![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলম ড. ইউনুস সম্পর্কে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে মোটাদাগে যা বলতে চেয়েছে তা হলো, ড. ইউনুসের আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা। আমি যেহেতু দেশে থাকি না, দেশের সাধারন মানুষের পালস বোঝার জন্য আমার ভরসা দেশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর সোশ্যাল মিডিয়া। তাতে করে আমি যে ধারনা পাই সেটা হলো, দেশের জনগনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এটা চায়। না, আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মতো নিজের কথাকে জনগনের কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছি না। আমি নিশ্চিত, দেশে যদি এই বিষয়ে একটা রেফারেন্ডাম দেয়া হয়, তবে এমনতরো আওয়াজই বেরিয়ে আসবে।
সারজিস আলম বা দেশের বেশীরভাগ মানুষের মতো আমিও চাই ড. ইউনুস আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকুন। এই চাওয়ার পিছনে আমি আমার যুক্তিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো এই পোষ্টে।
বর্তমান বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটা দেশকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নিতে কেমন নেতৃত্বের দরকার হয়? এমন একজন, যিনি কিনা শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলোই সামলাবেন না, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক এবং সার্বিকভাবে সমগ্র বিশ্বের সাথে কার্যকর সম্পর্কও সামলাবেন। আর সেজন্যে যদি সমস্ত বিশ্বে সন্মানীত আর গ্রহনযোগ্য একজন নেতা পাওয়া যায়, আর সেই নেতা যদি একজন অর্থনীতিবিদ হন তাহলে সোনায় সোহাগা। কারন কে না জানে.........বর্তমানে সবকিছুর চালিকাশক্তিই হলো অর্থনীতি। অধুনা বিশ্বে এমন থ্রী-ইন-ওয়ান নেতা বাংলাদেশ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন দেশে আছে বলে আমার জানা নাই। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে, চক্রবৎ পরিবর্তন্তে সুখানি চ দুঃখানি চ..........অর্থাৎ সুখ-দুঃখ চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়। দেশ একটা ঘোরতর অমানিশা পার করে আলোর দেখা পেয়েছে। একজন মাফিয়া সর্দারনীকে খেদানোর পর একজন বিশ্ববরেন্য নেতা পেয়েছে। এটা যেন সংস্কৃতের ওই শ্লোকবাক্যেরই প্রতিধ্বণি!!!
চলেন তাহলে, বিষয়টা আরো বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করি। প্রথমে ঘরের দিকে নজর দেই। গত ১৬ বছরে দেশের প্রতিটা সেক্টরে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ব্যাপক দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস আর অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল, মাত্র ৮ মাসে সেটা কতোটুকু ঠিক করা সম্ভব? বিশেষ করে হাসিনার শ্বশুরবাড়ী হিজরতের পরে তার প্রতিষ্ঠিত তাবেদার সরকারের লোকজনের অসহযোগিতার ফলে দেশের সবকিছু যেভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল, তাকে শুধুমাত্র একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের সাথেই তুলনা করা যায়। সেখান থেকে ফিনিক্স পাখীর মতো উঠে দাড়ানো চাট্টিখানি কথা না। এই আটমাসে বর্তমান সরকার পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন, প্রধান রাজনৈতিক দল, স্বৈরাচারের পা-চাটা সুশীল সমাজ; এমনকি সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টার কাজে অবহেলা কিংবা অকর্মন্যতাও কম দায়ী না। তারপরেও ক্রমান্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগী হয়েছে.........মোটকথা, প্রতিটা সেক্টরে বলার মতো কোন না কোন দৃশ্যমান উন্নতি কিংবা উন্নতির চেষ্টা জনগণের দৃষ্টিগোচরে আসছে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে পারলে পরবর্তী যে কোনও কাজ সহজ হয়, উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়; সেটাই আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি। ক্রমে ক্রমে ব্রেক ইভেন পয়েন্ট থেকে উন্নতির গ্রাফ উর্ধমুখে ধাবিত হবে, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। দীর্ঘদিনের নির্যাতিত সাধারন জনগনের জন্য এটা যে কতোটা স্বস্তির ব্যাপার, এটা বিএনপি না বুঝলেও জনগন ঠিকই বুঝতে পারছে।
ঘরের বাইরের সাফল্য তো আরো বেশী। হাসিনা ভেগে যাওয়ার পর থেকে ভারত যেভাবে ড. ইউনুস সরকারকে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। আমরা দেখেছি, বিশ্ব পর্যায়ে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে গোদি মিডিয়া কতোটা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, আমেরিকার তুলসীকে কিভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে; কিন্তু দিনশেষে আবাল মোদির ঝোলার প্রাপ্তি শুন্য। আমেরিকা ৭৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিল রোহিঙ্গাদের জন্য, অথচ বলা হচ্ছিল ট্রাম্প আইসা ইউনুসরে হুতায় দিবে। সব সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেওয়াতে এখন ইউনুস গাড্ডায় পড়বে ইত্যোকার আবালমার্কা শত কথার ফুলঝুরি!!! তুলসীকে ভাড়া করে আনা হলো সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশকে পচানোর জন্য; আর ওইদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ব্রিফিংয়ে জানিয়ে দিলো সংখ্যালঘু নিয়ে ড. ইউনুসের কাজে তারা সন্তুষ্ট!!! কতো বড় একটা থাপ্পড় গোদি মিডিয়ার গালে!!!!
