নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সচল দেশের অচল রাজনীতি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬


আশুরার দিনে তাজিয়া মিছিলে ইসলামি জঙ্গীরা বোমা হামলা করবে-এ বিষয়টি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানতো। গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়। তারপরেও পুলিশ এই বোমা হামলা ঠেকাতে পারেনি ! তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে, বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত ? নাকি সরকারও চাইছে দেশে জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে উঠুক ? নাকি সরকারের দমন পীড়ন নীতির অংশ এই বোমা হামলা ? সরকার বলছে দেশে আইএসআইএস এর কোন ভিত্তি নাই। অন্যদিকে বোমা হামলার পরে আইএসআইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ! তাহলে প্রকৃত সত্য কি ? জঙ্গী তৎপরতা কি সরকারের মদদে, নাকি পুলিশের মদদে ? সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর নাকি সরকারকে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী করার অপকৌশল ?
একই রকম ঘটনার অবতারনা হয় ২০০৫ সালে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সারির একটি দৈনিক খবরের কাগজে দেশের ১৬৪ জন ইসলামি জঙ্গীর নাম ঠিকানা সহ সংবাদ পরিবেশিত হয়। সে সময় পুলিশ সেই সংবাদপত্র এবং সংবাদদাতাকে পাগল এবং মিথ্যা সংবাদ বলে আখ্যায়িত করে। অবশেষে একই বছরের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে ইসলামি জঙ্গীরা বোমা হামলা করলে পুলিশ তখন জঙ্গী খুজতে থাকে ! সে সময় সারাদেশে জঙ্গী সন্দেহে প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমান সহ কয়েকজনের ফাসি হয়। সারাদেশে দুইশত জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাকী জঙ্গীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা ঘুষ নিয়ে এবং তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী আর আমলাদের তদবিরে ছেড়ে দেয় পুলিশ !
আশুরার মিছিলে বোমা হামলার বিষয়ে সরকারের কি এখনো টনক নড়েনি ? সরকারের পুলিশ বাহিনী অথবা সরকার আসলে কি চায় বা কোন পথে বাংলাদেশকে ধাবিত করছে ?
ইসলামি জঙ্গীরা প্রায় ঘোষনা দিয়েই দেশে প্রকাশ্যে ব্লগার, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি হত্যা করেই চলছে। বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। তারপরেও সরকার বলছেন দেশে আইএসআইএস বা ইসলামি জঙ্গী সংগঠনের কোন অস্তিত্ব নেই ! অথচ এসব হত্যাকান্ডের পরে আইএসআইএস এবং ইসলামি জঙ্গী সংগঠনগুলো এসব হত্যার দায় স্বীকার করেছে। দেশে এমন নৈরাজ্যের দায় কে নিবে, পুলিশ নাকি সরকার ? নাকি পুলিশ বাহীনির কাছে সরকার জিম্মি ?
সরকারের দ্বি-মুখী আচরনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। ট্যাক্স এর নামে চলছে চাঁদাঁ বাজী, নিয়োগের নামে চলছে ঘুষ দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে চলছে লুটপাট। রাজনীতিবীদের পরিবর্তৈ দেশ শাসন করছে ব্যবসায়িরা। এতে করে রাজনীতি এখন ব্যবসার একটি অন্যতম আংশে পরিনত হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নামে আইন দিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। কোথাও কোন জবাবদিহী নাই।
স্বাধীনতা্র স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সাধারন মানুষ আওয়ামীলীগ কে ভোট দেয়। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মানুষ জামায়াত-বিএনপিকে বর্জন করে। অন্যদিকে স্বৈরাচার বলে খ্যাত জাতীয় পার্টিকে বর্জন করে সাধারন মানুষ।
বর্তমান সংসদের বিরোধী দল অতীব দুর্বল। যারা সরকারের ঈশারায় কথা বলে। সরকার শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে কাউকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না। বামপন্থী নেতাদের লোভ লালসা আর পদ দিয়ে ভুলিয়ে রেখেছে। সংসদ সদস্যরা অধিকাংশই ব্যবসায়ি। সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতা, কর্মী আর সমর্থকরা রাজনীতিকে ব্যবসা এবং উপার্জন করার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশের এক খন্ড স্বাধীন মানচিত্র রয়েছে। এদেশে আছে নির্মল আলো বাতাস। রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ। রয়েছে জনশক্তি। শুধু নেই মানুষের কোন মৌলিক অধিকার। সরকার তার প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। আমাদের এমন সচল দেশে অচল রাজনীতি ভর করেছে। দেশ আজ নিশ্চিত ভাবে অনিশ্চয়তার পথে চলছে।
