নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার ব্লগারের ভীড়ে আমি এক নগন্য ব্লগার।আমি ভালোবাসি কিছু লিখতে তাই বলে আমি লেখক নই।যখন যা দেখি,যা মনে দাগ কাটে তাই লেখার চেস্টা করি।

Subdeb ghosh

আমি খুব কল্পনাবিলাসী। কল্পনা নামের আলাদা একটা পৃথিবী আছে আমার। আমার এ পৃথিবীটা বাস্তবের পৃথিবী থেকে আলাদা। এখানে আমি যা খুশি কল্পনা করি। বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই। কোন কষ্ট নেই, দুঃখ নেই এখানে। বই আর গান এ দুইটা আমার বন্ধু। বই আমার একাকীত্বের সাথী আর গান আমার সুখ দুঃখের সাথী। কোন কথা কে কি বলল??? তার চেয়েও কিভাবে বলল সেটাকেই বেশী গুরুত্ব দিই। সবচেয়ে বেশী কষ্ট হয় যখন কেউ ভুল বোঝে। সবকিছুতেই ভালোটা খোঁজার চেষ্টা করি। প্রিয় ফুল কৃষ্ণচূড়া। প্রিয় সময় গোধূলিবেলা। প্রিয় ঋতু বসন্ত।

Subdeb ghosh › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্নভাবনা

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৯

হঠাৎ অনুভূত হলো, আসলে আমরা কিসের ঘোরে আছি??? নিজেই বুঝতে পারছি না আমরা কেনো এতো অহংকার করছি। কিসের বড়াই আর কিসের ক্ষমতা???
সবই মূল্যহীন।
একদম অনর্থক।
আচ্ছা চলুন কিছুক্ষন সময়ের জন্য সবকিছু ভুলে যাই আর একটা ব্যাপার কল্পনা করি যে,
আমরা যদি মারা যাই,অনেক বছর পর কি পৃথিবীর কোন মানুষ আমাদের মনে রাখবে আদৌ???
আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে বড়জোর আপনার নাতি আপনার নাম দাদা হিসাবে মনে রাখবে। তার পরের প্রজন্ম মনে রাখবে কি???
আপনি কি আপনার দাদার দাদার নাম বলতে পারেন???আমি শুধু আমার দাদার বাবার নামই বলতে পারি।
তার আগের কোন পূর্বপুরুষের নাম আমার অজানা।
হয়তো দরকার হয়ে ওঠেনি। একদম অল্প মানুষ আছে,
যারা তাদের পূর্বপুরুষদের নাম জানে। আর পৃথিবীর বাকি মানুষজন???
কি অসহার আমরা সময়ের কাছে বুঝতে পারছেন???আমরা কি জানি আমরা কেনো বেচে আছি???
আসলে আমরা জানার দরকার মনে করি না।
খাচ্ছি, দাচ্ছি।ঘুমিয়ে সময় পার করছি।
সবাই বিলীন হয়ে যাবে সময়ের স্রোতে।
আপনি আমিও চলে যাবো,
মৃত্যুর পর পৃথিবীর কিচ্ছু হবে না।
সে তার আপন গতিতে চলতে থাকবে পর্যন্ত।
কত মানুষ আসবে যাবে।
কেউ কারো কথা মনে রাখবে না।
আপনার মতো হাজারো যোদ্বা জীবন সংগ্রাম চালিয়ে
যাচ্ছে পৃথিবী ব্যাপী।
আপনি শুধু আপনার পরিবারের অথবা একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠির কাছেই মনে থাকবেন।
একেবারে অল্পকিছু লোক মানুষের মুখে থাকবে হয়তো সাড়াজীবন।
কিন্তু সেই রকম মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েক জন।
মূল কথায় আসি, আপনি হয়তো জীবনে খুব বেশি টাকা কামাতে পারেন নাই। সকাল নয়টায় অফিস করেন আর বিকাল ৫ টায় অফিস থেকে বাসায় আসেন। মাস শেষে বিশ ত্রিশ হাজার টাকা বেতন পান
যা দিয়ে আপনার সংসার চলছে। কিন্তু আপনি অসুখী ভাবছেন। কেনো আপনার আলিশান বাড়ি নেই, কোটি টাকার গাড়ি নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, আপনি টেনেটুনে সংসার চালিয়েও ৬০ বছর বাঁচবেন, আর কোটিপতিরা কোটি কোটি টাকা কামিয়েও ৬০ বছর বাঁচবে। (আমি গড় আয়ু ৬০ বছর ধরে হিসাব করছি)।
আপনি মারা যাওয়ার পর পরিবারের মানুষ যতটা কাঁদবে,
সে মারা যাওয়ার পর হয়তো ততটা কাঁদবে না।
নিশ্চই বিশ্বাস করেন যে,
অতি বড়লোকদের আবেগ তুলনামূলক কম থাকে।
ব্যাস, মাত্র ২০ বছর পর তাকেও তার পরিবারের সবাই ‍ভুলে যাবে আর আপনাকেও।
তাহলে কিসের হতাশা???আপনি জানেন কি যে,
আপনার সকল চাহিদা আপনি মিটিয়ে ফেলতে পারলে আপনার কাছে জীবনটা একেবারে অর্থহীন মনে হবে???
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এইটাই সত্যি।এইটাই বাস্তব।
তাহলে এইবার কি করতে হবে??? যা কিছু আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আত্ন সন্তুষ্টি থেকে বড় কোন উপায় নাই নিজেকে সুখি করার। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যা দিয়েছেন তা তিনি সবকিছু জেনে শুনে বুঝেই দিয়েছেন।
তাকে উপভোগ করার চেষ্ঠা করুন।
মিথ্যে অহংকার করা বোকাদের কাজ।
কেনো বোকা হয়ে বাচবেন????
ভালো কাজ করুন।
অহংকার, দেমাগ ‍মুছে ফেলুন। ধরে নেন, আমরা সবাই পৃথিবীতে অতিথি।
সময় অতিক্রম করতে এসেছি। মনের কাছে সৎ থেকে উপভোগ করুন,
সৃস্টিকর্তা আপনাকে
যা দিয়েছে তাই নিয়ে
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৬