যেই সরকারকে মোদি স্বীকৃতিই দিতে চায় নাই, আজ বাধ্য হয়ে সেই সরকার প্রধানের সাথেই মোদি আলোচনায় বসেছে। চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ড. ইউনুসের দিকে। আপনাদের মনে আছে, কঠোর নিয়ম-কানুনের দেশ আরব আমিরাত ড. ইউনুসের এক ফোনকলেই ৫৭ জন আন্দোলন করা প্রবাসীকে মুক্ত করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরা তাদের আইন ভঙ্গ করলে এমনকি পশ্চিমা দেশের অনুরোধও রাখে না। স্বাস্থ্যখাতে ভারত-নির্ভরতা কমিয়ে চীনের সাথে বাড়ানো হয়েছে। ভারত শুধু নিতো, তবে চীন আমাদেরকে এই খাতে দীর্ঘমেয়াদে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করতেও রাজি হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চীন ছাড়া সম্ভব না। সেই চীনের সাথে সম্পর্ক কার্যকরভাবে সুদৃঢ় করা একমাত্র ড. ইউনুসের পক্ষেই সম্ভব। আর কতো বলবো.........এই আটমাসেই তালিকা অনেক বড়!!!
আমি ভারতকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলছি না, তবে তাদের সাথে সম্পর্কটা হবে ভারসাম্যপূর্ণ, দাসত্বের না। যেটা এই মুহুর্তে একমাত্র ড. ইউনুস করতে পারে। ভারতমুখীতা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বমুখী হয়েছে। পুরো বিশ্বের সাথে ক্রমান্বয়ে সম্পর্কের পুর্নবিন্যাস করা হচ্ছে। বিশ্ব আগে বাংলাদেশকে দেখতো ভারতের চোখে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সাজানোই হতো ভারতের চাওয়া-পাওয়াকে কেন্দ্র করে। সেটা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। এসব একদিনের বিষয় না, এর জন্য যথেষ্ট পরিমান সময়ের দরকার। ড. ইউনুসের বয়স হয়েছে। কতোদিন সক্রিয় থাকবেন জানিনা, উনার দীর্ঘজীবন তো অবশ্যই কামনা করি। তবে যতোটুকু সময় পাওয়া যাবে, যড়যন্ত্রকারীদের কালোহাত গুড়িয়ে দিতে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আমরা ভাগ্যবান যে, উনি ৫ই অগাষ্ট উত্তর দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগ মাত্র দেড় বছর নেয়া, আমাদের দৈন্যতা আরো বাড়িয়ে দিবে। শুধু কল্পনা করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তারেক, আর তার ল্যাস্পেন্সার থ্রি-স্টুজেস, সালাহউদ্দিন, মেজর হাফিজ, রিজভী প্রমুখদের কথা। এদের আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা কি? আচ্ছা..........আন্তর্জাতিক বাদ, দেশেই তাদের গ্রহনযোগ্যতা কি? একটা নমুনা দেখেন (যারা দেখেন নাই, অবশ্যই দেখবেন। এটা আমার অনুরোধ।) এরা আল্টিমেটলি আবার ভারতের পকেটে চলে যাবে। এই এতো এতো তরুনদের আত্মত্যাগ.........সবকিছুতে পানি ঢালবে বিএনপি। ব্যাক টু দ্য স্কয়ার ওয়ান, আবার সেই ভারতের দাসত্ব!!!!
একটা উপায় হতে পারে, ড.ইউনুসকে আরো পাচ বছর ক্ষমতায় রাখার জন্য সংবিধান সংস্কার করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতিতে যাওয়া এবং ড. ইউনুসকে রাষ্ট্রপতি করা অথবা ফ্রান্স স্টাইলের সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা যাতে করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে চেক এন্ড ব্যালেন্স করা যায়............মোদ্দাকথা, ড.ইউনুসকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখা। আমাদের সেনাপ্রধান যা করেছে, করেছে। এখন দেশে তার ইমেজ রিবিল্ডের একটাই উপায়, সেটা হলো রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের নাম করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা না করা এবং ড. ইউনুসকে কার্যকরভাবে ক্ষমতায় ধরে রাখতে দেশবাসীকে সহযোগিতা করা। তাহলেই দেশবাসী তাকে মাথায় তুলে রাখবে।
দেশের জনগন জানে যে........বিএনপির নেতৃবৃন্দ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের দালালী করছে। ক্ষমতার জন্য তারা ৫ই অগাষ্টের পর থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রোটেক্ট করার চক্রান্তে নেমেছে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মতো অবস্থায় কোনদিনই যেতে পারবে না। এনসিপি এখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মতো ম্যাচুরিটি অর্জন করতে পারে নাই। কাজেই ড. ইউনুস ছাড়া গতি নাই। বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রক্ষমতা চালানো মানে শুধুমাত্র আভ্যন্তরীন বিষয়গুলো মোকাবেলা করা না, একই সঙ্গে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো আন্তর্জাতিক ভু-রাজনীতির চ্যালেন্জ মোকাবেলা করা। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করা।
বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক রাজনীতি মোকাবেলা করার মতো কেউ নাই বিএনপিতে। আভ্যন্তরীন রাজনীতি মেনে দেশ চালাতে তেমন কোন যোগ্যতা লাগে না, তবে এটাও তারা ঠিকমতো করতে পারবে না। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, ব্লগারদের অনেকেই দেশের একটা মন্ত্রণালয় চালানোর জন্য বর্তমানের বিএনপি'র ডায়াপার নেতাদের চাইতে বেশী যোগ্যতা রাখে, কিন্তু একেই যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতি মোকাবেলায় ছেড়ে দেয়া হয়........তার নাকের পানি, চোখের পানি এক হয়ে যাবে। সে কিছুই ডেলিভার করতে পারবে না। একটা কথা ভারতীয় দালালরা ছাড়া আমরা সবাই জানি যে, ভারত যাকে অপছন্দ করে.......সে বাংলাদেশপন্থী বা দেশের জন্য উপকারী। ভারত ড.ইউনুসকে চরমভাবে অপছন্দ করছে। আওয়ামী লীগ করছে; সো এজ বিএনপি। তাহলে লজিকাল ইনফারেন্স কি বলে? আপনারাই ঠিক করেন।
আভ্যন্তরীন রাজনীতি আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কতোটা ভিন্ন, সেটা বিজ্ঞ ব্লগারদেরকে আমার ব্যাখ্যা করার দরকার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেই, ক্রিকেটের ঘরোয়া যে কোনও টুর্নামেন্টে অত্যন্ত সফল একজন ক্রিকেটারকে যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামানো হয়, সে ডাহা ফেল করে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন উদাহরন ভুড়ি ভুড়ি আছে। কেন এমনটা হয়? ভাবেন! গভীরভাবে ভাবেন!!! দেশের স্বার্থে ভাবা প্র্যাকটিস করেন; এর মধ্যেই দেশ ও জনগনের কল্যান নিহিত আছে। মনে রাখবেন, দেশ আবার যদি গভীর গাড্ডায় পড়ে, আপনি বা আপনার পরিবার এর বাইরে থাকবে না। বিপদ শুধুমাত্র তখনই এড়াতে পারবেন, যদি আপনি ক্ষমতাসীনদের পা-চাটা স্বভাবের হন!!!
