![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৃশ্যপট ১ঃ
.
মেয়ে - হ্যালো, শুনছো ?
ছেলে- হ্যা, হ্যা, বলো ।
মেয়ে- শোনো। সবাই বলছে- ভ্যালেন্টাইনস ডে-টে, এসব পালন নাকি ঠিক না, এসব পশ্চিমা কালচার, অনেক গুনাহের কাজ।
ছেলে- তো? কাল তো ভ্যালেন্টাইনস ডে, দেখা করবা না??
মেয়ে- না না। কাল বেটার আমরা মিট না করি। কালকের দিনটা কোনোভাবে যাক, পরশু আমরা সারাদিন চুটিয়ে ঘুরে বেড়াব, আড্ডা দিব, ঠিক আছে??
ছেলে- এটা কোন কথা হলো? হঠাৎ এখন... আচ্ছা, ঠিক আছে। পরশুই তাহলে, তোমার কথাই থাক। হাজার হলেও গুনাহর কথা যেহেতু বলছো... পরশু কিন্তু তাহলে বেশি সময় দিতে হবে , এই বলে রাখলাম।
মেয়ে- ওকে ডিয়ার। ডান।
.
.
দৃশ্যপট ২ঃ
.
মেয়ে - হ্যালো, শুনছো ?
ছেলে- হ্যা, হ্যা, বলো ।
মেয়ে- শোনো। সবাই বলছে- ভ্যালেন্টাইনস ডে-টে, এসব পালন নাকি ঠিক না, এসব পশ্চিমা কালচার, অনেক গুনাহের কাজ।
ছেলে- ও, এই কথা। বাদ দাও তো এসব...
মেয়ে- শোনো। কথা শেষ হয় নি। আমি আরো কিছু জেনেছি, যেগুলো তোমার শুনতে হয়তো ভাল নাও লাগতে পারে।
ছেলে- কি জেনেছ?
মেয়ে- দেখো, আমরা একসময় বিয়ে করবো, এই তো আমাদের প্ল্যান, তাই না? কিন্তু তাই বলে বিয়ের আগেই তোমার সাথে আমার এভাবে মেলামেশার কোন সুযোগই কিন্তু ইসলামে নেই।
.
ছেলে- (আকাশ থেকে পড়ে) কি বলছো এসব?
মেয়ে- কথা শেষ হয়নি আমার। আরো আছে। আমাদের এই সম্পর্কের ফলাফল কিন্তু খুবই খারাপ। আমাদের দুইজনেরই আমলনামায় রোজ রোজ অনেক অনেক পাপ লেখা হচ্ছে। কাল কেয়ামতের দিনে আমাদের মতো সীমালংঘনকারীদের জন্যে ভয়ংকর সব শাস্তির ব্যবস্থা আল্লাহপাক করে রেখেছেন, যদি না তওবা না করে ফিরে আসি এখুনি।
ছেলে- অ্যা...???
মেয়ে- অ্যা না, হ্যা। শুধু তাই না, এসব পাপের ভাগ আমার পরিবারকেও পেতে হবে। মেয়ে হিসেবে আমি এসব গুনাহ করলে আল্লাহপাক কালকে দায়ুস হিসেবে আমার বাবার জন্যে জান্নাত হারাম করে দিবে। আমি মেয়ে হিসেবে কখনোই আমার বাবার জাহান্নামের আগুনের কারণ হতে চাই না।
ছেলে- (দীর্ঘশ্বাস...)
.
মেয়ে- শোনো, তুমি যদি সত্যি আমার ভাল চাও, তাহলে আজ থেকে আমার সাথে আর যোগাযোগ করো না। বেশি বেশি সিজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাও, তওবা করো, এতদিনের ভুলের জন্যে। আমিও করবো, ইনশা'আল্লাহ। আর সময় হলে তোমার বাবা-মাকে দিয়ে বাসায় প্রস্তাব পাঠিয়ো। আমি অপেক্ষা করবো তোমার জন্যে।
ছেলে- (বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে) তুমি আসলে ঠিকই বলেছ। মানতে যদিও অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু, তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করে নিজেকে সংযত করতে পারো, আমি কেন পারবো না? আমিও ঠিক পারবো, ইনশা'আল্লাহ। ঠিক আছে, আজকের পর থেকে আমাদের কন্টাক্ট তাহলে পুরোপুরি বন্ধ। আমিও অপেক্ষা করবো তোমাকে হালালভাবে কাছে পাওয়ার সেই দিন পর্যন্ত। ভাল থেকো।
.
.
ভ্যালেন্টাইনস ডে এর বিভিন্ন দুনিয়াবি ও আখিরাতের চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে অনেক লেখালেখিই তো হচ্ছে অনলাইনে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, শয়তানের কু-চক্রান্তের ফাঁদের পড়ে এখনো যেসব ভাই-বোন বিবাহ-বহির্ভুত অবৈধ মেলামেশা করে যাচ্ছে্ন, তাদের জীবনের ঘটনাটা যেন দৃশ্যপট ১ এর মতো না হয়ে দৃশ্যপট ২ এর মতো হয়। বিশ্বাস করুন, আপনাদের শুধু চাইতে হবে মন থেকে, এসব কাবীরা গুনাহ থেকে প্রাণপণে বেড়িয়ে আসার জন্যে। আপনি আল্লাহর কাছে চলে আসার নিয়্যাত করলেই আল্লাহপাক আপনার দিকে ছুটে আসবেন তাঁর বিশাল রহমতের ভান্ডার নিয়ে, ইনশা'আল্লাহ। আল্লাহকে ভয় করে কোন কাজ করলে আল্লাহই তার জন্যে সহজ করে দিবেন সবকিছু, ইনশা'আল্লাহ । সিদ্ধান্ত নিন, ফিরে আসুন। আল্লাহপাক অধীরভাবে অপেক্ষা করছেন আপনার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে।
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
রাজীব বলেছেন: ছেলে এবং মেয়ে যদি সাবালক হয় তাহলে বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেন??
ইসলাম কি অপেক্ষা করে বেশী বয়সে বিয়ে করতে বলেছে নাকি বিয়েকে সহজ করেছে?
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯
নাতিশীতোষ্ণ বলেছেন: @ভাই রাজীব--- "সময় হলে" বাসায় প্রস্তাব পাঠিয়ো"- কথাটি দ্বারা বিয়ের যাবতীয় নূনতম শর্তাবলী যেমন- স্ত্রী ভরন-পোষনের যোগ্যতা থাকা এসবকে বোঝানো হয়েছে। দ্বীন ইসলাম অবশ্যই বিয়েকে সহজ করেছে। আল্লাহ সহজ করুন সবার জন্যে।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০
শেষ বেলা বলেছেন: শিক্ষানীয় পোষ্ট ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
রাজীব বলেছেন: স্ত্রী ভরন-পোষনের যোগ্যতা মানে কি??
নিজে চাকুরী-ব্যবসা করে যোগ্যতা নাকি বাপ-দাদার টাকায় যোগ্যতা।
আমাদের দেশে ছেলেরা বাপের টাকায় দামি গাড়ি কিনতে পারে, লাখ টাকার মোবাইল কিনতে পারে অথচ ইনকাম নেই বলে বিয়ে করতে পারে না। এটিকে কি বলবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬
মিসবাহ মনজুর বলেছেন: বাহ! চমৎকার।