![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে, জমির ধারে, স্কুলের চারপাশে, ঘরের খুলিতে (দুই ঘরের মাঝখানে) যেখানেই বড়সড় আর মাঝারি ধরনের গাছ, সেখানেই ডালে ডালে কলস বাঁধা। বাজারে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সবুজ হোসেন। তাঁকে থামিয়ে ঘটনাটি জিজ্ঞেস করলে হেসে বললেন, 'এসব আমাদের মামুন ও ইমন এর কাণ্ড। কলসি দিয়ে পাখিদের বাসা বানিয়ে দিয়েছে। সাংবাদিক এর পাশাপাশি ছেলেটা ঈ'মনকে নিয়ে এসবেই মেতে থাকে। ব্যবসায়ী নবী বললেন, 'প্রথম দিকে তাকে সবাই পাগল কতো। এখন মাইনসে পায়তো অকে মাথায় তুলে রাকে। চ্যাংড়াটার মন খুবে বড় !' এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে লক্ষ করা গেল, সবার মধ্যেই তাঁকে 'পাগল' বলার ভেতরেও এক ধরনের অহঙ্কার কাজ করছে।
একে ওকে জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা মামুনের বাড়ির ঠিকানা দিলেন। নাম শুনে বিশাল মানুষ মনে হলেও হালকা-পাতলা গড়নের মামুন দেখে বিশ্বাস করা শক্ত যে এতো বড় একটি কর্মযজ্ঞে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাড়ির সামনে বসে কথা হলো মামুনের সঙ্গে। এতো কাজ থাকতে পাখির জন্য বাসা বানানোর ইচ্ছে হলো কেন? প্রশ্ন করতেই তিনি জানান, কিছু দিন আগে মোটর বাইক নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে একটি আমগাছের পাশে কয়েকটি নিরাশ্রয় শালিকের বাচ্চা রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর মন কেমন করে ওঠে। মনে হয় 'আহারে ওরা ওদের মাকে হারিয়ে ফেলেছে, এই বাচ্চাগুলো এখন কোথায় যাবে'! পাখিগুলোকে অন্য একটি গাছের ডালে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে ঈ'মনের সাথে অনেক ভেবে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। সেই ভাবনা থেকে পরদিন বের হন কলসি কেনার জন্য। প্রথমে নিজের বাড়ির গাছে পাচটি কলস বাঁধেন। কিছু দিন যেতেই এসব কলসে আশ্রয় নেয় পাখি।মামুন আর ঈ'মন অবাক হয়ে দেখতে থাকেন পাখিদের ঘর-সংসার, বংশবৃদ্ধি। নিজেদের সাফল্যে মুগ্ধ হন দুইজন। কাজের ফাকে তিনি এসব কাজ করেন। মাটির তৈরি কলস কেনেন তিনি। প্রতিটি কলসের দাম ৫০ টাকা। বিভিন্ন জাতের গাছে ১০০টি শূন্য কলস লাগান। প্রতিটি কলস একটু বাঁকা করে বাঁধা হয়। বৃষ্টির পানি বেরুবার জন্য কলসের নিচে ফুটো করে দেওয়া হয়। খড়কুটো সংগ্রহ করে পাখিরা নিজেই কলসের ভেতর বাসা তৈরি করে।তাদের ১০০০০ হাজার কলসি বাধার টাগেট আছে বলে যানান। https://m.facebook.com/TheBirdSafetyHouse
©somewhere in net ltd.