মজার ব্যাপার হলো, মির্যা আব্বাসের পরে এইবার আমীর খসরু বলেছে, সংষ্কার না, অন্তবর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এই ছাগল এটাও জানে না যে, শুধুমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচন করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ। অন্তবর্তী সরকারের এক্তিয়ার সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাইরেও আরো অনেক কিছু। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দৃশ্যমান কোন সংস্কারই করবে না। কিছু আই ওয়াশ করলেও করতে পারে। সাত বছরে ভারতে জামাই আদরে থাকা নয়া সংবিধান বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দিন এখন জুলাই ২০২৪ কেই অস্বীকার করতে চাচ্ছে, একে গণজাগরণ মঞ্চ'র সাথে তুলনা করে। আমি বার বার বলছি, তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলেছি যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নব্য ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে। বিরোধী মতের কেউ আসে নাই আমার যুক্তি খন্ডন করতে। তার মানে তাদের বলার মতো কিছু নাই; থাকার কথাও না।
খেয়াল করেন, আওয়ামী লীগও কিন্তু এখন বিএনপি'র সমালোচনা করে না। বরং তারা বিএনপি'র নেতৃত্বে ইউনুস সরকারের পতন ঘটাতে চায়। তারা এই সরকারের কোন ফ্যাক্ট বেইজড সমালোচনাও করে না, করে গুজব নির্ভর সমালোচনা যা মূলতঃ ভারতের গোদি মিডিয়া ক্রমাগত করে যাচ্ছে। ক্ষমতার লোভে বিএনপি এখন পাগলা হাতির মতো আচরণ করছে। বিএনপি কি ক্রমান্বয়ে জাতিয়তাবাদী আওয়ামী পার্টিতে পরিনত হচ্ছে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি। আমার সবচাইতে বড় দুঃখ, গত ১৬ বছরের নির্যাতন, গুম, খুন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাই নেয় নাই। হাসিনার পালাইতে ১৬ বছর লেগেছিল, তারেক জিয়ার পালাইতে কয় বছর লাগবে? বুকে হাত দিয়ে বলি, সেই দিন আমি দেখতে চাই না। একেবারেই না।
জনগন যদি ড. ইউনুসের বদলে খাম্বা তারেককে বেছে নেয়, সেটা হবে এই জাতির বুদ্ধিহীনতারই পরিচায়ক। ধরে নিতে হবে, স্বৈরাচারের প্যাদানী খাওয়া এই জাতির অত্যাধিক পছন্দ। একটা জাতির জীবনে লী কুয়ান ইউ, পার্ক চুং-হি, মাহাথির মোহাম্মদ আর ড. ইউনুসের মতো ভিশনারী লিডার ঘন ঘন আসে না; এর জন্য যুগ যুগ অপেক্ষা করতে হয়। সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া সেইসব নেতাদের মাথায় তুলে রেখেছিল, দেশকে বদলে দিয়েছিল। মনে রাখবেন, বাংলাদেশকে ভাগ্য বদলানোর সুযোগ সৃষ্টিকর্তা বারে বারে দিবেন না, উনার আরো কাজ আছে। জনগনকেই এখন ঠিক করতে হবে, তারা ড.ইউনুসকে কি পেয়েও হারাবে; খাম্বা তারেক আর তার লুটেরা বাহিনীকে তাদের অতীতের কীর্তি জানার পরও লুটপাটের আর ভারতের গোলামীর আরেকটা সুযোগ দিবে.............নাকি বদলে যাবে।
আগামীতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার আরো বিভিন্নমুখী সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ভারত। আর তাতে সহযোগী হবে বিএনপি। এখন যেখানে ঐক্য জরুরী, সেখানে এরা অনৈক্য তৈরী করার চেষ্টা করবে; সাথে ভারত আর আওয়ামী লীগের দেশের ভিতরের আর বাইরের দালালেরা আরো অধিকতর সক্রিয় হবে। আগামী দিনগুলো ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
চয়েস ইজ ইওরস। তবে খুব সাবধান..........হায়েনারা ওৎ পেতে আছে!!!
