নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''কাতার এয়ারওয়েজের দোহাগামী যাত্রী সাধারনের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে...'' হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাবলিক এড্রেস সিস্টেম থেকে ভেসে এলো ঘোষিকার কন্ঠস্বর। মাশুক রহমান উঠে দাড়ালো, তারপর ডিসপ্লে মনিটরে গেট নাম্বারটা দেখে নিয়ে নিশ্চিত হয়ে এগিয়ে গেল ৭ নাম্বার ডিপারচার গেটের দিকে। ওর মনে একইসঙ্গে আনন্দ আর বিষাদ! আনন্দ এই জন্যে যে, শেষপর্যন্ত ও ওর স্বপ্নপূরণের সিড়ি বেয়ে উঠতে শুরু করলো। আর বিষাদ! এয়ারপোর্টে ওর মা সিঅফ করতে এসে কেদেকেটে যা অবস্থা তৈরী করেছিল তাতে একপর্যায়ে ওর মনে হয়েছিল, কি হবে সবাইকে ছেড়ে দেশের বাইরে গিয়ে! তারচেয়ে দেশেই থাকি, সবার সাথে মিলেমিশে!
মাশুকের দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা বেশ আগে থেকে শুরু হলেও সেটার বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল মাত্র মাস দুয়েক আগে, বাসায় ডিনারের টেবিলে। সাধারনতঃ ওদের বাসায় ডিনারে সবাইকে একসাথে পাওয়া মুশকিল! সবাই বলতে মা, বাবা, ও নিজে, আর ওর ছোট বোন মৃন্ময়; এই চারজন আরকি। কিন্তু মাশুক আগেই সবাইকে জানিয়ে রেখেছিল যেন সবাই ডিনারে উপস্থিত থাকে। সেখানেই ও ঘোষণা দিল, ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লেস্টার ওকে ফুল স্কলারশীপ দিয়ে আন্ডারগ্র্যাড কোর্সে এক্সেপ্ট করেছে এবং ও ঠিক করেছে, সেখানেই গ্র্যাজুয়েশান করবে। বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো এই ঘোষণায় একেকজনের প্রতিক্রিয়া হলো একেকরকমের।
ওর বাবা, আদনান রহমান, দেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি। অত্যন্ত স্বল্পকথার মানুষ। খেতে খেতেই বললেন, এতোবড় একটা সিদ্ধান্ত তুমি একা একাই নিলে? মৃন্ময় খাওয়া থামিয়ে দিয়ে চোখ বড় বড় করে বললো, বলিস কি ভাইয়া! তারপর বাবার দিকে তাকিয়ে ঘোষণা করলো, বাবা, আমিও কিন্তু ভাইয়ার মতো দেশের বাইরে পড়তে যাবো। তুমি না করতে পারবে না! আর ওর মা খাওয়া পুরোপুরি থামিয়ে দিয়ে একদৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকিয়ে রইলেন। মাশুক আড়চোখে মায়ের দিকে একবার তাকিয়ে খাওয়ায় মনোযোগ দিল। বাবা, মৃন্ময় কোনও সমস্যা না, কিন্তু ওর মূল ভয়টা মাকে নিয়ে। একমাত্র মা-ই পারে ওর পরিকল্পনা ভন্ডুল করতে! এরপর আর কেউ কোনও কথা বললো না। চুপচাপ খাওয়া শেষ করে বাবা চলে গেলেন স্টাডী রুমে। মৃন্ময় ওর ঘরে, মা কিচেনে কাজের লোকদেরকে পরদিনের নাস্তার নির্দেশনা দিতে আর মাশুক সিটিং রুমের লাগোয়া বিশাল বারান্দায়। বাসার পরিবেশ কেমন যেন থম ধরে গেল। অথচ এমন দিনে, অর্থাৎ যেদিন ওরা সবাই একসাথে ডিনারে উপস্থিত থাকতে পারে সেদিন বাসায় কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব বিরাজ করে। মাশুকের নিজেকে একটু অপরাধী মনে হলেও আসলে