নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানাতে চাই ।এই দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী,দুনিয়া হল আখেরাতের শস্য ক্ষেএ, যা পারা যাই তাই জোগাড় করুণ,মৃত্যু খুবই নিকটে।

সাহেদ সারোয়ার ভুঁইয়া

Apprentice Lawyer At Chittagong judge court বাস্তবতায় বিশ্বাসী,আমি মুসলিম হয়ে গর্বিত।

সাহেদ সারোয়ার ভুঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরানে রিপ্রোডাকটিভ সিষ্টেমঃ বক্ষ পাজর ও মেরুদন্ড হতে বীর্য নির্গত, ভুল নাকি মিরাকল ?

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

কোরানে রিপ্রোডাকটিভ সিষ্টেমঃ বক্ষ পাজর ও মেরুদন্ড হতে বীর্য নির্গত, ভুল নাকি মিরাকল ?

কোরআন ৮৬ঃ৫-৭
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
ভুল আনয়নকারীর দাবীঃ কোরান বলছে যে -বক্ষ পাজরের মধ্য থেকে বীর্য নির্গত হয় এটা পুরাই একটা অবৈজ্ঞানিক উদ্ভট ও আজগুবি কথা বার্তা। এটি গ্রীক থিওরী থেকে ধার করা। কোরান নাযিলেরও ১০০০ বছর আগে হিপোক্রিটাস বলে গেছিলেন এই কথা। তার বক্তব্য ছিল কিডনি ও অ্যাবডোমিনাল কেন্দ্রিক। আর এটা থেকে চুরি করেই কোরানে লেখা হয়েছে, যা ভুল। কারন বীর্য তৈরি হয় অন্ডকোষে।
জবাবঃ গ্রীক ফিলসফি থেকে চুরির ব্যাপারে বলি, এই আয়াতে কোথাও কিন্তু কীডনির কথা উল্লেখ নেই।
আর কোরান যখন নাযিল হয়েছিল তখন গবাদী পশু থেকে শুরু করে হাবশী গোলাম খোজাকরন পদ্বতি চালু ছিল। তাই বীর্য যে অন্ডকোষ বা testis থেকে তৈরী হয় তা আরবের লোকদের খুব ভালই করেই জানা ছিল। তাহলে কোরানে তো সেই কথাই লেখার কথা ? তা না করে কোরানে কেন এক হাজার বছর আগের গ্রিক থিওরী থেকে লিখতে গেল ? ধরি আমি চিকিতসা বিষয়ক কিছু লিখব, তবে আমি বর্তমানে যা প্রচলিত সেটা লিখব নাকি এক হাজার বছর আগে কোন একটি অংশে কোন এক মানুষ কি ভাবত তা লিখতে যাব ? কমনসেন্স, তাই এ অভিযোগটা এখানেই মাঠে মারা গেল।
এবার বীর্য নির্গত হওয়ার ব্যাপারে এই আয়াতের ইউসুফ আলী সহ অন্য কয়েকজনার অনুবাদ দেখিঃ
ইউসুফ আলী লিখেছেন,
He is created from a gushing fluid,
Proceeding from between the backbone and the ribs,
মহসীন খান লিখেছেন,
He is created from a water gushing fort,
Proceeding from between the back-bone and the ribs,
পিকটিল লিখেছেন,
He is created from a gushing fluid
That issued from between the loins and ribs.
আরবেরী লিখেছেন
he was created of gushing water,
issuing between the loins and the breast-bones.
এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এই আয়াতে, বীর্যনির্গত হওয়া কিংবা বীর্য তৈরি বা উতপাদন হওয়ার কোন কথা নেই। বরং বলা আছে Proceed, ডিকশনারী অনুযায়ী begin a course of action ।
অর্থাৎ কোরানে এই আয়াতে বীর্য প্রসেস কোথা থেকে শুরু বা Proceed হয় এটাই শুধু বলা হয়েছে।
এবার আসুন আমরা দেখি অন্ডকোষে কিভাবে বীর্য উৎপাদন এর কাজ শুরু হয়।
অন্ডকোষে( testis) বীর্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত রক্ত ও স্নায়ুর সংযোগ (Blood supply, Nerve supply)।
অন্ডকোষের রক্ত সন্চালন হয় Testicular Artery নামক রক্ত নালীকা দ্বারা যা লাম্বার lambar L2 লেভেল থেকে তৈরী হয় এবং যা মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থান।
ছবিটি দেখুন-
The picture showing origin of testicular artery from abdominal aorta at the level of L2

ঠিক একই ভাবে অন্ডকোষের স্নায়ুর সংযোগ ( Nerve supply) আসে Paraaortic ganglia থেকে যা অবস্থান করে মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থানে।
অর্থাৎ একথা পরিষ্কার যে অন্ডকোষে বীর্য তৈরির কাজ Proceed বা শুরু হয় এমন দুটি স্থান থেকে যাদের অবস্থান মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্যবর্তী একটি স্থানে। আর কোরান সেই কথাই বলেছে।
তাই এখানে সাইন্টিফিক ভুল নয় বরং আছে সাইন্টিফিক মিরাকল।
এবার অনেকে হয়ত প্রশ্ন করতে পারে কোরান কেন সরাসরি অন্ডকোষের কথা বলল না ? এমন কেন বলল না He is created from a gushing fluid, created from testicles ?
জবাব হচ্ছে যদি কোরান এমন বলতো, তবেই মুলত কোরান সাইন্টিফিকভাবে ভুল হত। কারন ৭০% বীর্য উতপন্ন হয় seminal vesicle থেকে, অন্ডকোষ থেকে নয়। অন্ডকোষে খুব স্বল্প পরিমানই বীর্য উতপন্ন হয়।
তাই যদি আল্লাহ বলতেন অন্ডকোষ থেকে বীর্য তৈরির কথা তবে সেটাও ভুল হত,
আবার যদি সেমিনাল ভেসিকেল থেকে তৈরির কথা বলতেন তাও ভুল হত কারন, সকল বীর্য সেখান থেকেও তৈরি হয় না। তাই কোরান সবথেকে পার্ফেক্ট ও উত্তম কথাটিই বলেছে।(ছবি দিতে পারলাম না মোবাইল থেকে কিভাবে দে জানা নেই)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.