ছবিসূত্র। Click This Link
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট দিলাম, সেইটা নিয়া কোন কথা নাই!!! এইসব কি!!!!
যাইহোক, প্রথম হইলেন, সেইজন্য একটা উপহার। গতকাল হাটতে গিয়া অনেকগুলা তুলছি.......আপনেরে একটা দিলাম।
আপনেরেও ঈদ মোবারাক।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এতোদিন দেখেছি সরকার খেদানোর জন্য মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে এখন মনে হয় দেখতে হবে সরকার রক্ষার জন্য মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা বাংলাদেশের জন্য একটা অভূতপূর্ব ব্যাপার। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার পরে এই প্রথম এতো জনপ্রিয় একটা সরকার বাংলাদেশে এসেছে। এই সরকারকে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, জনগন করবে।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার গত ৮ মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার ও স্থিতিশীলতার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তাঁর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা, অর্থনৈতিক দূরদর্শিতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে একটি সুযোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিএনপি-আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংঘাত ও ভারতের হস্তক্ষেপের মধ্যেও ড. ইউনুসের সরকারকে সমর্থন করা দেশের স্বার্থে জরুরি। তাঁর মতো বিশ্বস্ত ও দক্ষ নেতা বিরল, এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের পথে এগোতে পারে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে পদে পদে বাধা আর অসহযোগিতা পেয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরা যেন ভালোভাবে কাজ না করতে পারে, সেইজন্য দেশে আর দেশের বাইরে বহু গোষ্ঠি সক্রিয়। তারপরেও প্রতিটা ক্ষেত্রে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সবাই সহযোগিতা করলে আরো অনেক বেশী হতো। এখন আমাদের বেইমানদের চিহ্নিত করে তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। তা না করতে পারলে এই বেইমানেরা দেশটাকে আবার ভারতের হাতে তুলে দিবে।
সেইজন্যই...........ড. ইউনুসের সরকার..........দীর্ঘ সময় দরকার!!!
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৬
নতুন বলেছেন: ড: ইউনুস দলীয় নেতা না। তাই দলীয় দূনিতির জন্য তার উপরে চাপ থাকবেনা। তাই তিনি অবশ্যই দেশকে সহী পথে নিয়ে আসতে পারবেন।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতির উন্নতি হলে জনগন অবশ্যই তাকেই প্রধান হিসেবে দেখতে চাইবে।
দেশের জনগনের দরকার নাই বিএনপি/আয়মীলীগ বা জামাতের স্বাসন।
তাদের দরকার নিরাপত্তা, দ্রবমুল্যের নিয়ন্ত্রন, ব্যবসা, চাকুরীর ব্যবস্থা, ---- এই সবই আসল কে প্রধানমন্ত্রি হইলো তা দিয়ে জনগনের কোন লাভ নাই।
ভাল সবটুকুই নেতাদের। তারাই চিক্কুর পারবে ক্ষমতার জন্য।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ড: ইউনুস দলীয় নেতা না। তাই দলীয় দূনিতির জন্য তার উপরে চাপ থাকবেনা। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা। এটাই আমাদের বুঝতে হবে।
আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ভিডিওর নীচে কমেন্টগুলো যতোটা পারি, দেখি। সবাই বিএনপিকে গালি দিচ্ছে আর চাইছে যেন এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। সেইজন্যই বিএনপি'র ডায়াপার পড়া নেতাগুলা এখন বেদিশা হয়ে ক্রমাগত আবোল-তাবোল বকছে। এরা কখন ক্ষমতায় যাবে, আর লুটপাট শুরু করবে, সেই আশায় আছে।
আর গর্তে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী চোরগুলো অপেক্ষায় আছে কবে এই সরকারের পতন হবে, আর তারা গর্ত থেকে বের হয়ে বিএনপি'র ছত্রছায়ায় ভোল পাল্টে আবার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।
তবে এইবার তাদের কারোরই আশা পূরণ হবে না।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেবের যদি খায়েশ থাকে ক্ষমতায় থাকার, তাহলে উনি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসুক।
নাটক বন্ধ করুক। ইদের জামাতে টাকা দিয়ে লোকজনকে নাটক করা থেকে বিরত থাকুক।
পাচ বছর। পাচ বছর। কি সুন্দর নাটক!!! ছিঃ
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেই সরকার আসে, সেইটার নির্বাচন লাগে না। জনগনের অভ্যুত্থানই তাদের সবচেয়ে বড় ম্যান্ডেট। অবশ্য বেকুবদের এইসব বোঝার কথা না। তারা তাদের কথিত নাটক দেখতে থাকুক!!!