করার খুব বেশী কিছু ছিল না। আজ হোক, কাল হোক, এটা করতেই হতো। তারচেয়ে এই ভালো হয়েছে, হাতে অন্ততঃ বেশকিছুটা দিন পাওয়া যাবে সবকিছু ঠিকঠাক করার জন্য। বোমা ফাটানো হয়ে গেছে, এখন ও ওর মায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পরও যখন মায়ের দেখা মিললো না, তখন কিছুটা আশ্চর্য এবং চিন্তিত হয়েই ও ওর নিজের রুমে চলে এলো। মায়ের চিরাচরিত আচরণের সাথে আজকের প্রতিক্রিয়ার কোন মিল নাই, কোথাও যেন একটা ছন্দপতন হয়েছে।
ফাটাফাটি বড়লোকের ছেলে হলেও মাশুক ওর সমগোত্রীয় অন্যান্য ছেলেদের থেকে চিন্তা এবং ভাবনায় একেবারেই আলাদা। পড়ালেখাতে ও বরাবরই তুখোড়। অন্যান্য ছেলেরা যখন গার্লফ্রেন্ড আর ফেসবুক নিয়ে মাতামাতি করছে, ও তখন ব্লগিং আর পড়াশুনা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছে। ওর স্বপ্নগুলোও অন্যদের থেকে আলাদা। ওর প্রধানতম স্বপ্ন হলো বিশ্বের যতো প্রাচীন সভ্যতা আছে, সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখা, সেগুলো সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানা এবং এসব নিয়ে লেখালেখি করা। বাবার সৌজন্যে অল্প কিছুটা দেখা হলেও এখনও প্রচুর বাকী। তবে সমস্যা হলো বাবা-মা’র সাথে এসব জায়গায় ঘুরে খুব একটা তৃপ্তি আসে না। বিদেশে পড়তে গেলেই শুধুমাত্র একা ঘোরাঘুরি করার একটা সুযোগ তৈরী হবে, বাইরে পড়তে যেতে চাওয়ার সেটাও একটা বড় কারন। তাছাড়া, বাবার বিশাল ব্যবসা যেহেতু ভবিষ্যতে ওকেই সামলাতে হবে, তাই পড়ালেখাটা ঠিকমতো চালিয়ে যাওয়াও জরুরী।
মাশুকের আরেকটা শখ বা ইচ্ছা হলো, ভুত, জ্বীন, প্রেতাত্মা বা অশরীরী বলে যদি কিছু থাকে তো তাদের কোন একজনের সাথে কথা বলা, সেই জীবন সম্পর্কে জানা। এ ব্যাপারে ওর কিছু পড়াশুনাও আছে। এদের সাথে সাক্ষাতের আশায় বিভিন্ন কবরস্থান, শ্মশানে গিয়েও রাতের পর রাত একা একা বসে থেকেছে। কিন্তু কপাল মন্দ, এখনও সেরকম কোন কিছুর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি!
ওর এইসব ইচ্ছা বা পরিকল্পনা, ব্লগিং জগত এবং এ সম্পর্কিত সবকিছু ও শুধুমাত্র একজনের সাথেই শেয়ার করে, ওর এক এবং অদ্বিতীয় বন্ধু সজীব, সজীব রায়হান। ও লেভেল পাশ করার আগে থেকেই ওদের দু’জনের প্ল্যান, ইংল্যান্ডে পড়তে যাওয়া। যদিও টাকা কোন সমস্যা না, তবুও মাশুক মনেপ্রানেই চেয়েছিল একটা ফুলব্রাইট স্কলারশীপ যোগাড় করার। ও লেভেলে চমৎকার রেজাল্টের পর ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করে ও, তারমধ্যে একমাত্র ইউনিভার্সিটি অফ লেস্টারই ওকে ফুল স্কলারশীপ অফার করেছে। ফুল স্কলারশীপ না পেলেও সজীবও একই ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি হচ্ছে।
পরদিন সকালে নাস্তার টেবিলে আদনান সাহেব ছেলেকে জানিয়ে দিলেন, একটার সময় অফিসে চলে আসবে। আমরা একসাথে লান্চ করবো। মায়ের ভাবগতিক আজও সুবিধার ঠেকলো না মাশুকের কাছে। কেমন যেন একটু বেশীই স্বাভাবিক!
