![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ক্লাসে একটা ছাত্র ছিল; মেধাবী। পরীক্ষায় আমার পাশেই তার সীট পড়ত। আমার কাছে হেল্প চাইলে হেল্প করতাম, সেও আমাকে পারলে হেল্প করত। ছ' মাসিক, ন' মাসিক কিংবা বার্ষিক সব পরীক্ষায় তাকে হেল্প করতাম। ফলাফলে দেখা যেত ছ' মাসিক পরীক্ষায় আর ন' মাসিক পরীক্ষায় সে আমার পিছে পড়ে আছে। কিন্তু বার্ষিকের রেজাল্টে এসে ঘটে যেত তার উল্টা কাহিনী, আমার আগে চলে যেত সে। তাকে ফাইনালে অতিক্রম করা আমার দ্বারা কখনো সম্ভব হয়নাই। সে আগে তারপরে থাকতাম আমি। জিজ্ঞেস করলে হেসে বলত, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। কৌশলী হয়ে যা, তাহলে খালি আমাকে না সবাইকে ডিংগাতে পারবি।
যখন আমি দাবা খেলা শিখেছি তখন আমার চেস পার্টনার কেউ ছিলনা। বাহিরে বন্ধুদের সাথে খেলতাম। বাড়ীতে আমার সাথে খেলার মত কেউ ছিলনা। পরে ছোট ভাইটারে দাবা খেলাটা শিখাইলাম। শিখাইয়া আমি গেলাম ফাইসা! এখন আর তার সাথে পারিনা। খুব চিন্তা করে করে সে চাল দেয়। আমিও খুব চিন্তা করে চাল দিতাম, কিন্তু কাজ হইতো না। শেষমেষ আমাকে হেরেই যেতে হইতো।
বড় বাজারের সোহেল মেকানিকের কাছে মেকানিক গিরির কাজ শিখত তার চেয়ে এগার বছরের ছোট এলাকার এক ছেলে। নাম সাহেদ। চার মাস ধরে কাজ শিখে পাঁচ মাসের মাথায় টাকা বিনিয়োগ করে সেও একটা দোকান খুলে দিল। এযুগের ছেলে, টেক হ্যাক সহজে বুঝে। কিছুদিনের মধ্যে তার ব্যবসার উন্নতি শুরু। এখন মাঝে মাঝে তার আগের বসে (Boss) ফোন করে নতুন সমস্যার সমাধান নিয়ে নেয়, নাহয় সোহেল নিজে গিয়ে সল্ভ করে দিয়ে আসে।
সবুজা নামের এক মেয়ে কনিকা নাকি মনিকা ঘোষ নামের এক হিন্দু মহিলার কাছে গান শিখত। তারা নিজেরা নিজেদের তৈরি গানে সুর দিয়ে থাকত। বরাবরই গুরুরানী ('গুরু'র স্ত্রীলিংগ কি ভুলে গেছি) সবুজার সুরগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনত। অনেক সময় নিজের গানে সবুজাকে সুর দিয়ে দিতে বলত।
এরকম আরো অনেক কাহিনী আছে, লিখতে গেলে লিষ্ট ইয়া বড় লম্বা হয়ে যাবে। এগুলাকে আমি বুক ফুলানো সৃজনশীলতা বলে থাকি। জ্ঞান, বুদ্ধি আর কৌশল দিয়ে এরকমভাবে সফল হওয়া সম্ভব। সৃজনশীলতা বিষয়টা আসলেই বেশ সৃজনশীলের। কোন একটা বইতে পড়েছিলাম, একজন পিছনের বেঞ্চের ছাত্রও অল্প পড়ে খুব ভালো রেজাল্ট করতে পারে যদি সে সৃজনশীলতার অধিকারী হয়। বুক ফুলানো এজন্য বললাম, ছোট ভাইটার কাছে আমি হেরে গেলেও পরোক্ষভাবে কিন্তু আমি জিতে যাচ্ছি। ওই পোলাটা যখন পুরষ্কার আনতে যায় তখন বলি, অর্ধেক কিন্তু আমার। তখন কিন্তু বুকটা ঠিকই ফুলে উঠে। এধরনের পরাজয়ের বিষয়গুলোতে সাময়িক খারাপ লাগলেও পরে কিন্তু খুব ভালই লাগে।
এক ধরনের সামাজিক সৌন্দর্য্য এগুলা।
খুব কিউট টাইপের, আংগুলের স্পর্শে লাল হয়ে যাবার মত একদম।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১
মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ঠিক ঠিক।