নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বলতে চাই

বিদ্রোহী কণ্ঠ

বিদ্রোহী কণ্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে শহর কখনো ঘুমায় না

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫


লাস ভেগাসের নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আলো ঝলমলে দৃষ্টিনন্দন এক শহর। আমেরিকার দক্ষিণ মোহাভি মরুভূমিতে অবস্থিত লাস ভেগাস বিশ্বে গ্যাম্বলিং রাজধানী হিসেবে অধিক পরিচিত।

ভেগাস বলে পরিচিত শহরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর আমেরিকার ২৮ তম জনপ্রিয় নগর হিসেবে পরিচিত। আর জুয়াড়িদের কাছে পৃথিবীর স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। ১৯০৫ সালে ভেগাসের জন্ম হলেও নগরের মর্যাদা পায় ১৯১১ সালে। শহর থেকেই দেখা যায় দূরের পাহাড়শ্রেণী যার মধ্যে অনেক পাহাড়ই শীতকালে বরফে আচ্ছাদিত থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দু’হাজার ফুট উপরে অবস্থিত এই মরুশহরটির আয়তন প্রায় ৩৫২ বর্গকিলোমিটার।

প্রমোদ নগরী হিসাবে সারাবিশ্বে বিখ্যাত এই শহরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে আসা মিলিওনেয়ার বিলিয়নেয়ারদের জন্য লাস ভেগাস শহরে জুয়া খেলার ক্যাসিনো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র তথা সারা বিশ্বের বৃহত্তম ৫ তারকা ৭ তারকা হোটেলগুলোর অধিকাংশ অবস্থিত। মজার ব্যাপার হলো এই হোটেলগুলো নির্মিত হয়েছে বিভিন্ন থিমকে ঘিরে। যেমন কোনো হোটেল তৈরি হয়েছে মিশরের ফারাও রাজাদের কেন্দ্র করে তো কোনটি তৈরি হয়েছে প্যারিস শহরকে কেন্দ্র করে। কোনটি ট্রেজার আইল্যান্ড তো আবার কোনটি সম্রাট সিজার এর থিমে বানানো। আলাদিন, গ্রীস, আফ্রিকা, নিউ ইয়র্ক সহ আরো অনেক থিমের হোটেল আছে ভেগাসে।

হোটেলের নামগুলোও কিছুটা অদ্ভুত রকমের যেমন সিজার, বেলাজিও, প্যারিস, সার্কাস সার্কাস, নিউ ইয়র্ক, লুক্সর ইত্যাদি। শহরের যে সমস্ত রাস্তাজুড়ে নিশাচর মানুষগুলিকে জাগিয়ে রাখার ক্যাসিনোগুলো আর বিখ্যাত হোটেলগুলো ছড়িয়ে আছে সে জায়গাটুকু লাস ভেগাস স্ট্রিপ নাম পরিচিত।

প্রায় ফুটবল মাঠ আকৃতির জায়গা জুড়ে তৈরি করা একেকটি হোটেলে রয়েছে কৃত্রিম পাহাড়, গুহা, ঝর্না, সাজানো বাগান। হোটেল গুলোতে পর্যটকরা অবাধে বিচরণ করতে পারেন। এক একটি হোটেল এক এক ভাবে সাজানো।

রাত এলেই যেন এদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় লক্ষ কোটি গুনে। কোনো হোটেলের সামনে রয়েছে সুদৃশ ঝর্ণা আবার কোনোটির সামনে আলোর বন্যা। আবার কোনোটিতে সুদৃশ্য লেজার রশ্মির শো। প্রত্যেক বছর কয়েক লক্ষ পর্যটক লাস ভেগাস শহরের সৌন্দর্য অবলোকনের উদ্দেশে এই শহরে ভ্রমণ করেন।

লাস ভেগাস নিয়ে সব কথা এই ছোট্ট আর্টিকেলে বলা কখনোই সম্ভব নয়। এখানে লাস ভেগাসের হোটেলগুলো সম্বন্ধে ছোট্ট একটি ধারণা দিলাম মাত্র। ভবিষ্যতে লাস ভেগাসের নাইট লাইফ, সংস্কৃতি, ক্যাসিনো, অন্ধকার জগৎ সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে লিখার ইচ্ছা আছে।
সূত্র: রেয়ার বাংলা

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৭

জগতারন বলেছেন:
২০০৭ সালে গিয়াছিলাম লাসভেগাসে।
এ শহরকে বলা হয় পাপ-এর শহর।
আর যাওয়ার ইচ্ছা নেই।
জ্ঞাতব্য; আমি সেখানে গিয়া জুয়া খেলি নি।
শুধু গিয়াছলাম আধুনিক জমানার সভ্য (!) মানুষগন ভোগ বিলাসে কি কি পরিমান বেহাল্লা তা করে দেখতে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন: অনেক ভাবে পারিচিত দেখছি এ শহর ! জানলাম ..........

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

শামচুল হক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: লাস ভেগাস আসলেই চমৎকার একটি জায়গা। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ এখনও দাদীর হারিকেনের আলোয় জড়সড় হয়ে বসে ভূতের গল্প শুনে পুর্ণের কাজ করছে এবং সবসময় বংশ বিস্তার ও বীচ বোনার ধান্দায় ব্যাস্ত আছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১৬

রাকু হাসান বলেছেন: সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

বিদ্রোহী কণ্ঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.