ঠিক একটার সময় বাবার রুমের দরজায় তিনবার নক করে ঢুকে পড়লো মাশুক। আদনান সাহেব ছেলের জন্যেই অপেক্ষায় ছিলেন। পাশের ছোট্ট ডাইনিং রুমে খাবার টেবিলে দেয়াই ছিল, ছেলেকে নিয়ে সরাসরি সেখানে চলে গেলেন। ছেলের প্লেটে খাবার তুলে দিতে দিতে বললেন,
- তোমার মায়ের সাথে কোন কথা হয়েছে?
- না বাবা, মা তো এই ব্যাপারে কোন কথাই বলছে না! একটু হতাশ হয়েই মাশুক বললো।
- বলবে। এখন প্রস্তুতিপর্ব চলছে। শোন, তুমি এখন বড় হয়েছো। তোমার সিদ্ধান্ত তুমি নিজেই নেয়ার যে সাহস দেখিয়েছো, সেজন্যে আমি খুশী, খুবই খুশী। তুমি আর দশটা ছেলের মতো নও। পড়াশুনা নিয়ে আমি তোমাকে কখনওই চাপ দেইনি। তারপরও তোমার রেজাল্ট গর্ব করার মতো। আমি নিশ্চিত যে, তুমি ভেবে-চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছ। আমি কি ঠিক বলছি?
- তুমি ঠিকই বলছো, বাবা। মাশুক বললো।
- আমারও তাই ধারনা। তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার এই ব্যবসা আমি নিশ্চিন্তে তোমার হাতে তুলে দিতে চাই। তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে তোমার এই সিদ্ধান্ত ঠিক আছে, আমার পছন্দ হয়েছে। তবে তোমার মাকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব তোমার। এই ব্যাপারে আমি কোন সাহায্য করতে পারবো না। আরেকটা কথা, বলে একটু থামলেন আদনান সাহেব।
- বলো বাবা।
- তোমার সিদ্ধান্ত আমি যেভাবে সহজেই মেনে নিয়েছি, আমারও কিছু সিদ্ধান্ত তোমাকে মেনে নিতে হবে। তেমন বড় কোন ব্যাপার না, ছোটখাটো বিষয়। তারপরও তোমাকে জানিয়ে রাখছি। সময় মতো জানাবো। তবে, সবার আগে তোমার মায়ের সাথে কথা বলো। তার গ্রীন সিগন্যালের পরই এসব ব্যাপারে কথা বলবো। ঠিক আছে?
- ঠিক আছে বাবা।
- আরেকটা কথা তোমাকে বলা হয়নি। আই এ্যাম প্রাউড অফ ইউ, মাই সান!
- থ্যাংক ইউ, বাবা। মাশুকের চোখ একটু ভিজে উঠলো। ও জানে এরচেয়ে বেশী আবেগ দেখানো ওর বাবার পক্ষে সম্ভব না। তবে, যেটুকু দেখান, একেবারে অন্তর থেকেই দেখান। বাবা বাইরে যতোই কাঠিন্যতা দেখান না কেন, ভিতরটা তার একেবারে ফুলের মতোই কোমল, স্পর্শকাতর।
বাবার অফিস থেকে বের হয়েই সজীবকে ফোন করলো মাশুক। খুশীর খবরটা ওকে দিতে তর সইছে না ওর!
ফটো ক্রেডিটঃ গুগল।
ইচ্ছা পূরণের গল্পঃ দ্বিতীয় পর্ব
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নেন, সাথে বিস্কিটও দিলাম। এনজয় করেন,
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: থ্যাংক ইউ, বাবা। মাশুকের চোখ একটু ভিজে উঠলো।
আবেগ প্রবন গল্প, চলতে থাকুক ,
আরম্ভ ভালো হয়েছে ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আশাকরি বাকী পর্বগুলোতেও আপনাকে পাওয়া যাবে!
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
মোঃ নাজমুল হাসান ছকা বলেছেন: সুন্দর গল্প।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের পর্বটা পড়ার জন্যও তো আমাদের তর সইছে না।
ইচ্ছে পূরণের গল্প প্রথম পর্ব ভাল লেগেছে।আশা করি পরের পর্ব দ্রুতই পেয়ে যাব।
অনেক ভাল থাকুন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি হলাম গিয়ে চরম অলস টাইপের মানুষ।
আপনার আগ্রহে অনুপ্রাণীত হলুম। দেখি, কতো তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিতে পারি!
