নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তহীন চিন্তা

নাতিশীতোষ্ণ

আমি সাধারন একজন .. অসাধারন ভাল কিছু কাজ করতে চাই সবার জন্য...

নাতিশীতোষ্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

••• পতাকার বিশ্বরেকর্ড ও আমার অভিব্যক্তি •••

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

কোন বিষয়ে কতটুকু গভীরভাবে আমরা চিন্তা করছি, তার উপরে আমাদের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করে। জাতীয় পতাকার বিশ্ব রেকর্ডে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশিই তো নাই, বরং যথেষ্ট বিরক্ত। কেন ???



সাধারন যুক্তি, একজন মানুষ হিসেবে --



দেশের মানুষের ন্যূনতম জীবনের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ যেই সরকার, ক্ষমতার একটুও লোভ নাই বলে আবার বেশরমের মত গদিতে সুপার গ্লুর মত আটকে থাকে যে সরকার, যে দেশে এখনো মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে রূগীদের আহাজারিতে ভারি কেবিনের বাতাস, যেই দেশে ক্ষমতার দ্বন্দে, হরতাল আর অবরোধের কারনে গরীব মানুষগুলোর রুজি-রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ, এমন কোন দিন নাই সম্প্রতি, যে মানুষ মরছে না, এমনকি বিজয় দিবসেও, যারা আমারদেরই কারো ভাই-বোন, সেই দেশ স্বাধীন নাকি পরাধীন, তাই বুঝতে আমার কষ্ট হয়, শুধু আমার না, অনেকেরই। সেই দেশে থেকে আমি কিছুতেই পারছিনা পতাকার এই লোক দেখানো গর্বে গর্বিত হতে, আমি দুঃখিত।



মূল যুক্তি, মুসলিম হিসেবে --



আমার প্রথম পরিচয়, আমি একজন মুসলিম, তারপর অন্য কিছু। ইসলাম আমার জন্য একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।



ইসলামে “আসাবিয়্যা” হারাম। আসাবিয়্যা হচ্ছে সংকীর্ণ গোষ্ঠীবাদ, জাতীয়তাবাদ। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন--



--“যারা আসাবিয়্যার প্রতি মানুষকে আহ্বান জানায় তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। যারা আসাবিয়্যা জন্যে লড়াই করে বা যুদ্ধ করে তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’’ (আবু দাউদ)



--"এটা (জাতীয়তাবাদ) ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই এটা পঁচে গেছে"। (বুখারী,মুসলিম)



যে প্রতীক আসাবিয়্যার দিকে ডাকে, যে প্রতীক আসাবিয়্যার ধারক বাহক, তাও সুস্পষ্ট হারাম। হোক সেটা বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা, হোক সেটা পাকিস্থানের সবুজের উপর চাঁদ তারার পতাকা বা সৌদি আরবের।



আমরা জাতীয় সঙ্গীতের মতই এই আসাবিয়্যার প্রতীক, জাতীয় পতাকার সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে সম্মান করি, স্যালুট করি। যার একমাত্র হক আল্লাহ সুবহানাহুয়া তায়ালার ।এসব কাজ ইসলামে শিরক বলে প্রমাণিত বিধায় হারাম ও পরিত্যাজ্য।



আসাবিয়্যা, এই চেতনা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য ভীষন ক্ষতিকর বলেই এটিকে হারাম করা হয়েছে। কারণ এই জাতিভেদের কারনে ক্রমেই মুসলিম সাম্রাজ্যের সীমানা সংকুচিত হয়ে আসে এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়, যা ইসলামে হারাম।



আমরা মুসলিমরা এক উম্মাত, আমাদের একটাই সংস্কৃতি, আমাদের একটাই জীবন ব্যবস্থা, আর সেটা হল ইসলাম। আর কিছু না, আর কোন কিছু না। আমার কোন হিন্দু বন্ধুর আমার উপর যতটুকু হক্ব বা অধিকার আছে, আমার উপর তার চেয়ে বেশি হক্ব আছে একজন পাকিস্তানি বা মায়ানমারের মুসলিমের। এই কথাটা এদেশের খুব কম সংখ্যক মুসলিমই মেনে নিতে পারেন, অথচ এইটাই ইসলামের শিক্ষা। এর অজ্ঞতার মূলে আছে আসাবিয়্যাহ তথা জাতীয়তাবাদ।



কাজেই, আসাবিয়্যার প্রতীক, এই পতাকা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। মুসলিম হতে গিয়ে যদি এখানে আমার বাঙ্গালিপনা ছুটে যায়, তো যাক। জান্নাত না ছুটলেই হলো, সেদিকে আমার মাথাব্যথা বেশি ।



*** এই লেখার সাথে দ্বিমত থাকলে কোরআন আর হাদিস এনে দ্বিমত করবেন। কোন ভুল থাকলে কোরআন আর হাদিস দিয়ে ভুল ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো। এ বিষয়ে পূর্বে পড়াশোনা না থাকলে কমেন্টে "না আসলে আমি মনে করি"/ "না আসলে ইসলাম এমন না"/ "ইসলামে এমন কিছু নেই" এমন টাইপ কথা বলে সমালোচনা না করার অনুরোধ করছি।



-- আর আল্লাহই সবথেকে ভালো জানেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: '৭১ এর জেনারেশন যুদ্ধ করেছেন; এখনকার 'চিকেন' জেনারেশন পতাকা তুলে গান গায়, আকাশের ঠিকানায় চিঠি িলখে, দেশ ভরে গেছে ইডিয়টে।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৮

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: অ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.