আর. হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাই কিছুক্ষণের জন্যে হলেও চিন্তা করলাম।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫২

Subdeb ghosh বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখকের জন্য ভালোবাসা । চেষ্টা করবো

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৪

Subdeb ghosh বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন,

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ফ্লাইট ট্রেকার বলছে, এই মূহুর্তে পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের উপরে মাত্র ৪৮০০ টি ফ্লাইট চলছে, যার বেশিরভাগ কার্গো এবং সামরিক প্লেন। যেখানে নরমাল সময়ে এই সময়ে ফ্লাইটের সংখ্যা হয় ১৩০০০ প্লাস।

লক্ষনীয়, আমাদের দেশে সব ফ্লাইট বন্ধ, শুধু চট্টগ্রাম থেকে একটি ফ্লাইট কোথাও যাচ্ছে৷

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৪

Subdeb ghosh বলেছেন: ?????

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০০

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: চমতকার -অসাধারণ - সাধারণত আমরা দাদার নাম জানি - দাদার বাবার নাম জানা মানুষের সংখ্যা খুব কম (যদিও আমরা জানি)- মানুষকে অধিক সময় স্মরনিয় হয়ে থাকতে হলে নিজ সংসরের চেয়ে বাইরের মানূষের প্রতি আগ্রহি হতে হবে - নিজ পরিবারের লোকেরা বড়ো বেশি স্বার্থপর - সমাজের মানুষ অতোটা স্বার্থপর নয়- তাই নিজেকে যতো িবেশি সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে -০ সমাজের ও মানুষের উপকারে লাগানো যাবে, ততোই সে স্মরণিয় হয়ে থাকবে- ইতিহাস তাই বলে- মহাত্মা অশ্বিনি কুমার দত্ত সমাজের মানুষের জন্যে পরিবারের মানুষের চেয়ে বেশি করেছেন বলেই তিনি আজো বেচে আছেন- বেচে থাকবেন আরো হাজার বছর-

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

Subdeb ghosh বলেছেন: দাদা_ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.