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষ তো পাগল হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের জন্য। খেয়ে গেছে এক দল । আরেক দল খাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এখনই যে অবস্থা , ক্ষমতা পেলে না জানি কী করবে! আমার উপরের জনের মন্তব্য দেখেন ... এই দেশে নিঃস্বার্থভাবে উন্নয়ন , ভালো করতে কেউ পারবে না । কিছু মানুষের প্রতি ঘৃণা ধরে গেছে।
ইউনুস স্যারের একটা ভালো কাজও তাদের কাছে ভালো নয় অথবা স্বীকারই করতে চাচ্ছে না। চিন্তা করেন এইবার রোজায় সবজি থেকে ধরে অনেক কিছুরই মূল্য বাড়ে নাই। মানুষ কত শান্তিতে হা হুতাশ ছাড়া রমজান মাস কাটিয়েছে। কোনো যানজটও ছিল না ঈদে। টিকেটে ছিলো না কালোবাজারি।
আমি অন্তত ইউনুস স্যারকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। তিনি বহির্বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতেছেন। তিনি একজন আলোকিত মানুষ, বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকলে আলো ছড়াবেনই ইংশাআল্লাহ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন:
দেশের এইসব ভুয়া রাজনীতিবিদদের এখন জনগন দুই পয়সাও দাম দেয় না। এইগুলি ক্ষমতায় আসার আগেই যা শুরু করছে, ক্ষমতায় আসলে দুইদিনেই দেশ বেইচা দিবে।
আমার উপরের জনের মন্তব্য দেখেন ... এই দেশে নিঃস্বার্থভাবে উন্নয়ন , ভালো করতে কেউ পারবে না । কিছু মানুষের প্রতি ঘৃণা ধরে গেছে। বাদ দ্যান। বেকুবদের কথার কোন গুরুত্ব দিতে নাই। কি কয়, নিজেও বুঝে না।
যারা দলবাজী করে, তাদের এখন বুঝতে হবে এইসবের দিন শেষ। এখন দলবাজী, চাদাবাজী আর টেন্ডারবাজী; বাস-টেম্পু স্ট্যান্ড আর মার্কেটে চাদাবাজী করে অথবা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার দিন আর নাই। আম্লীগের সাথে সাথে এইসবকেও ঝেটিয়ে বিদায় করা হবে।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
যাযাবর চখা বলেছেন: ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সঠিক কথা। ড.ইউনুসের কোন বিকল্প নাই!!!
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
আরোগ্য বলেছেন: দুই বেটির চুলাচুলি থেইকা নিস্তার পায়া এহন এক শিক্ষিত মার্জিত ভদ্রলোককে আমরা নেতা হিসাবে পাইসি। দুই বেটি এহনও জিন্দা আছে আবার দুইটারই একখান কইরা আকামা পোলা আছে।জাতি যদি ইউনুস সরকারের কদর না করে আমার ভয় হয় আল্লাহ হয়তো আমগো উপরে আবারও সেই পিশাচগো শাসন চাপায়া দিবো। choice is ours!
আপনে পোস্টে কইসেন বিএনপি আইলে ওরা নব্য ফ্যাসিস্ট হইবো। হইবো কেমনে অলরেডি হয়া গেসে। ওরা তো মনে করে ড. ইউনুস দুধ ভাত হুদাই চেয়ারটা ধইরা রাখসে। ওরা তো ৫ তারিখ ওই মুহূর্ত থেইকা নিজেগো রাজ মনে করতাসে। আমরা যারা ভুক্তভোগী আর চাক্ষুষ সাক্ষী আমরা এটা খুব ভালো মতন জানি। অধিকাংশ মানুষের একটাই চাওয়া এই খাটাশের দল যাতে না আহে। কত সংসার যে নষ্ট হইতাসে কি আর কমু। এই কয় মাসে যে অভিশাপ জমা হইসে ওগো খাতায় না জানি কোন অমাবস্যার চাঁদ দেহে সামনে।
লোকে কয় ইউনুস সরকার পাঁচ বছর থাউক। উনি যে সিলেকশন পদ্ধতিতে আইসে ওইটাই শরীয়তসম্মত আর সব ঠিক থাকলে জনগণ সন্তুষ্ট থাকলে উনি আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকতে পারব এটাও শরীয়ত। দেহি আমরা কার যোগ্য!!!
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অবশ্য খালেদা জিয়ারে ভালা কই, তয় শাসন ক্ষমতা হ্যায় ঠিকমতোন এপ্লাই করবার পারে নাইক্কা। পোলাডারে কন্ট্রোল করনের জরুরত আছিলো। বাকী তিনটা যেমুন কইছেন, তেমুনই। এক্কেরে আকাইম্যা।
আপনে পোস্টে কইসেন বিএনপি আইলে ওরা নব্য ফ্যাসিস্ট হইবো। হইবো কেমনে অলরেডি হয়া গেসে। ইকটু রাখঢাক কইরা কইলাম আর কি!! হাজার হইলেও এক সুমায় এই পার্টির লগে আছিলাম!!! বেশী কিছু কইতে শরম লাগে!!!!
