নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তহীন চিন্তা

নাতিশীতোষ্ণ

আমি সাধারন একজন .. অসাধারন ভাল কিছু কাজ করতে চাই সবার জন্য...

নাতিশীতোষ্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা বিনাকষ্টে আল্লাহর ডাইরেক্ট হেদায়াতের আশায় বসে আছো

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

একবার এক তরুন, এক আলেমের কাছে গিয়ে দোয়া চাচ্ছে, “হুজুর, আপনি আমার জন্য একটু দোয়া করেন, আল্লাহ্ যেন আমাকে একটা সন্তান দান করেন। সেই তরুন আবার কিছুদিন আগেই কুরআনের একটা আয়াত পড়েছে, সুরা শুরার ৪৯-৫০ ন্ং আয়াত।



“তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।“



কাজেই সন্তান তো আল্লাহই দিবেন, এই আশায় সে বারবার আলেমের কাছে দোয়া চেয়ে যাচ্ছে। এভাবে ৪/৫ বছর ধরে ক্রমাগতভাবে এই তরুন সেই আলেমের কাছে দোয়া চেয়েই যাচ্ছে, কিন্তু সন্তান আর হয় না।



একদিন আলেমের সন্দেহ হলো, সেই তরুনকে কাছে ডেকে বললো, আচ্ছা বাবা, তুমি বিয়ে করেছ তো?? তরুনটি মাথা চুলকে বললো, না হুজুর, বিয়ে তো করা হয়নি। আলেম সবিস্ময়ে বললেন, ওরে, বেকুউব, তুমি বিয়েটাই করো নি?? বিয়ে না করেই আল্লাহ্ তোমাকে সন্তান দিবেন?? কুরআনে আল্লাহ্ সন্তান দিবেন তো বলেছেন, তার মানে কি এই, আল্লাহপাক আসমান থেকে সন্তান নাজিল করবে তোমার জন্য ??



ঠিক একইভাবে, আল্লাহ্ আমাদের রিজিকদাতা। কিন্তু সেই রিজিক আমরা শ্রমের মাধ্যমে পাওয়ার চেষ্টা না করলে কখনোই এমনি এমনি আমাদের প্লেটে খাবার চলে আসবে না। আল্লাহপাক বলেন,”আমি মানুষকে শ্রম নির্ভর করেই সৃষ্টি করেছি” (সুরা বালাদ)



আমার কাছের কিছু মানুষকে আমি যখন জিজ্ঞাসা করি, আচ্ছা, তুমি তো মুসলিম, সবই তো জানো মাশা'আল্লাহ কিন্তু ফরয নামাজ, পর্দা বা অন্যান্য ইসলামিক আমলগুলো এখনো পালন করছো না কেন??



তারা তখন একটা কমন উত্তর দেয় ; বলে, যেহেতু আল্লাহই হেদায়াতের মালিক, যেদিন তিনি হেদায়াত দিবেন, সেদিন থেকে তারা পাক্কা মুসলিম হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। পাক্কা নামাজী হবে, পাক্কা হিজাবী হবে, জীবনের মোড়টাই হয়তো সেদিন ঘুরে যাবে। তাই তারা আপাতত নিজে থেকে কোন ভাল ইসলামিক বই পড়তে/ভিডিও দেখতে, ভাল আলেমদের সাথে মিশতে খুব একটা চেষ্টা করছে না। বসে আছে সেই আসমানের হেদায়াতের অপেক্ষায়। তারপরেই তো ফাটায় দিবে সব। আল্লাহু আকবার। হেদায়াতের জন্য ন্যূনতম চেষ্টাটা না করেই হেদায়াত আশা করছে এই হতভাগার দল। উপরের সেই তরুনটির মূর্খতার সাথে এই মানুষগুলোর মূর্খতার কি অপূর্ব মিল আমি খুঁজে পাই !!



--- আল্লাহপাক সবাইকে যেন এইসব শয়তানের কুবুদ্ধি থেকে বের হয়ে এসে, কষ্ট করে আল্লাহর হেদায়াত পাওয়ার চেষ্টায় আমাদের জীবন উজাড় করার তৌফিক দান করেন, আমীন।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:




কর্ম ছাড়া প্রার্থনা কবুল হয়না।




২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
জাযাকাল্লহু খয়রান!

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: বারাকাল্লাহু ফিক ভাই। আল্লাহপাক আমাদের তৌফিক দিন ।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন কসমিক ভাই ।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: সময় উপযোগী,দারুন লেখা...

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

মদন বলেছেন: +

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ আর তারা বলেছেন: ++++++++++++++

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়ের @নীল আকাশ আর তারা, মো আবু সাঈদ ও মদন ভাই ।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: বারাকাল্লাহ ফীক, ভাই ।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:

"মানব জীবনে শ্রমের ব্যতিরেকে কিছুই নাই"

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: কথা ১০০% সত্য ।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