আশুরার দিনে তাজিয়া মিছিলে ইসলামি জঙ্গীরা বোমা হামলা করবে-এ বিষয়টি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানতো। গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়। তারপরেও পুলিশ এই বোমা হামলা ঠেকাতে পারেনি ! তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে, বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত ? নাকি সরকারও চাইছে দেশে জঙ্গীদের আস্তানা গড়ে উঠুক ? নাকি সরকারের দমন পীড়ন নীতির অংশ এই বোমা হামলা ? সরকার বলছে দেশে আইএসআইএস এর কোন ভিত্তি নাই। অন্যদিকে বোমা হামলার পরে আইএসআইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ! তাহলে প্রকৃত সত্য কি ? জঙ্গী তৎপরতা কি সরকারের মদদে, নাকি পুলিশের মদদে ? সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর নাকি সরকারকে ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী করার অপকৌশল ?
একই রকম ঘটনার অবতারনা হয় ২০০৫ সালে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সারির একটি দৈনিক খবরের কাগজে দেশের ১৬৪ জন ইসলামি জঙ্গীর নাম ঠিকানা সহ সংবাদ পরিবেশিত হয়। সে সময় পুলিশ সেই সংবাদপত্র এবং সংবাদদাতাকে পাগল এবং মিথ্যা সংবাদ বলে আখ্যায়িত করে। অবশেষে একই বছরের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে ইসলামি জঙ্গীরা বোমা হামলা করলে পুলিশ তখন জঙ্গী খুজতে থাকে ! সে সময় সারাদেশে জঙ্গী সন্দেহে প্রায় ছয় হাজার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমান সহ কয়েকজনের ফাসি হয়। সারাদেশে দুইশত জনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাকী জঙ্গীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা ঘুষ নিয়ে এবং তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী আর আমলাদের তদবিরে ছেড়ে দেয় পুলিশ !
আশুরার মিছিলে বোমা হামলার বিষয়ে সরকারের কি এখনো টনক নড়েনি ? সরকারের পুলিশ বাহিনী অথবা সরকার আসলে কি চায় বা কোন পথে বাংলাদেশকে ধাবিত করছে ?
ইসলামি জঙ্গীরা প্রায় ঘোষনা দিয়েই দেশে প্রকাশ্যে ব্লগার, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি হত্যা করেই চলছে। বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। তারপরেও সরকার বলছেন দেশে আইএসআইএস বা ইসলামি জঙ্গী সংগঠনের কোন অস্তিত্ব নেই ! অথচ এসব হত্যাকান্ডের পরে আইএসআইএস এবং ইসলামি জঙ্গী সংগঠনগুলো এসব হত্যার দায় স্বীকার করেছে। দেশে এমন নৈরাজ্যের দায় কে নিবে, পুলিশ নাকি সরকার ? নাকি পুলিশ বাহীনির কাছে সরকার জিম্মি ?
সরকারের দ্বি-মুখী আচরনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। ট্যাক্স এর নামে চলছে চাঁদাঁ বাজী, নিয়োগের নামে চলছে ঘুষ দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে চলছে লুটপাট। রাজনীতিবীদের পরিবর্তৈ দেশ শাসন করছে ব্যবসায়িরা। এতে করে রাজনীতি এখন ব্যবসার একটি অন্যতম আংশে পরিনত হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নামে আইন দিয়ে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। কোথাও কোন জবাবদিহী নাই।
স্বাধীনতা্র স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সাধারন মানুষ আওয়ামীলীগ কে ভোট দেয়। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মানুষ জামায়াত-বিএনপিকে বর্জন করে। অন্যদিকে স্বৈরাচার বলে খ্যাত জাতীয় পার্টিকে বর্জন করে সাধারন মানুষ।
বর্তমান সংসদের বিরোধী দল অতীব দুর্বল। যারা সরকারের ঈশারায় কথা বলে। সরকার শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে কাউকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না। বামপন্থী নেতাদের লোভ লালসা আর পদ দিয়ে ভুলিয়ে রেখেছে। সংসদ সদস্যরা অধিকাংশই ব্যবসায়ি। সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতা, কর্মী আর সমর্থকরা রাজনীতিকে ব্যবসা এবং উপার্জন করার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশের এক খন্ড স্বাধীন মানচিত্র রয়েছে। এদেশে আছে নির্মল আলো বাতাস। রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ। রয়েছে জনশক্তি। শুধু নেই মানুষের কোন মৌলিক অধিকার। সরকার তার প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে। আমাদের এমন সচল দেশে অচল রাজনীতি ভর করেছে। দেশ আজ নিশ্চিত ভাবে অনিশ্চয়তার পথে চলছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


উদ্ভট লজিক

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

বিভক্ত আত্মা বলেছেন: সত্যিটা কি তাহলে ? আপনি ভালো আছেন-দেশের অধিকাংশ কি ভালো রয়েছে ? ২০০৫ সালের পরে কত জঙ্গী ধরা পরেছিল আর কতজনের বিচার হয়েছে? যাদের যাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে-তারা কি সঠিক পথে এসেছে ?

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

আমি মিন্টু বলেছেন: :|| :)

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সাথে একমত। ভাল লিখেছেন। তবে বিবেকের জায়গাটায় সরকার ও সরকারের বাইরের সবারই উন্নতি করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.