নির্বাচনের মায়েরে বাপ!!! কিয়ের নির্বাচন? জনগন ডাইনীরে খেদায়া ইউনুসরে বহাইছে। এর থেইকা বড় আর কিছুই নাইক্কা। এর বাইরে যেরাই চিক্কুইর পারবো, ঝাটা মাইরা খেদাইতে হইবো দ্যাশ থেইকা।
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: পাচার হওয়া ২৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে বিএনপির হাই কমান্ডের পকেটে। এই কারনে নির্বাচন ও আওয়ামিলীগ পুনর্বাসনের জন্য পাগল হয়ে গেছে বিএনপি। বিএনপিকে যদি না ঠেকানো যায় তবে হয়ত সামনে পিলখানা, শাপলা চত্বর ও জুলাই এর চাইতেও বড় হত্যাকান্ডের সম্ভাবনা আছে। গাজাতো সবার সামনে একটা উদাহরন হয়েই আছে। বিএনপির উন্মাদীয় আচরনে সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ধরনের ভয় প্রকাশ করছে। অন্তবর্তী সরকারের বর্তমান সেটআপকে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় অন্তত পাঁচ বছর রাখতে হবে। ডক্টর ইউনুসের একজনের যোগ্য বিকল্পও প্রস্তুত রাখতে হবে। ডঃ আলী রিয়াজ, ডঃ ফাওজুল করিমের এত মত আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন ব্যক্তিদের তৈরী করে রাখতে হবে।
বিএনপিকে আটকাতে হবে দুদকের মাধ্যমে । তানাহলে এরা জনগনের মৃত্যূদুত হয়ে সামনে আবির্ভুত হবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা হলো, বিএনপিকে ভারত বলেছে ''রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ'' এর নামে আওয়ামী লীগকে পূনর্বাসিত করতে। যদি করতে পারে, তাহলে পুরস্কার স্বরুপ তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। আরো অভয় দিয়েছে, এতে সেনাবাহিনীর কিছু উর্ধতন কর্তৃপক্ষেরও সায় আছে। ফলে বিএনপি নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে আছে।
তাছাড়া তাদের মনে ভয়ও ঢুকে গিয়েছে। কারন ড. ইউনুসের সাফল্যের কারনে জনগনের মনোভাব যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে, তাতে যতো দেরী হবে, তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ততোই সূদুঢ় পরাহত হবে। সেইজন্যই তাড়া তাড়াহুড়া করছে। বেকুবীর জন্য বিএনপির খ্যাতি আছে। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ডায়াপার নেতারা এমন সব বেফাস কথা বলছে, আর বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে যে জনমত তাদের আরো বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। এরা বুঝতেও পারছে না এই ক্ষোভ যে কোনও সময়ে জনরোষে পরিণত হতে পারে।
এদের নিমকহারামী দেখে আমি আসলেই আশ্চর্য হয়েছি। ৫ই অগাষ্টের পরে তারা যদি জনগনের পালস বুঝে কাজ করতো, তাহলে তাদের যে ইমেইজ বিল্ডআপ হতো তা অকল্পনীয়। সেটা না করে জাতির সাথে বেইমানী করে তারা নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারলো। এতো এতো আত্মত্যাগের কোন মুল্যই নাই এই শুয়োরগুলোর কাছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছে!!!
শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়ে ওঠা একটা এতোবড় রাজনৈতিক দলের নেতারা এতো ছাগল আর লোভী হয় কিভাবে, আমার জানা নাই।
আপনে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে করা পিনাকীর লেটেস্ট ভিডিওটা দেখছেন?
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য করার সুপারিশ করেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে অভিযুক্তরা সাজা হওয়ার আগেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। বিএনপি এ সুপারিশের সঙ্গে একমত নয়
।
আপনি বিএনপিকে বেকুব ভাবছেন , কিন্তু বিষয়টা মোটেও তা নয়। অন্তবর্তী সরকার এখন পর্যন্ত দেখেন যে বিচার শুরু করতে পারছে না । কেন ? কারন বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রসাষন, আদালত সর্বত্র বসে আছে স্বৈরাচারের দোসররা। আর এই পরিস্থিতিতে বিএনপি বলছে তারা দ্রুত নির্বাচন চায় এবং এই ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত আওয়ামিলীগ নেতারা নির্বাচনে অযোগ্য হবে না=!!! সেনাপ্রধানতো তাও একটু রেখেঢেকে রিফাইন্ড আওয়ামিলীগের রাজনিতির কথা বলেছেন। এমনিকি এটাও বলেছেন যে, সেই আওয়ামিলীগ শেখ পরিবারকে ত্যাগ করবে। আর বিএনপিতো সরাসরি বর্তমান কারাগারে অন্তরীন আওয়ামিলীগ নেতাদের নির্বাচন করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে!! এই কারনে দেখবেন যে জামাত সহ অন্যান্য রাজনৈ্তিকদলগুলো বিএনপির পাশ থেকে সরে গেছে। বিএনপি এখন জাতীয় বেইমান দল। পিনাকি ভট্টাচ্ররয বিএনপি সম্পর্কে যা বলছে, তা প্রতিটা কথা সত্য বলেছে। সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাকি যারা পেইড এজেন্ট বিএনপির পক্ষে দালালি করছে, সোস্যাল মিডিয়ায় গেলে দেখবেন যে তরুনেরা তাদের জিয়া বটর ফোর্স নামে আখ্যায়িত করছে। মানুষ এমনি এমনি ক্ষেপে উঠে নাই। ইন্টারিম গভর্নমেন্ট বিএনপির আসল চেহারা ফাশ করে দেয়াতে এখন মানুষ ক্ষেপে গেছে।
১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৫
ঢাবিয়ান বলেছেন:
এইরকম অসংখ্য স্যম্পল এখন সোস্যাল্মিডিয়ায় গেলে দেখবেন। মির্জা ফখরুলের জামাতা এই ধরনের ট্যগিং এর সমালোচনা করায় জেন- জির ধাওয়ার উপ্রে আছে আফসোস যে বিএনপি এই প্রজন্মের তরুনদের চিনতে ভুল করেছে।
১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: সরি এক ছবি তিনবার এসে গেছে।
১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,
দেশের আবাল রাজনীতিবিদদের জাঙ্গিয়া/ডায়াপার ধরে টান দিয়েছেন।
আর কিছু বলার নাই। শুধু বলি - দেশের হাড্ডি পর্য্যন্ত চিবিয়ে খাওয়া হায়েনাদের কোন নসিহতেই মানুষ করতে পারবেন না। তাই জুলাই-আগষ্টে রাজপথে থাকা সকল ছাত্র-জনতাকে, মা-বোনদেরকে আবার রাজপথে নামতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে সব সময়।
কেউ যেন তার/তাদের বিনা মেহনতে (মেহনত করেছে ছাত্র-জনতা) পাওয়া ফাঁকা সিংহাসনে রাজারহালে বসার সুযোগ না পায় সেজন্যে ছাত্র-জনতার প্রতি মূহুর্তে সজাগ থাকার বিকল্প নেই।
১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ড. ইউনুসের সরকার, দীর্ঘসময় দরকার অবশ্যই!