সুস্থ থাকুন আর ভালো থাকুন।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইচ্ছাপূরণের গল্প ভাল লাগল
চলুক সিরিজ ।
বাকী অজানাকে জানার অপেক্ষায় রইলাম
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি বলছেন যখন, অবশ্যই চলবে।
সাথে থাকবেন জেনে আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ইচ্ছে পূরণের গল্প ভালো লেগেছে ভুয়া ভাইয়া । এটা কি কোন গল্প নাকি বাস্তব ?
আচ্ছা, ইচ্ছে পূরণের গল্প যেহেতু তাহলে কি মাশুকের জীন, ভূতের সাথে কথা বলা, তাদের জীবন সম্পর্কে জানা এই ইচ্ছেটাও পুরন হবে ?
আমি কিছুদিন আগে ভেবেছিলাম আমার নিজের অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো নিয়ে লিখবো ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা কি কোন গল্প নাকি বাস্তব? গল্প আর বাস্তবতায় তফাৎ আর কতো? গল্প তো বাস্তবেরই প্রতিফলন, নাকি ভূল বললাম!
দেখাযাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়? আপনার অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো নিয়ে লিখে ফেলুন!
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: নারীদের জাতীয় খাবার চটপটি- ফুচকা, দেশের জাতীয় খাবার ভাত।
হিসাব মেলানো দায় ।
খুব সুন্দর লিখেছেন। সহজ সরল ভাষা।
শুভ কামনা।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাপানের জাতীয় পতাকা আর অামাদের জাতীয় পতাকায় বেশ মিল আছে, কি বলেন?
আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মায়ের গ্রীন সিগনাল পাওয়ার পূর্ব মুহূর্তের বিবরণ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
মায়ের ভালোবাসা বেশিরভাগ সময়ই বাস্তবতা মানতে চায় না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মায়ের ভালোবাসা বেশিরভাগ সময়ই বাস্তবতা মানতে চায় না। মায়েদের এই শর্তহীন ভালোবাসা আছে বলেই তো আমাদের জীবনটা মাঝে মাঝে উপভোগ্য হয়ে উঠে, কি বলেন?
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১
সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর গল্প।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
গল্পে ভাললাগা। চলতে থাকুক।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
ধন্যবাদ।
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: ভালো লাগলো।
এটা বলা যাবে কি কত পর্বে এটা শেষ হবে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেশী না, ৪/৫ পর্ব। সামান্য কম-বেশী হতে পারে।
নির্ভর করবে, আমার কতোটুকু ধৈর্য, তার উপর!
সাথে থাকবেন আশাকরি।
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
ল বলেছেন: গুড লাক, সাথে আছি,
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার এগুচ্ছে , মা' কে কিভাবে ম্যানেজ করে সেটা পড়ার অপেক্ষায়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মা'দেরকে ম্যানেজ করা খুবই সোজা। কারন, ছেলেদের জন্য উনাদের যে ভালোবাসা তা হলো শর্তহীন এবং প্যাচমুক্ত!
মন্তব্য এবং ''পিলাচ'' এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
শিখা রহমান বলেছেন: মফিজ শুরুটা আগ্রহ তৈরী করেছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আর সজীবকে আরেকটু জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগ্রহ যেহেতু তৈরী করতে পেরেছি, তাতে করে মনে হচ্ছে লেখাটা খুব একটা খারাপ হচ্ছে না!
উৎসাহ দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১০
অন্তরন্তর বলেছেন: চলুক-------
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চলবে......
১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্পটার মধ্যে কিছুটা হলেও আপনার নিজের জীবনের ছায়া আছে।
পড়তে ভাল লেগেছে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার জীবনের ছায়া হয়তো কিছুটা আছে, হয়তো আমি লিখছি বলেই! তবে এটা ১০০% পিওর গল্প।
ধন্যবাদ।
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জাপানের জাতীয় পতাকা আর অামাদের জাতীয় পতাকায় বেশ মিল আছে, কি বলেন?
আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা।
আরে ভাই মিল তো থাকবেই।
সবাই মানশূহ। সবার রক্ত লাল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানশূহদের রক্ত আছে? তাও লাল?
জানতাম না তো!!!!
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
রাকু হাসান বলেছেন: প্রথম ভাবলাম গল্পটি এখানেই শেষ হলো কেন..।আরও তো হওয়ার কথা । পরে আরও খেয়াল করে দেখি এটা ১ম পর্ব । বেশ কিছু বিষয়টা অপেক্ষা করছে .।মাশুকের বাবা কি বলে ,মাশুকের সিদ্ধান্ত হয় । মাশুকের মা একটা ফ্যাক্ট । জানি না রাজি করাতেই পারে নাকি ! এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাব হয়ত পরের পর্বে । শুভকামনা এব্ং অপেক্ষায় থাকলাম ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য আগামীকালের কাগজে চোখ রাখুন।
আপনার জন্যও শুভকামনা আর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
ইয়াকুব আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪
সামিয়া বলেছেন: আপনি তো বেশ ভালো লিখেন ভাইয়া, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্প তো ভালো লিখতে পারি না, আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাকীটা আপনাদের দোয়া।
পরের পর্ব আগামীকালই দিব। দেখবেন আশা করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাশুকের পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড, পড়াশুনা, ব্রিলিয়ান্ট ছেলে, স্কলারশীপ ইত্যাদি সব মিলিয়ে মাশুকের যে এটমস্ফেয়ারের পরিচয় পেলাম তাতে ব্লগিং করা আর জ্বীন, প্রেত বা অশরীরি কারো সাথে দেখাসাক্ষাতের অপেক্ষা করার বিষয়টা খাপ খায় না মনে হচ্ছে।
ইটস নট আ সিরিয়াস নোট, অকা ?
লিখতে থাকেন। কিন্তু লেখার মান এবং টান উন্নত করেন আর সাথে একটু বইটই পইড়েন। অনলাইনে অনেক বই পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখকদের বাংলা বই।
পরের পর্ব দিছেন দেখলাম। আবার পড়ব নেক্সট লগিন করলে। এখন অফিস থেকে বের হবো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগিং করা আর জ্বীন, প্রেত বা অশরীরি কারো সাথে দেখাসাক্ষাতের অপেক্ষা করার বিষয়টা খাপ খায় না মনে হচ্ছে। ব্লগিং আর ভুত-প্রেতে আগ্রহ কি সমাজের কোন নির্দিষ্ট অংশের বিষয়? তাহলে প্রশ্ন, কাদের সাথে খাপ খায়? বিষয়টা আমার কাছে কিলিয়ার হইলো না।
আগে প্রচুর বই পড়তাম, এখন অবশ্য কম পড়ি। ব্লগিং কইরাই কুল পাই না! তবে পড়া উচিত।
আমি গল্প ভালো লিখতে পারি না, কোন সন্দেহ নাই তাতে। তবে, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। লিখতে লিখতেই একসময় মান-টান উন্নত হবে আশা করি। আর ভুল-ত্রুটি হইলে তো আপনারা আছেনই, তাই না!
কিপ কমেন্টিং.......প্লিজ!
২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
আরোগ্য বলেছেন: মাশুকের জন্য শুভ কামনা রইল। চেষ্টা করব ২য় পর্ব আজই শেষ করার, ইনশাআল্লাহ
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আল্লাহ ভরসা।
২য় পর্ব কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন!
২৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার আশেপাশের মানুষগুলির চিন্তাধারণা অনেক দরিদ্র পর্যায়ের, আমি নিজে ব্রিলিয়ান্টও না তাও আমি অশরীরী কারো লগে কথা কইতে আগ্রহী না, ভূত প্রেত বিশ্বাস করি না , ভয় পাই তাও এইসব নিয়া পড়ার আগ্রহ নাই। সেইখানে মাশুক কত উচ্চ পর্যায়ের! কার সাথে খাপ খায় জানি না। কিন্তু গল্পের প্লটের দুর্বল পার্ট মনে হলো বলে বললাম।
ইয়ে আমি তো মাশুকের বডির আড়ালে ভুয়া মফিজের উঁকিঝুঁকি খুইজা পাইতাছি।
যাক দ্বিতীয় পর্ব পইড়া আসি
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নিজেকে কেউ ব্রিলিয়ান্ট বলে না, বলে, আমি ভাই সাধারন মানুষ! এর থেকেই বোঝা যায় যে, আপনি ব্রিলিয়ান্ট।
আপনাকে বলার কিছু নাই, আপনি জানেন। তবুও বলি, আপনার আশপাশই তো আর পুরা দুনিয়া না। এই দুনিয়াতে যে কোনও কিছুই সম্ভব, কোথাও না কোথাও। তাছাড়া, উচ্চ পর্যায় কিংবা নিম্ন পর্যায় খুবই আপেক্ষিক একটা বিষয়। আমাদের সমাজের তথাকথিত উচ্চ পর্যায়ে যে কতো বিচিত্র মানুষ আছে, কতো বিচিত্র যে তাদের চিন্তা-ভাবনা তা বলে শেষ করা যাবে না।
এখন গল্পের প্লট দুর্বল মনে হইলেও কিছু করার নাই, আছে কি? মাঝ পথে তো বন্ধ করে দিতে পারি না। শেষ তো করতে হবে!
আমি তো মাশুকের বডির আড়ালে ভুয়া মফিজের উঁকিঝুঁকি খুইজা পাইতাছি। এই কথা অনেকেই আকার-ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করছেন। আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি ভুয়া মফিজের বডি আর মাশুকের বডি সম্পূর্ণই আলাদা। ভাবতেছি, একটা ডিসক্লেইমার দিয়াই দিব। ''এই পোষ্টের কোন চরিত্রের সাথে জীবিত বা মৃত কাহারও কোন সাদৃশ্য নাই। থাকিলেও ইহা কাকতালীয় বলিয়া গন্য করিতে হইবে....ব্লা ব্লা ব্লা!'' আপনি কি বলেন?
২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
জুন বলেছেন: মাশুক ভালো ছেলে । ফেসবুকিং করে না , সে জানে পড়ালেখা করে যে গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে
এখন সে স্টোনহেঞ্জ দেখতে যাচ্ছে বন্ধুদের সাথে, আমিও যাই দেখি।
এই স্টোনহেঞ্জ জিনিসটা নিয়ে আমার আগ্রহও অনেক পুরনো । দেখি সেখানে জ্বীন ভুত আছে কি না
+
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাশুক ভালো ছেলে । ফেসবুকিং করে না, তবে পড়ালেখা শুরু করার আগে থেকেই সে গাড়ী ঘোড়াতে চড়ে!
স্টোনহেঞ্জ নিয়ে আগ্রহ যেহেতু আছে, চলে আসেন....দেখে যান।
আপনার মন্তব্য সব সময়ই প্রেরনাদায়ী!! ধন্যবাদ।
২৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০
আখেনাটেন বলেছেন: প্রথম পর্বে তো ফাটিয়ে দিয়েছেন। জীবন্ত মনে হচ্ছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে.......কি যে বলেন! লজ্জা দিচ্ছেন কেন?
২৬| ০১ লা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: একজন গল্পকার যখন নিজের জবানীতে গল্প লেখে তখন বেশির ভাগ পাঠক ভাবে এটা গল্পকারের জীবন কাহিনী। হা হা হা.... একটা ভয়ংকর রকমের গল্প লেখা আছে কিন্তু সাহস করে পোস্ট করা হয় নি কখনও। সবাই ভাববে ওটা আমার জীবনের কাহিনী। বাঙালী পাবলিক বড়ই খারাপ শুধু '০' খোঁজে
গল্প ভালো লাগলো।পরে পর্ব পড়ে মন্তব্য করবো।
০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১০:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো আপনের মতোন ডাকসাইটে গল্প লিখতে পারি না, একটু চেষ্টা করি মাঝে-মধ্যে।
একজন গল্পকার যখন নিজের জবানীতে গল্প লেখে তখন বেশির ভাগ পাঠক ভাবে এটা গল্পকারের জীবন কাহিনী। হাচা কইছেন।
ভয়ংকর গল্পটা লিখে ফেলেন। কে কি ভাববে, সেটা নিয়ে বসে থাকলে কোন লেখাই আগাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এক কাপ চা দেন,খেতে খেতে পড়ি