নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃক্ষ সঙ্কটসহ অনুকূল আবহাওয়া আর মানুষের আন্তরিকতাবোধের অভাবে শ্যামল বাংলার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যখন কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে, ঠিক তখন পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মামুন বিশ্বাস ও

পাখির নিরাপদ বাড়ী

পাখির নিরাপদ বাড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাছে গাছে মাটির কলস মামুন-ইমন গড়ে তুলেছেন পাখির অভয়াশ্রম ।

২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮


সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের সর্ব উওরের গ্রাম আগনুকালী। ছোট এই গ্রামটিকে মাত্র সাড়ে ৩ মাসের প্রচেষ্টায় মামুন বিশ্বাস ও ইমন সরকার নামের দুই যুবক বন্য পাখির অভ্যয়াশ্রমে পরিণত করেছে। দিনরাতের অক্লান্ত পরিশ্রমে তাদের এই সাফল্যে গ্রামবাসীসহ আশপাশের লোকজন মুগ্ধ হয়েছে। ফলে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে গ্রামবাসী তাদের এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ পর্যন্ত এ গ্রামের ১০৫টি বৃক্ষে বিশেষ ভাবে তৈরি পাখির বাসযোগ্য ১০৫টি মাটির কলস বেঁধে দিয়ে বন্য পাখির বসবাস নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে এ গ্রামটি এখন পাখিদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় আশপাশের লিছিমপুর, রায়পাড়া, সিকদারপাড়া, মধ্যপাড়া, সাতবাড়ীয়া, ভেন্নাগাছি, লক্ষীপুরসহ ১০টি গ্রামকেও এর আওতায় এনে বৃক্ষে কলস সেট করার কাজ চলছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এই গ্রামগুলিও
বন্য পাখির অভ্যয়াশ্রমে পরিণত হবে। বাসযোগ্য বৃক্ষ নিধন, উপযুক্ত খ্যাদ্য সংকট, ক্ষেতে খামারে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক স্যার ও কিটনাশক ব্যবহার, প্রাকৃতিক দূযর্োগ, অপরিকল্পিত পাকা দালান কোঠা নির্মাণ ও শিকারীদের তান্ডবে এ অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির বন্য পাখির সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনক হারে হ্রাস পাওয়ায় এ দু'যুবক বিষয়টি দৃষ্টিগোচরে এনে নিজ উদ্যোগে বন্য পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী এ কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এ কাজে তারা বেশ সফলতাও অর্জন করেছে।
গত শুক্রবার সরেজমিন আগনুকালী গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে, জমির পাশে, বিভিন্ন বাসা-বাড়ির গাছের ডালে ডালে মাটির কলস বাঁধা হয়েছে। এ গ্রামের সবুজ, নবী, শাহীন, কামরুল জানান, প্রথম দিকে এদের সবাই পাগল বললেও এখন এ কাজে তারা উৎসাহ দিয়ে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া গ্রামের ছোট বড় সবাই এখন পাখি শিকার বাদ দিয়ে পাখির বাসযোগ্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করছে। ফলে সকলের সহযোগিতায় গ্রামটি এখন পাখিদের অভ্যশ্রমে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামুন বিশ্বাসের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইতিমধ্যেই তারা বন্য পাখি সংরক্ষণ, প্রজনন ও নিরাপদ বাসস্থান গড়ে তোলার লক্ষ্যে 'দি বার্ড সেফটি হাউজ' নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছে। এ সংগঠনের সদস্য ও কর্মী কামরুল, নবী, শাহীন, সবুজসহ অনেকই জানান, তারা এ কাজে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তারা বলেন, ইতিমধ্যেই দেশ থেকে ৪১ প্রজাতির দেশীয় পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখনই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা না হলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে তা হারিয়ে যাবে। তারা বলেন, সরকারী-বেসরকারী সংস্থার পৃষ্টপোষকতা পেলে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাকে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
সুত্রঃ দৈনিক করতোয়া প্রকাশিতhttp://www.karatoa.com.bd/details.php?pub_no=2013&menu_id=48&val=254644&view=archiev&arch_date=28-06-2015

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুড ইনিশিয়েটিভ, মামুন বিশ্বাস এবং ইমন সরকারকে স্যালুট এই মহতি উদ্যোগের জন্য।

পোস্টে ++++

২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

পাখির নিরাপদ বাড়ী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আরো আনন্দ পেতাম যদি আমাদের পেজটায় ঘুরে আসতেন ।https://www.facebook.com/TheBirdSafetyHouse

২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: পাখি বন্ধু মামুন বিশ্বাস এবং ইমন সরকারকে স্যালুট।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

বালক বন্ধু বলেছেন: খুব ভাল লাগল। তাদের কার্যক্রমে মানুষেরই সবচাইতে বেশী লাভ হবে।
তারা আরো বেশী কাজ করে যাক এই কামনা রইল!

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সুমন কর বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: ভালো কাজ করতে ভালো মন লাগে, আরেকবার প্রমাণিত হইল

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পাখির জন্য কলস না দিয়ে যদি বৃক্ষনিধন রোধ করা সম্ভব হয় তবে পাখি খোঁজার জন্য আর আমাদের চিড়িয়াখানা যেতে হবে না। গাছ গাছালি থাকলে পাখি নিজেই তাদের বাসা বানিয়ে ফেলতে পারবে- তবুও তাকে শুভেচ্ছা তাঁর ভিন্নধর্মী কাজের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.