নমুনা হিসেবে দেয়া ভিডিও আগে দেখা হয়, নাই এখন দেখলাম। মির্জা সাহেবের কথা বলার ভঙ্গি দেখে চমৎকৃত হলাম, এই কি একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের কথা বলার ভাষা এবং ভঙ্গি!! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে যেমন ওপেন ডিবেট হয়, তেমনি ভাবে মির্জা সাহেবের সাথে সারজিস কিংবা জারা কিংবা জেবিনকে বিতর্ক করতে দিলে মানুষ সহজেই যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে পারতো!
লেখাটা ভালো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমিও একটা সিরিজ লেখা শুরু করেছিলাম, জিয়াউর রহমান,ড. ইউনুস, এবং সংস্কার কমিশনের একজনকে নিয়ে। এখন বুঝতে পারছি না আর লেখার দরকার আছে কিনা! কিন্তু ১৯ তারিখে একটা পোস্ট দিতে চাই, অবশ্যই সেই পোস্টে দেয়া স্ক্রীন শট নিয়ে মন্তব্য করবেন।
১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আগামীতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার আরো বিভিন্নমুখী সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ভারত। আর তাতে সহযোগী হবে বিএনপি। এখন যেখানে ঐক্য জরুরী, সেখানে এরা অনৈক্য তৈরী করার চেষ্টা করবে; সাথে ভারত আর আওয়ামী লীগের দেশের ভিতরের আর বাইরের দালালেরা আরো অধিকতর সক্রিয় হবে। আগামী দিনগুলো ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে ও এমন একটি উক্তি লজ্জার কিনা? যদি ভারতের পদলেহন করেই দেশ চলাতে হয়? জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ কখনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না, দেশ প্রেমিক কোন রাষ্ট্রনায়ক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে সংগ্রাম হয়েছিল, তা ও পুরন হয়নি। এই অস্থিরতার ইন্ধনে কোন দেশটি তা ও মোটামোটি পরিস্কার!!!
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় দৃশ্যত কোন দেশ বাংলাদেশকে সাহায্যে করেনি!!! যুক্তি ছিল, ভারতের পেটের মধ্যে একটি রাষ্ট্র কিভাবে স্বাধীন সার্বভৌম ভাবে পরিচালিত হবে? তাহলে আরব, চায়না আর হেনরি কিসিঞ্জারের "বোটমল্যাস বাস্কেট" করা ভবিষ্যতবাণী ই সঠিক ছিল?
ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসের বয়স এখন ৮৪, ওনি আর কতদিন দেশ পরিচালনা করতে পারবেন??? সিংগাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া একটি জেনারেশন সর্বস্ব ত্যাগ-বিসর্জনের মাধ্যমে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। আর ওই রাষ্ট্রনায়কের দেশ পরিচালনার পথ ও অতো টা মসৃণ ছিল না। ডক্টর ইউনুস শেষ বয়সে ওনার রেখে যাওয়া ল্যাগেসির সাথে কম্প্রোমাইজ করবেন কিনা সেটা ও ভাবার বিষয়??? তবে আমার মনে হয়, বাঙালি তার পুর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া কোন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে। তা না হলে, এখন ই ট্রাম্পকে কেন ক্ষমতায় আসতে হবে?
পুরো পোস্ট ৯০ ভাগ হতাশা আর ১০% আশার আলো? তা ও আবার খুবই ক্ষীণ!!!!
১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হ্যা/ না ভোট নিলে বেশীর ভাগ সাধারণ জনগণ ডঃ ইউনুসকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাবে। এই মুহূর্তে ওনার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা বেশ ইতিবাচক। মানুষ এখন বলা শুরু করেছে যে, দেশ ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে ভালোর দিকে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। এই রমজানে বাংলাদেশের মানুষ এই প্রথম দেখলো যে জিনিস পত্রের দাম নিম্নমুখীও হয়। মধ্যবিত্তরা এটাই বলাবলি করছে। ভয় ছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে, সেটাও এখন ঊর্ধ্বমুখী। মুদ্রাস্ফীতিও এখন আগের চেয়ে কম।
ভারত আশা করছে অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতকে সাহায্য এবং সমর্থন দিবে। এই চাপ সামলানোর জন্য ডঃ ইউনুস হলেন উপযুক্ত ব্যক্তি। আশা করা যায় যে, ওনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলি বাংলাদেশের ব্যাপারে নমনীয় থাকবে এবং ভারতের অন্যায় আবদারকে প্রশ্রয় দিবে না।
ডঃ ইউনুস দল নিরপেক্ষ একজন মানুষ। ফলে দেশের কল্যাণের জন্য যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরণের চাপের সম্মুখীন তিনি হবেন না। যে কোন দল ক্ষমতায় আসার পরেই শুরু হয় দলীয়করণের মহোৎসব। তারা ব্যস্ত থাকে বিরোধীদল দমনে আর টাকা পয়সা লুটপাটে। ডঃ ইউনুসের ক্ষেত্রে সেই ধরণের কোন সম্ভবনা নাই। উনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্বের বড় বড় নেতারা তাকে সম্মান করে। যার কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া উনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভারত আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।
