ট্র সারা পৃথিবীর
ইতিহাসে একটি চিরন্তন আদর্শের নমুনা
হয়ে আছে। ইসলাম মাতৃভূমির স্বাধীনতা
রক্ষার জোরালো তাগিদ দিয়েছে।
রাসুল (সা.) হিজরত করার পর মদিনাকে
নিজের মাতৃভূমি হিসেবে গণ্য করেন
এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব
রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা
গ্রহণ করেন। তাঁর জীবনের অনেক
প্রতিরোধ যুদ্ধ ছিল মদিনা রাষ্ট্রের
সুরক্ষার জন্য। ইসলাম স্বাধীনতার জন্য
শুধু উদ্বুদ্ধই করে না, বরং স্বাধীনতা
অর্জন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়
জীবনদানকে শাহাদাতের মর্যাদা প্রদান
করে যার ফলে ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উতসর্গ কারী বীর যুদ্ধাদের শহিদ হিসাবে আমাদের কাছে পরিচিত।
©somewhere in net ltd.