বিলাসী বলেছেন: লেখাটি অবশ্যই ভাবনার খোরাক যোগাবে তাদের যাদের আশা মহান আল্লাহ তাদের হেদায়াত করলেই তারা ইবাদাত শুরু করবে। এটা ঐ সমস্ত বোকাদের ভাবনা যাদের মৃত্যু অবধি এই চিন্তার শেষ হয় না, যার ফলশ্রুতিতে তারা কোনো সুযোগই পায় না ইবাদতের। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সময় থাকতে বুঝার সুযোগ দিন। আমিন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: সময় নামক যে বাহনে চড়ে আমরা দ্রুত মৃত্যুর দিকে ধেয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে এইসব বোকার দল মোটেই চিন্তিত নয়। কারন, তারা ধরেই নিয়েছে, আরো মেলা বছর হায়াত আছে শোধরানোর। আল্লাহ দ্রুত আমাদের অবুঝ ভাই-বোনদের বুঝ দান করুন । আমীন ।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: সমস্ত ঈশ্বর মানুষের কল্পনাতেই সৃষ্টি। আমাদের এক কবি যেমন সহজ ভাষায় লিখেছিলেন
"মানুষই দেবতা গড়ে
তাহারই কৃপার পরে করে দেব মহিমা নির্ভর"।
জগতের সমস্ত কিছু মানুষের ব্যাখ্যা লব্ধ হয়ে ওঠেনি। এই ব্যাখ্যার অসম্পূর্ণতা থেকেই দৈবি মহিমার জন্ম।
যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তারা কি আজকের দিনে নিজের বা পরম আত্মীয়ের কোনও সাধারণ অসুখে, ধরা যাক জ্বরে বা সর্দিতে আল্লাহ বা গড বা ব্রহ্মকে ডেকে বলবেন, আমার সর্দি জ্বর সারিয়ে দাও? সম্ভবত না। একটা ট্যাবলেট কিনে খাবেন। কিন্তু সেরিব্রাল অ্যাটাকে আত্মীয় বন্ধু অচৈতন্য হয়ে থাকলে, কোমায় চলে গেলে? ওপেন হার্ট অপারেশনের আগে? বিশ্বাসী হলে নিশ্চয় আল্লা গড ভগবানের কথা মনে পড়বে। কারণ সুস্থতা সেখানে তুলনায় কম অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিতি ব্যাখ্যার বাইরের ধূসর জমিতেই ঈশ্বরের জন্ম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: সৌভিক ঘোষাল, আপনার কাব্যিক ভঙ্গিমায় ঈশ্বরের যে ব্যখ্যা আপনি দিলেন, তা আমাদের ধর্মের শিক্ষা নয়। কারন, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহপাক তার প্রেরিত আসমানী কিতাব, আলকুরআনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সুরা বাকারায়--

"এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে"।

অর্থাৎ, না দেখেই আমরা মুসলিমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করে নিব, এটাই আল্লাহ চান, এটাই তাঁর পরীক্ষা। একই সাথে আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের অসংখ্য নিদর্শন আমাদের এই বিশ্বাস আরো মজবুত করে তোলে। কারন ১৪০০ বছর আগের নাজিলকৃত আল-কুরআনের কোন কথাই পৃথিবীবাসী এখনো ভুল প্রমানিত করতে পারেনি, এমনকি এই আধুনিক বিজ্ঞানও কুরআনের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি আল্লাহকে ব্যাখ্যা করার সাথে সম্পর্কিত নয়, এর ভিত্তি হলো মূলত বিশ্বাস, যার অবশ্যই কিছু গ্রহনযোগ্য কারন আছে, যারা সত্য-সন্ধানী, তাদের জন্য, নাহলে বর্তমান পৃথিবীতে কখনোই ইসলাম সবচেয়ে দ্রূত বর্ধনশীল ধর্মের নাম হতো না।

আমরা মুসলিমরা সবরকম অসুখ-বিসুখ, বিপদ-আপদে একই সাথে আল্লাহর কাছে বিপদমুক্তির জন্য দোয়া করি, সেই সাথে চেষ্টাও করি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদমুক্তির । আর, সুখে থাকলে আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করি। কাজেই আপনার কমেন্টের জ্বর-সর্দি আর সেরিব্রাল অ্যাটাকের উদাহরনটা মোটেই ঠিক নয়।

হেদায়াত মানে সত্যের পথে আত্নার মুক্তি। আপনি নিজের বিবেককে একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন তো, সত্যের খোজে আত্নার মুক্তির জন্য আপনি জীবনে কতটুকু চেষ্টায় আছেন??? ছোট্ট একটা উদাহরন, অন্যায়ভাবে হিটলার ৬০ লক্ষ মানুষ মেরেছিল, এর কোন শাস্তি হবে না ভাবলে আপনার আত্না শান্তি পায় নাকি হিটলারের মত পাপ করে বেচে যাওয়া পৃথিবীর সব অপরাধীর আসল শাস্তি মরনের পরে শুরু হবে, এটা ভাবলে আত্না শান্তি পায়? আমাদের স্রষ্টা, আল্লাহ বলেন, সবারই বিচার হবে, যার যা প্রাপ্য, পাই পাই করে বুঝায় দেয়া হবে। স্রষ্টার অস্তিত্ব বুঝতে খুব বেশি কি ভাবতে হয় আসলেই ????

আল্লাহপাক সবাইকে হেদায়াত দিন ।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

দিশার বলেছেন: সবি তো দেখি আমার করতে হবে, আল্লাহ কি করবে ? দরকার কি উনার? আমি রিক্সাচালাব, আমি বাজার করব, আমার বউ রান্না করবে . আমি খাব, আল্লাহ কি করতেসে? চেয়ে চেয়ে দেখতেসে? দিনে ৫ বার পশ্চিম দিক ফিরি নাকি?

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

অপরাজিত একজন বলেছেন: আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন যে নিজে নিজেকে সাহায্য করে। আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টিকে হেদায়ত দান করুন। আমীন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১

নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই, আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.