ভারত এবং আওয়ামীলীগ হেন কোন চেষ্টা বাদ রাখেনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে। তথাকথিত হিন্দু নির্যাতনের ইস্যু, আনসার আন্দোলন, জুডিশিয়াল ক্যুর প্রচেষ্টা, ইস্কনের মাধ্যমে হিন্দুদের উস্কে দেয়া, গার্মেন্টস সেক্টরে হাঙ্গামা সহ অন্তত ৫০ ধরণের প্রচেষ্টা তারা করেছে। কিন্তু ডঃ ইউনুস ঠাণ্ডা মাথায় এগুলিকে সামলেছেন। ওনার জায়গায় অন্য কেউ হলে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপদে ফেলে দিত। সেনাপ্রধান এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পাড়ছেন যে আসল শক্তি তার হাতে না বরং ডঃ ইউনুসের হাতে আছে।
তুলসি চেষ্টা করেছিল ভারতকে সাহায্য করতে, কিন্তু পরে অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে ব্যাপারটার একটা ব্যাখ্যা দেয়া হয় যেটার দ্বারা তারা বুঝিয়ে দেয় যে তুলসির কথাকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। এগুলি সম্ভব হয়েছে ডঃ ইউনুসের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে। এই চপেটাঘাতের পরে আমার ধারণা ভারত এবার সতর্ক হবে। অন্তত বাহ্যিকভাবে তারা কোন ঝামেলা করবে না। তলে তলে যাই করার চেষ্টা করুক না কেন।
আমিরাতে যে ৫৭ জন বাংলাদেশী বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এটা এক কথায় অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিল। শুধু মাত্র ডঃ ইউনুসের সম্মানে তারা মুক্তি দিয়েছে। উনি কথায় না কাজে বিশ্বাস করেন। ফলে ধীরে ধীরে ওনার কাজ এবং অর্জনগুলি সামনে আসছে।
ডঃ ইউনুস চীনের সাথে মিত্রতা প্রদর্শন করে ভারতকে একটা বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ভারতও সেটা বুঝতে পারবে বা পেড়েছে ইতিমধ্যে। এতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনই আশা দেখা যাচ্ছিল না। ডঃ ইউনুসের কারণে এখন কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
বিশ্ব আগে বাংলাদেশকে দেখত ভারতের চোখে। কিন্তু মনে হচ্ছে এখন তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত দ্বারা প্রভাবিত হবে না। বাংলাদেশ আসলে বহুদিন থেকেই ইমেজ সংকটে ছিল। ডঃ ইউনুসই একমাত্র ব্যক্তি যিনি নিজের ব্যক্তিগত ইমেজের দ্বারা বাংলাদেশের ইমেজ সঙ্কট দূর করতে পারেন।
পিনাকির ভিডিও দেখলাম। দুই মির্জাকে ল্যাংটা কইরা ছাইড়া দিসে। লজ্জা থাকলে এই দুই বাটপার আর লাফালাফি করবে না।
বিএনপি ভুল পথে হাঁটছে। এরা সামনে বিপদে পড়বে। এদের পরিণতি আওয়ামীলীগের চেয়েও খারাপ হতে পারে। ঝুকি হল এই মুহূর্তে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মধ্যে এক ধরণের সমঝোতা আছে। সুযোগ আসলে আওয়ামীলীগ বর্তমানের সুসম্পর্ক ভুলে বিএনপিকে ল্যাং মেরে ফেলে নিজেরা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবে। সেটা বোঝার মত বুদ্ধি বিএনপির নেই। এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং ভারত একই দলে আছে। আমাদের দেশের সাধারণ জনগণকে সেটা বুঝতে হবে। নইলে আবারও ১৫ বছর দাসত্ব করতে হবে। ডঃ ইউনুস হল একমাত্র সমাধান।
আমাদের মত দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ভু-রাজনীতি মোকাবেলা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপিতে এগুলি সামলানোর মত কোন নেতা নাই।
১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: যারা কোন রাজনৈতিক দলের দলদাস নয়, তারা সবার মনভাব হচ্ছে ইউসুফ সরকার আরও কিছুদিন থাকুক। শব্দটা দল সমর্থক না কিন্তু দলদাস, দলকানা। আপনার যদি দেশের প্রতি যত্নবান হওয়ার মনভাব থাকে তাহলে আপনার চাওয়া এমন হবে এটা স্বাভাবিক।
আরেকটা সত্যি কথা হচ্ছে বিএনপিও কিন্তু আওয়ামীলীগের পথেই হাটতে চেয়েছে কিন্তু বিএনপি পারে নাই। ৯৬তে দেখেন, ২০০৫ তত্তাবোধায়ক সরকারের প্রধান নিজেদের পছন্দের মত করার ষড়যন্ত্র। সবই কিন্তু আওয়ামীলীগের মতই। পার্থক্য হচ্ছে আওয়ামীলীগ পারছে, আর বিএনপি পারে নাই।
আমাদের আসলে এই দুই চোরের দল ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষও যে খুব বেশি উন্নত তাও তো বলা যাবে না।
মাঝে মাঝে মনে হয় ২০০৭ সালে ইউসুফ সরকার রাজনৈতিক দল খুলেছিলেন তবে সেটা তিনি চালিয়ে যান নাই। যদি সেটা তিনি চালিয়ে যেতে পারতেন তবে হয়তো কোন একটা পরিবর্তন আসতো। তবে এই অসভ্য রাজনীতির ভেতরে তার মত ভদ্র মানুষ রাজনীতি করে টিকে থাকতে পারবেন না।
১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
নকল কাক বলেছেন: পাঁচ বছর পরে দেখা যাবে
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ঈদ মুবারক ভাইয়া